April 26, 2024, 12:33 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এ-র কেন্দ্রীয় দায়িত্বে গাইবান্ধা জেলায় বিএসটিআই মোবাইল কোর্ট অভিযান পাইকগাছায় অনুমোদন বিহীন এন্টিবায়োটিক বিক্রয় ; দুই বিক্রেতাকে জরিমানা পাইকগাছায় একটি লাউ গাছের এক বোটায় ২০টি লাউ ধরেছে র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির অভিযানে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার নড়াইলের কালিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম নগরীর সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের অভিযানে (১০) জন, জুয়াড়ি গ্রেফতার রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এপ্রিলে পানিতে ডুবে ১৬ জনের মৃত্যু ঝালকাঠিতে মৎস্য কর্মকর্তার ৩ ঘন্টার অভিযানে ১ লক্ষ টাকার অবৈধ জাল জব্দ জয়পুরহাটে ১৬ টি স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক
তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক লাঞ্চিত করার অভিযোগ

তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক লাঞ্চিত করার অভিযোগ

তরিকুল ইসলাম,
তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ জুলাই ২০২২) প্রায় মধ্যরাতে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক হোসেনের হাতে বেধরক মারধরের লাঞ্চিত হয়েছেন দৈনিক সময়ের আলো ও অনলাইন বার্তাবাজার ডটকমের সাংবাদিক আল আমিন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরসহ তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি। এতে অভিযুক্তরা হলেন- ৫নং বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বুড়াবুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে মোঃ তারেক হোসেন, ওই একই গ্রামের গ্রাম পুলিশ কুরানুর ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন, গ্রাম পুলিশ আসাদ আলীর ছেলে রওশন ও ইউপি সদস্য মোঃ আতাউর রহমান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে চুরির অপবাদ দিয়ে সাংবাদিক আল আমিনের বড় ভাই আলমগীর হোসেনকে অভিযোগে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যক্তি চেয়ারম্যান তারেক হোসেনের নির্দেশে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় ওই ইউনিয়নের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মনিকো গুচ্ছগ্রামের এক গোপন ঘরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের নিকট বিষয়টি জানাজানি হলে প্রায় ৮ ঘন্টা অবরুদ্ধ রাখার পর ওখান থেকে বের করে তাকে রাত ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকেন চেয়ারম্যান। খবর পেয়ে সাংবাদিক আল আমিন তার ভাইকে সেখান থেকে উদ্ধার করতে গেলে তার উপর চড়াও হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান তারেক হোসেন। পরে চেয়ারম্যানের হুকুমে এবং ইউপি সদস্য আতাউর রহমানের জোগসাজসে সাংবাদিককে গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার হোসেন, রওশন এবং ড্রাইভার রনজু বেধরক মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করেন। এতে চেয়ারম্যান স্বয়ং সাংবাদিকতার স্বাদ চিরতরে মিটাইয়া দেয়ার হুমকি দিয়ে মারধর করেন। পরে সাংবাদিক ও তার ভাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ফেলে সাদা কাগজে সই করে নেন বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়।

এ বিষয়ে নির্যাতিত সাংবাদিক আল আমিন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার ভাইকে চুরির অপবাদে আটকে রাখার খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে উপস্থিত হতেই আমার উপর চড়াও হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান। আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখার জন্য অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশকে হুকুম দেন তিনি। আমার সাংবাদিকতাকে চিরতরে মিটাইয়া দেয়ার হুমকি দিয়ে অভিযুক্তদের সহযোগিতায় আমার শার্টের কলার ধরে এলোপাতারি চড় থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় আমাকে মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেন ওই চেয়ারম্যান। আমি এর উপযুক্ত বিচার চেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি।

চেয়ারম্যানের হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়টিকে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রেসক্লাব, জার্নালিস্ট ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা এ ঘটনায় ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

তবে মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান তারেক হোসেন। তিনি জানান, ওই সাংবাদিকের ভাইকে চুরির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু তার ভাই সাংবাদিক আল আমিন আমার উপর উত্তেজিত হয়ে মামলা দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। এতে গ্রাম পুলিশ দ্বারা মারধরের শিকার হতে পারেন। তবে তিনি খুবই উদ্ধ্যত আচরণ করেছেন। এ জন্য তাকে কয়েকটা চড়-থাপ্পর দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, এ প্রসঙ্গে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD