March 18, 2025, 2:46 pm
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগরে বিদ্যালয়ে যাবার পথে মো.সিফাত হোসেন নামে এক স্কুলছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের পর স্কুলছাত্র সিফাতকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে প্রায় আধাঘন্টা পরে অপহরণকারীরা উপজেলা পরিষদের পরিত্যক্ত একটি ভবনের পিছনে ফেলে রেখে চলে যায়। স্কুলছাত্র সিফাত সুজানগর পৌরসভার ৪০ ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের বাকছিডাঙ্গি গ্রামের মো.আবুল কালামের ছেলে। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় সিসিডিবি অফিসের সামনে । স্কুলছাত্র সিফাত জানান, বৃহস্পতিবার আমি বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ে যাই। পরবর্তীতে একই বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আমার বোনের মেয়ে মোছা.লামিয়া খাতুনের ক্লাস শেষ হওয়ায় বিদ্যালয় থেকে সাথে নিয়ে স্থানীয় জিরো পয়েন্ট মোড়ে বাড়িতে যাবার জন্য লামিয়াকে ভ্যানে পাঠিয়ে আবার বিদ্যালয়ে যাবার পথে সিসিডিবি অফিসের সামনে থেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি। পরবর্তীতে চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে এবং একটি চাকু দিয়ে আমার হাতের বিভিন্ন স্থান কেটে রক্তাক্ত করে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় গাড়িতে ঘুরিয়ে উপজেলা পরিষদের পরিত্যক্ত একটি ভবনের পিছনে চোখ খুলে ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে আমি আমার চাচা সুজানগর বাজারের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের দোকানে গিয়ে জানাই। তখন চাচা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ঘটনাটি জানার পরপরই ঐ ছাত্রের কাছে ছুটে যান ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সুজানগর মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান রোজ,প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম সহ অন্যান্য শিককেরা। পরে থানা পুলিশকে অবগত করলে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল হাননান তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় স্কুলছাত্র সিফাতের পিতা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল হাননান জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনার পর সুজানগরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় অনেকের ধারণা কয়েকটি কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি কারণ ঐ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে যদি কারো শত্রুতা থেকে থাকে তাহলে তারা এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে, আবার ঐ শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের চিন্তা করে পরবর্তীতে ফেলে রেখে চলে যেতে পারে অপহরণকারীরা ,অথবা অনেক সময় অনেকের জরুরী ভিত্তিতে কিডনির দরকার হয় তখন এই কিডনির ব্যবস্থা করার জন্য লোকভাড়া করে বিভিন্ন ব্যক্তি, আর এ কিডনি নিতে হলে এর জন্য প্রথমে দরকার হয় রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের। অপহরণকারী যখন ঐ স্কুলছাত্রকে অপহরণের পর তার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে পরীক্ষার পর ঐ শিক্ষার্থীর রক্তের গ্রুপ না মেলায় তখন তাকে ফেলে রেখে যেতে পারে বলেও অনেকের ধারণা।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি