March 29, 2024, 2:01 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
২১নং ওয়ার্ডকে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এলাকা গড়তে কাউন্সিলরের অভিযান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকারকে বিদায় সংবর্ধনা লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় বিএসটিআই এর মোবাইল কোর্ট অভিযান নড়াইলে দুইজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার পাইকগাছায় ১ কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার-১ ধামইরহাটে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মাঝে নগদ অর্থ ও হুইল চেয়ার বিতরণ অবশেষে সংস্কার করা হলো বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও গাছের চারা রোপন কালীগঞ্জে উঠান বৈঠকে চারা, বীজ,পুষ্টি প্লেট বিতরণ সাভারে হত্যা মামলার আসামী পিনিক রাব্বী গ্রুপের অন্যতম সদস্য রাজিব গ্রেফতার
তানোরে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে কৃষকের মাথায় হাত

তানোরে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে কৃষকের মাথায় হাত

তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোরে মেসার্স রহমান গ্রুপের দুটি হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছে, অধিক মুনাফা লুটতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত আলু সংরক্ষণ করায় প্রতি বস্তায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে আলু পচে নষ্ট হয়েছে। এতে কৃষকেরা লাখ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তবে হিমাগার মালিক কৃষকের গলা কেটে ঠিকই নিজের পকেট ভারি করেছে। কিন্ত্ত সিংহভাগ আলুচাষি হিমাগার থেকে প্রায় কুড়ি শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে আলুচাষ করে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে প্রকাশ্যে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না। আবার কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হিমাগারের পোষা হোমরা-চোমরাদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এছাড়াও হিমাগার চত্ত্বরে অনুমোদনহীন গরুর খামারের জন্য পরিবেশ দুষণে অনেক আলু নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার তানোর-মুন্ডুমালা রাস্তার দেবীপুর মোড়ে রহমান হিমাগার -১ ও আড়াদিঘি মোড়ে রহমান পটেটো-২ নামে দুটি হিমাগার রয়েছে। তানোরে রহমান হিমাগার নির্মাণের পর থেকেই এখানে আলু সংরক্ষণ করে আসছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছরই এখানে আলু সংরক্ষণ করে বিপাকে পড়তে হয়, কিন্ত্ত হিমাগারের ঋণের জালে আটকা পড়ায় তারা ক্ষতি শিকার করেই আলু সংরক্ষণ করতে বাধ্য হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক বলেন, হিমাগারের ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২০ হাজার বস্তা, কিন্ত্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ বস্তা
আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে, ধারণ ক্ষমতার বেশী আলু সংরক্ষণ করায় বস্তা প্রতি প্রায় ১০ কেজি এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১৫ কেজি করে আলু নষ্ট হয়েছে। তারা আরো বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে ৫০ কেজির বেশী ওজনের বস্তায় আলু সংরক্ষণ করা যাবে না, তবে এখানে ৬০ থেকে ৭৫ কেজি ওজনের বস্তায় আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। কালনা গ্রামের কৃষক মাহাম বলেন,রহমান-২ হিমাগারে অবৈধ গরুর খামার আছে, তাদের বিরুদ্ধে যে কৃষক কথা বলবে তার আলু নষ্টসহ নানাভাবে হয়রানি করা হয়। তিনি বলেন, তার এক আত্মীয় ৭০ কেজির বস্তায় আলু রেখেছিলেন, কিন্তু বিক্রির সময় দশ থেকে পনের কেজি করে আলু কম হয়েছে। তানোর দেবিপুর মোড়ের রহমান হিমাগার -১ এর ম্যানেজার নুরুল ইসলাম জানান, তাদের এখানে সামান্য পরিমান আলু নষ্ট হয়েছে। তানোর রহমান-২ হিমাগারের ম্যানেজার আব্দুল হালিম বলেন, কাঁচামাল নষ্ট হতেই পারে, তবে দুই কেজির বেশী নয়। তিনি বলেন, কোন কৃষক অভিযোগ দিয়েছে বলেন,তার ব্যবস্থা করা হবে, তিনি বলেন, প্রয়োজনে আপনারা স্টোরের ভিতরে গিয়ে বস্তা পরীক্ষা করেন। এবিষয়ে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, ৫০ কেজির অতিরিক্ত আলু রাখার কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, পরিবেশ দুষণ ও আলু পঁচে গেলে এসবের জন্য পরিবেশ দপ্তর ও ভোক্তাধিকার সংরক্ষণের দেখার দায়িত্ব। তারা সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এবিষয়ে রাজশাহী
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেনকে হিমাগারে গরুর খামার ও পঁচা আলুর জন্য পরিবেশ নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, পরিবেশ নষ্ট হলে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে। আর গরুর খামার দিতে হলে প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বেলাল উদ্দিন জানান, আমাদের কাছ থেকে তারা কোন কিছুই নেই নি। এবিষয়ে হিমাগার মালিক ফজলুর রহমান বলেন, এসব বিষয়ে তিনি অবগত নন। এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মাসুদ জানান, তারা কোনো অবিযোগ পাননি, তবে দ্রুত হিমাগার পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বেনজীর আলম জানান, ৫০ কেজির উপরে আলু রাখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি এবিষয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ব্যবস্হা নিতে বলবেন বলে জানান।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD