December 21, 2024, 2:30 pm
ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ মোঃ নাঈম মল্লিক
রাত হলেই সড়ক জুরে সেই পুরনো ঘুটঘুটে অন্ধকার,জ¦লছে না সৌর বাতি। গত বছর কয়েক দফা টেন্ডারের মাধ্যমে রাতে নির্বিঘেœ যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলের জন্য নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে বসানো হয় সৌর সোলার সড়ক বাতি। তবে পৌর এলাকার সড়কে সৌর সোলার বাতি নিবে থাকতেই দেখা গেছে অনেক যায়গায়।
বিদ্যূৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সূর্য্যরে আলো কে সোলার প্যানেলে ধারন করে রাতে ল্যাম্পপোস্টের(সড়ক বাতি) মাধ্যমে আলো দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয় নলছিটি পৌর এলাকার সড়ক ও গুরুত্বপূর্ন স্থান সমূহে। তবে বাতি বসানোর কিছু দিন পরই বন্ধ হয়ে যায় কিছু সড়ক বাতি যা মেরামত এর অভাবে আর জ¦লছে না। দেখভালের অভাবে কাংখিত সুফলও মিলছে না।
সরোজমিন ঘুরে দেখা যায়, নলছিটি উপজেলার ফেরিঘাট,বিজয় উল্লাস চত্বর,নলছিটি-দপদপিয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানের বাতি আলো দিচ্ছে না। যাতে এই স্থানে রাত হলেই ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে। এতে বিপাকে পরেন এই এলাকায় চলাচল করা পথচারী ও যানবাহন চালকরা। বাতি থাকতেও অন্ধকারে চলতে হচ্ছে এমনটা অনেক বাসিন্দাই মেনে নিতে পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে এগুলো স্থাপন করায় দ্রুতই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এর বিভিন্ন সরঞ্জাম। সড়ক অন্ধকার থাকায় পথচারীরা হরহামেশাই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সাথে নিরাপত্তাহীনতাও ভোগ করছেন। এসব কথা জানিয়েছেন পৌর এলাকার বাসিন্দা জালাল খলিফা।
ভ্যানচালক কামাল হোসেন বলেণ, নলছিটি বিজয় উল্লাস চত্বরের দুই প্রান্তে দুটি বাতি ছিল কয়েকমাস ঠিক ছিল পরে একে একে দুটোই এখন অকেজো হয়ে আছে। এই জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ন অনেক রাত পর্যন্ত এখানে সাধারন লোকজনের আনাগোনা থাকে তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য এই বাতি দুটি সচল করা দরকার। নিজেরাও ভয়ে থাকি কখন নিজের উপার্জনের সম্ভল ভ্যানটি অন্ধকারের ভিতর চুরি হয়ে যায়। তাই রাতে ভ্যান রেখে কোথাও যাই না।
নলছিটি দপদপিয়া সড়কের মল্লিকপুর বাজারের ব্যবসায়ী আঃ জব্বার বলেন, সোলার বাতি গুলো সচল থাকলে সড়ক ও আশেপাশ আলোকিত থাকে ফলে সাধারন মানুষজন নিরাপদে চলাচল করতে পারেন। কিন্তু অনেক সোলার বাতি এখন অকেজো হয়ে আছে। যাতে এইসব এলাকায় রাতে বেলা মাদকসেবী ও দুষ্ট লোকের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চাই এগুলো দ্রুত মেরামত করে সচল করে দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে নলছিটি পৌর মেয়র আ.ওয়াহেদ খান বলেণ, সোলার বাতি জ¦লেনা আমাকে জানানো হয়েছে। আমি এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলেছি।
নলছিটি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা বিজন কৃষ্ণ খরাতি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যে সোলার বাতি বসানো হয়েছে তার মধ্যে কিছু বাতি জøলছে না বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। তারা বাতিগুলো সচল না করা পর্যন্ত তাদের জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হবে না।