Blog

  • চারঘাটে জাতীয় বি-প্লব ও সংহতি দিবস পালিত

    চারঘাটে জাতীয় বি-প্লব ও সংহতি দিবস পালিত

    চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর চারঘাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজনে শুক্রবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে পল্লী বিদ্যুৎ মোড় থেকে একটি ব্যালী বের হয়ে চারঘাট বাজারের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    চারঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আবু সাইদ চাঁদ। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, মানুষ এখনও স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছে না, ভোটের অধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্র চলছে। এক অদৃশ্য শক্তি দেশের রাজনীতি, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এই অদৃশ্য শক্তিকে মোকাবিলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

    তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আমরা মনে করি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে হবে। এবার যার যার ভোট সে সে দিবে। সবাই মিলে ধানের শীষে ভোট দিবে।

    তিনি বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়, এটি ছিল জনগণের আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারের দিন। সেই দিনের চেতনা আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আমরা সেই ঐক্যের চেতনা নিয়েই এগিয়ে যাব।

    এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বিশ্বজিৎ সরকার, জেলা বিএনপির মহিলা সভানেত্রী অ্যাডভোকেট মিতালি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মার্শাল, চারঘাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোমিনুল হক মমিন, যুগ্ন-সম্পাদক আব্দুস সালেক আদিল, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দীন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির হোসেন মুকুট সহ সভায় চারঘাট উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

    মোঃ মোজাম্মেল হক
    চারঘাট, রাজশাহী

  • হু-মকিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ

    হু-মকিতে দেশীয় প্রজাতির মাছ

    লেখকঃ মোঃ হায়দার আলী।। একটা সময় এ দেশের মানুষকে বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। সে সময় গ্রামাঞ্চলোর জলাশয়গুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বাড়িতে যদি ভাত নাও থাকত, তবুও মাছের কমতি ছিল না। অনেকের এমনও দিন গেছে যে, ভাত না খেয়ে শুধু মাছ খেয়ে থাকতে হয়েছে তাদের। মৎস্য আহরণ ছিল সহজ ব্যাপার। সেই সময় প্রচুর দেশি মাছ পাওয়া যেত। আজ আমরা এসব মাছ খুব বেশি দেখতে পাই না। যদিও কালেভদ্রে দেখা যায়, সেগুলোর অধিকাংশই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। ফলে দেশি মাছের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যায় না।

    নদী মাতৃক বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল-বিল-নালা, পুকুর ডোবা, হাওর-বাঁওড়, ধানক্ষেত, পানিবদ্ধ বিলগুলো হচ্ছে- দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রধানতম উৎস। এসব উৎস ধ্বংস, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, মাত্রাতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের ব্যবহার এবং নানাভাবে পরিবেশ দূষণের ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। ট্যাংরা, টাকি, চান্দা, মহাশোল, সরপুঁটি, টাটকিনি, বাগাড়, রিটা, পাঙাশ আর চিতল এসব মিঠা পানির মাছের প্রজাতিগুলো চরম হুমকিতে রয়েছে। গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ এখন আর বাজারে দেখা যায় না। বর্তমানে দেশের ১১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের (এআইএস) এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশে বিলুপ্ত প্রায় মিঠা পানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা ৬৪টি।
    গত কয়েক দশক ধরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলাশয়গুলোর আয়তনে সংকোচন, নদী-নালা, খাল-বিল, ডোবার পানির অপরিমিত ব্যবহার, ডোবা-নালা ভরাট করা, কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশকে পানির দূষণ এবং অপরিকল্পিতভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাত্রাতিরিক্ত মাছ ধরার ফলে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের সংখ্যা অনেক কমছে। গত কয়েক বছরে প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে।

    বর্তমান প্রজন্ম আজ অনেক দেশি জাতের মাছের কথা ভুলে গেছে। তাদের সঙ্গে যখন দেশি মাছের কথা আলোচনা করা হয়, তখন তারা এমন ভাব করে যেন নামগুলো এই প্রথম শুনছে।
    এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে এই মাছগুলো বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে? আসলে এই মাছগুলো এমনি এমনি বিলুপ্ত হচ্ছে না, বরং বিলুপ্ত করা হচ্ছে। আজ আমরা অধিক ফলনের আশায় জমিতে অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার করছি। এসব কীটনাশক বৃষ্টির পানির মাধ্যমে খাল ও বিলে গিয়ে পৌঁছায়। এর ফলে ওইসব খাল-বিলের মাছ মরে যায়। অন্যদিকে অনেক মাছ ডিম ফুটে বাচ্চা বের করার সময় আহরণ করা হচ্ছে। এর ফলে ওই মাছগুলো ডিমসহ ধরা পড়ছে। এভাবে মাছ ধরার কারণে অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে অতি মাত্রায় পোনা মাছ আহরণ করা হয়, যার ফলে ওই মাছগুলো নিশ্চিত বিলুপ্তির পথে ধাবিত হচ্ছে। তাই মানুষকে এভাবে মাছ আহরণ থেকে বিরত রাখা সময়ের দাবি।

    দেশি মাছ রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসা উচিত। ইতোমধ্যে কিছু দেশি প্রজাতির মাছ গবেষণার মাধ্যমে বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা গেছে। অন্য যেসব মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে, সেসবও রক্ষার পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ আমাদের অন্যতম সম্পদ। পৃথিবীতে মাছ উৎপাদনে আমরা বিশেষ স্থান অধিকার করে আছি। এ ধারা ধরে রাখতে হবে। বিশেষ করে আমাদের দেশি প্রজাতির মাছের উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে বেশি।

    গবেষকরা এ ব্যাপারে অবদান রাখতে পারেন। সরকারকেও এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
    বাংলাদেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে ১০০ প্রকারের বেশি দেশীয় মাছ থাকলেও এখনো কোন মাছকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি আইইউসিএনের এ সংক্রান্ত নিয়মটি হচ্ছে, সর্বশেষ কোন একটি প্রজাতির মাছের দেখা পাবার পর পরবর্তী ২৫ বছরে যদি সেই প্রজাতির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

    মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন বলছিলেন, ময়মনসিংহ অঞ্চলে নান্দিল নামে এক সময় একটি মাছ দেখা যেত, কিন্তু গত ২০ বছরে সেটির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ দেখা যায়নি। আবার সিলেট অঞ্চলের পিপলা শোল নামে একটি মাছ দেখা যেত, যা এখন আর দেখা যায় না। গত ১০ বছরে দেখা যায়নি এই মাছ। “দেখা যায়নি, কিন্তু তবু বিলুপ্ত ঘোষণা করার আগে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। “যদি এর মধ্যে বিপন্ন মাছেদের অস্তিত্বের ব্যপারে কোন তথ্য না পাওয়া যায়, তাহলে হয়ত আইইউসিএনের পরবর্তী জরিপে এগুলোর ব্যপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা থাকতে পারে।”

    আইইউসিএনের ২০১৫ সালের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী কয়েকটি শ্রেণীতে মোট ৬৪ প্রজাতির মাছকে রেড লিস্ট বা লাল তালিকাভুক্ত করেছে, এর মানে হচ্ছে এসব প্রজাতির মাছ হয় প্রায় বিলুপ্ত, মহাবিপন্ন ও বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

    ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘আপডেটিং স্পেসিস রেড লিস্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রকল্পের অধীনে এই তালিকা করা হয়। এ সংক্রান্ত প্রথম জরিপটি হয়েছিল ২০০০ সালে, সে সময় ৫৪টি প্রজাতিকে রেড লিস্টভুক্ত করা হয়েছিল। জরিপে মূলত স্বাদু পানির এবং আধা লোনা পানির মাছকেই গণনায় ধরা হয়েছিল।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ঐ ‘রেড লিস্ট’ তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশে দেশীয় মাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০। এর মধ্যে ২০১৫ সালে আইইউসিএন এর সর্বশেষ মূল্যায়নে ২৫৩ প্রজাতির মাছের ওপর জরিপ চালানো হয়েছিল।তাতে দেখা গেছে সময়ের বিবর্তনে যেসব মাছ বিলুপ্তপ্রায় তার বেশির ভাগই নদীর মাছ মানে স্বাদু পানির মাছ। তবে, ৩০০ প্রজাতির মাছের মধ্যে অন্তত ৪০ প্রজাতির মাছের ব্যাপারে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন সংস্থার কাছে হালনাগাদ কোন তথ্য নেই। আইইউসিএন কয়েকটি ভাগে মাছের অবস্থা ব্যাখ্যা করেছিল। এর মধ্যে কিছু মাছ ক্রিটিক্যালি এনডেঞ্জারড বা প্রায় বিলুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। অর্থাৎ এগুলো সন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিলে সেগুলো অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

    বাংলাদেশে বিপন্ন মাছের মধ্যে রয়েছে—পাঙ্গাস, দারি, ককসা, টিলা বা হিরালু, টিলা ককসা, রানি বা বউ মাছ, বেতাঙ্গি, বেটি বা পুতুল মাছ, কালা বাটা, ঘর পোয়া, ঘর পইয়া, ঘোড়া মাছ, এলানগা, কচুয়া পুটি, বোল, চিতল, গজার, টেংরা, রিটা, গাঙ্গিনা বা চাকা মাছ, বট শিং, ঘাউড়া, সাল বাইম। এছাড়া সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে বাও বাইম, চাপিলা, গুতুম, পুঁইয়া, পিয়াসি, জারুয়া বা উট্টি, ছেপ চেলা, গোফি চেলা, বাটা মাছ, নারু মাছ বা গনিয়া, কাচকি, ফলি, শিল বাইলা, বেলে, শিং, আইড়, বোয়াল, তেলি, কুইচ্চা মাছ, বামোস মাছ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা বলছেন, মাছের প্রজাতি হারিয়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে তিনি প্রথমেই জলাশয় কমে যাওয়াকে দায়ী করেন। “শহর ও গ্রাম দুইখানেই নদী-খালসহ সব ধরণের জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কমার সঙ্গে দিনে দিনে কমছে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পরিমাণও। “কেবল দেশী জাত ও স্বাদের মাছই নয়, এর সঙ্গে কচ্ছপসহ নানা ধরণের জলজ প্রাণী ও সরীসৃপের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।” সেই সঙ্গে রয়েছে জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি, যা বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল বিলসহ জলাশয়গুলোতে পড়ে। এর ফলে মাছের মৃত্যু ও প্রজনন হার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আছে কলকারখানার বর্জ্য নিকটস্থ জলাশয়ে ফেলা হয়, তার ফলেও মাছ মরে যায়, বলেন মিজ ফাতেমা। এর সঙ্গে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন-সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করাকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে, বাংলাদেশ মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশী মাছের চাষের কারণেও দেশী প্রজাতির মাছ কমে গেছে।
    দেশের বাজারে এক সময় দেশীয় চাষের মাছের আধিক্য দেখা যেতো। “ধরুন এখানে তেলাপিয়া, কার্পজাতীয় মাছ আনা হয়েছে, আবার এক সময় আফ্রিকান মাগুর আনা হয়েছিল। কয়েক বছর আগে আনা হলো পিরানহা–এগুলো দেশী মাছের খাবার ও বাসস্থল দখল করতো। অনেক সময় দেশী মাছ খেয়ে ফেলতো কোন কোন বিদেশী প্রজাতি।” যদিও পরে আফ্রিকান মাগুরের চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু তারপরেও বিদেশী মাছের প্রজাতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে অনেক মাছ কমে গেছে। বাংলাদেশে দেশীয় অনেক প্রজাতির মাছের হার কমে যাবার প্রেক্ষাপটে গত দুই দশকে কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে মাছের সরবারহ বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর সাড়ে ৪২ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।

    মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেক মানুষ এর মধ্যে নদী, বিল ও হাওরসহ উন্মুক্ত জলাশয় থেকে ২৫ শতাংশ, পুকুর, ডোবার মত বদ্ধ জলাশয় থেকে ৫৭ শতাংশ এবং বাকি অংশ সমুদ্র থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষ হয়। বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিসের কর্মকর্তা বলরাম মহালদার জানিয়েছেন, কৃত্রিম প্রজনন ও চাষের মাধ্যমে বাজারে চাহিদা আছে এমন মাছই বেড়েছে। “কিন্তু বাজারে চাহিদা কম এমন মাছ তো চাষ করছে না কেউ, ফলে সেগুলোর অস্তিত্ব সংকট আগের মতই থাকছে। যেমন খলিশা, চাপিলা, মেনি, ফলি, বাও বাইম, গুতুম, কুইচ্চা মাছ, বামোস ইত্যাদি ধরণের মাছ দেখতে পাবেন না।”

    “এখন বাজারে পাবদা বা গুলশা মাছ বা পাঙ্গাস পাবেন আপনি, সেগুলোর চাহিদা আছে। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হলে, বিপন্ন মাছের ফিরে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।” তবে ফসলি জমি নষ্ট করে দেশে মাছ চাষ করা নিয়ে পরিবেশবাদীদের এক ধরণের বিরোধিতাও রয়েছে।

    তাদের পরামর্শ বিদ্যমান নদী ও পুকুরগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে হবে। তবে, সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই মনে করেন যদিও এখন কৈ, শিং, পাবদা, মাগুর, সর পুটি, চিতলসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির মাছ সহজলভ্য হয়েছে, কিন্তু সেই সব মাছের স্বাদ আগের মত নয়।

    বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে বেশ কয়েক প্রজাতির পরিচিত দেশীয় মাছ বাজার থেকে ‘প্রায় নেই’ হয়ে গেছে। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন বলছে, এর মধ্যে ‘প্রায় বিলুপ্ত’ হবার পথে বাঘাইর, পিপলা শোল বা বাক্কা মাছ, মহাশোল, নান্দিলা মাছ, চান্দা, ভাঙ্গান বাটা, খরকি মাছ, কালো পাবদা, চেনুয়া মাছসহ বেশ কিছু মাছ রয়েছে।

    ময়মনসিংহে বাংলাদেশের একমাত্র মৎস্য জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক মোস্তফা আলী রেজা হোসেন জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে দেশের ১১৮ প্রজাতির দেশীয় মাছ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। “আইইউসিএন বাংলাদেশের বিপন্ন প্রাণীর তালিকা করার জন্য দুটি জরিপ চালিয়েছিল, ২০০০ সালে প্রথম জরিপে ৫৪ প্রজাতির মাছ বিপন্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এরপর ২০১৫ সালে সর্বশেষ জরিপে তাতে আরো ৬৪ প্রজাতির মাছ যুক্ত হয়।”

    এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছর পর মাছের প্রচন্ড আকাল দেখা দেবে।
    সাধারণত জৈষ্ঠ মাসের মধ্য থেকে শ্রাবণ মাসের মধ্য পর্যন্ত সকল প্রকার দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম। জৈষ্ঠ মাসের মধ্যকালে প্রথম বৃষ্টির পর থেকেই এসকল সাদুপানির মাছ ডিম ছাড়া শুরু করে। যা চলে শ্রাবণ মাসের মধ্য পর্যন্ত। বৃষ্টির পরপরই যখন বিভিন্ন জলাশয়গুলো পানিতে ভরে যায়, তখন নদ-নদী, খাল-বিল-নালা, হাওড়-বাওড়, ধান ক্ষেতসহ জলাবদ্ধ বিলগুলো জলাজমির সাথে মিশে যায় এবং তখন মুক্ত জলায়শয়ে থেকে ছড়িয়ে যায় মাগুর, শিং, কৈ, টাকী, শৈল, গজাল, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, সরপুঁটি, খলিসা, মলা, বাইন, বোয়াল, গলদা চিংড়ি মাছ। আর তখনই স্থানীয় জনগণ অনুমোদিত ঝাকি জাল, চর পাটা জাল, বেবদি জাল, কারেন্ট জাল, চাইঁ, বরশি, টোটা, কোচ, বর্সাসহ বিভিন্ন রকম হাতে বানানো ফাঁদ পেতে মাগুর, শিং, কৈ, টাকী, শৈল, গজাল, পাবদা, টৈংরা, পুঁটি, সরপুঁটি, খলিসা, মলা, বাইন, বোয়াল, গলদা চিংড়ি এসকল প্রজাতির মাছ নিধন করতে থাকে। যার মধ্যে অধিকাংশ থাকে ডিম ছাড়ার পর্যায়ের ‘মা মাছ’। এসব মা মাছ দেদারসে মারার ফলে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ব্যহত হচ্ছে এবং দিন দিন কমে যাচ্ছে।
    তবে এর বিপরীত চিত্র রয়েছে মৎস্য চাষে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, পুকুর ডোবা বা বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য চাষে গত এক দশকে বিপ্লব ঘটেছে। গত এক দশকে কৃষিপণ্য হিসেবে মাছের উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রায় বিলুপ্তির মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যাও এখন বাড়ছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াহিদা হক বলেন, দেশীয় মাছের অনেক প্রজাতি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এর জন্য প্রধানত দায়ী হচ্ছে দেশীয় মাছের উৎস নদী-নালাসহ বিভিন্ন জলাশয় কমে যাওয়া। শহর- গ্রাম সবখানেই নদী-খালসহ সব ধরনের জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ কমার সঙ্গে দিনে দিনে কমছে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছের পরিমাণও। কেবল দেশী জাত ও স্বাদের মাছই নয়, এর সঙ্গে কচ্ছপসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে।

    দ্বিতীয়ত কারণ হচ্ছে জমিতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি, যা বৃষ্টিতে ধুয়ে খাল-বিলসহ জলাশয়গুলোতে পড়ে। এর ফলে মাছের মৃত্যু ও প্রজনন হার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়া কলকারখানার বর্জ্য নিকটস্থ জলাশয়ে মিশে এর ফলেও মাছ মরে যায়। এর সঙ্গে রয়েছে অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে প্রজনন-সক্ষম মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জালের ব্যবহার এবং মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করাকেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন সংশ্লিষ্টরা।

  • তানোরের কলমা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উঠান বৈ-ঠক

    তানোরের কলমা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উঠান বৈ-ঠক

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দীনের পক্ষে জনমত সৃস্টি এবং সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষে রাজশাহীর তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টারের উদ্যোগে কলমা ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উঠান বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে।
    জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর শুক্রবার উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ড আদিবাসী কালুপাড়া গ্রামে বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রার্থনা ও দলের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা শিক্ষক সমিতির আহবায়ক হযরত আলী মাস্টার। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউপি বিএনপির সম্পাদক মানিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজ উদ্দিন,
    উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক রায়হানুল হক রায়হান,জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম-আহবায়ক মোতালেব হোসেন ও এমদাদুল হক প্রমুখ। এ সময় নেতাকর্মীরা হযরত আলী মাস্টারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং আসন্ন নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষ প্রতিকে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
    এদিন উঠান বৈঠকে রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের বিজয় নিশ্চিত করতে বিএনপির সকল নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান হযরত আলী মাস্টার।#

  • গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ীতে মহাসড়কের পাশে ম-য়লার ভাগাড়-জ-নদুর্ভোগ চ-রমে

    গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ীতে মহাসড়কের পাশে ম-য়লার ভাগাড়-জ-নদুর্ভোগ চ-রমে

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহী – চাঁপাইনবাবগজ্ঞ মহানগরী সড়কের পাশে প্রথম শ্রেণীর গোদাগাড়ী পৌরসভায় ২ নং ওয়ার্ডের মহিশালবাড়ীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লার ভাগাড় । টলি, ভ্যানে, অটো করে বিভিন্ন স্থান থেকে এনে ময়লা, মুরগির বৃষ্টা, রক্ত, পর, পাখা, নাড়ী, ভুড়ি, বাসাবাড়ী পচা, দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। এ মহা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাত্রীবাহী রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, ঢাকাবাসসহ ট্রাক, মিনি ট্রাকসহ হাজার হাজার হালকা – ভারী যানবাহন চলাচল করে, লাখ লাখ যাত্রী সাধারণকে খুব কষ্ট করে, নাকে রুপাল দিয়ে ওই স্থান পার হতে হয়। জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।

    এলাকাবাসী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী, ব্যবসায়ী, এলাকার সাধারণ মানুষ নাকে রুমাল দিয়ে মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। ওই ময়লার স্তুূপে খাবারের খোঁজে কাঁক, বিড়াল, কুকুরের পাশাপাশি জড়ো হয় গরু, ছাগল ফলে পুরো সড়ক জুড়েই থাকে তাদের রাজত্ব। স্থানীয়রা বলছে, মহাসড়কের এমন পরিবেশ দেখেও যেন না দেখার ভ্যান করে এড়িয়ে যান পৌর কর্তৃপক্ষ।

    মহিশালবাড়ী বাজার কমিটির সদস্য ও পরফেট ফ্যাশানের মালিক সাদেকুল ইসলাম জানান, রাজশাহী- চাঁপাই মহানগরী সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় সত্যি দুঃখজনক। এ ব্যপারে পৌরসভার প্রশাসক, সচিবদের দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এটা বন্ধ করে বিকল্প স্থানে ফেলার ব্যবস্থা করা উচিৎ। সভার আগে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করতে হবে।

    বিএনপির নেতা, সমাজ সেবক আব্দুল হান্নান বলেন, মহাসড়ের পাশে ময়লার ভাগাড় থাকায় জনসাধারনের অসুবিধা হচ্ছে। গত ১৬/১৭ বছরে পতিত শেখ হাসিনার দোসর, আওয়ামীলীগ নেতারা পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করলেও পৌরসভার ময়লা ফেলার স্থান করতে পারেন নি ফলে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ময়লার ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোফাজ্জুল হোসেন মোফা বলেন, বার বার পৌরকতৃপক্ষকে তাগাদা করে কোন লাভ হয় নি। এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ মায়লা নিয়ে এসে এখানে জড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে নিষেধ করেও কাজ হয়। সরকার পরিবর্তন হয়েছে অনেক স্তরে সংস্কার হচ্ছে, এ জন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এ মহাসড়কে ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ঠিক না। বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

    নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন এমবিবিএস ডাক্তার বলেন, মহাসড়কে পাশে ওপেন ময়লার স্তূপ থাকায় মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন ধরণের অসুখ আক্রান্ত হবে পারে মানুষ। জরুরি ভাবে এটা বন্ধ করা প্রয়োজন।

    গোদাগাড়ী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও সচিবের দায়িত্বে থাকা সারোয়ার জাহান মুকুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে হলে তিনি বলেন করা ফেরছেন তাদের ব্যপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • ধানের শীষ প্রতীক আমার একার নয়, সবার’ — পিরোজপুরে বিএনপি প্রার্থী সোহেল মঞ্জুর

    ধানের শীষ প্রতীক আমার একার নয়, সবার’ — পিরোজপুরে বিএনপি প্রার্থী সোহেল মঞ্জুর

    নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি //

    পিরোজপুর-২ (নেছারাবাদ, ভান্ডারিয়া ও কাউখালি) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমন বলেছেন, “ধানের শীষ প্রতীক আমার একার নয়, এ প্রতীক বিএনপির সকল নেতা কর্মি সবার। এই প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রার্থীকে বিজয়ী করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানকে এই আসন উপহার দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার হোক।”

    শুক্রবার সকালে নেছারাবাদে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নেছারাবাদ উপজেলা, পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়।

    বিএনপি প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলে আমাদের নেতাকর্মীরা অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন। এখন ঘরে ফসল তোলার সময়। এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত করার সুযোগ এসেছে।”

    তিনি আরও বলেন, “যারা ভবিষ্যতে মেয়র, চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর হতে চান, তারা এখন থেকেই ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। রাজনীতি মানে দেশ ও মানুষের প্রতি একটা দায়িত্ব ও অভিলাষ। যার আকাঙ্ক্ষা নেই, তার রাজনীতি করারও প্রয়োজন নেই। দলের জন্য কেউ কাজ না করলে তাকে আমরা সরিয়ে দেব। কারন এখানে যোগত্যতা সম্পন্ন নেতাকর্মীর অভাব নেই।”

    সোহেল মঞ্জুর সুমন সতর্ক করে বলেন, “যারা তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে দলের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তাদের দলে কোনো স্থান হবে না। এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপির এক পতাকা তলে আসার। দেশের স্বার্থে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

    এর আগে সকালে নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি স্বরূপকাঠি পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দক্ষিণ জগন্নাথকাঠি বন্দরের বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

    পৌর বিএনপির সভাপতি কাজী কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. শফিকুল ইসলাম ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান, এবং সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী আনিছুজ্জামান প্রমুখ।

    পরে বিএনপি প্রার্থী আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।

    আনোয়ার হোসেন
    নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি ।।

  • পাইকগাছায় সেতু ভেঙে নদীতে: দুই এলাকার মানুষের দূ-র্ভোগ

    পাইকগাছায় সেতু ভেঙে নদীতে: দুই এলাকার মানুষের দূ-র্ভোগ

    ইমদাদুল হক পাইকগাছা(খুলনা)।।
    খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা ও পুটিমারী এলাকার মানুষের একমাত্র যাতায়াতের সংযোগ সেতুটি ভেঙে পড়ায় দু’এলাকার হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে উলুবুনিয়া নদীর উপর নির্মিত সেতুটি আকস্মিকভাবে ভেঙে পড়ে।
    স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লতা ইউনিয়নের শামুকপোতা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে উলুবুনিয়া নদীর উপর ২০০০ সালে তৎকালীন সরকার সেতুটি নির্মাণ করেন। সেতুটি নির্মাণের পর থেকে পুটিমারী ও শামুকপোতা এলাকার জনগণের দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব হয়েছিল। এই সেতুর মাধ্যমে দুই ইউনিয়নের তিনটি বিদ্যালয়, তিনটি বাজার এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করতেন।
    কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। অবশেষে বুধবার রাতে সেটি ভেঙে পড়লে পুটিমারী ও শামুকপোতা এলাকার মানুষের চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে।
    স্থানীয় বাসিন্দা মিজান সানা বলেন, ব্রিজটি অনেক দিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল, কিন্তু কেউ তা সংস্কারে এগিয়ে আসেননি। এখন ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
    ঘটনা পরবর্তী বৃহস্পতিবার সকালে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
    উপজেলা প্রকৌশলী শাফিন শোয়েব বলেন, এখানে নতুন করে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করতে সময়, প্রক্রিয়া ও বরাদ্দ প্রয়োজন। তাই ইউএনও স্যারের নির্দেশনায় আপাতত কাঠের ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হয়।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন বলেন, জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এখানে একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

    প্রেরকঃ
    ইমদাদুল হক,
    পাইকগাছা খুলনা।

  • বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল গ্রে-ফতার

    বাবুগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল গ্রে-ফতার

    বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মোঃ মহিউদ্দিন খাঁন রানা ।।

    বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী এমদাদুল হক দুলালকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (DB)।

    আজ শুক্রবার (তারিখঃ ০৭/১১/২০২৫ইং) দুপুরে জুমার নামাজ আদায়ের পর ঢাকার খিলগাঁও এলাকার নিজ বাসার সামনের মসজিদ থেকে তাকে আটক করা হয়। পারিবারিক সূত্রে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    এদিকে তার গ্রেফতারের খবর বাবুগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে এ ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

    পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে গোয়েন্দা পুলিশ ও পরিবারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

  • তানোরে বিপ্ল-ব ও সংহতি দিবস উদযাপন

    তানোরে বিপ্ল-ব ও সংহতি দিবস উদযাপন

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ

    রাজশাহীর তানোরের পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীণ বিএনপি নেতা মমিমনুল হক মমিন বলেছেন, ফ্যাসিস্ট ও পতিত আওয়ামী সরকার ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে চিরতরে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপি শত বাধা উপেক্ষা করেও প্রতি বছর দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে আসছে।

    জানা গেছে,৭ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় তানোর পৌর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মমিনুল হক মমিন এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সূচনা করে। সেই দিন থেকেই দেশে বহুদলীয গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন বানচাল ও দেশকে পিছিয়ে নিতে কাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল মালেক মন্ডল।তিনি বলেন,আগামি নির্বাচন আমাদের জন্য অগ্নি পরীক্ষা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে আমাদের মাঝে ঐক্যের বিকল্প নাই।তিনি বলেন, আমাদের পরম সৌভাগ্য আমরা মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মতো এত বড় মাপের নেতৃত্ব পেয়েছি,আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।

    এদিন আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আহসান সরকার নান্নু, আব্দুল লতিব, হাশেম আলী মেম্বার,আবুল কালাম আজাদ,আনারুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, হাশেম আলী ও সোহেল রানাপ্রমুখ।এছাড়াও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • জাতীয় বিপ্ল-ব ও সংহতি দিবসে মহেশপুরের বিএনপির বর্ণাঢ্য আ-য়োজন

    জাতীয় বিপ্ল-ব ও সংহতি দিবসে মহেশপুরের বিএনপির বর্ণাঢ্য আ-য়োজন

    শহিদুল ইসলাম মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ- ঝিনাইদহের মহেশপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা চত্বরে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  • ধামইরহাটে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বি-প্লব ও সংহতি দিবস পালিত

    ধামইরহাটে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বি-প্লব ও সংহতি দিবস পালিত

    আবুল বয়ান, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
    নওগাঁর ধামইরহাটে উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিশাল র‌্যালী উপজেলার প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে আমাইতাড়া বাজারে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার হাজার হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত এম.পি পদপ্রার্থী সাবেক এম.পি মো. সামসুজ্জোহা খান। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. হানজালার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুর রহমান সরকার, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কে.এম নায়েক আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম কবির মিল্টন, উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য জাহাঙ্গীর আলম লিটন, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা. মাজেদা বেগম. পৌর বিএনপির মহিলা সম্পাদিকা শাহিনা ইয়াসমিন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ওয়াসিফ আরাফাত অভি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৬ষ্ঠবার এমপি মনোনয়ন পাওয়ায় দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সাবেক এম.পি সামসুজ্জোহা খান, এ সময় নেতাকর্মীরা তাঁকে ফুল দিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করেন। এ সময় তিনি বিএনপি’র সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জন্য উদ্বাত্ত আহ্বান জানান।

    আবুল বয়ান
    ধামইরহাট নওগাঁ।