September 10, 2024, 7:39 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সিএমপি ও চট্টগ্রাম জেলার ৩০ থানার ওসিদের একযোগে বদলির আদেশ বাবুগঞ্জে পালাক্রমে শিশু ধ*র্ষন অতপর থানায় মামলা টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন পঞ্চগড়ে বিয়ের দাবিতে বিধবার অনশন জুলাই গণহ*ত্যার বিচার নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন- আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী পানছড়ির উপজেলা ইয়ুথ গ্ৰুপের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ সমাবেশ আ’লীগ থেকে ঝিনাইদহে জিপি পিপি এপিপি এজিপি নিয়োগের পায়তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে ঝিনাইদহ ছাড়লেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক র‌্যাব-১২ সদর কোম্পানি সিরাজগঞ্জ এর অভিযানে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নড়াইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী নিহ*ত
রামপালে জমি জাল দলিল করায় সাব-রেজিস্টারসহ ৭ জনের নামে মামলা

রামপালে জমি জাল দলিল করায় সাব-রেজিস্টারসহ ৭ জনের নামে মামলা

এ এইচ নান্টু, বিশেষ প্রতিনিধি|| বাগেরহাটের রামপালে মৃত্যু শয্যায় থাকা বৃদ্ধের ৬০ শতাংশ জমি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে লিখে নেওয়ায় সাব রেজিষ্টারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বাগেরহাটের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে গত ২৭ এপ্রিল বেলা ১১ টায় মামলাটি করেন, ভুক্তভোগী বৃদ্ধ রণজিৎ কুমার পালের একমাত্র পুত্র বিশ্বজিৎ কুমার পাল। পিটিশন মামলা নং ২৫/২০২৩। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য বাগেরহাটের পিবিআই কে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, রামপাল উপজেলা সাব-রেজিস্টার নাহিদ জাহান মুনা, উপজেলার গিলাতলা গ্রামের দীনেশ পালের পুত্র ও ইউপি সচিব রতন কুমার পাল, তার পিতা (দলিল গ্রহিতা) দীনেশ চন্দ্র পাল, দলিল লেখক ওড়াবনিয়া গ্রামের সবুজ কুমার মন্ডল, সৈয়দ গালিব জামান (ইশাদী), রতিন কুমার পাল, সনাক্তকারী রীতা রানী পাল।

এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ইং ০৭-০২-২০২৩ তারিখ রামপাল সাব রেজিস্ট্রার অফিসে বসে ষড়যন্ত্র ও যোগসাজশের মাধ্যমে দলিল গ্রহীতা দীনেশ পালের পুত্র রতন পাল দলিল লেখক সবুজ মন্ডলের মাধ্যমে একটি জাল জালিয়াতি করে দলিলটি করান। অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে দলিলটি রেজিষ্ট্রি করা হলেও বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দলিল দাতা রণজিৎ কুমার পালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনি বার্ধক্য জনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী। কথা হয় তার পুত্র বিশ্বজিৎ পালের সাথে। তিনি বলেন আমার বাবার জমি ইউপি সচিব রতন কুমার পাল ও আমার সৎ মা রীতা রানী পাল সাব-রেজিস্টারের সাথে যোগসাজশে ভূয়া দলিল দাতা সাজিয়ে ৮৮ নং গিলাতলা মৌজার এসএ ৬৪০ খতিয়ানের ১৮৪৭ দাগের ০.৯৫ একরের মধ্যে ০.৬০ একর জমি জাল জালিয়াতি করে লিখে নেন। যার দলিল নং ৩৪৪/২০২৩। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, তার পিতা রণজিৎ কুমার দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন। তার স্মৃতি শক্তি ও লোপ পেয়েছে। অথচ তার স্থলে অন্য ব্যক্তির ছবি ও ভূয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে মূল্যবান জমিটি রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে।
তার গ্রামে গিয়ে কথা হয়, মনোরঞ্জন পাল, তুষার কান্তি পাল ও সুদর্শন বিশ্বাসের সাথে। তারা বলেন, রণজিৎ বাবু ৭/৮ মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার অবস্থা খারাপ। তাকে বাইরে নেওয়ার মত বা তার বের হওয়ার মত অবস্থায় নেই।

অভিযুক্ত ইউপি সচিব রতন পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সবুজ মহরীর সাথে ২ লক্ষ টাকার চুক্তি করে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে দলিল করিয়েছি। সবুজ মন্ডল সব কিছু করেছে বলে স্বীকার করেন।

অন্যতম কুশীলব সবুজ মন্ডলকে সোমবার দুপুর ১ টায় সাবরেজিস্টারের মুখোমুখি করানো হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। কথিত দাতা সাজিয়ে ভুয়া আইডি কার্ড ও ভূয়া ছবি ব্যবহার করে দলিল করিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সবুজ মন্ডল আরও জল জালিয়াতির মাধ্যমে দলিল করে বিপুল বিত্তের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইউপি সচিব রতন পাল মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের বিদ্যারবাহন গ্রামের মৃত যতীন্দ্র নাথ মন্ডলের পুত্র জগদীশ মন্ডলকে দাতা বানিয়ে ও ভূয়া আইডি কার্ড দিয়ে জমি দলিল করেন। সাংবাদিকরা জগদীশ মন্ডলের বাড়িতে গেলে সে কৌশলে পালিয়ে যায়। কথা হয় জগদীশ মন্ডলের সহচর এনপিএস নিউজের খুলনা বিভাগীয় চীফ জুয়েল খান জগদীশ পিএনএসের সদস্য বলে স্বীকার করেন। তিনি জানান, জগদীশ এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শুনেছি।

জমি জাল জালিয়াতি করে দলিল সম্পাদন ও বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা হয় রামপাল উপজেলা সাবরেজিষ্টার নাহিদ জাহান মুনা’র সাথে। তার অফিসে বসে ৩৪৪/২৩ নং দলিলটি দেখতে চাইলে তিনি দলিলটি এনে দেখতে পান, দলিল দাতা ও তার আইডি কার্ড জাল করা হয়েছে। উপস্থিত মহরার সমিতির নেতৃবৃন্দরা ও বিষয়টির সত্যতা পান। এ পর্যায়ে সবুজ জাল জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন।

রামপাল উপজেলা সাবরেজিষ্টার নাহিদ জাহান মুনা বলেন, সরল বিশ্বাসে আমি জমির দলিল রেজিষ্ট্রি করেছি। আমাকে মিস গাইড করে ভূয়া দাতা ও ভূয়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।#

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD