June 7, 2023, 1:26 pm
রিপন ওঝা,মহালছড়ি
মহান স্বাধীনতা দিবস কে সামনে রেখে এবং মহালছড়ি উপজেলার পাহাড়ি বাঙ্গালীদের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ে মহালছড়ি সেনাজোন ও উপজেলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এপিবিএন আইডিয়াল স্কুল এর মাঠ প্রাঙ্গনে অদ্য ৩ মার্চ ২০২৩ তারিখে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত কনসার্টে দেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী হৃদয় খান, পায়েল ত্রিপুরা, জুলিপ্রু মারমা, খাগড়াছড়ির অরণ্য ব্যান্ড এবং মহালছড়ি শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী ও কলাকুশলীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা(প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা,চেয়ারম্যান, শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স)। তিনি বলেন পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী হতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এ চুক্তির ফলে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বইছে। চুক্তি আগে এই পাহাড় কেমন ছিল, আর চুক্তির ২৫বছর পরে কেমন উন্নয়ন হয়েছে। এই পাহাড়ের উন্নয়ন ও সম্প্রীতি দৃশ্যমান। শান্তি চুক্তির ২৫বছর পূর্ণ হয়েছে। চুক্তির পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের এই পাহাড়ী অঞ্চলে কোন উন্নয়ন ছিলোনা। চুক্তির পরেই ২৫বছরে এসে এই পাহাড়ে উন্নয়নের জোয়ার দেখতে পাচ্ছেন। শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের সুবাতাস বইছে পাহাড়ে।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সংরক্ষিত মহিলা আসন -৯ এর মাননীয় সংসদ সদস্য মিজ বাসন্তী চাকমা, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, এসজিপি, মহালছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল শাহরিয়ার সাফকাত ভূইয়া, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল সহ প্রমুখ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত কনসার্টে আনুমানিক ১০ হাজার দর্শকের উপস্থিতি ছিল।
“শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়ন” এই প্রতিপাদ্য কে ধারণ করে বিভিন্ন আঞ্চলিক গান ও নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সমৃদ্ধশীল সাংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশনার মূল মন্ত্র ছিল “এক দেশ এক প্রাণ”। মহালছড়ির ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এমন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে মহালছড়ি এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত ও বিমুগ্ধ।
কনসার্টে উপস্থিত দর্শকরা জানায় এই প্রথম এত বড় একটি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মহালছড়ি উপজেলায় উপভোগ করতে পেরে তারা অত্যন্ত আনন্দিত এবং সেনাবাহিনী ও উপজেলা পরিষদের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।