July 2, 2025, 12:02 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গাজীপুরে স্বামীর গোপ-নাঙ্গ কে-টে পা-লালেন স্ত্রী কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তু-লে নিয়ে যুবককে কু-পিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন বাবু জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থানে শহী-দদের রূ-হের মাগ-ফিরাত কামনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের দোয়া কোন ধরণের অ-পরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না- ওসি শিবিরুল ইসলাম মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই- ইউএনও মাসুদ রানা নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য জুলাই পদযাত্রা নেমেছে এনসিপি সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু
তানোরে জলজমিদারদের দৌরাত্ম্যে রুখবে কে ?

তানোরে জলজমিদারদের দৌরাত্ম্যে রুখবে কে ?

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
জমিদারি শাসন ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়েছে বহুকাল আগেই। জমিদারি শাসন ব্যবস্থায় কৃষক শোষণের কথা শোনা গেলেও, সেরকম চিত্রই যেন শত বছর পর মিলল তানোরের মাঠে মাঠে। সেচের কাজে নিয়োজিত গভীর নলকূপ অপারেটররা জমিদারের উমেদারের ভূমিকায় যেনো অবতীর্ণ হয়েছে। তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে উপজেলার হাজার হাজার। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,
উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) আড়াদীঘি মাঠের অপারেটরগণ স্বঘোষিত(ওয়ার্টার লড) জল জমিদার। এখানে অপারেটরদের কথায় আইন। এখানে জমি কৃষকের রাজত্ব অপারেটরের। আড়াদীঘি মাঠের জেল নম্বর ২৩৩ ও ৩৬২ নম্বর দাগে অবস্থিত গভীর নলকুপের অপারেটর রুস্তম আলী। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো সেচ চার্জ আদায় করছেন। অপরদিকে একই মাঠে আরো দুটি গভীর নলকুপের অপারেটর হাবিবুর রহমান ও শাফিউল ইসলাম স্বঘোষিত নিয়মে সেচ চার্জ আদায় করছেন। যেখানে প্রতি বিঘা আলুখেতে সেচ খরচ সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা, সেখানে অপারেটর আদায় করছে দু’হাজার থেকে ২২শ’ টাকা। স্থানীয় কৃষকেরা দীর্ঘদিন যাবত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে অপারেটর নিয়োগ ও সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার দাবি করে আসছেন।
এদিকে সেচ নিয়ে কৃষকের দুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নজরে আসে। তিনি সমিতির মাধ্যমে গভীর নলকুপ পরিচালনার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে স্কীমভুক্ত কৃষকের মতামতের ভিত্তিতে ১৫ থেকে ২০ সদস্যর কমিটি গঠন করতে বলা হয়। কমিটি গভীর নলকুপ পরিচালনা করবেন এবং অপারেটর সমিতির একজন কর্মচারী হিসেবে কাজ করবেন। কিন্ত্ত এখানো এসব গভীর নলকুপে সমিতি গঠন করা হয়নি। স্থানীয় সাংসদের নির্দেশনাও তারা আমলে নিচ্ছেন না, এতে প্রশ্ন উঠেছে তাদের খুঁটর জোর কোথায় ?
জানা গেছে, বিগত ২০২২ সালের মার্চে সেচ না পেয়ে গোদাগাড়ি উপজেলায় দুজন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। চলতি আলু ও বোরো মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় গভীর নলকূপ অপারেটররা কৃষকদের জিম্মি করে সেচের চার্জ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। গভীর নলকূপ অপারেটরদের বেপরোয়া সেচ বাণিজ্যের কবলে পড়ে কৃষকদের অবস্থা এখন শোচনীয়। কৃষকদের কষ্টের ফসলের বড় অংশই চলে যাচ্ছে গভীর নলকূপ অপারেটরদের পেটে। সরকারের সেচ ভর্তুকি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক। এক সময় গভীর নলকূপগুলো ডিজেল চালিত হলেও এখন চলে বৈদ্যুতিক মোটরে। ফলে কৃষকের সেচ খরচ অনেক কম হওয়ার কথা। কিন্তু কৃষকরা সেই সুবিধা মোটেও পান না।
বিএমডিএ সূত্রে জানা গেছে, সেচ সুবিধা নিশ্চিতে প্রতিটি গভীর নলকূপে কমিশন ভিত্তিতে একজন অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। কৃষকরা প্রি-পেইড সেচ কার্ড নিয়ে অপারেটরদের কাছে গেলে কোনো পানি পান না। ১ ঘণ্টা সেচের জন্য ১২৫ টাকা মূল্যের প্রি-পেইড কার্ড লাগে। অথচ ১ ঘণ্টার জন্য অপারেটরদের দিতে হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। কোনো কোনো অপারেটরের অধীনে একাধিক নলকূপও থাকে। এমনকি এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন লোকজনও ঘুসের বিনিময়ে একাধিক নলকূপ অপারেটর হয়েছেন
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় গভীর নলকূপ রয়েছে বিএমডিএ’র ৫৩৬টি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৬টি মোট ৫৫২টি এবং অগভীর বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্র রয়েছে ৪১১টি। উপজেলায় আবাদ যোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর। এর মধ্যে সেচের আওতায় জমি রয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, গভীর নলকূপের প্রকারভেদে ঘণ্টাপ্রতি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা সেচ চার্জ ধার্য করা আছে। কোনো অপারেটর এই নিয়ম লঙ্ঘন করে কৃষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অপারেটর অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত অর্থ চাইলে ভুক্তভোগীরা যেন অভিযোগ দেন-পরামর্শ দেন তিনি।এবিষয়ে অপারেটর রুস্তম আলী বলেন, কৃষকেরা চাইলেই সমিতি হবে, তবে প্রদিপ ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি বলেছেন কৃষকেরা তার কাছে গেলে তিনি বিষয়টি দেখবেন। এবিষয়ে অপারেটর হাবিবুর রহমান বলেন, সমিতি করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নাই, তার ডিপ নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, প্রদিপ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।#

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD