October 5, 2024, 2:18 am
স্টাফ রিপোর্টার ::
ময়মনসিংহের অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার আসামী সহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঞা এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঞা এর নির্দেশে বিভাগীয় নগরী ও সদর এলাকার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ, চুরি ছিনতাই ডাকাতি ও মাদক প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে পুলিশ হত্যা মামলার আসামীসহ ১৯ জন কে
গ্রেফতার করা হয়।
ওসি জানায়-গত ৪ সেপ্টেম্বর চকনজু গ্রামের মির্জা পার্কের পূর্ব পাশে মির্জা মঞ্জুরুল হকের পুকুরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ৪সেপ্টেম্বর কোতোয়ালী মডেল থানার জিডি নং-৩৫৮ দায়ের করা হলে জিডির তদন্তের মাধ্যমে থানার এসআই নিরুপম নাগ, এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা এবং কন্সটেবল জোবায়েদ, কনস্টেবল মিজানুর রহমান সহ পুলিশের একটি চৌকস টীম অনুসন্ধান করে লাশের নাম-ঠিকানা সনাক্ত করে পুলিশ।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকা থেকে মোঃ শরীফ মিয়াকে গ্রেফতার কর হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী জিজ্ঞাসাবাদে জানায় ঘটনায় নিহত তানজিল মিয়াকে গ্রেফতারকৃত মোঃ শরীফ মিয়াসহ একত্রে বিভিন্ন সময়ে একসাথে বিভিন্ন ধরনের চুরি করত। চোরাই মালের ভাগ বাটোয়ারা দ্বন্ধে পরিকল্পিতভাবে শরীফসহ অন্যরা তানজিলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ মির্জা মঞ্জুরুল হকের পুকুরে ফেলে রেখে চলে যায়। এ সংক্রান্তে কোতোয়ালী মডেল থানার এফআইআর নং-২৫, তারিখ-০৭/০৯/২০২৩ হয়েছে। শরীফকে আদালতে প্রেরণ করলে হত্যাকান্ডের সহিত জড়িত মর্মে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেন।
অপর এক অভিযানে এসআই মনিরুজ্জামান বিজয়নগর ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জগামী মহাসড়কের পাশ থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে। তারা হলো, স্বপন মিয়া, মফিজুল ইসলাম, রুবেল, উজ্জল, ইউসুফ, আনোয়ার, তিতাস ও উজ্জল। একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি প্রাইভেটকার, বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
তারা আন্তঃজেলা ডাকাত ও চোর চক্রের সদস্য এবং তাহারা পরস্পর যোগসাজসে কভার্ড ভ্যান ও গাড়ী যোগে আসিয়া গরুর খামারে গরু চুরি সহ বড় বড় দোকান পাটের শার্টারের তালা কেটে মালামাল লুট করিয়া নিয়ে যায়।
এছাড়া এসআই ত্রিদীপ কুমার বীরের নেতৃত্বে একটি টীম ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে গৌরিপুর শিধলী বিল এলাকা থেকে আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন, এসআই আরিফুল ইসলাম পাটগুদাম হাজী কাশেম আলী কলেজের পিছন থেকে দিপু চন্দ্র চৌহানকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া এসআই উত্তম কুমার দাস, এএসআই হযরত আলী, ইকবাল, হুমায়ুন-২, নুরুজ্জামান, নূরে আলম, শামীমুল হাসান প্রত্যেকে পৃথক অভিযান পরোয়ানাভুক্ত আরো আটজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো, মোঃ নূর হোসেন ওরফে ফারুক, শিরিন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ খাইরুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ নাহিদ ইসলাম জীবন ও মোঃ ফাহিম ইসলাম। তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।