Category: শিক্ষা

  • ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাভাবনা’

    ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাভাবনা’

    প্রেরক – আরিফ রব্বানী।

    – মনিকা পারভীন
    উপজেলা শিক্ষা অফিসার,ময়মনসিংহ সদর

    কলাম–
    শিক্ষা- মনের বন্ধ দরোজাগুলো উন্মোচন করে, আচরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে সত্যিকার মানুষ তৈরি করে। আধুনিক ,স্মার্ট ও সভ্য জাতির এগিয়ে যাওয়ার মূল নির্দেশিকা হলো গুনগত শিক্ষা। জীবন আলোকিত করার পাশাপাশি অভিষ্ঠ উন্নয়ন লক্ষ্য ( SDG) পূরণে শিক্ষা অন্যতম অবলম্বন। মেধা- মননে আধুনিক ও চিন্তা-চেতনায় অগ্রসর একটি সুশিক্ষিত জাতিই পারে একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে সরকারের একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে হবে। আর প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার প্রথম সোপান। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষার দর্শন ও বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা একই সুতোয় গাঁথা। তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে ভাবনা শুরু করেছিলেন, যেহেতু প্রাথমিক শিক্ষাই শিক্ষার মূল ভিত্তি। তাই এই শিক্ষা নিয়ে ভাবনা শুরু করেন। ১৯৭১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি প্রেস নোটের মাধ্যমে জানানো হয় যে, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাবে। বঙ্গবন্ধু ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন এবং তারই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেন। বর্তমানে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপাদমস্তক একজন শিক্ষানুরাগী। তিনি জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা ছিল তার রাজনৈতিক দর্শনের অন্যতম ভিত্তিমূল। বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ও দর্শনকে ধারণ করে যেকোনো জাতি একটি আধুনিক কর্মমুখী এবং বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর যে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যার মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলা যাবে এবং সোনার বাংলা বিনির্মাণ সহজতর হবে। দক্ষ মানব সম্পদ বা সোনার বাংলা গড়তে আমাদের শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই শিক্ষার ভিতই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। বঙ্গবন্ধু শিক্ষা দর্শন অনুসরণ করে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক। জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত টেকসই উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে ১৭টি অভীষ্টকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৫ সালে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে। ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও ৩৩২টি পরিমাপক রয়েছে। যার মধ্যে ৪ নং অভীষ্ট হলো মানসম্মত শিক্ষা (অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমাজতান্ত্রিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, সবার জন্য আজীবন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা।) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নে দক্ষ জনসম্পদ উন্নয়নের বিকল্প নেই। তাই মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। গুণগত শিক্ষার অনেক অপরিহার্য পূর্বশর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে অধিক বিনিয়োগ। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ অপর্যাপ্ত। এ কথাও অনস্বীকার্য, বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে খরচ করা হয় না, যা অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। দেশে শিক্ষা খাতে প্রকৃত বিনিয়োগ চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। সার্কভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে সামগ্রিক শিক্ষা খাতে বরাদ্দ মাত্র ০.৯২ শতাংশ এবং উচ্চশিক্ষা উপ-খাতে বরাদ্দ মাত্র ০.১২ শতাংশ, যা সার্কভুক্ত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ মোট জিডিপির তুলনায় যথাক্রমে ৪.৫ ও ৩.৫ শতাংশ। উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমান জাতীয় বরাদ্দ ০.৯২ থেকে ক্রমান্বয়ে ২০২৬ সালের মধ্যে ২ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ শতাংশে উন্নীত করা আবশ্যক। পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের বর্তমান বরাদ্দ ৮ থেকে ১৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি। : ভিশন-৪১ নির্বাচনী ইশতেহার এবং নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে মনিটরিং এবং মেন্টরিংয়ের কয়েকটি আকর্ষণীয় দিক হতে পারে:
    ১. *ডিজিটাল মনিটরিং* – *ই-মনিটরিং সিস্টেম:* শিক্ষার অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা, যেমন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, মূল্যায়ন, এবং শিক্ষকের কর্মক্ষমতা। – *অনলাইন ড্যাশবোর্ড:* শিক্ষকদের, অভিভাবকদের, এবং প্রশাসকদের জন্য একটি ড্যাশবোর্ড, যেখানে তারা শিক্ষার বিভিন্ন সূচকের তথ্য দেখতে পারে।
    ২. *নিরীক্ষণ সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি* – *স্মার্ট ক্লাসরুম:* শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সিসিটিভি, ইন্টারেক্টিভ বোর্ড, এবং অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার। – *ডেটা অ্যানালিটিক্স:* শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স এবং উপস্থিতির ডেটা বিশ্লেষণ করে সমস্যাগুলি সনাক্ত এবং সমাধান করা।
    ৩. *পারফরম্যান্স মূল্যায়ন* – *আন্তঃক্ষেত্র মূল্যায়ন:* বিভিন্ন সূচক, যেমন ছাত্রের ফলাফল, শিক্ষার মান, এবং ছাত্র-শিক্ষক মিথস্ক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার গুণমান মূল্যায়ন। *ব্যক্তিগত উন্নয়ন পরিকল্পনা:* শিক্ষকদের জন্য শিক্ষার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রদান।
    ৪. *মেন্টরিং প্রোগ্রাম* – *পিয়ার মেন্টরিং:* শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পরিক মেন্টরিং চালু করা, যেখানে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা নতুন শিক্ষকদের সাহায্য করেন। – *মেন্টর অ্যাসাইনমেন্ট:* শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগত মেন্টর নিয়োগ, যারা শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক, এবং একাডেমিক সমর্থন প্রদান করবে।
    ৫. *ক্লাসরুম অবজারভেশন* – *রেগুলার ক্লাসরুম ভিজিট:* শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার কার্যকারিতা মূল্যায়ন। – *শিক্ষক-পর্যালোচনা:* শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সাক্ষাৎকার এবং আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার মান পর্যালোচনা করা।
    ৬. *ফিডব্যাক এবং প্রতিবেদন* – *প্রতি মাসের ফিডব্যাক:* নিয়মিত ফিডব্যাক সেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর অগ্রগতি এবং শিক্ষকের কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা। – *প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়া:* অগ্রগতি এবং সমস্যার উপর ভিত্তি করে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি এবং তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে শেয়ার করা।
    ৭. *অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা* – *অভিভাবক-শিক্ষক সভা:* নিয়মিত অভিভাবক-শিক্ষক সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের ব্যাপারে মতামত সংগ্রহ। – *ডিজিটাল যোগাযোগ:* শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের তথ্য দ্রুত এবং সহজে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার।
    ৮. *শিক্ষাগত গবেষণা এবং উদ্ভাবন* – *পাইলট প্রকল্প:* নতুন শিক্ষণ পদ্ধতি এবং প্রযুক্তির জন্য পাইলট প্রকল্প চালু এবং ফলাফল মূল্যায়ন। – *গবেষণা সহযোগিতা:* শিক্ষামূলক গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সহযোগিতা।
    ৯. *শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং পেশাগত উন্নয়ন* – *নিয়মিত প্রশিক্ষণ:* নতুন শিক্ষণ কৌশল, ICT ব্যবহারের দক্ষতা, এবং শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক সমর্থনের উপর নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
    ১০. *পেশাগত উন্নয়ন:* শিক্ষকদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সমর্থন। এই কৌশলগুলি Vision 2041, নির্বাচনী ইশতেহার, এবং নতুন পাঠ্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং এগুলো প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।কোয়ালিটি অ্যান্ শিওর করতে হলে শিক্ষার্থীর কাছে ফিরতে হবে শিক্ষার্থীর উন্নয়নের ভূমিকা রাখতে হবে পরীক্ষা পদ্ধতির না থাকলেও তাদের মূল্যায়ন থাকতে হবে কারণ শিশু কাজটি সঠিক করছে নাকি ভুল করছে।সেটি যাচাই প্রয়োজন। ইউনেসকোর সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৭ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। শিক্ষা মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রধানতম উপায় হলেও দেশে শিক্ষায় অর্থায়ন এখনও হতাশাব্যঞ্জক। ইউনেসকো গঠিত ‘একবিংশ শতাব্দীর জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষা কমিশন’ তথা ইউনেসকো গঠিত দেলরস কমিশন প্রতিবেদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তার ২৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে (১৯৯৭) এ সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, জাতীয় উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে মানব সম্পদের সার্বিক উন্নয়ন। জাতীয় উন্নয়ন অর্জন করতে হলে উৎপাদন শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রধান উপাদান। বর্তমানে যে পরিমাণ অর্থ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয়, তা অপ্রতুল। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু বার্ষিক বিনিয়োগের পরিমাণ বাংলাদেশে ৫ ডলার, শ্রীলঙ্কায় ১০ ডলার, ভারতে ১৪ ডলার, মালয়েশিয়াতে ১৫০ ডলার ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬০ ডলার। গুণগত শিক্ষা কোনো একটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অর্জনের আশা করা যায় না। এর জন্য প্রয়োজন অনেক উপাদানের সমন্বিত এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও কর্মকা-। গুণগত শিক্ষার জন্য যেসব উপাদানের যথাযথ সমন্বয় সাধন করতে হয় সেগুলো হচ্ছে-আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম, পর্যাপ্তসংখ্যক যোগ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক, প্রয়োজনীয় শিক্ষাদানসামগ্রী ও ভৌত অবকাঠামো, যথার্থ শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতি, উপযুক্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি, ধারাবাহিক পরিবীক্ষণ ইত্যাদি। শিক্ষার সব স্তরে গুণগত মান অর্জনের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত সুপারিশগুলোর আলোকে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও নীতিনির্ধারণ করা যেতে পারে। আমাদের দেশে শিক্ষার্থীদের বিষয় নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে অভিভাবক, বিদ্যালয় বা শিক্ষকদের ইচ্ছা এবং পছন্দ মোতাবেক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত। কোন শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে কী হতে চায়, কিংবা কোন বিষয় নিয়ে পড়তে চায়, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর পছন্দ বা মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া আবশ্যক। এতে তার পঠিতব্য বিষয় সম্পর্কে শ্রদ্ধা জাগবে; ফলে সে পাঠে মনোযোগী হবে, শিক্ষাগ্রহণ করে পরিতৃপ্ত হবে এবং আশানুরূপ ফলাফল করবে। প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার নতুন ভবন নির্মাণ করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ পরিবেশে পাঠগ্রহণ করতে সক্ষম হবে। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমাবেশ আয়োজন করে শিক্ষার সঙ্গে সমাজকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষার মনোন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে। বছরের শুরুতে প্রতিটি স্কুলে ক্যাচমেন্ট এলাকাভিত্তিক শিশু জরিপপূর্বক ভর্তি নিশ্চিত করা। নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ, মা সমাবেশ, উঠান বৈঠক, হোম ভিজিট কার্যক্রম, এসএসসি ও পিটিএ সভা বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণ, স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ, উপবৃত্তি প্রদানসহ মাসিক কার্যক্রমে মাঠ প্রশাসন আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণের ফলে প্রাথমিক শিক্ষার উৎকর্ষ সাধিত হবে। টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে রূপকল্প ২০২১, ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষার আধুনিকায়ন অত্যাবশ্যক।
    পরিশেষে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত উৎপাদনমুখী অভিযোজনে সক্ষম, সুখী ও বৈশ্বিক নাগরিক গড়ে তোলার অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে আমাদের শিক্ষা পরিবারের সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

  • দেশের বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনিয়ম দুর্নীতি-এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

    দেশের বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনিয়ম দুর্নীতি-এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

    বিশেষ প্রতিনিধিঃ সারাদেশে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। এই পরীক্ষায় ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। দেশের বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ-এসএসসির এক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা এবং অনেক পরীক্ষার্থীর নাম ও পিতা-মাতার নাম ভুল করে শিক্ষকরা আবার সেগুলো সংশোধন করতে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্টকারী জড়িত শিক্ষকদের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরাসহ সচেতন মহল।
    জানা গেছে, পাবনা সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার সাগরকান্দি ইউনিয়নের “কদিম মালি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোঃ শাকিব শেখ এর নাম ভুল, মোঃ রবিন শেখ এর মাতার নাম ভুল, মোঃ শহিদুল ইসলাম এর পিতার নাম ভুল, মোঃ শান্ত মন্ডল এর পিতার নাম ভুল, মোছাঃ তামান্না আক্তার এর এসএসসির সাবজেক্ট ভুল, তার সাইন্স থেকে আর্টসে পাল্টে দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর কিন্তু তাদের অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এইসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানাধীন রতনগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০২৪ সালে ৭টি বিদ্যালয়ের মোট ৬৪৩ জন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা দিবে বলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের ও সহকারি শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক নিশ্চিত করেন।
    ঢাকা জেলার আশুলিয়ার ইয়ারপুর গ্রামের প্রবাসী হযরত আলী’র ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ।প্রকাশ্যে দিবালোকে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনার পর জমি দখলের চেষ্টা করে স্থানীয় মোল্লা নাজিম উদ্দিন (৪১)সহ তাদের লোকজন। প্রবাসীর স্ত্রী মোছাঃ ইয়াসমিন (৪১) ও বড় ছেলে পুলিশ সদস্য আলামিন (২২) এর বয়স ২৫ দিয়ে এবং ছোট ছেলে এসএসসির পরীক্ষার্থী আশরাফুল (১৬) এর বয়স ২০ বছর দিয়ে উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়েছে নাজিম মোল্লা। সূত্রঃ সি. আর. মামলা নং ৮৩২/২০২৩। ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/ ১০৯/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬। সরেজমিনে এলাকাবাসী অনেকেই বলেন, নাজিম মোল্লা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মামলা করেছে, আসল কাহিনী হলো একটি জমি দখল। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা কিন্তু এই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তার পরীক্ষা দেওয়া কঠিন হবে বলে সে জানিয়েছে।
    জানা গেছে, আশুলিয়ার ইয়ারপুরের হযরত আলী প্রবাসীর ছেলে পুলিশ সদস্য আলামিন ও এসএসসির পরীক্ষার্থী আশরাফুল ইসলামের মা ইয়াছমিন গণমাধ্যমকে বলেন, আশুলিয়ার “ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোশারফ হোসেন মুসা’র ভাই নাজিম উদ্দিন মোল্লা নাজি (৪১) পিতা- মৃত মান্নান মোল্লা। এই নাজিম আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে আমাদের উপর হামলা চালায় এবং মারপিট করেছে। আমার স্বামী বিদেশ থাকে প্রবাসীর স্ত্রী আমি, আমার বড় ছেলে আলামিন পুলিশ সদস্য ডিউটিরত অবস্থায় এবং ছোট ছেলে আশরাফুল নাবালক ছেলে এসএসসির পরীক্ষার্থী, আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, সেই সাথে আমাদের সম্মানহানী করছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত দাবী করছি, দোষীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।
    এ ব্যাপারে পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার সাগরকান্দি ইউনিয়নের কদিম মালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আমিনপুর থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, আমাদের কদিম মালি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-এসএসসি পরীক্ষার্থী কয়েক জনের নাম ও পিতা-মাতার নাম সহকারি শিক্ষক (কেরানি) মোঃ মগবুল ভুল করেছে, তা রাজশাহী গিয়ে সংশোধন করতে হবে।
    উক্ত ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, জন্মদাতা পিতা-মাতার পরেই শিক্ষকদের মর্যাদা আর সেই শিক্ষক যদি হয় দুর্নীতিবাজ তাহলে শিক্ষার মানমর্যাদা কোথায় গিয়ে দাড়িয়েছে তা বলা খুবই দুঃখদায়ক। দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ব্যাঙের ছাতার মতো স্কুল স্থাপিত হয়েছে, সেইসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে লেখাপড়া করতে পারেনা কিছু অসাধু শিক্ষকদের কারণে। এসব স্কুলের কিছু শিক্ষক কর্তৃক ভুল ও অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সরকারের বদনাম হচ্ছে, এ ব্যপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা। আমরা মানবাধিকার কর্মীরাও বলতে চাই যে, শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করাসহ অনিয়ম দুর্নীতি করলে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান, সচেতন মহল।

  • বেতাগীতে ৬০ মার্কের এক পরীক্ষার্থীর দায়িত্বে ১৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারী

    বেতাগীতে ৬০ মার্কের এক পরীক্ষার্থীর দায়িত্বে ১৩ কর্মকর্তা ও কর্মচারী

    খাইরুল ইসলাম মুন্না বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি

    বরগুনার বেতাগীতে ৬০ মার্কের মাত্র একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য কেন্দ্রে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন ১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। উপজেলার বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
    শনিবার দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এসএসসি ভোকেশনাল নবম শ্রেণি ফাইনাল আরবী -১ বিষয়ে পরীক্ষায় বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নুর মোহাম্মদ অনীক নামে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল।
    জানা গেছে,অণীক উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের রাণীপুর গড়িয়াবুনিয়া এছাহাকিয়া আলীম মাদ্রাসার একজনপরীক্ষার্থী। কক্ষ পরিদর্শক ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা কবির হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠানে ঐ বিষয়ে ৩ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। কিন্ত তার মধ্যে ২ জন অনুপস্থিত রয়েছে। কী কারণে অনুপস্থিত সে বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, আরবী বিষয়ে লেখাপড়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। তাই তারা আসেনি।
    নুর মোহাম্মদ অনীক কেন্দ্র জুড়ে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী হলেও সুষ্ঠুভাবে তার পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে দায়িত্বে কোনো ঘাটতি ছিল না। তার জন্য পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ম্যাজিস্ট্রের দায়িত্বে সহকারি কমিশনার (ভূমি), একজন কক্ষ পরিদর্শকসহ একজন বেন্দ্র সচিব, একজন সহকারী কেন্দ্র সচিব, একজন হলসুপার,পুলিশ একজন, পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সদস্য ৩ জন, অফিস ও চতূর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োজিত ছিল ৩ জন। এ কারনে বন্ধের দিনেও পররীক্ষার খাতা ডাক করার জন্য খোলা রাখা হয় উপজেলা ডাকঘরও । সেখানে কর্মরত থাকতে হয়েছে পোষ্ট মাষ্টার সহ আরেক কর্মচারির।
    পরীক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমদ বলেন, পরীক্ষার্থী একজন কিংবা আরও বেশি সংখ্যক থাক সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যেহেতু সরকারি দায়িত্ব সেহেতু যথাযথভাবেই সকলকে পালন করতে হয়। এর সাথে যারা সংশ্লিস্ট তাদের এ দায়িত্ব গাফেলতি ও এড়িয়ে যাওয়ার কোন সূযোগ নেই।
    বেতাগী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম কবির বলেন, মাত্র একজন পরীক্ষার্থী থাকলেও পরীক্ষা গ্রহণের জন্য নিয়ম অনুয়ায়ী তার সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়। কোনো কিছুর ঘাটতি ছিল না।

  • সাংবাদিক জুয়েলের কন্যাা জিপিএ – ৫

    সাংবাদিক জুয়েলের কন্যাা জিপিএ – ৫

    কে এম সোহেব জুয়েল:-সাংবাদিক জুয়েলের কন্যা জিপিএ- ৫ পাওয়াতে গর্ব শুধু সাংবাদিক জুয়েলের পরিবারের নয় এ গর্ব সকল সাংবাদিক পরিবারের মধ্যে ছড়িয়ে পরেছে বলে এমন কথা বলেন, গৌরনদী প্রেশ- ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমেটির সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন আহম্মেদ হিরা।

    তিনি আরো বলেন সাংবাদিকরা দেশের আয়না তাই প্রত্যেক সাংবাদিক ভাইয়েরা তাদের ছেলে সন্তানদের প্রতি সর্ব ক্ষেত্রে সু- নজর রেখে সাংবাদিক পরিবারের অহংকার অক্ষুণ্ণ রাখবেন বলে এমন প্রত্যয় ব্যাক্তও করেন তিনি।

    মিথিলা গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাকোকাঠি গ্রামের সাংবাদিক কে এম সোহেব জুয়েলের কন্যা। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা রোর্ড বরিশালের অধিনে ২০২৩ ইং এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বাবুগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আগরপুর আলতাফ মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে গতকাল ২৮ জুলাই শুক্রবার বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে ৯ শত ৩৮ মার্কস পেয়ে জিপিএ -৫ উত্তীর্ন হয়েছেন।

    তিনি উচ্চ শিক্ষা অর্জনে সকলের দোয়া কামনা ও তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দোয়ার আহবান জানিয়েছেন।

  • ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিলে অভিভাবকদের উদ্বেগ, শিক্ষার্থীদের  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে আগ্রহ হারাচ্ছেন

    ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর পরীক্ষা বাতিলে অভিভাবকদের উদ্বেগ, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে আগ্রহ হারাচ্ছেন

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকে।। নতুন শিক্ষাক্রম না মেনে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে মডেল টেস্ট বা পরীক্ষা নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর।

    গত সোমবার মাউশি থেকে দেওয়া এক আদেশে এ কথা বলা হয়। কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মডেল টেস্ট বা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়ায় মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিতে এ আদেশ জারি করে মাউশি।
    আদেশে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রম জাতীয় শিক্ষাক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা ও শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা বা থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদের নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে বলা হয়েছে ওই আদেশে।

    এ বছর ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পাঠদান চলছে নতুন প্রণীত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষানির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের ওপর জোর দিতে এটি চালু করা হয়েছে।

    পরীক্ষা বাতিলের এমন নির্দেশনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীরা এমনিতেই পড়ার টেবিলে বসে না। এখন যদি পরীক্ষাও বাতিল করা হয় তা হলে তো আমাদের সন্তানদের পড়ালেখাতেই আর ফেরানো যাবে না।

    অন্য দিকে শিক্ষাবিদরা বলছেন, পরীক্ষা অবশ্যই থাকবে বা রাখতে হবে। তবে এই পরীক্ষা পদ্ধতির হয়তো পরিবর্তন আনতে হবে। আর পরীক্ষা নামের ভীতি দূর করতেই মূলত নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা শব্দটি বাদ দিয়ে বরং সামষ্টিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে।

    আর অভিভাবকদের উদ্বেগের বিষয়টিও একেবারে অমূলক নয়। শিক্ষকরা যদি অভিভাবকদের সাথে রেখে মূল্যায়ন পদ্ধতিতেও তাদের মতামত নিতে পারেন তাহলেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ভীতি কাটিয়ে উঠে আনন্দের সাথে শিক্ষালাভ করতে পারবে।

    সূত্র মতে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে নতুন কারিকুলামে পাঠদান চলছে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে। এ দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে কোনো প্রচলিত পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গাইডলাইন অনুযায়ী। এ গাইডলাইনের বিষয়ে পরে স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে মাউশি। এর আগে গত সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে এক আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    আদেশে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা বা মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইডলাইন পাওয়া যাবে, তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।

    অপর দিকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই দু’টি শ্রেণীতে পাঠদান করাতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শ্রেণীর মতো এখানেও মডেল টেস্ট বা পরীক্ষা নেয়া প্রস্তুতি চলছে।

    এসব অভিযোগ সামনে আসার পর সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিয়েছে মাউশি। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে।

    অনেকেই জানতে চাইছেন পরীক্ষাই যদি না থাকে তাহলে আমার সন্তান কি শিখছে বা কি জানতে পারছে তার প্রতিফলন আমরা কিভাবে বুঝতে পারব? অনেক অভিভাবক জানতে চাইছেন বিকল্প উপায়ে মূল্যায়নের কথা বলা হলেও আমরা তো এ বিষয়ে একেবারেই জানিনা । তাই সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তারাও এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন।

    যদিও মাউশি থেকে জারি করা পাঁচ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এই দুই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে পড়াতে হবে।

    শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা/মডেল টেস্ট নেয়া যাবে না। এর কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা কমিশনের সাবেক সদস্য কাজী ফারুক আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, সারা পৃথিবীতেই এখন পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন হয়েছে। তবে সেখানে যেভাবে বা যে প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়ে অভিভাবকরা সেই মূল্যায়ন কাজে সম্পৃক্ত থাকেন।

    কাজেই অভিভাবক অবহিত থাকেন তার সন্তান কিভাবে বা কতটুকু শিক্ষা অর্জন করতে পারছে। আমাদের দেশে যেহেতু আগের কোনো অভিজ্ঞতা নেই তাই অভিভাবকদের এই উদ্বেগ রয়েছে।

    এই শিক্ষাবিদ আরো বলেন, পরীক্ষার ভীতি দূর করতে এবং শিক্ষার সাথে আনন্দ দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ধরে রাখতেই বিকল্প উপায়ে এখন নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

    গতানুগতিক পাঠ পরিবর্তন আনতেই সরকার এই প্রক্রিয়া চালু করছে। নতুন এই মূল্যায়ন পদ্ধতির সাথে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবক সবাই যখন পরিচিত হয়ে যাবে এবং।। ্ অভ্যস্ত হয়ে যাবে তখন আরন কোনো সমালোচনাও থাকবে না আমি মনে করি।
    গোগ্রাম আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহিদুল ইসলাম বলেন, ৬ ষ্ঠ ৭ ম, শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কারণে প্রতিযোগিতা কমেছে, ছাত্র ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসার ব্যপারে আগ্রহ হারাচ্ছে, নেতা, পাতিনেতা, মেম্বার, চেয়ারম্যান, জনপ্রতি, প্রভাবশালীর ছেলে মেয়েরা নাম্বার নেয়ার জন্য এখন থেকে চাপ প্রয়েগ করছেন। এঅবস্থায় শিক্ষার গুনগত মা

  • কেশবপুরে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩ দিনের কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ পত্র প্রদান

    কেশবপুরে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩ দিনের কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ পত্র প্রদান

    কেশবপুর প্রতিনিধিঃ
    কেশবপুরে নবযুগ সংস্থা’র আয়োজনে ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহযোগিতায় “এসো উদ্যোক্তা হই” ৩ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ২৮ ফেব্রুয়ারী শহরের পৌর ভবন মোড়ে নবযুগ সংস্থা’র কার্যালয়ে নবযুগ সংস্থার সভাপতি শেখ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সংস্থার ম্যানেজার ইউছুফ আলীর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ -উজ-জামান খান, যশোর নকশীকাঁথা এসোসিয়েশনের সভাপতি মরিয়ম নারগিস, সাংবাদিক সাঈদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নবযুগ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল মজিদ। প্রশিক্ষন প্রদান করেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষক রফিকুল হাসান।
    উল্লেখ, গত ২৬ হতে ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষনে কুটির শিল্প, নকশীকাঁথা, বেত ও বাঁশ শিল্প, মৃৎ শিল্প এবং ফ্যাশন ডিজাইনের ৩০ জন নারীকে নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের “এসো উদ্যোক্তা হই” নতুন নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচীর আলোকে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ পত্র প্রদান করেন।

  • ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এস.এস.সি ও সমমানের  পরীক্ষার্থী ১,১২,৯৪৮ জন

    ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এস.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ১,১২,৯৪৮ জন

    স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীন ২০২২ইং সনের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি ও সমমানের) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবছর ১২৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪৮টি কেন্দ্রে মোট ১,১২,৯৪৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন এর মধ্যে নিয়মিত ১,০৯,৭৩৮ জন এবং অনিমিয়ত ৫৫৬ জন। প্রথম দিন সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলা ১ম পত্র (আবশ্যিক) সময় ২ ঘন্টা। এছাড়া এর মধ্যে ছাত্র ৫৭,২৯৭ জন এবং ছাত্রী ৫৫,৬৫১ জন। ময়মনসিংহ জেলায় ৫৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৯টি কেন্দ্রে মোট ৪৯,৭১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। জামালপুর জেলায় ৩১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫২টি কেন্দ্রে ২৭,১১৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। নেত্রকোনা জেলায় ২৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৫টি কেন্দ্রে ২১,৫৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন এবং শেরপুর জেলায় ১৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২টি কেন্দ্রে ১৪,৫৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় বিজ্ঞান বিভাগে ১৭,৩৫০ জন, মানবিক বিভাগে ২৮,১৭২ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৪,১৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবে। জামালপুর জেলায় বিজ্ঞান বিভাগে ১০,৬৯১ জন, মানবিক বিভাগে ১৩,৭০৮ জন এবং ব্যাবসায় শিক্ষায় ২,৭১৮ জন শিক্ষাথী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। নেত্রকোণা জেলায় বিজ্ঞান বিভাগে ৩,৩৪৫ জন, মানবিক বিভাগে ১৭,৩৮৬ জন এবং ব্যাবসায় শিক্ষায় ৮৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন। শেরপুর জেলায় বিজ্ঞান বিভাগে ৭,৫৭৩ জন, মানবিক বিভাগে ৬,২৯৯ জন এবং ব্যাবসায় শিক্ষায় ৬৫৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করবেন।

  • তানোরে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক বন্দিতা রানীকে সংবর্ধনা

    তানোরে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক বন্দিতা রানীকে সংবর্ধনা

    আলিফ হোসেন,তানোরঃ
    রাজশাহীর তানোর উপজেলায়
    জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী। জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই সোমবার জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা
    সিদ্দিকুর রহমান জানান, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ভাবে
    জরিপ করা হয়, যার মধ্য পাঠদান পদ্ধতি, শিক্ষার্থীদের মাঝে লেখাপড়ার আগ্রহ তৈরি ও নিয়মিত উপস্থিতিসহ বিভিন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করে একাধিক শিক্ষকদের নির্বাচিত করে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতায় যে শিক্ষক প্রথম স্হান অধিকার করেন তাকে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এবারে তানোর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানীকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি
    শিক্ষক নির্বাচিত করা হয়েছে।এদিকে ১৯ জুলাই মঙ্গলবার তানোর মহিলা ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে
    কলেজ চত্ত্বরে শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রাণীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় অধ্যক্ষ অনুকূল কুমার ঘোষ বলেন, উপজেলার মধ্যে অত্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় আমরা গর্বিত। শুধু শ্রেষ্ঠ শিক্ষক না আমাদের কলেজ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাপশি রাবিয়া শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন এবং ক্যারাত ও কবিতা আবৃতিতেও প্রথম স্হান অধিকার করে পুরস্কৃত হয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে সকল শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম নিয়মিত পাঠদান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর সময় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার জন্যই কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রথম স্হান অধিকার করে কলেজকে সম্মানিত করেছেন। আগামীতে আশা করছি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আমাদের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা একদিন না একদিন বিজয়ী হয়ে পুরস্কৃত হবেন বলে আমার দৃঢ বিশ্বাস। তিনি দাবি করেন এই কলেজ তানোর সহ আশপাশের উপজেলায় নারী শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, যেহেতু এটি উপজেলার প্রথম মহিলা কলেজ সেহুতু আমাদের মাননীয় সাংসদ মহোদয়কে অনুরোধ করে বলতে চাই তিনি যেনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কলেজ সরকারি করণে। অন্যদিকে
    শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক বন্দিতা রানী জানান, তার প্রায় ২৫ বছরের শিক্ষকতায় এটিই প্রথম এ্যাওয়ার্ড তিনি অত্যান্ত আনন্দিত ও গর্বিত। সবাই নিজের কাজের জন্য স্বীকৃতি আশা করেন। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যতদিন বেচে থাকব ততদিন যেন সঠিক ভাবে পাঠদান করাতে পারি এবং মাননীয় সাংসদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কলেজটিকে যেনো সরকারিকরণে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, উপাধ্যক্ষ মুরসেদ আলী মৃধা, প্রভাষক মুনসেফ আলী। এসময় কলেজের শিক্ষক কর্মচারী সুধীজন ও শিক্ষার্থীরা উপস্হিত ছিলেন।