July 2, 2025, 4:38 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গাজীপুরে স্বামীর গোপ-নাঙ্গ কে-টে পা-লালেন স্ত্রী কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তু-লে নিয়ে যুবককে কু-পিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন বাবু জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থানে শহী-দদের রূ-হের মাগ-ফিরাত কামনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের দোয়া কোন ধরণের অ-পরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না- ওসি শিবিরুল ইসলাম মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই- ইউএনও মাসুদ রানা নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য জুলাই পদযাত্রা নেমেছে এনসিপি সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু
পানছড়িতে শিক্ষকের থাপ্পড়ে ছাত্রী হাসপাতালে

পানছড়িতে শিক্ষকের থাপ্পড়ে ছাত্রী হাসপাতালে

মিথুন সাহা,
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির পানছড়ি লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশাদন চাকমার থাপ্পড়ে গুরুতর আহত হয়ে পানছড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয় সুজনা আক্তার (১৫) নামের এক শিক্ষার্থী।

পড়া বলতে দেরি করায় তাঁর কান ও গালে সজোরে আঘাত করার ফলে ছাত্রীর নাক ফেটে রক্ত বের হয়। 

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টিফিন পরবর্তী প্রথম ঘন্টায় লোগাং বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রী সুজনা আক্তার উপজেলার লোগাং ইউপির লোগাং বাজার এলাকার মো. হোসেনের মেয়ে। সে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আশাধন চাকমা স্যার বাংলা দ্বিতীয় পত্র নিতে ক্লাসে আসেন। পাঠদানের এক পর্যায়ে সুজনা আক্তারকে পড়া ধরলে সে তাৎক্ষণিক উত্তর দিতে পারেনি। এ সময় স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে তার নাকে-গালে সজোরে থাপ্পড় মারেন। পরে সুজনার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়। এ সময় ফ্লোরে অনেক রক্ত পড়ে। আমরা পানি দিয়ে নাকের রক্ত পরিস্কার করি। পরে স্যার পানি দিয়ে দ্রুত ফ্লোরের রক্ত ধুয়ে ফেলে। স্যার এর আগেও অনেকের গায়ে হাত তুলেছেন।

সুজনা আক্তারের মা কুলছুমা বিবি বলেন, ”আশাধন স্যার আমার মেয়ের নাকে-গালে অনেক গুলো থাপ্পড় দিয়েছে। যার কারণে তার নাক দিয়ে রক্ত বের হয়েছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির চাকমা বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটে গেছে। থাপ্পড়ে আহত ছাত্রী আমার কাছে বিচার নিয়ে আসলে আমি তার অভিভাবকের সামনে শিক্ষককে ডাকিয়ে সতর্ক করি। ছাত্রীর চিকিৎসায় যত খরচ হবে তা শিক্ষক বহন করবে। এ বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কি দরকার?’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আশাধন চাকমা বলেন, ‘ক্লাসে আমি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পড়াচ্ছিলাম। তখন ছাত্রীটি ক্লাসে মনোযোগী ছিলনা। এতে আমি একটু ক্ষিপ্ত ছিলাম। পরে তাকে একটা পড়া ধরি, সে না পারায় আমি তাকে একটা থাপ্পড় মারি। পরে দেখি তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এমনটা হবে আমি বুঝতে পারিনি।’

আহত শিক্ষার্থী সুজনা আক্তার বলেন, ‘স্যার আমাকে একটা পড়া ধরেন। পড়াটা আমি পারি কিন্তু মুখ দিয়ে বের হচ্ছিলো না। তখন আমার নাকে-মুখে এবং মাথায় অনেকগুলো থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে আমার নাক ফেটে রক্ত বের হয়। আমি নাকের ব্যথায় কথা বলতে পারছিনা।’

এ বিষয়ে পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, মেয়েটি ইতোমধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এ নিয়ে আজকে বিদ্যালয়ের সভা আহ্বান করা হয়েছে। ভিকটিম চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD