ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা)।।
পাইকগাছায় বারোমাসি আমের ফলন ভালো হয়েছে। আম বাগানে মুকুলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে আম। গাছের এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে আম ঝুলছে। আমের আকার এবং রংও হয়েছে বেশ আকর্ষণীয়। শরতের এই সময়ে বাগানে গাছ ভরা আম ছড়াচ্ছে আকর্ষণ ও সৌরভ। গাছে বারোমাস ধরে বলে এ আমের নাম রাখা হয়েছে ‘বারোমাসি’। গাছের আকৃতি ছোট। আম খেতে সুস্বাদু। একই গাছে মুকুল, গুটি ও পাঁকা আমের নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে কৌতুহলীরা ভীড় করছে।
পাইকগাছায এখন যেসব আমগাছে মাত্র মুকুল ধরেছে, সেসব আমের গাছ থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। কাটিমন আম বারোমাসি জাতের বছরে তিনবার ফল প্রদান করে থাকে। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। ফল লম্বাটে এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ২০০-৩০০ গ্রামের হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় ত্বক হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদে সবুজ ভাব রং হয়।
দেশে এখন অন্তত বারোমাসি সাতটি জাতের আম চাষ হচ্ছে, যেগুলোকে অসময়ের আম বলা হয়। কাটিমন ছাড়া বাকি জাতগুলো হলো বারি-১১, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই, বানানা ম্যাঙ্গো, তাইওয়ান গ্রিন, মিয়াজাকি অর্থাৎ সূর্যডিম। এসব আমের যেমন বাহারি নাম, দেখতেও তেমন নজরকাড়া। বারি- ১১ ও কাটিমন আমের জাত আবার বারোমাসি।
অসময়ের আমের মধ্যে এখন দুটি জাতের বাগান বেশি হচ্ছে। থাই কাটিমন ও বারি- ১১। বারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম সারা বছরই ফল দিয়ে থাকে। বছরে তিনবার ফল পাওয়া যায়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাঁকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ।
আম গাছটির উচ্চতা ৬-৭ ফুট। গাছটির কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার কোথাও পাঁকা আম। একটি গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’। এটি খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের। এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। এছাড়াও এই জাতের একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে। বারি আম ১১ এর এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে। আম গাছের একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম থাকে। আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী। আমের আকার এবং রং ও হয় বেশ আকর্ষণীয়।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় বারোমাসি আমের কোন বাগান গড়ে উঠেনি। তবে বিভিন্ন গ্রামের অল্প সংখ্যক গাছ লাগানো হয়েছে। পাইকগাছার রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক জানান, ২০২০ সালে বারোমাসি আমের চারা রোপণ করেন। রোপণের পরের বছরেই ফল ধরে। এ বছর তার আম বাগান থেকে প্রায় ১০ মন আম বিক্রি করেছেন। তার নার্সারীতে প্রায় ২ হাজার বারোমাসি আমের ছোট ছোট চারা রয়েছে। যা ৩০-৫০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। সততা নার্সারীর মালিক অশোক পালের নার্সারীতে বারোমাসি কাটিমন জাতের আমের ফলন ভালো হয়েছে। ৬/৭ ফুট একটি গাছে ১৫/২০ টি করে আম ধরেছে। তার নার্সারীতে প্রায় দুই শতাধিত বারোমাসি আমের চারা রয়েছে। ছোট চারা ৫০ টাকা ও ৬/৭ ফুট উঁচু চারা ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমগাছগুলোতে সারা বছর আম ধরে। গাছে কখনো মুকুল, কখনো আমের গুটি আর কখনো বড় আম দেখা যায়। বাগানে আমের জাতের মধ্যে রয়েছে থাই কাটিমন, বারি-৪, কিউজাই ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো।
বারি আম -১১ বা বারমাসি আমের এই জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ও নার্সারীতে চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশের সকল আ লিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে। যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে নার্সারী মালিকরা।
Category: কৃষি
-

পাইকগাছায় বারোমাসি আম গাছে এক ডালে মুকুল অন্য ডালে আম ঝুলছে
-

ক্ষেতলালে শখের বশে মালটা ও আমের বাগান
মিলন মিয়া ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধি:
ক্ষেতলাল উপজেলা বড়তারা
ইউনিয়ন উত্তর হাটশহর গ্ৰামের মিজানুর রহমান সবুজ শখের বশে মালটা ও আমের বাগান করেন।
তিনি বলেন আমি যখন বাগানটি করি , তখন আমার এলাকার প্রতিটি মানুষ হাসাহাসি করতো।
তখন খুব খারাপ লাগতো। এখন আমার বাগানে এতো পরিমাণ ফল ধরেছে এতে আমি আমার পরিবার সহ সবাই অনেক খুশি।
সবুজ আরো বলেন যে মালটা বাগানের পাশাপাশি আমি আমের বাগান ও করি। তিনি বলেন এখন অসময় বাজারে মিলছে না আম।
সেখানে গিয়ে দেখা যায় তিনি বাহির দেশের কিছু আম গাছ রোপণ করে।
তার আম বাগানে কোনো গাছে মুকুল ধরছে, আবারো কোনো গাছে আম ধরে আছে।
সবুজ বলেন এই আম গুলো খেতে খুব সুস্বাদু।
তিনি আরো বলেন আমার এই বাগান থেকে প্রতি বছর অনেক টাকা আয় করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন আমি যদি সরকারি ভাবে কোনো সহায়তা পাই তাহলে আরো ভাল কিছু করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন আমি এই বাগান করে মোটামুটি সাবলম্বী হইছি, চাইলে আপনারাও করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন এই ফল বাজারে বিক্রি করে আমি ভাল কিছু করতে পারবো পাশাপাশি দেশে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবো।
বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশ,আমরা এভাবে সবাই উদ্দেগ নিয়ে নিজে সহ দেশের অনেক উপকারে আসতে পারি। -

সাতক্ষীরা বৃক্ষ মেলায় মানুষের নজর কেড়েছে ফোর এ এগ্রো
মোঃ আজিজুল ইসলাম(ইমরান)
“বৃক্ষ প্রাণে প্রকৃতি- প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে বুধবার (১৭ আগষ্ট)
সাতক্ষীরায় শুরু হয়ছে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২। জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে
বৃক্ষ মেলায় বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীদের ঢল নামতে দেখা গেছে। মেলায় অংশ নেয়া ২৩টি স্টলের মধ্যে মানুষের
নজর কেড়েছে ফোর এ এগ্রো নামক প্রতিষ্ঠানটি। এব্যাপারে জানতে চাইলে, ফোর এ এগ্রোর স্বত্বাধিকারী ও সাতক্ষীরার জনপ্রিয় দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগের মোকবিলা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ ভু-মন্ডলকে টিকিয়ে রাখার জন্য বৃক্ষের ভুমিকা অপরিসীম। আমার প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪৫০ প্রজাতির ফলজ,বনজ,ঔষুধি,বনসাই, ক্যেকটাস গাছের চারা আছে। মানুষেরা তাদের বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে এসব চারা রোপন করতে পারে।এখানে যেসব ফুলের গাছ আছে তার মধ্যে
অন্যতম হল এডেলিয়াম,ব্লাকঝাণ্ড, থাইসোকো, ব্লাক ষ্টিম,আল মুণ্ডা,অমলিকা,কাট গোলাপ, জবা ট্রপিকাল,হাইব্রিডপদ্ম,প্লুমেরিয়া,লিলি, মেসতা জবা,স্যানসিভিরিয়া ইত্যাদি।এছাড়া ফলজ গাছের মধ্যে আছে বারমাসি
সজনে,ভুয়েতনাম নারকেল,মোজাফফর লিটু,হাইব্রিড কামরাঙ,থাই জামরুল, সজনে,ত্বীন,কদবেল,আতা,খোরমা,থাই সবেদা,সূর্য ডিম আম,কিউজার, কাটিমন, বেনানা আম,লটকন,আশফল,থাই মালটা, পাকিস্তানি পয়সা মালটা,থাই মাধুরি পেয়ারা ইত্যাদি।
এখানে বনসাই তেতুল,বট,কদবেল আছে।
আরও আছে বিভিন্ন ধরনের কেকটাস যেমন বেরেল,কৈলাস,স্নেক,ড্রেসিনা ইত্যাদি।মেলায় বেড়াতে আসা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্র আব্দুর রশিদ বলেন প্রায় দুই বছর পর সাতক্ষীরায় বৃক্ষ মেলা,এখানে এসে আমার মন ভালো হয়ে গেছে।
সদরের রসুলপুর এলাকার আব্দুল্লা আল মাসুম বলেন এখানে নানা প্রজাতির বনসাই গাছের সম্ভার আছে। এটা আমার খুব ভালো লাগেছে।
এছাড়া মেলায় অন্যান্য স্টল গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলেন মদিন,টুম্পা,সরদার,ডালিয়া,
ইমরান ও পল্লী নার্সারী। এসব নার্সারীর মালিকেরা বলেন বৃষ্টির মধ্যে মেলার কিছুটা ছন্দ পতন হলেও বৃষ্টি থামলে মেলায় জনসাধারণের আনাগোনা বাড়বে, বাড়বে বেচাকেনা। -

পাইকগাছায় জমে উঠেছে চারার হাট
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
জমে উঠেছে পাইকগাছার গদাইপুর বাজারে ভোর বেলার গাছের চারার হাট । হাটে প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ-বনজ,ফুল ও ঔষধী গাছের চারা উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসাহীদের সমাগমে নার্সারী চারার হাট জমে উঠেছে। ভোরের হাট সকাল ১০টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তবে স্থানীয় ক্রেতাদের জন্য বিকাল বেলাও আংশিক এলাকায় চারার হাট বসে। পাইকগাছা, কয়রা,আংশিক তালা ও আশাশুনসহ দক্ষিণ অ লের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতারা ভোরবেলার হাট থেকে পছন্দমত বিভিন্ন প্রজাতির চারা ক্রয় করছে। গদাইপুরে ভোরবেলার চারার হাটে দক্ষিণ অ লের মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
বর্ষাকাল বৃক্ষরোপনের উপযুক্ত সময়। পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের অবদান অপরিসীম।বৃক্ষ ছাড়া পরিবেশ সুরক্ষা অসম্ভব। তবে এ বছরও বাধ ভেঙ্গে উপকূল এলাকা লবন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব জায়গায় চারা রোপন করার পরিবেশ তৈরি হয়নি।সে কারনে চারা রোপন করার সময়ও পিছিয়ে যাচ্ছে।তারপরও এ হাটে ফলদ, বনজ, ঔষধী, ফুল সহ নানা প্রজাতির বৃক্ষের চারা পাইকারী ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
পাইকগাছার গদাইপুর দক্ষিণ অ লের ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার। এ বাজারে সপ্তাহে শুক্রবার, সোমবার ও বুধবার হাট বসে। হাটে পাইকারী ও খুচরা বিভিন্ন মালামাল বিক্রয় হয়। বর্ষাকালে ভোরবেলা বাজারে চারার হাট দক্ষিণ অ লে ব্যবসায়ী ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গদাইপুর নার্সারীর জন্য বিখ্যাত। গদাইপুরের নার্সারীর চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশ ব্যাপি গদাইপুর নার্সারীর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৪শ থেকে ৫শ নার্সারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ সকল নার্সারীতে উৎপাদিত বিভিন্ন চারা ও কলম নার্সারী মালিকরা ভোরবেলা গদাইপুর হাটে তুলছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা খুব ভোরে এসে পছন্দমত চারা ক্রয় করে দক্ষিণ অ লের বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করছে। হাটে আম, কাঁঠাল, জাম, জামরুল, লিচু, কদবেল, বিভিন্ন জাতের কুল, পেয়ারা, বাতাবি লেবু, মাল্টা, কমলা লেবু, দেশী বিদেশী নারিকেল চারা, সুপারী, মেহগনি, সিরিশ, লম্বু, আকাশমনি, বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী ফুলের চারা হাটে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতারা বাজার ঘুরে পছন্দমত গাছ কিনছে। সর্বনিন্মে ২০ টাকা থেকে ৬শ টাকা দরে কলম বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা ও কমলা লেবুর চারা ও বিদেশী নারিকেলের চারা দম সব থেকে বেশী। বিদেশী নারিকেলের চারা ৫শ টাকা, বড় মাল্টা ও কমলা লেবুর চারা প্রায় ৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চারা বড় ও মানের উপরে বিভিন্ন দামে চারা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর পরিমানে গাছের চারা উঠেছে। বাজার ঘুরে পছন্দমত চারা ক্রয় করা যাচ্ছে এবং বাজারের চারা দামও কম।
কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী গ্রামের ব্যবসাহী মোশারফ হোসেন জানান, সোহবান,রহিম,রাশেদসহ আটজন রাত দুইটায় রওনা দিয়ে সকালে বাজারে এসেছে। তিনি চারা কিনে কাশী হাটে বিক্র করেন। তবে এবছরও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লবন পানি প্রবেশ করায় চারারোপন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ জন্য চারার চাহিদা কিছুটা কম। গদাইপুর গ্রামের চারা ব্যবসাহী মিজান জানান, বর্ষাকালে তেমন বৃস্টি হয়নি এ কারনে চারার চাহিদা ও দাম কিছুটা কম ছিল। অনেক দেরি করে বৃস্টি শুরু হয়েছে, আর বৃস্টি শুরু হওয়ায় চারার চাহিদাও বিক্রি বেড়েছে ।
পাইকগাছা উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল জানান, গদাইপুর এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪শ নার্সারী রয়েছে। এ সকল নার্সারী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা সরবরাহ করা হয়। তবে গদাইপুর বাজারে ভোরবেলার হাটে প্রচুর পরিমাণ চারা উঠছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দমত চারা ক্রয় করতে পারছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পরিবেশ সু-রক্ষায় বৃক্ষের অবদান অপরিসীম। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে সরকারি ভাবে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পুরণে বাড়ির আঙ্গিনায় চার-পাঁচটি ফলদ বৃক্ষ রোপন করার জন্য কৃষকদেও প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।। গদাইপুরে ভোরবেলা হাট থেকে ক্রেতারা চারা ক্রয় করে সূর্যের তাপ ছাড়াই সুস্থ্য ও সবল চারা চারা গন্তব্যস্থানে নিয়ে যেতে পারে।এতে চারার মান ভাল থাকে। এ কারণে ক্রেতাদের ভোরবেলার হাটে চারা ক্রয়ে আগ্রহ বাড়ছে।ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা। -

বানারীপাড়া থেকে কুড়িয়ানার আমড়া-পেয়ারা সহজেই পৌঁছাচ্ছে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায়
আব্দুল আউয়াল বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:
কুড়িয়ানা থেকে ফিরেঃ
বরিশালের বানারীপাড়া ঘেষা আটঘর-কুড়িয়ানা এলাকার পেয়ারা বাগানে বেড়েছে বেপারীদের আনাগোনা। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি (নেছারাবাদ) উপজেলার দূরের জেলায় পেয়ারা পাঠাতে এখন আর পথে পঁচার ভয় নেই খুব কম সময়ে পৌছে যাচ্ছে ঢাকায়। খুব সকালে পেয়ারার হাট বসে বানারীপাড়ার রায়ের হাট থেকে ট্রাকে করে নেয়া হচ্ছে পেয়ারা ও আমড়া বিভিন্ন স্থানে। উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানার পেয়ারা চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আগে পিরোজপুরের বাসিন্দাদের ঢাকা যেতে সড়ক পথে সময় লাগতো ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা, এখন তিন থেকে চার ঘণ্টায় পৌঁছানো যাচ্ছে। আর পেয়ারা, আমড়া, কলাসহ অন্যান্য পণ্য পরিবহনেও সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টার বেশি লাগছে না। পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরের ৬ লাখ কৃষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাভবান হবেন পেয়ারা চাষে। জেলার প্রধান অর্থকরী ফসলের তালিকায় ধানের পরে রয়েছে পেয়ারা, আমড়া, কলা। পেয়ারা চাষ হয় শুধু স্বরূপকাঠিতে আর এরপরেই রয়েছে আমড়া। স্বরূপকাঠি উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রক্তিম কুমার ঘরামী বলেন, স্বরূপকাঠির ২ হাজার পরিবার পেয়ারা চাষে জড়িত। এছাড়া বরিশালের বানারীপাড়া ও ঝালকাঠির বেশ কিছু এলাকার লোক পেয়ারা চাষে জড়িত।উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, বর্তমানে স্বরূপকাঠি উপজেলার প্রায় ৬ শ ৫০ হেক্টর জমিতে ২ হাজার ২৫টির মতো বাগান রয়েছে। এ বাগানে প্রতি বছরই পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকার পেয়ারা উৎপাদিত হয়। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এতোদিন প্রতিমণ পেয়ারা দেড় শ থেকে দুই শ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে চাষিদের। চাষিরা মধ্যসত্ত¡ভোগীদের মাধ্যমে যাত্রীবাহী লঞ্চে বা ট্রলারে করে পেয়ারা ঢাকা পাঠাতেন। এতে যেমন সময় লাগতো ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা, তেমনি তরতাজা ফলটিও অনেক সময় পেকে যেতো বা পচে যেতো। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সড়ক পথেই চাষিরা সরাসরি দ্রুত পচনশীল এ পণ্যটি ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন। সড়ক পথে তাদের খরচও কম হচ্ছে। স্বরূপকাঠির কুড়িয়ানা এলাকার কালীপদ হালদার জানান, বাগান করার তিন বছরের মধ্যে আমড়ার ফলন পাওয়া যায়। একনাগারে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত আমড়ার উৎপাদন হয়। প্রতিমণ আমড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। যাত্রীবাহী লঞ্চ অথবা সড়ক পথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় পণ্যটি। এতে চাষিরা বেশি লাভবান হতে পারতেন না। এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় আমড়া অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠানো যাবে ঢাকায়। চাষিরা নিজেরাই আমড়া ঢাকা ও চট্টগ্রামে বড় বাজারগুলোতে বিক্রি করতে পারবেন। এতে মধ্যসত্ত¡ভোগীদের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে না। লাভও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। বর্ষা মৌসুমে এখানকার উৎপাদিত পেয়ারা, আমড়া, লেবু ও কলা ট্রাক বা ট্রলারযোগে ঢাকা পৌঁছাতে ১৬ থেকে ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতো। এ সময়ের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেয়ারা পেকে যেতো, অনেক সময় পচেও যেতো। আর আমড়াও পেকে যেতো। ফলে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতা উভয়েই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হত। পদ্মা সেতু চালুর ফলে এখন আর আমড়া ও পেয়ারাসহ কৃষিপণ্য পঁচার আশংকা নেই। কুড়িয়ানা ইউনিয়নের জিন্দাকাঠী এলাকার পেয়ারা চাষি দিলীপ মজুমদার জানান, তিনি ৯ বিঘা জমিতে পেয়ারার চাষ করেছেন। গত বারের চেয়ে এবারের ফলন ভালো কিন্তু সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পেয়ারার সাইজ ছোটো হয়েছে।স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী তাপস বড়ালের বাড়ি উপজেলার মাহামুদকাঠী এলাকায়। বাগান থেকে পেয়ারা কিনে ঢাকায় পাঠান তিনি। প্রায় ২০ বছর ধরে পেয়ারা, আমড়ার মৌসুমে এ কাজটি করছেন তিনি। ‘পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ। প্রতিবছর এই মৌসুমে ঢাকায় পেয়ারা পাঠাতে গিয়ে পদ্মার এপারে ঘাটে ট্রাক বোঝাই পেয়ারা আটকা পড়ে পচে যায়।গত মৌসুমে ৭ থেকে ৮ ট্রাক পেয়ারা আটকা পড়ে পচে গেছে। একারণে লোকসান গুনতে হয়েছে’— জানান তাপস বড়াল। এরপর তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৭ ট্রাক পেয়ারা ঢাকায় পাঠিয়েছি। সব পেয়ারাই তাজা অবস্থায় পাঠানো গেছে। এখন আর পচার ভয় নেই।লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্জ ইউনিয়নের শহীদনগর এলাকার আলাউদ্দিন বাবুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি ১২ বছর ধরে এখান থেকে পেয়ারা কিনছেন। পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে এখানে বেপারী বাড়ছে আর পেয়ারার দামও বাড়ছে। বর্তমানে পেয়ারা মণপ্রতি ৫ শ ৫০ টাকা দরে কিনছেন। গেলো বছর এই সময় পেয়ারার মণ ছিল ২ শ থেকে ৩ শ পঞ্চাশ টাকা।আটঘর বাজারে থাকা আড়ৎদার মোশারেফ মলিক জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পেয়ারা পাঠানো সহজ হয়েছে।স্বরূপকাঠি উপজেলার কুড়িয়ানা ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার বলেন, এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ টাটকা পেয়ারা খেতে পারবে। মানুষজন ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়া সহজেই পেয়ারা বাগানে ঘুরতে আসতে পারবে। তিনি বলেন, পেয়ারার মৌসুমে পদ্মা থাকে উত্তাল। অনেকেই ভয়ে আসতে চাইতেন না। সরাসরি সড়ক পথে আসার সুযোগ হওয়ায় পর্যটকদের সেই ভয় এখন আর নেই। তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সময়ে পেয়ারা বাগানে ঘুরতে এসেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রদূত, ভারতের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।স্বরূপকাঠি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মুইদুল ইসলাম বলেন, পেয়ারা বাগানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর জমে ওঠে ভাসমান পেয়ারার হাট। শুধু পেয়ারা নয় ভাসমান হাটে বিক্রি হয় নানা ধরনের কৃষিপণ্য । এ হাট দেখতে বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসে। পদ্মা সেতুর কারণে পর্যটকের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর তিনি বলেন, পেয়ারা ছাড়াও সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলের তালিকায় রয়েছে আমড়া। ফরমালিনমুক্ত ফলটি সবাইরই প্রিয়। চাষ লাভজনক হওয়ায় পেয়ারার পাশাপাশি কৃষকরাও ঝুঁকছেন আমড়া চাষে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে আমড়া পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রতি বছর আমড়া বিক্রি করে চাষিরা কয়েক কোটি টাকা আয় করছেন।
আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি। -

নড়াইলের কৃষকরা বর্ষা মৌসুম পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের কৃষকরা বর্ষা মৌসুম পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। নড়াইলের কৃষকরা পানির অভাবে পাট নিয়ে মহা বিপাকে পড়েছেন। এ এলাকার কৃষকরা পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। এখন বর্ষা মৌসুম তবুও ভারী বৃষ্টির দেখা নেই নড়াইলের তিনটি উপজেলায় কৃষকরা বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে গাঁদি সাজিয়ে রেখেছেন।
এবার জেলার সদর লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলার খাল, বিল ও জলাশয়ে তেমন পানি নেই। এলাকার কৃষকরা বলছেন খাল, বিল ও জলাশয়ে যে পানি আছে তা পাট পঁচানোর জন্য যথেষ্ট নয়।এদিকে পাট রোদে পুড়ে মরে লালচে হয়ে যাচ্ছে ক্ষেতেই। তাই উপায় না পেয়ে অপরিস্কার অল্প পানিতে পাট জাগ দিতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে পানি পঁচে পাটের রঙ কালো হযে যাচ্ছে। এই কালো পাট বাজারে নিয়ে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন না।
এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাটবীজ জমিতে বোনা হয় মার্চ মাসের শেষদিকে। আর জুন মাসের শেষদিকে জমির পাট কাটা শুরু হয়। এই পাট কেটে জমি পরিস্কার করে জমিতে আমন ধানের চারা লাগানো হয়। উপজেলার যে সব নিচু এলাকা ও খাল-বিল রয়েছে সেখানে বৃষ্টির পানিতে ভোরে গেলে পাট জাগ দেওয়া হয়। এ বছর জুলাই মাস শেষ হতে চললেও তেমন কোন ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। খাল-বিলেও তেমন পানি নেই। তাই পানির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন না। প্রচন্ড রোদের তাপে পাট শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেতেই।
সদর উপজেলার শেখহাটি গ্রামের কৃষক রাজু শেখ বলেন, আমি এক একর জমিতে পাটের চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে পাট কেটে এখন বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে পাট পচানোর জায়গা নেই। তাই সড়কের পাশে ফেলে রেখেছি।
কালিয়া উপজেলার চোরখালি গ্রামের জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য বছরগুলোতে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে প্রচুর বৃষ্টি হলেও এ বছর বৃষ্টি নেই। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছি না। প্রচণ্ড রোদে কাটা পাট শুকিয়ে যাচ্ছে।
লোহাগড়া উপজেলার মরিচ পাশা গ্রামের মো. গোলজার মৃধা বলেন, এ বছর আমি ১৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি।আমার পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু খাল-বিলে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারছি না। মো. গোলজার মৃধার মতো উপজেলার অধিকাংশ পাট চাষিদের একই অবস্থা।
ওই এলাকার কৃষকরা গত বছর পাটের দাম বেশি পাওয়ায় এ বছর পাট চাষে ঝুঁকে পড়েন। পাট চাষ নিরাপদে হলেও এখন কৃষকরা পাট কাটা ও জাগ দেওয়া নিয়ে মহা বিপদে আছেন। কৃষকরা পাট কাটতে না পারায় আমন চাষ পিছেয়ে যাচ্ছে। আমন চাষ পিছিয়ে গেলে রবিশস্য চাষও পিছিয়ে যাবে এমনটাই বলছেন লোহাগড়া উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, এ জেলায় ২২ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও আবাদ হয়েছে ২৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪১০ বেল পাট উৎপাদনের সম্ভাবনা বয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৯০৩ বেল পাট।
লোহাগড়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ১২ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮২ বেল পাট। কালিয়া উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৭২৫ বেল পাট।
কৃষিস্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, এ বছর পাট নিয়ে কৃষকরা মহা বিপদে আছেন। পাট কেটেই জমিতে আমনের চাষ করা হয়।তাই সময় মতো পাট কাটতে না পারলে আমন চাষ ব্যাহত হতে পারে। এজন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি দেরি না করে অল্প পানিতেই পাট জাগ দিযে পাটের ওপরে পলিথিন বিছিয়ে মাটি ও বালির বস্তা এবং ভারি কোন জিনিস দিয়ে পাট পানির নিচে ডুবিয়ে দিতে হবে। এছাড়া কৃষকদের কোনো উপায় নেই। -

ঝিনাইদহে দিনে দুপুরে কৃষকের ১শ কলা গাছ কর্তন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে এক কৃষকের বাগানের ১০০টি কলাগাছ কেটে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার পবাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ নওশের আলী জানান, মকবুল হোসেন দাখীলিয়া মাদ্রাসার কাছ থেকে ১৯ শতক জমি লিজ নিয়ে একযুগ ধরে চাষাবাদ করছেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরে গ্রামের বাকু নামে এক ব্যক্তি দাবী করছেন জমিটি তার। অথচ তিনি মাদ্রাসার কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বাকু দলবল নিয়ে জমির প্রায় ১শটি কলা গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জমির পার্শ্ববর্তী বাড়ির রাবেয়া খাতুন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাকু দুইজন লোক নিয়ে কলা গাছগুলো নির্দয় ভাবে কাটতে থাকে। মাদ্রসা পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি আব্দুল আব্দুল মান্নান জানান, প্রায় ৩৫ বছর আগে ইদ্রিস বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি আমাদের মাদ্রাসার নামে ১৯ শতক জমি দান করে দলিল করে দেন। তার পর থেকে জমিটি কৃষকদের কাছে বছর চুক্তি লিজ দিয়ে আসছি। এই জমি বাকুর হতে পারে না। এ বিষয়ে থানায় মামলা করার জন্য মাদ্রাসা কর্তিপক্ষ সিন্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি জানতে বাকুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ সোহেল রানা জানান এ বিষয়ে এখনো থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।। -

ভেষজ গুণসম্পন্ন ডুমুর বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ
ইমদাদুল হক,পাইকগাছ,খুলনা।।
ডুমুর বিপন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ।এক সময় বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশে পাওয়া গেলেও বর্তমানে এই উদ্ভিদটি বিপন্ন। ডুমুর ফল প্রায় সকলেরই চেনা। ডুমুর নরম ও মিষ্টিজাতীয় ফল। ফলের আবরণ ভাগ খুবই পাতলা এবং এর অভ্যন্তরে অনেক ছোট ছোট বীজ রয়েছে। এর ফল শুকনো ও পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। ডুমুর উচ্চমানের ভেষজ গুণসম্পন্ন ফল। কাঁচা ডুমুর ফল অতি উন্নত সবজি।
শুধু ডুমুর বা অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিলিয়ে ডুমুরভাজি অথবা এর ভর্তা ভীষণ উপাদেয় খাদ্য।
বাংলাদেশে সচরাচর যে ডুমুর পাওয়া যায় তার ফল ছোট এবং খাওয়ার প্রায় অনুপযুক্ত।দেশে যেটি পাওয়া যায় সেটি গোলডুমুর নামে পরিচিত।এর আরেক নাম কাকডুমুর। ফল আকারে বেশ ছোট এবং খাওয়ার অযোগ্য। এগুলো মূলত পাখিরাই খেয়ে থাকে। বেশ কিছু অ লে এ ফল তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়।তবে ডুমুর খুবই উপকারী। মূলত জগডুমুর তরকারি করে খাওয়া হয়। ডুমুর হাটবাজারে কিনতে পাওয়া যায় খুব কম।এ ছাড়া ডুমুরের ফল সবজি হিসেবে এবং পাতা গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ডুমুরগাছের পাতা শিং ও মাগুর মাছ পরিষ্কার করতে ব্যবহার করা হয়।
শহর-নগর সর্বত্র ডুমুর পাওয়া যায় না। গ্রামগঞ্জে যেখানে-সেখানে ডুমুর গাছ দেখতে পাওয়া যায়। ডুমুর গাছ কেউ লাগায় না। প্রাকৃতিকভাবে আপনাআপনি হয়।দেশে দুই ধরনের ডুমুর দেখা যায় – গোল ডুমুর বা কাকডুমুর ও যজ্ঞডুমুর বা জগডুমুর।কাকডুমুরের পাতা বড়, লম্বা ও খসখসে হয়। এই ডুমুরের পাতা শিরিশ কাগজের মত খসখসে।আর যজ্ঞডুমুরের পাতা ছোট ও গোল। এই ফলের আকার কাকডুমুর-এর চাইতে বড়; এটি একটি জনপ্রিয় মিষ্টি ও রসালো ফল। ডুমুরের আরো অনেক প্রজাতি রয়েছে। ডুমুর মোরাসিয়া গোত্রভূক্ত ৮৫০টিরও অধিক কাঠজাতীয় গাছের প্রজাতিবিশেষ।
উষ্ণ জলবায়ু অ লে এ প্রজাতির গাছ জন্মে।আমাদের দেশের রাজশাহী অ ল, খুলনা, ফরিদপুর, পার্বত্য এলাকার খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি, সিলেটের মৌলভীবাজার ও টাঙ্গাইলে ডুমুর তুলনামূলক বেশি জন্মে। দেশের অন্যত্রও বিক্ষিপ্তভাবে ডুমুরের গাছ দেখা যায়। গ্রামের বন-বাদাড়ে এই গাছ অযতেœ-অবহেলায় এখানে সেখানে ব্যাপক সংখ্যায় গজিয়ে ওঠে। গাছ তুলনামূলকভাবে ছোট। এটি এশিয়ার অনেক অ লে এবং অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। পাখিরাই প্রধানত এই ডুমুর খেয়ে থাকে এবং পাখির বিষ্ঠার মাধ্যমে বীজের বিস্তার হয়ে থাকে। এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মালয়েশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া। এর ফল গাছের কান্ডে থোকায় থোকায় হয়।
‘ডুমুরের ফুল’ না দেখলেও ডুমুর ফল সবাই দেখেছে। ডুমুরের ফুল দেখা যায় না।তাই ডুমুরের ফুল নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। ফলের ভিতরে ফুল হওয়া বৃক্ষের নাম ডুমুর। ফুলটি তাই দেখা যায় না। কিন্তু ফলের অন্তঃপুরে তার প্রকাশ ঘটে।
ডুমুর খুবই উচ্চমানের ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। তাছাড়াও পাকা ডুমুর দিয়ে জ্যাম, জ্যালি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। পাকা ডুমুর শুকিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবারের উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা যায় । কার্বোহাইড্রেট, সুগার, ফ্যাট, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন ছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডুমুর। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডুমুরের অনেক ঔষধী গুণও রয়েছে । বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় স্মরণাতীতকাল থেকে ডুমুরের পাতা, কাঁচা ও পাকা ফল, নির্যাস, বাকল, মূল প্রভৃতি কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডুমুরে খাদ্যশক্তি ৩৭ কিলোক্যালরি, ১২৬ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিনসহ ভিটামিন এ, বি, সি ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে। গুটিবসন্ত, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, কিডনি ও মূত্রসংক্রান্ত সমস্যা, স্নায়বিক দুর্বলতা, মস্তিষ্কের শক্তিবৃদ্ধি, সর্দি-কাশি, ফোড়া বা গ্রন্থস্ফীতি (টিউমার) ও স্ত্রীর হাড়ের গঠন মজবুত করা, উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করাও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ডুমুরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
মধ্যপ্রাচ্যে যে ডুমুর (আঞ্জির) পাওয়া যায় তার ফল বড় আকারের; এটি জনপ্রিয় ফল হিসেবে খাওয়া হয়। বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হয়ে থাকে আফগানিস্তান থেকে পর্তুগাল পর্যন্ত। হিন্দি, উর্দু, ফার্সি ও মারাঠি ভাষায় একে ‘আঞ্জির’ বলা হয়। এর আরবি নাম ‘ত্বীন’; এই গাছ ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য। আঞ্জির হচ্ছে ডুমুর জাতীয় এক ধরনের ফল। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত লাভজনকভাবে চাষ করা হচ্ছে । খুলনার পাইকগাছায় প্রচুর পরিমানে ডুমুর গাছ গন্মে।তবে অবহেলা অনাদরে কিছু গাছ বেচে যায় আর বাগান বলে গাছ কেটে ফেলা হয় গরুর খাদ্য হিসাবে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাইকগাছা কার্যালয়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো:জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডুমুরের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।তরকারি হিসাবে এলাকায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ এলাকার কৃষকদের উচ্চমানের ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ ডুমুর গাছ সংরক্ষণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। -

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পাট চাষে বাম্পার ফলন, পানি সংকটে চাষি
মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,একসময় এদেশকে সোনালী আশের দেশ বলা হতো,কারন পাট রপ্তানিই ছিলো বাংলাদেশের অর্থকারী ফসল।পাট থেকে পাট জাতদ্রব্য তৈরী হতো, বস্তা,সালা,ব্যাগ,রশি,সুতা,খেলধানী,শারী,লুঙ্গি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরী হয়ে রপ্তানি হতো,পাট খড়ি হতে কাগজ,মলট,হার্ডবোর্ডসহ জালানী সামগ্রী তৈরী হতো।কালের বিবর্তনে আজ কৃষকরা পাট করতে আগ্রহী না,কারন গত বেশ একটি যোগ দেশে পাটের বাজারে দস নামায় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাই এখন আর পাট আগের ন্যায় চাষ করে না,এবার কুমিল্লা উত্তর অঞ্চলের ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা ইউনিয়নের মনগজ,বলাকিয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন পাট চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এব্যাপারে একাদিক কৃষকরা জানান পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার পাট উৎপাদনে বেশ বাম্পার ফলন হয়েছে তবে পানি সংকটে আছেন তারা,পানির অভাবে কাচাপাট কেটে পানিতে ডুবিয়ে রাখা হতো জমিতে কিংবা ডোবায়। জমিরপানি নেমে যাওয়ার ফলে দিনমুজুর বেশি লাগতেছে। তারা আরো জানায় তাদের এলাকায় প্রায় ১০০ কানি জমি পাট চাষে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে তবেপানির অভাবে দিনমজুরের সংখ্যা বেশি লাগায় লাগায় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকা করছেন অনেক কৃষক।এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা বলক সুপার ভাইজার মোঃ হোসেন জানান পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবার কৃষকরা পাট চাষে লাভবান হবেন,সরকার বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছেন চাষীদের। পাটের বাজারও ভালো। একমন পাটের বর্তমান মূল্য প্রায় ১৮০০/২০০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এককানী ত্রিশশতকে পাট ফলন হচ্ছে ৯/১০ মন পাট,সাথে রয়েছে পাটখড়ি। পাটখড়ি জালানি হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে। ভবিষ্যতে পাট চাষে কৃষক দের আগ্রহ বাড়াতে সরকারের সহায়তা থাকবে।
-

পাইকগাছায় নার্সারীতে গুটি কলম তৈরীতে ব্যস্ত শ্রমিক
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।। বর্ষাকাল গুটি কলম তৈরী করার উপযুক্ত সময়। পাইকগাছার নার্সারী গুলিতে গুটি কলম তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে মালিক ও শ্রমিকরা। গুটি কলম তৈরীর উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল। সাধারনত বৈশাখ-আষাঢ় গুটি কলম তৈরীর উপযুক্ত সময়। মাতৃগুণ বজায় রাখা, দ্রুত ফলন, রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ানো এবং অধিক ফলন পেতে গুটিকলম ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ মাতৃগাছে গুণাগুন সমৃদ্ধ চারা করার জন্য গুটিকলম জনপ্রিয়। কাগজি লেবু, পেয়ারা, লিচু, জলপাই, ডালিম, করম চা, গোলাপ জামসহ বিভিন্ন গাছে গুটি কলম করা হয়।
উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ছোট-বড় প্রায় ৫ শতাধিত নার্সারী গড়ে উঠেছে। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যা রয়েছে গদাইপুর গ্রামে। বর্ষা মৌসুম শুরুতে চারা তৈরীর জন্য নার্সারী মালিক ও কর্মচারীরা গুটিকলম তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছে। যে গাছের ডালে গুটি করা হবে সে ডালের বয়স কমপক্ষে ৬ মাস থেকে ২ বছর হতে হবে। গুটি কলম তৈরী করতে গাছের ডালের দুই ইি মত ছাল পুরাটা গোল করে কেঁটে ফেলে জৈব সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে কাঁটা অংশ ভাল করে বেঁধে গুটি করতে হবে। মাটির গুটি সবসময় ভিজা রাখতে হবে। মাটিতে পলিথিন দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। ১ মাসের মধ্যেই মাটির ভিতর থেকে শিকড় বেড় হয়।হিতামপুর গ্রামে অবস্থিত রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল জানান, এ বছর তার নার্সারীতে ৫২ হাজার গুটি কলমের চারা তৈরী করা হচ্ছে।এর মধ্যে মিস্টি জলপাই ২০ হাজার,মাল্টা ২০ হাজার,পেয়ারা ১০ হাজার ও লিচু ২ হাজার।
গুটি কলম তৈরীতে অভিজ্ঞ নার্সারী কারিগরের দরকার হয়। গদাইপুর গ্রামের গুটি কলমের অভিজ্ঞ কারিগর হামিদ মোড়ল জানান, প্রতিটি গুটি দুই টাকা দরে তৈরী করছি।গোপালপুর গ্রামের গুটি কলমের অভিজ্ঞ কারিগর মোক্তার ও সালাম বলেন, লেবু গুটি ২টাকা ও অন্য জাতের গুটি কলম ১ টাকা ৭০ পয়সা দরে তৈরী করছি।
তাছাড়া দৈনিক মুজুরী হিসাবে নার্সারীতে কাজ করে থাকে। গদাইপুর গ্রামের অবস্থিত সততা নার্সারীর মালিক অঞ্জনা রানী পাল জানান, তার নার্সারীতে বিভিন্ন জাতের প্রায় ১ লাখ গুটি কলম তৈরী করছেন। শ্রমিকের অভাবে কলম তৈরী করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে কলম তৈরীর সময় পার হয়ে গেলে এ মৌসুমের আর গুটি কলম তৈরী করা যাবে না। সে কারনে কলম তৈরীতে অধিক পয়সা খরচ হচ্ছে।
পাইকগাছা উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল জানান, কলম তৈরীর শ্রমিক ঠিকমত না পাওয়ায় কারণে উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়ে কলম তৈরী করতে হচ্ছে। গদাইপুর এলাকার তৈরী কলম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। তবে ঠিকমত বাজার দর না পাওয়ায় নার্সারী মালিকরা আশানারুপ ব্যবসা করতে পারছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, পাইকগাছার নার্সারী শিল্প খুলনা জেলার শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে। নার্সারী ব্যবসায়ীরা চারা বিক্রি করার জন্য আশানারুপ বাজার ধরতে না পারায় তারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নার্সারীতে উৎপাদিত চারা সবুজ বননায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে তেমনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা।