April 26, 2024, 8:49 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এ-র কেন্দ্রীয় দায়িত্বে গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই মোবাইল কোর্ট অভিযান পাইকগাছায় অনুমোদন বিহীন এন্টিবায়োটিক বিক্রয় ; দুই বিক্রেতাকে জরিমানা পাইকগাছায় একটি লাউ গাছের এক বোটায় ২০টি লাউ ধরেছে র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির অভিযানে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এপ্রিলে পানিতে ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু ঝালকাঠিতে মৎস্য কর্মকর্তার ৩ ঘন্টার অভিযানে ১ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ জয়পুরহাটে ১৬ টি স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক
নড়াইলের বাদাম বিক্রেতা প্রতিবন্ধী সজীব বিশ্বাস জীবন সংগ্রামে সৈনিকের নাম

নড়াইলের বাদাম বিক্রেতা প্রতিবন্ধী সজীব বিশ্বাস জীবন সংগ্রামে সৈনিকের নাম

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের বাদাম বিক্রেতা প্রতিবন্ধী সজীব বিশ্বাস জীবন সংগ্রামে সৈনিকের নাম। জীবন সংগ্রামে এক লড়াকু সৈনিকের নাম প্রতিবন্ধী সজীব বিশ্বাস (৩১)। দীর্ঘ ১৬টি বছর ধরে তিনি বাদাম বিক্রি করে যাচ্ছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। সজীব বিশ্বাস প্রতিবন্ধী তবুও বসে নেই, তিনি বাদামের ডালা গলায় ঝুলিয়ে বাদাম বিক্রি করেই চলেছে দিনের পর দিন। প্রতিবন্ধী সজীব বিশ্বাস লোহাগড়া পৌরসভার কুন্দশী মালোপাড়া গ্রামের শুবদেব বিশ্বাসের ছেলে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়, জানান, সজীব বাদামের ডালা গলায় ঝুলিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, অফিস চত্বর ও হাট-বাজারে ফেরি করে বাদাম বিক্রি করে যাচ্ছে। প্রতিদিন বাদাম বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। আর ওই লাভের টাকা দিয়েই সন্ধ্যায় চালসহ বাজার করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। বর্তমানে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় বাদাম বিক্রির টাকা দিয়ে মাকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
বাদাম বিক্রেতা প্রতিবন্ধী সজীব বিশ্বাস বলেন, জীবন-জীবিকার তাগিদে বাদাম বিক্রি করে আমার সংসার চলছে। রৌদ, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমি উপজেলার এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ছুটে যায় বাদাম বিক্রির জন্য। অথচ একটুও আরাম-আয়েশের চিন্তা করি না আমি। শুধু সংসারের চিন্তা এটাই যে মাকে নিয়ে একটু সুখে থাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি বাদাম বিক্রি করেই সুখে আছি। আমি এক জন প্রতিবন্দ্ধী। আমি বিবাহ করি নাই। আমি আমার মাকে একটু সুখে রাখার জন্য এ বাদাম বিক্রি করি। আমরা দুই ভাই তিন বোন। তিন বোনকে বিবাহ দেয়া হয়েছে। বড় ভাই পৃথক তার ছেলে-মেযে নিয়ে আলাদা খায়। আমার বড় ভাইও শারিরীকভাবে অসুস্থ। কাজ কর্ম করতে পারে না ছেলে-মেয়ে খুব কষ্টে আছে। আমি সবার ছোট। আমি মাকে নিয়ে এক সংসারে আছি। মাকে নিয়ে এই সংসার টানতেই ১৬ বছর ধরে বাদাম বিক্রি করে যাচ্ছি। এদিকে প্রতি মাসে আমার ও মায়ের প্রচুর টাকার ওষুধ কিনতে হয়।
বাদাম ক্রেতা প্রসাদ গাইন, বিবেক, বিজয়, লোকমান মোল্যা বলেন, তিনি সারাদিন ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করেও তার চোখে- মুখে এতোটুকু ক্লান্তির ছাপ নেই। বাদাম বিক্রি করার জন্য তাকে বাদাম বাদাম বলে চিৎকার করতে হয় না। ভালো বাদাম বিক্রি করেন তিনি। তাই ক্রেতার অভাব হয় না। আমি প্রতিদিন তার কাছ থেকে বাদাম কিনি। আমার মতো আরও অনেকেই তার কাছ থেকে বাদাম কেনেন।
ছেলেকে সাহায্য করে কিনা সজীবের মায়ের কাছে জানতে চাইলে তার মা বলেন, আমার ছেলেকে সবসময় সাহায্য করি। আমি বাদাম ভেজে দেই আর আমার ছেলে সজীব বিশ্বাস লোহাগড়া শহরে সারা দিন ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে। আমরা দুইজনই পরিশ্রম করি একটু সুখে থাকার আশায়। লোহাগড়া বাজার স্বর্নকার বিপুল বলেন, প্রতিবন্ধী সজীব বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে বাদাম বিক্রি করছেন। আমি তার কাছ থেকে প্রতিদিন বাদাম কিনে খাই এবং ছেলে-মেয়েদের জন্য বাড়িতে কিনে নিয়ে যায়। তার বাদাম গুলো খুব ভাল মানের।

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD