December 6, 2024, 11:27 pm
নাজিম উদ্দিন রানাঃ
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছাবির আহাম্মদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী এক আওয়ামী লীগ নেতা।
গত ৭ মে লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেছে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শাহজাহান গাজী। আদালত মামলাটি আমালে নিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যার মামলা নং সিআর ২৫৫/২৩।
মামলার এজহার সূত্রে জানাযায়, চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ছাবির আহাম্মদ ও তার ভাই মকবুল আহাম্মদ সহ তার অনুগত লোকজন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও বালু ব্যবসায়ি ইউনিয়নের বসুদুহিতা গ্রামের মকবুল আহাম্মদ গাজীর পুত্র মোঃ শাহজাহান গাজীর তিনটি বালুবাহী গাড়ী চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিমে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রাস্তার উপর আটক করে ১লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা গাড়ী ও চালককে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে শাহজাহান গাজী ঘটনাস্থলে এলে তার নিকট একই ভাবে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা শাহজাহান গাজীর উপর হামলার চেষ্টা চালায়। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
মামলার এজহার সূত্রে আরো জানাযায় গত বছর একই কায়দায় শাহজাহান গাজীর একটি বালুবাহী গাড়ী আটক করে আওয়ামী লীগ নেতা ছাবির আহাম্মদ ও তার ভাই মকবুল আহাম্মদ চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা গাড়ী চালক বাহারকে মারধর করে। এক পর্যায়ে শাহজাহার গাজী তাদের ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে গাড়ী ছাড়িয়ে নিতে বাধ্য হন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য ছাবির আহাম্মদের মোবাইল ফোনে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানাযায়নি। অপর দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ সূত্রে জানাযায়, তারা আদালত থেকে এখনো মামলার কপি পায়নি। কপি পেলে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিবেন।
এ দিকে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়, এক সময় ছাবির আহাম্মদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা জাসদের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ১/১১ এর সেনা সরকারের সময় তিনি সামরিক বাহিনীর মাইনাস টু ফর্মুলায় যোগদান করার কারণে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। অপর দিকে তার দত্তক পুত্র মাইকেলের মাধ্যমে জাল টাকার ব্যবসায় জড়িয়ে অর্থবৃত্তের মালিক হন। এ ছাড়াও ছাবির আহাম্মদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীকে মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।উল্যেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের আরেক সহ সভাপতি আবুল কাশেম জেহাদী দেশের সাম্প্রতিক কালের চাঞ্চল্যকর জোড়াখুন মামলার প্রাধান আসামী। এলাকায় চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাকিব ইমামকে গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। দলের মুল নেতাদের এমন বে আইনী কর্মকান্ডে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।