October 15, 2024, 12:39 am
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি :মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,
এক দফা এক দাবি হারুনের বউ তুই কবে যাইবি এই স্লোগান নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়ার চন্ডিপুর,অলুয়া,মনোহরপুরে।
স্থানীয সূত্র থেকে জানা যায় স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। এসময় জনতার স্লোগান ছিল মূলতঃ প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারার বিরুদ্ধে। বিক্ষোভ কারীরা বলেন
অযোগ্য অবৈধ প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মনোহরপুর অলুয়া চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করছেন।
এসময় বিক্ষোভে অংশ গ্রহন করেন প্রান্তিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা, তারা তাদের স্লোগানে বলেন এক দফা এক দাবি হারুনের বউ তুই কবে যাইবি, অযোগ্য অবৈধ প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগের জন্য থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে মনোহরপুর অলুয়া চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায় ১৯ সেপ্টেম্বর ২৪ইং বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার মনোহরপুর অলুয়া চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়টির মাঠে সহস্রাধিক প্রান্তক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। বেলা২টা পর্যন্ত এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিক্ষোভ চলছিল। এসময় কিছু মেয়ে শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষিকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে,এতে দু পক্ষ দন্দ সৃষ্টি হয়,এক পর্যায় বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় বিদ্যালয় অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার
দুপুরে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সহস্রাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী জড়ো হয়েছেন। কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করছেন ।
এ সময় স্কুলটির ক্লাস বন্ধ করে দিয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা যায়।স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মদ আনোয়ার (হারুন) অপসারণের দাবিতে প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী এলাকাবাসীর মানববন্ধন করে।
এ বিষয় জানতে চাইলে আবদু রব নামে চন্ডিপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা বলেন
এক ধরনের পোলাপাইন আছে স্কুলের নাম হতে হবে মনোহরপুর অলুয়া চনডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয় যাহা বিগত বছরগুলোতে এভাবেই ছিলো ।
মানব বন্ধনে এলাকাবাসী ও প্রাক্তন ছাত্ররা বক্তব্যে বলেন
প্রতিষ্ঠাতা হারুনুর রশীদ ভুইয়া স্কুলের নীতিমালা অমান্য করে নিজের মনগড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেছেন।
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সাথে কয়েক বার কথা বলে ও নাম সংশোধন করার ব্যাপারে কোন আশ্বাস পাওয়া যায়নি,
যার কারনে আজকের এই মানব বন্ধন।
মানব বন্ধনে প্রধান শিক্ষিকা বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তুলে বলেন এবং আগেও ক্লিনার নিয়োগে বড় অংকের ঘোষ বানিজ্য করেন অভিযোগ তুলে স্থানীয় জনগন প্রতিষ্ঠাতা হারুনুর রশিদ ভুইয়া ।
বক্তব্যে আরো বলেন প্রতিষ্ঠাতা নিজের সহধর্মিণী কে ও অনিয়ম করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।
কমিটির কিছু সদস্যকে এ ব্যাপারে জিগ্যাস করা হলে কমিটির সদস্যগণ বলেন নাম পরিবর্তন করার ব্যাপারে আমাদের কমিটির কাউকে অবগত করা হয়নি, স্কুল কমিটির মিটিং এ বিষয়ে বসলে বিস্তারিত জানতে পারব বলে আমাদের জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক মিলে অনেক ষড়যন্ত্র করেছেন। তাঁরা দুজনে মিলে স্কুলের সহকারী শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন, সেসব শিক্ষক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হুমকি–ধমকি দিতেন। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রিসিভ করেনি এবং বিদ্যালয়েও আসেননি,স্থানীয় অভিভাবকরা ও শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধান শিক্ষক কে অপসারণ করে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।