September 30, 2023, 12:06 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিকলীগ নবনির্বাচিত আহবায়ক কমিটির বর্ধিত সভা সাতক্ষীরায় ফাস্টফুডের দোকানে ভাংচুর, নগদ অর্থ লুট: থানায় অভিযোগ সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্র জোয়ারে তলিয়ে গেছে, মোংলা পায়রা বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বিশ্ব ঐতিহ্য প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্র জোয়ারে তলিয়ে গেছে প্রকল্পের মাস্টার মাইন্ড পিআইও সিরাজুদ্দৌলা আর সিরাজুল ইসলাম মুকসুদপুরে সালিশির কথা বলে ডেকে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ লালমনিরহাটে বিশেষ অভিযানে গাঁজা সহ মাদক কারবারি আটক গোপালগঞ্জে দু’টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৫টি পরিবারের মধ্যে ১টি করে ছাগী বিতরণ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত প্রধান প্রকৌশলীর শ্রদ্ধা উজিরপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত
রাজশাহীর গোদাগাড়ী প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

রাজশাহীর গোদাগাড়ী প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে গবাদিপশুর চিকিৎসা সেবা। দেখার যেন কেউ নেই। ফলে বিভিন্ন এলাকা ও প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে গবাদিপশুর চিকিৎসাসেবা নিতে আসা অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন।

গোদাগাড়ী প্রাণিসম্পদ অফিসের একটি বিশ্বাস্ত সূত্র জানায়, এ অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারি পদের সংখ্যা ০৮ টি। কর্মরত আছে আছেন ৩ জন। কর্মরত পদগুলি হলো ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রিপা রাণী। কম্পাউন্ডার ১ জন, ভিএফএ ১ জন।

এ অফিসে শূন্য পদগুলি হচ্ছে উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ১ জন, ভিএফএ ২ জন, ইউএফএ ১ জন, এফএ ( এ. আই) ১ জন। গোদাগাড়ী একটি বৃহত্তর উপজেলা, এখানে গবাদিপশুর সংখাও অনেক বেশী। এখানে গাভীর খামারের সংখ্যা ৬ শ ৩ টি, ছাগলের খামারের সংখ্যা ১ শ ৬০ টি, ভেড়ার খামার ৬৪ টি, হাঁসের খামার ১ শ ৬১ টি, লেয়ার মুরগির খামার ১২ টি, ব্রয়লার মুরগির খামার ২ শ ১৯ টি, কবুতরের খামার ২৯ টি, কোয়েল পাখির খামারের সংখ্যা ২ টি, গরু মোটাতাজাকরন খামার ২ শ ৫০ টি, মহিষের খামার ১ শ ৮০ টি, পশু খাদ্য দোকান ১১ টি। গরুর সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬ শ ২৫ টি, দেশী জাতের ১ লাখ, ৬৯ হাজার ২ শ ৬৬ টি, শংকর জাতের ৬৫ হাজার ৩ শ ৯০ টি, মহিষ ১৩ হাজার৪ শ ৪৪ টি, ছাগল ৩ লাক ৫ হাজার ৯ শ ৯ টি, দেশী জাতের ১ লাখ ৬১ হাজার ৪ শ ৫০ টি, উন্নত জাতের১ লাখ ৪৪ হাজার ৪ শ ৫৯ টি, ভেড়া ১৭ হাজার ৬ শ ১১ টি, পাতিহাাঁস ৪৮ হাজার ৫২ টি, রাজহাঁস ১২ হাজার ২ শ ২২ টি, মোরগ- মুরগি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১ শ ৫৯ টি, দেশী জাতের ১ লাখ ৫৬ হাজার, ৬ শ ৫৯ টি শংকর জাতের ২ লাখ ৯ হাজার ৫ শ টি, কতুতর ১৪ হাজার ৭ ২০ টি, শূকর ৫ শ ১৫ টি।

এ ব্যপারে কথা বলার জন্য ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রিপা রাণীর অফিসে গিয়ে ২ দিন তাকে পাওয়া যায় নি অফিসের কাজে বাইরে রয়েছেন বলে জানা গেছে, রবিবার সকাল ১০ টা ৪২ মিনিটের সময় ০১৭৬৬-৭৬১৩৭১ মোবাইল করা হলে তিনি এব্যপারে মন্তব্য করতে অপারকতা প্রকাশ করে মোবাইল কেটে দেন।

এ ব্যপারে রাজশাহী জেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মোঃ আখতার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা তিনি জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, অবসর জনিত কারনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বিষয়টি নিয়ে মহাপরিচালক মহোদয়ের সাথে কথা বলেছেন, নতুন লোকবল নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনসাল্লাহ।

লোকবলের অভাবে পশু খামারিরা রোগাক্রান্ত গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না । বাসুদেবপুর এলাকার গৃহবধু শেফালী বেগম গত বৃহস্পতিবার ২ টি ছাগল নিয়ে এসে চিকিৎসা এসেছে কিন্তু ঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেনা বলেন তিনি জানান একই মন্তব্য করেন আব্দুল বাসেদ, জামাল, মামুন।

ভুক্তভোগীগণ জাজান, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. সুব্রত কুমার সরকার গোদাগাড়ীতে কর্মরত অবস্থায় প্রাণি সম্পদের বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন, মানুষ তাদের কথা শুনে বুঝে গবাদিপশু পালনে আগ্রহী হয়েছিলেন। সে সময় গবাদিপশু পালন করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন অনেকে। এখন সে অবস্থা নেই। মানুষ আগ্রহ হারাচ্ছেন।

আগে রোগাক্রান্ত গবাদি পশুর চিকিৎসার জন্য খামারে বা বাড়িতে গিয়ে ভ্যাটেরিনারি সার্জন বা অফিসের লোকজন গিয়ে চিকিৎসা দিত। কিন্ত এখন লোকবল সংকটের কারণে প্রাণিসম্পদ অফিসে এসেও অনেক সময় সঠিকভাবে আক্রান্ত গবাদি পশুর চিকিৎসা করাতে পারছেন না ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন বড় খামারি জানান, আগে খামারে পালিত গরুর কোনো সমস্যা দেখা দিলে প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করলে অফিস থেকে লোক খামারে এসে চিকিৎসা সেবা দিত। কিন্ত এখন অফিসে গিয়েও সেবা পাওয়া যাচ্ছে না ।বিভিন্ন গবাদি পশুর রোগ দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এতে আমাদের কিছু গবাদি পশু অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে।

মোঃ হাযদার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD