February 15, 2025, 4:53 pm
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সনদ বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তানকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে ভূক্তভোগী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্ৰামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ছোবেদ আলীর স্ত্রী মোমেনা বেওয়ার লিখিত অভিযোগমতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) দপ্তর থেকে গত ১নভেম্বর তাঁর মৃত স্বামীর ডিজিটাল সনদ গ্ৰহন করার বার্তা দেওয়া হয়। সে মোতাবেক তিনি তার ছোট ছেলে বাদল মিয়াকে সাথে নিয়ে সকাল ১০টায় ইউএনও অফিসে আসেন। ইউএনওর দপ্তরে সনদ বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান। সারাদিন অপেক্ষার পর তিনি জানান, আজ নয় পরের দিন আসতে হবে। এভাবে পরের দিনও কেটে যায়। তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার দীর্ঘ অপেক্ষার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান জানান সনদ তার সৎ পুত্র নুর আমিনকে দেয়া হয়েছে। এতে তার ছেলে প্রতিবাদ করলে মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং এক পর্যায়ে দ্বিতল ভবনের ইউএনওর কক্ষ থেকে মারপিট করে বের করে দেন। চোখের সামনে নিজের ছেলের এই অবস্থা দেখে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন পরেন। উপস্থিত জনতা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তিনি আরও বলেন, সনদ বিতরণ ইউএনও অফিস থেকে বিতরণ করার কথা থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান স্বজনপ্রীতি ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সনদ বিতরণ করে আসছেন। আমার মৃত স্বামীর সনদ আমাকে না দিয়ে আমার সৎপত্তিকে সনদ দিয়ে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবর রহমান দীর্ঘদিন হতে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সমবায় সমিতির নামে টাকা তুলে আত্মসাত করে আসছেন। আমিও সেই সমিতির একজন সদস্য। আজ পর্যন্ত সমিতির আয় ব্যায়ের হিসাবে কেউ জানে না। তিনি প্রায় ৪শত মুক্তিযোদ্ধাকে তার এই সমিতির সদস্য করে অনেকটা জিম্মি করে রেখেছেন। সমিতির সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার পূর্বে সদস্যদের চেক বই তিনি জমা নিতেন। টাকা তুলে সমিতির মাসিক চাঁদা নিতেন। এসব টাকা দিয়ে তিনি ব্যবসায় খাটাতেন। এসব টাকার হিসাব আজ পর্যন্ত দেননি। গত ২০বছর যাবৎ তিনি বিভিন্ন সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কম্পিউটারের দায়িত্ব পালন করেন। আর এই কারণে বর্তমান প্রশাসনের তিনি প্রভাব বিস্তার করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে চলেছেন।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিজেকে কমান্ডার দাবি করে বলেন, এ সকল কার্যক্রম তাকেই করতে হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসক মাত্র ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন দাস জানান, তিনি এখনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।