February 15, 2025, 9:06 pm
এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জনবল সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত, খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এর কার্যক্রম। ১৬টি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রই সপ্তাহের ১দিন ব্যাতিরেকে থাকছে নিয়মিত বন্ধ। গ্রামীণ জনপদের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় সপ্তাহে মিলছে ১দিন সেবা। সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাহত। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নেই কোন নজরধারী। কোন মতে দিন পার করে মাস শেষ হচ্ছে এভাবেই বছরের পর বছর।
সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে, উপকূলীয় মোরেলগঞ্জ উপজেলার এ গ্রামীণ জনপদের প্রায় ৪ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১৬টি ইউনিয়নে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন ১৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এ কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকে দেয়াহয় স্বাস্থ্য সেবা। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার (এস এ সি এম ও), ১জন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা (এফ ডবিøউ ভি), ১জন আয়া ও নিরাপত্তা প্রহরী থাকার কথা থাকলেও কোন কোন কেন্দ্রে শুধুমাত্র ১জন নিরাপত্তা প্রহরী পাহারা দিচ্ছে কেন্দ্র গুলো। সপ্তাহে একদিন খোলা হচ্ছে মূল ফটক। এরকম সপ্তাহে ৫দিন বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলি হচ্ছে চিংড়াখালী, পঞ্চকরণ, নিশানবাড়িয়া, হোগলাপাশা, তেলিগাতী, ঢুলিগাতি ও জিউধরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। কোন কোন কেন্দ্রে সপ্তাহের বৃহস্পতি, বুধ ও কোথাও রবিবার ১দিন খুলছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা একাধিক কেন্দ্রের এসএ সিএমও বা ১জন এফডবিøউভি কর্মী ।
এদিকে অফিসসূত্রে জানা গেছে ১৬টি কেন্দ্রে ১৬জন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থাকার স্থলে রয়েছে কর্মরত মাত্র ৫জন। পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা ২২জনের পরিবর্তে রয়েছে ১০জন। দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে এ পদ গুলো শূন্য থাকায় একাধিক কল্যাণ কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্ব
পালন করছে অনেকেই। যে কারনে মূলকেন্দ্রের কর্মরত এসএ সিএমও এর কার্যক্রমের উপর পড়ছে এর প্রভাব।
এ রকম দেখা গেছে হোগলাপাশা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দটিতে মূল ফটকে ঝুলছে তালা চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ তালা বন্ধ দেখে অনেকে যাচ্ছে ফিরে। কোথাও সাটানো নেই নোটিশ। বন্ধ থাকবে কদিন, খোলা থাকবে কবে নাগাদ। নিরাপত্তা প্রহরী তিনিও রয়েছেন বাহিরে। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে এ কেন্দ্রটি প্রায় সময় বন্ধ থাকে। পাশ্ববর্তী রামচন্দ্রপুর থেকে সপ্তাহে একদিন একজন এসে খুলেন কিছু সময় রোগী দেখে চলে যান।
এ সর্ম্পকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা মেডিকেল অফিসার ডা. হাসান তারেক বলেন, দীর্ঘদিন জনবল সংকট থাকার কারনে মাঠ পর্যায়ে ৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রে উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার না থাকায় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা থেকে যাচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয়ে একাধিকবার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা তাদের জন্য কষ্ট সাদ্য হয়ে দাড়িয়েছে। #
(এস এম সাইফুল ইসলাম কবির)
বাগেরহাট সংবাদদাতা ।