July 2, 2025, 4:47 am
শহিদুল ইসলাম,
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় ইসলামী ব্যাংকএর এক কর্মচারীর কাছ থেকে অনলাইন পোর্টালে নিউজ করার ভয় দেখিয়ে সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করার ঘটনায় সাংবাদিক নামধারী আলী হোসেন খান ও তার সহযোগী আবুল কাশেম এর নামে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যার মামলা নং-১০৩/২০২৩ইং মাননীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত সিলেট।
এ অভিযোগ দায়ের করেন জগন্নাথপুর থানাধীন মধ্য চিলাউরা গ্রামের বাসিন্দা ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জগন্নাথপুর থানাধীন মিরপুর বাজার এলাকায় কর্মরত ব্যাংকিং কর্মচারী মোঃ রিপন মিয়া। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত আলী হোসেন খান উপজেলার বাড়ি জগন্নাথপুরের বাসিন্দা মৃত জহুর আলীর পুত্র এবং আবুল কাশেম তিনি একই থানাধীন ৯নং পাইলগাঁও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। অভিযোগে বাদী রিপন জানান গত ১৯/০৫/২০২৩ইং তারিখে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জগন্নাথপুর থানাধীন মিরপুর বাজার এলাকায় কর্মরত ব্যাংকিং কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পান। এবং সুন্দর ভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে গ্রাহক সংগ্রহ করে ব্যাংকিং ডিপোজিট লেনদেন পরিচালনা করে আসছেন। এরই মধ্যে গত ১৪ই মে ২০২৩ইং তারিখে জগন্নাথপুর বাজারে অভিযুক্ত আলী হোসেন খান বাদী রিপন মিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। অন্যতায় সামাজিক যোগাযোগে মানুষের টাকা আত্মসাৎ করছেন মর্মে মিথ্যা নিউজ করে রিপন মিয়ার মান সম্মানের হানি ঘটাবেন বলে হুকমি প্রধান করেন। এসময় রিপন মিয়া মান সম্মান ও ব্যবসার কথা চিন্তা করে সাংবাদিক আলী হোসেনকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আলী হোসেন রিপন মিয়ার কাছে গত ১৯/৫/২০২৩ ইং তারিখে প্রকাশ্য আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যতায় আলী হোসেন তার নিজস্ব অনুমোদনহীন অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে রিপন মিয়ার মান সম্মানের হানি ঘটাবেন বলেন। রিপন মিয়া তখন ৫০হাজার টাকা চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় সাংবাদিক নামধারী আলী হোসেন তার নিজস্ব অনলাইন অনুমোদন হীন পোর্টাল জগন্নাথপুর পত্রিকায় গত ২০/৫/২০২৩ ইং তারিখে (জগন্নাথপুরের রিপনের প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী কাশেম) শিরোনামে রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে মানহানিকর একটি মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে তার সহযোগী কাশেম মিলে সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করেন। যার ফলে গ্রামের সহজ সরল গ্রাহকেরা ইসলামি ব্যাংকে এর ডিপোজিটের সকল থেকে একাউন্টের তাদের টাকা তুলে নিচ্ছেন। ফলে একদিকে যেমন রিপন মিয়ার মানসম্মামের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ইসলামি ব্যাংকের ব্যবসার প্রায় ৬কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। কেন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছেন জানতে চাইলে আলী হোসেন ৫০হাজার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত নিউজ হবে বলে রিপনকে জানান এবং তার সহকর্মী আবুল কাশেমকে দিয়ে বিভিন্ন ফেইসবুকে শেয়ার করান। অথচ আবুল হোসেনের কাছে রিপন মিয়া ধারদেনার কিছু টাকা পেতেন সেই টাকা উদ্ধারের জন্য রিপন মিয়া থানায় জিডিও করেন। কেন মিথ্যা নিউজ শেয়ার করছেন জানতে চাইলে তিনিও রিপন মিয়ার কাছে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়। ঐ সাংবাদিকের নামে আদালতে আরও একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে বলেও জানা যায়। এঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে মাননীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত,সিলেটে গত ২০জুন২০২৩ইং তারিখে রিপন মিয়া বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।###