January 21, 2025, 11:22 am
মোঃ কাউছার উদ্দীন শরীফ ঈদগাঁও
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পেট্রোল পাম্পগুলোকে জরিমানার সঙ্গে সঙ্গে এই মালিকদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু সেগুলো কিছুই করা হয় না। এজন্য মাঠ পর্যায়ে জ্বালানি তেল নিয়ে জালিয়াতি থামছে না।
তেল বিপণনের ক্ষেত্রেও এমন কিছু করা সম্ভব হলে সাধারণ মানুষ আরও ভাল সেবা পেত বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পেট্রোল পাম্পগুলোর তেল ক্রয় এবং বিক্রয়ের তথ্য ডিজিটাল প্রক্রিয়াতে রাখা গেলে সাধারণ মানুষকে তারা ফাঁকি দিতে পারতো না।
এউপজেলার পেট্রোল পাম্পগুলোতে পরিমাণে কম দেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরনো। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকারিয়ার অভিযানেই এর প্রমাণ মিললো।
বুধবার ২৩ নভেম্বর বিকালে ঈদগাঁও উপজেলার বাস স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকার ৫ টি পেট্রোল পাম্পে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলার খোদাই বাড়ী এলাকার রাশেদ ফিলিং স্টেশন গরু বাজার এলাকার মেসার্স করিম এন্ড ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশন ফিলিং স্টেশনকে মোবাইল কোর্টে ওজন পরিমাণ ও মানদণ্ড আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা লংঘনের দায়ে ১৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মেসার্স আশরাফ আলী ফিলিং স্টেশন, ইমন ফিলিং স্টেশন, ফয়েজ এন্ড ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশনকে যথাযথ মান বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
একই দিনে উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইজিপিপি+ প্রকল্প ও ঈদগাঁ ইউনিয়নের দরগাহ পাড়া গ্রামে মুজিব শত বর্ষের গৃহ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকারিয়া।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেট্রোল পাম্পে পরিমাণে কম দেওয়াসহ নানা অভিযোগে জ্বালানি বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করে। উপজেলা প্রশাসন থেকে পেট্রোল পাম্পে মাঝে-মাঝে অভিযান পরিচালনা করা হলে বড় রকমের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাম্পগুলোতে যাতে পরিমাপে কম না দেয়, সে বিষয়ে আমরা বার বার সতর্ক করা হয় জানিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাকারিয়া বলেন, মোবাইল কোর্টে ওজন পরিমাণ ও মানদণ্ড আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা লংঘনের দায়ে দুটি ফিলিং স্টেশনে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এবং তিনটি কে সতর্ক করা হয়।