July 2, 2025, 12:49 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
গাজীপুরে স্বামীর গোপ-নাঙ্গ কে-টে পা-লালেন স্ত্রী কাপাসিয়ায় বাড়ি থেকে তু-লে নিয়ে যুবককে কু-পিয়ে হ-ত্যার অভি-যোগ গোদাগাড়ীর রাজাবাড়িহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন বাবু জুলাই গণঅ-ভ্যুত্থানে শহী-দদের রূ-হের মাগ-ফিরাত কামনায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের দোয়া কোন ধরণের অ-পরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না- ওসি শিবিরুল ইসলাম মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই- ইউএনও মাসুদ রানা নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য জুলাই পদযাত্রা নেমেছে এনসিপি সোনাডাঙ্গা থানা নবগঠিত ১৮ নং ওয়ার্ড তাঁতী দলের আংশিক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ধর্মপাশায় বিয়ের প্রলো-ভনে ধর্ষ-ণের অভি-যোগে কনস্টেবল কা-রাগারে তানোরে পানিতে ডু-বে এক যুবকের মৃ-ত্যু
আপনার একটু সহানুভূতি যশোরের তাহেরা ও হুমায়রার জীবনকে বদলে দিতে পারে

আপনার একটু সহানুভূতি যশোরের তাহেরা ও হুমায়রার জীবনকে বদলে দিতে পারে

আজিজুল ইসলাম, যশোরঃ ছোট্ট একটি কুড়ে ঘরে বসে দু’বোনের স্বপ্ন লেখাপড়া শিখে অনেক বড়ো হওয়ার। শুনুন সেই দুই বোন তাহেরা (১১) ও হুমায়রা (১৫) এর সংগ্রামী জীবনের গল্প।

তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে তাহেরা খাতুন আর পঞ্চম শ্রেণীতে হুমায়রা খাতুন। তাদের বাবা ঝিকরগাছার হরিদ্রাপোতা গ্রামের তেছের হোসেন বছর দশেক আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। মা তানজিলা খাতুন তিন বছর ধরে প্যারালাইসিসে ভুগছেন। তাহেরারা তাদের মাকে নিয়ে ছোট্ট একটি কুড়ে ঘরে বসবাস করে। বলতে গেলে দুবোন ভিক্ষা করেই তাদের মাকে নিয়ে কোনো রকমে দিন পার করে। এর পাশাপাশি দুই বোনই পোদাওলিয়া দাখিল মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।

দারিদ্র্যতা তাদের নিত্য সঙ্গী হলেও লেখা পড়ায় হাল ছাড়েনি তারা। সকাল বিকাল পাড়া মহল্লা ও হাটে বাজারে সাহায্য তুলে দুবেলা দুমুঠো খায় আর তাই দিয়েই লেখা পড়ার খরচ চালায়। এমন দুর্দিনেও অসহায় দুই কিশোরীর পাশে দাঁড়াননি সমাজের কোনো বিত্তবান বা সমাজ পতিরা।

তাহেরা ও হুমায়রার স্বপ্ন তারা লেখাপড়া শিখে অনেক বড়ো হবে। কিন্তু কিভাবে? তাদের মা”তো কাজ করতে পারেনা। তা হলে সংসার চলবেই বা কি করে, আর লেখা পড়া শিখবেই বা কি করে? তাদের দুবোনের ভিক্ষাতেই তো জীবন চলে। তাই নিমিষেই উবে যায় তাদের বড় হওয়ার স্বপ্ন। তানজিলা খাতুন জানে তার মেয়ে দুটো লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে চায়। তানজিলারও সাধ জাগে মেয়ে দুটোকে বড় করে তুলতে। কিন্তু সাধ থাকলে কি হবে সাধ্য তো আর নেই। এই লেখাটা পড়ে যদি কেউ আবেগ আপ্লুত হন, তাহলে ঘুরে আসুন তাহেরাদের ছোট্ট রাজপ্রাসাদ থেকে অথবা খোজ নিয়ে লেখাপড়ার খরচ পাঠাতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD