March 17, 2025, 9:15 am
আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোরে গত কয়েক দিনে তীব্র শীতের প্রকোপের সঙ্গে হিমেল হাওয়া ও বেড়েছে ঘন কুয়াশা। এমন বৈবী আবহাওয়ায় আলুর ক্ষেতের ক্ষতি বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।
তারা জানান, ছত্রাক আক্রমণসহ পাতা পঁচে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আলুর উৎপাদন বা ফলন কম হবার শঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিন, উপজেলার তালন্দ ইউপির নারায়নপুর, লালপুর, দেবীপুর, কামারগাঁ ইউপির মাদারীপুর, মালার মোড় ও সাধুরহাট এলাকার বিভিন্ন আলুখেত ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। কেউ জমিতে বিষ, ছত্রাকনাশক স্প্রে করছে। আবার কেউ জমিতে সেচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আগাম আলু বাজারে নিতে চলছে জোর প্রস্তুতি।উপজেলার তালন্দ ইউপির নারায়নপুর গ্রামের কৃষক মইফুল আলী জানান, রাত থেকে প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। একই সঙ্গে হিমেল হাওয়া ও প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে আলুখেতের সঠিক পরিচর্যা করা যাচ্ছে না। কখানো কখানো দুপুরের দিকে রোদের দেখা মিলছে আবার মিলছে না। এতে আলুর পচন রোগের আশঙ্কা রয়েছে। একই কথা জানান, কামারগাঁ ইউপির মালার মোড়ের কৃষক আব্দুল ও আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন কৃষক।আলু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে ভাড়া, সার, কীটনাশক, বীজ, শ্রমিক, সেচসহ এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আলুর উৎপাদন বিঘাপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ মণ কখানো কখানে তার চেয়ে বেশি হতে পারে । বাজার দরের ওপর নির্ভর করে লাভ- লোকসানের হিসাব।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, তানোরে
চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর এবং বীজের প্রয়োজন প্রায় ২০ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মাজদার হোসেন বলেন, বর্তমান আবহাওয়ায় আলুখেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। কৃষক চাইলে রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম, অর্থাৎ ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ওষুধ ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভালো ফল পাবেন। এই আবহাওয়ায় আলুর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি। তবে তিনি স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কৃষকদের নিয়মিত যোগাযোগ করে কৃষি পরামর্শ গ্রহণের আহবান জানান।
তানোর প্রতিনিধি।।