April 27, 2024, 2:29 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে জমিজমার বিরোধে কৃষককে কুপিয়ে পিটিকে হত্যা ,আহত-৭ ময়মনসিংহ সদরকে ‘স্মার্ট’ উপজেলা গড়তে সুযোগ চান আল আমিন আলভি মাদকের বিস্তার রোদে গ্রাম পুলিশের সজাগ থাকতে হবে: ভালুকায় ওসি কামাল কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরী ক্রিকেট প্রিমিয়ার লীগ ২০২৪ ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ বাহুবলের মিরপুরে তীব্র উত্তেজনা নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এ-র কেন্দ্রীয় দায়িত্বে গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই মোবাইল কোর্ট অভিযান পাইকগাছায় অনুমোদন বিহীন এন্টিবায়োটিক বিক্রয় ; দুই বিক্রেতাকে জরিমানা পাইকগাছায় একটি লাউ গাছের এক বোটায় ২০টি লাউ ধরেছে র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির অভিযানে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
গোদাগাড়ীর কৃষক সেন্টু মহিষ ধরে নিয়ে নিলামে বিক্রির অভিযোগ

গোদাগাড়ীর কৃষক সেন্টু মহিষ ধরে নিয়ে নিলামে বিক্রির অভিযোগ

হায়দার আলী।
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী।। পদ্মায় ভেসে যাওয়া এক কৃষকের মহিষ ধরে সেগুলো নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মো. সেন্টু নামের এক কৃষক দাবি করেছেন, তার হারিয়ে যাওয়া ১৬ টি মহিষ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা উদ্ধার করেছেন।

পরে কাস্টমসে জমা দেওয়া হয়েছে ১৫টি। তার দাবি অগ্রাহ্য করে এই ১৫টি মহিষ পরে কাস্টমস প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করেছে। অবশ্য নিলাম থেকে সেন্টুই ওই মহিষগুলো আবার কিনেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সেন্টু যখন মহিষগুলো বাড়ি নিয়ে যান তখন বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরেই মহিষগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় একা একাই মহিষগুলো বাড়ি চলে যায়। তখন বাড়ির নারীরা কান্না শুরু করেন। আশপাশের লোকজন মহিষগুলো দেখতে এসে জানান, এগুলো সেন্টুরই মহিষ। এগুলোই হারিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি তাদের। সেন্টুর বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার নীলবোনা গ্রামে। তিনি জানান, পদ্মার চরে বাথানে রেখে তিনি মহিষ পালন করেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে ওই বাথান থেকেই নদীতে নেমে যায় তার ১৬টি মহিষ। পরে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বিজিবি মহিষগুলো উদ্ধার করে। অথচ এই মহিষ যে তার সেটি বিজিবির কাছেও হিসাব আছে বলে জানিয়েছেন সেন্টু।

তিনি জানান, সীমান্ত এলাকা বলে কার বাড়িতে কয়টি গরু-মহিষ আছে তার হিসাব রাখে বিজিবি। দুটি খাতায় তা লিখে রাখা হয়। একটি খাতা থাকে মালিকের কাছে, অন্যটি বিজিবির স্থানীয় ক্যাম্পে। গরু-মহিষের হিসাব ক্যাম্প কমান্ডার লিখে রাখেন তার স্বাক্ষরসহ। তার খাতার ক্রমিক নম্বর-২৯। এই খাতায় তার ২১টি মহিষ থাকার হিসাব আছে। ৮ সেপ্টেম্বর যখন তিনি দেখেন ১৬টি মহিষ হারিয়ে গেছে, তখন বিজিবি ক্যাম্পকে অবহিত করেই খুঁজতে বেরিয়েছিলেন।

এ ব্যাপারে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগও করেছিলেন। ৮ সেপ্টেম্বর খবর পান, রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর বিজিবি ক্যাম্প কিছু মহিষ উদ্ধার করেছে। তিনি সেখানে গিয়ে মালিকানা দাবি করেন; কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। একই দিন দুপুরে বাঘার আলাইপুর বিজিবি ক্যাম্পে আরও কিছু মহিষ উদ্ধারের খবর পান। তিনি সেখানেও যান। কিন্তু দুই ক্যাম্প থেকেই তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে কৃষক সেন্টু জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, বিজিবির দুই ক্যাম্প থেকে মহিষগুলো বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। এরপর নিলামে বিক্রির জন্য বিজিবি সেগুলো কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের গুদামে পাঠায়। সেন্টু সেখানে গিয়েও মহিষগুলোর মালিকানা দাবি করে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন জানান। মহিষগুলো যে তার সে ব্যাপারে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল প্রত্যয়নও দেন। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত শেষে মতামত দেয়- এই মহিষ সেন্টুর নয়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার হাসনাইন মাহমুদ। সদস্য সচিব সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহাফুল ইসলাম। সদস্য ছিলেন বিজিবির রাজশাহীর সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার কৌশিক আহমেদ এবং কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা ছাবেদুর রহমান। হাসনাইন মাহমুদ ও কৌশিক আহমেদের উপস্থিতিতে বুধবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর দাসপুকুরে শুল্ক গুদামে ১৫টি মহিষের প্রকাশ্যে নিলাম শুরু হয়। সেদিন ৮টি মহিষ নিলাম দিয়ে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

পরে বুধবার দুপুরে আবার ৭টি মহিষ নিলামে বিক্রি করা হয়। প্রথম দিন যারা মহিষগুলো কিনেছিলেন তাদের কিছু টাকা লাভ দিয়ে আবার সেগুলো কিনে নেন সেন্টু। দ্বিতীয় দিন তিনি নিজেই নিলামে অংশ নিয়ে মহিষ কেনেন। মোট ১৫টি মহিষ কিনতে সেন্টুকে গুণতে হয় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। এসব টাকা তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হলেন বলে দাবি করেছেন। এছাড়া একটি মহিষ উদ্ধার করা হলেও নিলাম দেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। মহিষগুলির ব্যপারে

গোদাগাড়ী উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় কথা উঠেছিল, কৃষকে তার মহিষ ফিরিয়ে দেয়ার ব্যপারে কি করা যায়, আইনগত কি প্রক্রিয়া আছে সে ব্যপারে আলোচনা হয়।

তবে কৃষক সেন্টুর বাড়িতে পালা মহিষ নিলাম করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যালয়ের রাজশাহীর যুগ্ম কমিশনার এবং তদন্ত কমিটি ও নিলাম কমিটির আহ্বায়ক হাসনাইন মাহমুদ। তিনি বলেন, সুজন আলী নামের আরও এক ব্যক্তি সাতটি মহিষের মালিকানা দাবি করেছিলেন। তাই তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্তে দেখা গেছে মহিষগুলো দুজনের কারও নয়। তাই নিলামে বিক্রি করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD