April 25, 2024, 5:44 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
নড়াইলে ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীর হাতে পুরস্কার বিতরণ স্বরূপকাঠিতে ধর্ষনের অভিযোগে চেয়ারম্যানের ভাগনে গ্রেফতার গোদাগাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় প্রভাবশালী দলের দুই যুবক গ্রেপ্তার মরনবাধ ও ভারতের বৈরী আচরণের প্রভাবে মহানন্দা নদীর বেহাল দশা বাবুগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম খালেদ হোসেন স্বপন এর সমার্থনে সভা নলছিটিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ ময়মনসিংহ সদরের কুষ্টিয়া ইউনিয়নে শত্রুতা করে ফসলের ক্ষতি করার অভিযোগ তীব্র তাপদাহে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ভালুকার ওসি কামাল সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে বিএনপি নেতা পৌর কাউন্সিলর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৪ হাজার পিচ স্যালাইন বিতরণ
পাইকগাছায় বারোমাসি আম গাছে এক ডালে মুকুল অন্য ডালে আম ঝুলছে

পাইকগাছায় বারোমাসি আম গাছে এক ডালে মুকুল অন্য ডালে আম ঝুলছে

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা)।।
পাইকগাছায় বারোমাসি আমের ফলন ভালো হয়েছে। আম বাগানে মুকুলের সঙ্গে শোভা পাচ্ছে আম। গাছের এক ডালে মুকুল তো অন্য ডালে আম ঝুলছে। আমের আকার এবং রংও হয়েছে বেশ আকর্ষণীয়। শরতের এই সময়ে বাগানে গাছ ভরা আম ছড়াচ্ছে আকর্ষণ ও সৌরভ। গাছে বারোমাস ধরে বলে এ আমের নাম রাখা হয়েছে ‘বারোমাসি’। গাছের আকৃতি ছোট। আম খেতে সুস্বাদু। একই গাছে মুকুল, গুটি ও পাঁকা আমের নজরকাড়া দৃশ্য দেখতে কৌতুহলীরা ভীড় করছে।
পাইকগাছায এখন যেসব আমগাছে মাত্র মুকুল ধরেছে, সেসব আমের গাছ থাইল্যান্ডের কাটিমন জাতের। এ জাতের গাছ থেকে বছরে তিনবার আম পাওয়া যায়। কাটিমন আম বারোমাসি জাতের বছরে তিনবার ফল প্রদান করে থাকে। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। ফল লম্বাটে এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ২০০-৩০০ গ্রামের হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় ত্বক হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদে সবুজ ভাব রং হয়।
দেশে এখন অন্তত বারোমাসি সাতটি জাতের আম চাষ হচ্ছে, যেগুলোকে অসময়ের আম বলা হয়। কাটিমন ছাড়া বাকি জাতগুলো হলো বারি-১১, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই, বানানা ম্যাঙ্গো, তাইওয়ান গ্রিন, মিয়াজাকি অর্থাৎ সূর্যডিম। এসব আমের যেমন বাহারি নাম, দেখতেও তেমন নজরকাড়া। বারি- ১১ ও কাটিমন আমের জাত আবার বারোমাসি।
অসময়ের আমের মধ্যে এখন দুটি জাতের বাগান বেশি হচ্ছে। থাই কাটিমন ও বারি- ১১। বারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম সারা বছরই ফল দিয়ে থাকে। বছরে তিনবার ফল পাওয়া যায়। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাঁকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ।
আম গাছটির উচ্চতা ৬-৭ ফুট। গাছটির কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার কোথাও পাঁকা আম। একটি গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’। এটি খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের। এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। এছাড়াও এই জাতের একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে। বারি আম ১১ এর এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে। আম গাছের একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম থাকে। আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী। আমের আকার এবং রং ও হয় বেশ আকর্ষণীয়।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় বারোমাসি আমের কোন বাগান গড়ে উঠেনি। তবে বিভিন্ন গ্রামের অল্প সংখ্যক গাছ লাগানো হয়েছে। পাইকগাছার রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক জানান, ২০২০ সালে বারোমাসি আমের চারা রোপণ করেন। রোপণের পরের বছরেই ফল ধরে। এ বছর তার আম বাগান থেকে প্রায় ১০ মন আম বিক্রি করেছেন। তার নার্সারীতে প্রায় ২ হাজার বারোমাসি আমের ছোট ছোট চারা রয়েছে। যা ৩০-৫০ টাকা দরে বিক্রয় করছেন। সততা নার্সারীর মালিক অশোক পালের নার্সারীতে বারোমাসি কাটিমন জাতের আমের ফলন ভালো হয়েছে। ৬/৭ ফুট একটি গাছে ১৫/২০ টি করে আম ধরেছে। তার নার্সারীতে প্রায় দুই শতাধিত বারোমাসি আমের চারা রয়েছে। ছোট চারা ৫০ টাকা ও ৬/৭ ফুট উঁচু চারা ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আমগাছগুলোতে সারা বছর আম ধরে। গাছে কখনো মুকুল, কখনো আমের গুটি আর কখনো বড় আম দেখা যায়। বাগানে আমের জাতের মধ্যে রয়েছে থাই কাটিমন, বারি-৪, কিউজাই ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো।
বারি আম -১১ বা বারমাসি আমের এই জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রে ও নার্সারীতে চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশের সকল আ লিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে। যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে নার্সারী মালিকরা।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD