December 22, 2024, 5:56 am
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
ঝালকাঠির নলছিটিতে পৌর শহরের নাগরিকদের প্রাতভ্রমণ ও শরীর চর্চা সহ বৃদ্ধ ও শিশুদের মানুষিক প্রশান্তির জন্য সুগন্ধা নদীর তীরে সবুজ ইকো পার্ক নির্মানের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সংসদ সদস্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
০৯ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নলছিটির সমাজকর্মী বালী তূর্য ও এফ এই রিভান স্মারকলিপিটি প্রদান করেন।এসময় স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নলছিটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদা লস্কর এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিজন কৃষ্ণ খরাতি।
স্মারকলিপি প্রদানকারী বালী তূর্য বলেন, ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারনের পক্ষ থেকে দুঃখের সাথে বলতে হয় আমাদের উপজেলাটি অত্যন্ত প্রাচীন,বানিজ্যে সমৃদ্ধ এবং ঐতিহ্যবাহী হিসেবে পরিচিত হলেও এখানে সকাল বা বিকালে বয়স্ক নাগরিকদের বা শিশুদের বসার মতো বা হাটার মতো কোনো পার্ক নেই।শতবর্ষী এই নগর সুদীর্ঘকাল থেকেই কলকাতার মতন প্রাচীন নগরের সাথে বানিজ্যে সমৃদ্ধ ছিল,এখনো ঝালকাঠী শহরটি দক্ষিনবঙ্গের অন্যতম বানিজ্য কেন্দ্র।এরই ধারাবাহিকতায় একসময় এই উপজেলায় অনেক সুদুর থেকে আগত চীনা নাগরিকের কবর এখনো সংরক্ষিত রয়েছে।তাই আমরা চাই সেই ঐতিহ্য এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান উন্নতির দিকে চলার ধারাবাহিকতায় আমাদের নলছিটির সুগন্ধা নদীর তীরে (কলবাড়ি),স্টিমারঘাট অথবা মল্লিকপুরে অথবা যেকোনো যায়গায়ই হোক একটি মনোরম সবুজে ঘেরা পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হোক।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এফ এইচ রিভান বলেন,এই প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত শহরে বাচ্চাদের নিয়ে বিকেলে বা নিরিবিলি সময়ে একটু হাটার মতন বা বসার মতন কোথাও যায়গা নেই।সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী কলবারি,মল্লিকপুর সহ অন্যান্য যায়গাগুলিও বেদখল হয়ে ময়লার ভাগারে পরিনত হয়েছে।যারফলে নদীর পারের বাতাসও এক প্রকার দুুষিত হয়ে গেছে।বয়স্ক লোকেরা বা ডায়াবেটিস রোগীদের সকাল বিকাল হাটার মতোন যায়গাও কোথাও নেই,রাস্তায় হাটতে গেলে পেছন থেকে গাড়ির ধাক্কা দেয়ার ঝুকি থেকে যায়।ছোট বাচ্চারা বাসায় বসে থাকতে থাকতে মোবাইল আসক্ত হয়ে যাচ্ছে,তাদের নিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মতন কোন সুযোগ নেই।যারফলে মানুষিক প্রশান্তি ও বাচ্চাদের মেধার বিকাশের তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই যদি এসমস্ত সরকারী বেদখল হয়ে থাকা জমিগুলি দখলমুক্ত করে একটি পার্ক নির্মান করা হতো,তাহলে একদিকে যেমনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ হত তেমনি বাচ্চাদের ও বয়স্কদের মানুষিক অবসাদ দূর করার ব্যবস্থা হত।বিকালে সবাই এসে বসার সুযোগ পেত।
নলছিটি উপজেলার সুজন(সুশাসনের জন্য নাগরিক) সভাপতি খলিলুর রহমান মৃধা বলেন, পাখির কলকাকলি,বাচ্চাদের দুরন্তপনা আর বয়স্কদের অবসর কাটানোর এক দারুন সুযোগ হবে একটি পার্ক নির্মান করা হলে।তাই আমরা সবাই চাই অতি দ্রুত নলছিটিতে একটি পার্ক নির্মান করা হোক।আমাদের সবুজ সোনার বাংলার প্রাচীন এই নগরীর পালকে লাগুক নতুন রঙ এই কামনা আমাদের প্রত্যেক নাগরিকের অন্তরে।
নলছিটি শহরে অবকাশ যাপনের বা বৈকালিন ভ্রমণের বা শিশুদের জন্যও কোনো উপযুক্ত যায়গা নেই।উপজেলা পরিষদ চত্তরে সাবেক সংসদ সদস্য জুলফিকার আলি ভুট্টোর সময়ে একটি শিশু পার্ক নির্মিত হলেও সংস্কারের অভাবে সেটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিত্যক্ত হয়ে পরে আছে।