October 14, 2024, 11:04 pm
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
পাইকগাছায় প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা
করে ভোগ দখলীয় নালিশী চিংড়ি ঘেরে জোরপূর্বক বাঁধ দেওয়ার অভিযোগ
উঠেছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাপ্ত অভিযোগ জানাগেছে,
পাইকগাছা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড সরল গ্রামের বাসিন্দা মৃত বিশে সরদারের ছেলে ব্যবসায়ী সাজ্জাত আলী সরদার ২০২০ সাল থেকে সোলাদানা ইউনিয়নের পশ্চিম কাইনমুখী, সোলাদানা, দক্ষিণ কাইনমুখী ও সোনামুখী মৌজায় ৪শ বিঘা জমিতে শান্তিপূর্ণভাবে লিজ ঘের করে আসছে। অত্র চিংড়ি ঘেরটি এর আগে প্রায় ২০-২৫ বছর যাবৎ জলিল বিশ্বাস নামে জনৈক ব্যবসায়ী করে আসছিল। চিংড়ি ঘেরে সাজ্জাত আলী সরদারের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকালে পৌরসভার বাতিখালী গ্রামের এফাজ উদ্দীন গাজীর ছেলে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম গাজী
ঘেরের বিভিন্ন মৌজা থেকে প্রায় ১শ বিঘা জমি ডিড করে নিলে সাজ্জাত
আলী সরদারের সাথে রেজাউল করিমের ঘের নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল ব্যবসায়ী জলিল বিশ্বাস ও রেজাউল করিম গাজীর মধ্যে লিখিতভাবে আপোষ মিমাংশা হয়। ২০২২ সালে সাজ্জাত আলী কোন বাঁধা ছাড়াই
চিংড়ি ঘের পরিচালনা করবেন এবং পরবর্তীতে গণমান্য ব্যক্তিবর্গের শালিশী
বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২৩ সালে বিরোধ পূর্ণ নালিশী সম্পত্তির বিষয়টি নিরসন ও নিষ্পত্তি করা হবে মর্মে আপোষ মিমাংশায় উল্লেখ করা হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুতেই বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী রেজাউল করিমকে বারবার
আপোষ মিমাংশার জন্য তাগিদ দিলেও তিনি তা গুরুত্ব না দিয়ে জবর দখলের পায়তারা করে আসছিল। যার ফলে ব্যবসায়ী সাজ্জাত আলী সরদারের পক্ষে ঘেরের ম্যানেজার বাতিখালী গ্রামের সদর উদ্দীন সরদারের ছেলে সেলিম সরদার বাদী হয়ে ব্যবসায়ী
রেজাউল করিম সহ ৫ জনকে বিবাদী করে নালিশী চিংড়ি ঘেরে প্রতিপক্ষদের
প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত ২২ জানুয়ারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
২৯নং এমআর মামলা করে। মামলায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট নালিশী চিংড়ি ঘেরের দখল ভিত্তিক স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে
থানার ওসি’কে নির্দেশনা দেন। এদিকে ঘের মালিক সাজ্জাত আলী সরদার জানান, ব্যবসায়ী রেজাউল করিম, আপোষ মিমাংশা কিংবা শালিশী বৈঠক না করে আদালতের স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহিরাগত লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘেরের পূর্বপাশে সোলাদানা মৌজায় জোর পূর্বক বাঁধ দেয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, চিংড়ি ঘেরের মধ্যে ৮৮
বিঘা জমি আমার ডিড করা রয়েছে। ডিড কৃত জমিতেই আমার ল
লোকজন বাঁধ দিচ্ছে। ওসি জিয়াউর রহমান জানান, চিংড়ি ঘেরের প্রায় ১শ বিঘা জমি নিয়ে দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। নালিশী চিংড়ি ঘেরে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মঙ্গলবার সকালে বাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য নির্দেশনা
দেওয়া হয় বলে থানার ওসি জানান।