April 27, 2024, 2:59 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
নড়াইলে বৈশাখের তাপমাত্রা যেন কোনভাবেই কমছে না। এমন গরম জীবনে দেখি নাই’ নড়াইলে দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান তানোরে ময়নার গণসংযোগে জনতার ঢল বানারীপাড়ায় বসতবাড়ীতে অগ্নিদগ্ধে বৃদ্ধার মৃত্যু পাইকগাছায় গাঁজাসহ মহিলা আটক পাইকগাছায় তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ পাখির জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা আজ পটিয়া বায়তুশ শরফ শাহ্ জব্বারিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভা ও দস্তারবন্দী ঝালকাঠিতে বাড়ির গেট লাগানোকে কেন্দ্র করে দু’ভাইয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরী ক্রিকেট প্রিমিয়ার লীগ ২০২৪ ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নোয়াখালীতে ২০০ পিস ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার
পাইকগাছায় কুল চাষে সফল নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল

পাইকগাছায় কুল চাষে সফল নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা) ॥
পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে সফলতা পেয়েছে গদাইপুরের রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল। উপজেলার বাঁকা গ্রামে ৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক বল সুন্দরী, থাই আপেল ও কাশ্মীরি কুলের গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করেছেন।
বাগানে সারি সারি কুলগাছ। আকারে ছোট। বড়জোর চার থেকে পাঁচ ফুট। কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছগুলো। বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা। গাছের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত থোকায় থোকায় ঝুলছে শুধু বল সুন্দরী কুল। থাই আপেল কুলের ওপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো, খেতেও ঠিক আপেলের মতো সুস্বাদু। এদিকে এই ফলটি খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ পরিচিতি লাভ করায় ক্রেতাদের চাহিদাও দিন দিন বেড়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০/১২টি কুলের বাগান, ক্ষেতের আইলে, বাড়ীতে, ছড়ানো ঠিটানো প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কুল বাগান রয়েছে। জানা গেছে, সুকনাথ পাল আড়াই বছর আগে উপজেলার বাঁকা গ্রামে৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক বল সুন্দরী, থাই আপেল ও কাশ্মীরি কুলের গাছের চারা লাগান। কুল গাছের চারা রোপন ও অনন্যা খরচসহ তার দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়। চারা রোপণ করার ৭ মাসের মাথায় গোছে ফল ধরে। প্রথম কুল বাগান থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকার কুল বিক্রি হয়। দ্বিতীয় বছরে কুলের দাম বেশী পাওয়ায় প্রায় ৩ লাখ টাকার কুল বিক্রি হয়। এ বছর অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে তাছাড়া গাছে ফল কম হয়েছে আর দামও কম। প্রতি কেজি ৫০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি হচ্ছে। গাছে প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে বল সুন্দরী, থাই আপেল কুল ধরেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বাগানে কুল তোলা ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার মতো ফল বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানায়।কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এই বাগান থেকে দেড় লাখ টাকার বেশী কুল বিক্রি করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
সরেজমিনে কুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাতার ফাঁকে লুকিয়ে রয়েছে বল সুন্দরী ও থাই আপেল কুল। যে দিকে দৃষ্টি যায় শুধু ফল আর ফল চোখে পড়ছে। বাহারী রঙের দৃষ্টি নন্দন কুল দেখলে মন কাড়ে। দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রঙ আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে অনেক সুস্বাধু ও মিষ্টি। বল সুন্দরী ফল চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ বলেন,এ উপজেলায় কিছু কিছু নার্সারীতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন।এরমধ্যে সুকনাথ পাল একজন সফল কৃষক। নতুন জাতের এই কুলের চাষ করে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন।
কুলের আবাদের জন্য চাষের জমির খুব একটা প্রয়োজন হয় না। বাগান আকারে চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি ভালো। তাপাইকগাছায় কুল চাষে সফল নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল
ইমদাদুল হক,পাইকগাছা(খুলনা) ॥
পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে সফলতা পেয়েছে গদাইপুরের রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল। উপজেলার বাঁকা গ্রামে ৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক বল সুন্দরী, থাই আপেল ও কাশ্মীরি কুলের গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করেছেন।
বাগানে সারি সারি কুলগাছ। আকারে ছোট। বড়জোর চার থেকে পাঁচ ফুট। কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছগুলো। বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা। গাছের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত থোকায় থোকায় ঝুলছে শুধু বল সুন্দরী কুল। থাই আপেল কুলের ওপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো, খেতেও ঠিক আপেলের মতো সুস্বাদু। এদিকে এই ফলটি খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ পরিচিতি লাভ করায় ক্রেতাদের চাহিদাও দিন দিন বেড়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০/১২টি কুলের বাগান, ক্ষেতের আইলে, বাড়ীতে, ছড়ানো ঠিটানো প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কুল বাগান রয়েছে। জানা গেছে, সুকনাথ পাল আড়াই বছর আগে উপজেলার বাঁকা গ্রামে৩ বিঘা জমি লীজ নিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক বল সুন্দরী, থাই আপেল ও কাশ্মীরি কুলের গাছের চারা লাগান। কুল গাছের চারা রোপন ও অনন্যা খরচসহ তার দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়। চারা রোপণ করার ৭ মাসের মাথায় গোছে ফল ধরে। প্রথম কুল বাগান থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকার কুল বিক্রি হয়। দ্বিতীয় বছরে কুলের দাম বেশী পাওয়ায় প্রায় ৩ লাখ টাকার কুল বিক্রি হয়। এ বছর অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে তাছাড়া গাছে ফল কম হয়েছে আর দামও কম। প্রতি কেজি ৫০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি হচ্ছে। গাছে প্রতি প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে বল সুন্দরী, থাই আপেল কুল ধরেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বাগানে কুল তোলা ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার মতো ফল বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানায়।কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এই বাগান থেকে দেড় লাখ টাকার বেশী কুল বিক্রি করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।
সরেজমিনে কুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাতার ফাঁকে লুকিয়ে রয়েছে বল সুন্দরী ও থাই আপেল কুল। যে দিকে দৃষ্টি যায় শুধু ফল আর ফল চোখে পড়ছে। বাহারী রঙের দৃষ্টি নন্দন কুল দেখলে মন কাড়ে। দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রঙ আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে অনেক সুস্বাধু ও মিষ্টি। বল সুন্দরী ফল চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।
পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ বলেন,এ উপজেলায় কিছু কিছু নার্সারীতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন।এরমধ্যে সুকনাথ পাল একজন সফল কৃষক। নতুন জাতের এই কুলের চাষ করে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন।
কুলের আবাদের জন্য চাষের জমির খুব একটা প্রয়োজন হয় না। বাগান আকারে চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি ভালো। তাছাড়া বাড়ির আনাচে-কানাচে, পুকুর পাড়ে বা আঙিনায় পড়ে থাকা অনুর্বর মাটিতেও গর্ত করে চাষ করা যায়। পতিত জমিতে কুল চাষ করে ইতোমধ্যে অনেক চাষি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছেন, অন্যদিকে পুষ্টির ঘাটতি পূরণসহ জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।পতিত জমিতে চাষ করে কৃষিতে নতুন বিপ্লব সম্ভব। তিনি কুল চাষে আগ্রহীদের সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD