April 27, 2024, 12:28 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে জমিজমার বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে পিটিকে হত্যা ,আহত-৭ ময়মনসিংহ সদরকে ‘স্মার্ট’ উপজেলা গড়তে সুযোগ চান আল আমিন আলভি মাদকের বিস্তার রোদে গ্রাম পুলিশের সজাগ থাকতে হবে: ভালুকায় ওসি কামাল কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরী ক্রিকেট প্রিমিয়ার লীগ ২০২৪ ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ বাহুবলের মিরপুরে তীব্র উত্তেজনা নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এ-র কেন্দ্রীয় দায়িত্বে গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই মোবাইল কোর্ট অভিযান পাইকগাছায় অনুমোদন বিহীন এন্টিবায়োটিক বিক্রয় ; দুই বিক্রেতাকে জরিমানা পাইকগাছায় একটি লাউ গাছের এক বোটায় ২০টি লাউ ধরেছে র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির অভিযানে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
কমলা চাষে জয়পুরহাটের ইমরান হোসেন উজ্জ্বলের সাফল্য

কমলা চাষে জয়পুরহাটের ইমরান হোসেন উজ্জ্বলের সাফল্য

এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনী গ্রামে সমতল ভূমিতে কমলা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন ও তার স্ত্রী সুমি বেগম। এরইমধ্যে বাগান থেকে কমলা বিক্রিও শুরু করেছেন এই দম্পতি। কমলার আকার বড় আর স্বাদেও বেশ মিষ্টি।

কৃষিক্ষেত্রে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ইমরান হোসেনের সফলতার কথা কম বেশি অনেকেই জানেন। এমন প্রত্যন্ত গ্রামের ইমরান হোসেন কৃষি কাজকে বেছে নিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন দেখে সত্যিই অবাক লাগে।

জানা গেছে, তরুণ এই উদ্যোক্তা ইমরান হোসেনের টেলিকমের দোকানের ব্যবসা ছিল। করোনার সময় ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়। এরপর কৃষিকাজের দিকে মনোযোগ দেন। নিজের চিন্তা থেকে এক বিঘা জমিতে রোপণ করেন কয়েকটি কমলার চারা। সেই চারাগুলো থেকে গ্রাফটিং করে আরও চারা বাড়ান। এখন তার বাগানে ১৩০টি কমলার গাছ রয়েছে। কমলাগুলো বারি-২ জাতের। ১৩০টি গাছের মধ্যে ৬০টি গাছে কমলা ধরেছে। প্রতিটি গাছে ১৫-৪০ কেজি পর্যন্ত কমলা ধরেছে। প্রতি কেজি কমলা পাইকারি ১৩০ টাকা করে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।

উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন বলেন, আমি ক্ষুদ্র ব্যবসা করতাম। ব্যবসায় মন্দা দেখা দিলে অন্য কিছু করার চিন্তা মাথায় আসে। অনেক চিন্তার পর অনলাইনে সার্চ করে কৃষির কথা ভাবতে থাকি এবং এই কৃষি পেশায় চলে আসি। দেখলাম আধুনিক কৃষির কোনটাতে লাভবান বেশি হওয়া যায়। এরপর কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হই।

ইমরান বলেন আমরা বাইরের দেশ থেকে কমলা আমদানি করে থাকি। এতে অনেক টাকা রিজার্ভ থেকে চলে যায়। সকলে যদি কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হই, তাহলে রিজার্ভের টাকা থেকে এসব ফল আমদানি করতে হবে না। এজন্য বেকার যুবক যারা আছেন, তারা কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। এর চেয়ে আর সহজ কোনো চাষ নেই।
কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই উদ্যোক্তা বলেন, চাষের প্রথম দিকে অনেক ধরনের খারাপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে। কমলা হবে না, হলেও ভালো হবে না, ছোট, তিতা হবে। তবে তা হয়নি। অনেক সুন্দর কমলা হয়েছে। এখন সেই মানুষরাই সাধুবাদ জানাচ্ছে।
ইমরানের স্ত্রী সুমি বলেন কমলা বাগানের বয়স প্রায় তিন বছর। অনেক পরিশ্রমের ফলে সুফল আসছে। অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু এখন তারা প্রশংসা করছেন। কমলা অনেক ভালো এবং সুমিষ্ট। আমি সংসারে কাজের পাশাপাশি বাগান পরিচর্যা করি।

কমলা কিনতে আসা গোপীনাথপুর এলাকার জাহিদ হাসান লেমন বলেন, আমি কমলা বাগানের বিষয়টি জেনে এখানে এসেছি। বাগানটি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফলের বাগান আছে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ আছে, কিন্তু কমলার গাছ নেই। আমি উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন ভাইয়ের থেকে কয়েকটি গাছ কিনে আমার বাগানে রোপণ করবো

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, সমতলে ইমরানের কমলা চাষ একটি বিপ্লব। কমলা সাইট্রাস জাতীয় ফল, এটি পাহাড়ে হয়। কিন্তু এটি এখন সমতলেও হচ্ছে। অনেক বেকার যুবক চাইলে কমলা চাষ করতে পারেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্বুদ্ধ হয়ে কমলা চাষের সুযোগ রয়েছে। যারা তরুণ উদ্যোক্তা আছে তারা এগিয়ে আসুন। চাকরির সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে আপনিই উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের চাকরি দেওয়ার কথা ভাবুন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD