November 11, 2024, 8:21 pm
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহের ব্রক্ষপুত্র ঘেষা কাচারিঘাটে ১ একর জমির উপর গড়ে উঠা ১০-১২ টি দোকান, অফিস উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ১ একর সরকারি সম্পত্তি যার বাজার মূল্য প্রায় ১০কোটি টাকা প্রভাবশালী দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে সদর জেলা প্রশাসন। ৩০শে আগস্ট (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দা এনামুল হক এর নির্দেশে দফায় দফায় সদর উপজেলার কাচারীঘাট এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তাার কার্যালয়ের পিছনে অভিযান পরিচালনা করে এই সরকারি খাস জমি উদ্ধার করেন সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটট এইচএম ইবনে মিজান।
এ ব্যাপারে ভূমি অফিসও স্থানীয়রা জানায়, উদ্ধার হওয়া সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত না নিয়ে ও ভিপি জমি অবৈধ দখলে রেখে দখলদাররা সেখানে দোকান নিমার্ণসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দিয়ে নিজেরাই আর্থিক লাভবান হয়েছে। অন্যদিকে সরকার হারিয়েছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এ ছাড়া ভিপি সম্পত্তি ১৯৮৪ সালে লিজ নেওয়ার পর থেকে এখন অবধি নবায়ন করেনি। এমনকি সরকারের লিজমানী অর্থ ও পরিশোধ করেননি। ফলে ৩৬ বছরে সরকারের রাজস্বর বেঘাত হয়েছে প্রায় কোটি টাকা।
ময়মনসিংহ কয়েকজন সচেতন মহল জানান, এসিল্যান্ড এইচএম ইবনে মিজান জনবান্ধব ভূমি সেবা শতভাগ নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি কোটি কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করে ময়মনসিংহবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন । ইতিহাস হয়ে থাকবে এসিল্যান্ড এইচএম ইবনে মিজান এর
কর্মকান্ড।
সেবা গ্রহীতারা জানান, শুধু সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের ক্ষেত্রে নয়, এসিল্যান্ড এইচএম ইবনে মিজান নিজের কথা না ভেবে ,নিজের পরিবারের কথা না ভেবে, জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে দিনরাত-রাতদিন এক করে প্ররিশ্রম করেছেন। দেশের স্বার্থে,জাতীর স্বার্থে,সমাজের স্বার্থে সকল কর্মকর্তা যদি সদরের এসিল্যান্ড এইচএম ইবনে মিজান এর মত দায়িত্ব পালন করেন তাহলে অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
জেলার সামাজিক ও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ময়মনসিংহে এর আগে ও সরকারের দিকনির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে অনেক এসিল্যান্ড কর্মরত ছিল। কিন্তু সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার কিংবা জনবান্ধব ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে এত তৎপর হতে দেখা যায়নি। বর্তমান এসিল্যান্ড এইচএম ইবনে মিজান
ভূমি অফিসকে জনবান্ধব অফিসে রুপান্তর ও শত শত একর সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন।
সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট
এইচএম ইবনে মিজান জানান, সরকারি স্বার্থ,সম্পদ-সম্পত্তি রক্ষা এবং সংরক্ষণে বদ্ধপরিকর জেলা প্রশাসন ময়মনসিংহ । এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হক স্যারের নির্দেশনায় সদর উপজেলার যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন প্রান্ত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।কাচারী ঘাটে সরকারের প্রায় ১একর খাস ও ভিপি সম্পত্তি যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা বেদখলমুক্ত করে সরকারের আয়ত্বে নেয়া হয়েছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি জাগয়া দখল করে আরো যদি কোথাও কোন চক্র দোকান অফিস গড়ে তোলে থাকে সেগুলোকে দখলমুক্ত করণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্তকরণের লক্ষে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি তথ্য দিয়ে অভিযানকে সহযোগীতা করতেও ময়মনসিংহবাসীর সার্বিক সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন। অভিযান পরিচালনা কালে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সেলিম হাসান, পৌর নায়েব ও কোতোয়ালী থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া সরকারি খাস জমিতে,মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন,অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা,নদী ভাঙ্গনে সর্বসান্তদের মাঝে বন্দোবস্ত করা হবে। এ ছাড়া সরকারী স্থাপনা নিমার্ণের জন্য বরাদ্দ,জলধার স্থাপন,ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জন্য বরাদ্ধ ও ক্ষেত্র বিশেষ খাজনা বা লীজমানীয় আদায় সাপেক্ষে লীজ বন্দোবস্ত করা হবে। অপর দিকে জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এসিল্যান্ড এইচএম ইবনে মিজান এর সাহসী অভিযানকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।