হেলাল শেখঃ বিআরটিএ কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে অনিয়ম দুর্নীতি-দুদকের অভিযানেও এসব কেন বন্ধ হচ্ছ না তা জাতি জানতে চায়। ঢাকাসহ সারাদেশে ৩৫টি অফিসে দুদকের অভিযানেও কর্মকর্তাদের কৌশলগত অনিয়ম দুর্নীতি এখনো কমেনি। কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করার পর দুদকের অভিযান চলমান রয়েছে, সংবাদ প্রকাশ করায় এর মধ্যে সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে দালাল চক্র। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন এবং নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের ৩৫টি বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কতর্ৃপক্ষ) অফিসে একযোগে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সাথে নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে অনলাইনে নাম বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কিছু হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫ইং) জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে দুদক নিয়মিত অভিযান চালালেও বিআরটিএ কর্মকর্তারা অনেকেই নতুন কৌশলে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে। জানা যায়, গত (৭ মে ২০২৫ইং) সকালে দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা কার্যালয় থেকে অভিযান শুরু করেন দুদক কর্মকর্তারা। রাজধানীর উত্তরা ও ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ অফিস ছাড়াও গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, পাবনা ও সিলেটসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিআরটিএ অফিসগুলোতে অভিযান চালানো হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তাসজির আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, গত বুধবার সারাদেশে ৩৫টি বিআরটিএ অফিসে একযোগে অভিযান চালানো হয়। এরপর আবারও অভিযান চালায় দুদক কিন্তু কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অনিয়ম দুর্নীতি।
সুত্র জানায়, অনেক অফিসেই দালালদের সরব উপস্থিতি ও সেবা দিতে গিয়ে ঘুষ দাবি করার প্রমাণ মিলেছে। অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ মানুষ দালাল ছাড়া সহজে কোনো সেবা পাচ্ছেন না। অভিযানের আওতায় অন্যান্য জেলা অফিসের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট, বরিশাল, কক্সবাজার, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা, ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল নেত্রকোনা, নীলফামারী, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, মেহেরপুর ও শেরপুরসহ আরো অনেক জায়গায়। এর আগেও ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৬টি অফিস এবং গত ১৬ এপ্রিল দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছিলো দুদক। এ অভিযানগুলো সরকারি সেবা সংক্রান্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কর্মকর্তাগণ। উক্ত ব্যাপারে আমাদের রিপোর্টার মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
এর আগে বিআরটিএ অফিসের কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি প্রকাশ করা হয়, বিশেষ করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও সাভারে বিআরটিএ অফিসের কুখ্যাত দুনীতিবাজ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান গোপালগঞ্জ এলাকায় বিয়ে করে জামাই হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে ছিলো সুসম্পর্ক আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ নিজ এলাকায় বাড়ি গাড়িসহ অনেক সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট দালাল চক্রের সদস্যরাও একাধিক বাড়ি গাড়ির মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া পেঁয়ারা বাগান এলাকায় বাড়ি করেছে মোস্তফা কামাল নামের এক সক্রিয় দালাল। জানা গেছে, বিআরটিএ কর্মকর্তা মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খান তার অফিসে সঠিক সময় আসেন না। অফিসের সংশ্লিষ্ট লোকজন জানায়, তাদের সাথেও তিনি মাঝে মধ্যে খারাপ ব্যবহার করেন, টাকার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করেন না বলে অফিসের লোকজন অনেকেই জানান। অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতি করে ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা বাড়ি গাড়ি করে শত শত কোটি টাকার মালিক বুনে গেছেন। এ ব্যাপারে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। দুদক কর্মকর্তা বিভিন্ন অফিসে অভিযান করলেও সাভারে অভিযান করার বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম খানের কয়েক বছর আগে তেমন কিছু ছিলো না, বিআরটিএ’র অফিসে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ গ্রহণ করে ( ব্ল্যাক মানি) কালো টাকার মালিক বুনে গেছেন। সূত্র জানায়, বর্তমান সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় বিআরটিএ অধিনস্থ ঢাকা জেলা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক মোঃ আমিনুল ইসলাম খান। দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আগত মোটরযানের কাগজপত্র নিয়ে সেবা পেতে আসা সেবাগ্রহীতাদের কৌশলে জিম্মি করে ভুলবাল বুঝিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পরীক্ষায় পাস-ফেলের গ্যাড়াকলে ফেলে দালাল নিযুক্ত সদস্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিনিয়ত বিআরটিএ পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়, এ যেন মহা ঘুষ বাণিজ্য ও বিআরটিএ অফিসের ভেলকিবাজি। ভুক্তভোগীরা জানায়, আমরা এই অফিসের কর্মকর্তার কাছে একরকম জিম্মি হয়ে আছি, তাদেরকে ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফেল করে হয়রানি করে। পাস-ফেল তাদের হাতে, কৌশলে জিম্মি করে গ্যারাকলে ফেলে পরীক্ষায় ফেল করা হয় বলে অনেকেই জানান।
জানা গেছে, মাসের পর মাস ঘুরানো হয় ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে আসা লোকজনকে। অতিরিক্ত টাকা দিলে কম সময়ে লাইসেন্স পাওয়া যায় আর তা নাহলে হয়রানির শেষ নাই। এ ভাবেই চলছে অনিয়ম দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব। কারণ, উক্ত অফিসের মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম গোপালগঞ্জের মানুষের কথিত জামাই। এখন আবার বিএনপি’র শীর্ষ নেতার আত্মীয়, নিজে আবার নাকি ছাত্র দল করতেন, তবে তার কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি, তিনি একজন সুবিধাবাদী মানুষ বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন। সূত্র জানায়, বিআরটিএ ঢাকা জেলা সার্কেলের অধিনস্থ সাভার বিআরটিএ অফিসে যোগদান করার পর থেকে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। সরকারি সাইনবোর্ডের আড়ালে থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে ভাবনিয়ে অফিস চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেক গাড়ির মালিকের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে, গাড়িপ্রতি ফিটনেস বাবদ ঘুষ গ্রহণ করেন ৫ হাজার টাকা, এই ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাড়ির মালিকের ভোগান্তির মাত্রা আরো বেড়ে যায়। জানা গেছে, গাবতলী- টাঙ্গাইল মহাসড়কে এবং সাভারের ঢাকা-আরিচা পাটুরিয়া সড়কে হাজার হাজার মোটরযান চলে, এসব মোটরযানের বেশিরভাগই ফিটনেসবিহীন, এসব গাড়ি থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
গোপালগঞ্জের জামাই বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ দিকে বিআরটিএ দালাল চক্রের সদস্য সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মোস্তফা কামাল এর মোবাইল নাম্বারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করে তার ছেলের দিয়ে রিসিভ করে বলায় যে, বাবার জ্বর আসছে কথা বলতে পারবেন না। এর আগে উক্ত ব্যাপারে একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। উক্ত ব্যাপারে ৩৫টি অফিসে দুদক অভিযান চালালেও বিআরটিএ অফিসের ঘুষ বাণিজ্য কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায়, অনিয়ম দুর্নীতি ধরা পড়লেই অন্য জেলায় বদলি করা হয় সেই কর্মকর্তাকে, এই কারণে তাদের আর সমস্যা হয় না। উক্ত বিষয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।##
Blog
-
বিআরটিএ কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে দুদকের অভি-যানেও সুফল মিলছে না
-
সুজানগরে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনার সুজানগরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সুজানগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে উপজেলার নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজের এইচ এস সি-২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সোমবার এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সুজানগর উপজেলা শাখার সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) মো.শাহরিয়ার হাসান জিহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মো. ইসরাইল হোসেন শান্ত। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখার বায়তুলমাল সম্পাদক মো.এনামুল হক বাকীবিল্লাহ, সুজানগর উপজেলা শাখার বায়তুলমাল সম্পাদক হাফেজ শোয়াইব আহমেদ, পৌর শাখার সভাপতি হাফেজ তামজিদ আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন আজগর আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি মো.ইয়াছিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা ও আবেগপূর্ণ বিদায়কে অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ইসরাইল হোসেন শান্ত পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের প্রতিটি পদক্ষেপে সততা, পরিশ্রম ও ন্যায়পরায়ণতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন। এ সময় সকল পরীক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের শুভ কামনা জানানোর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জীবনের নতুন দিক চালু করার সময় বৈধ লক্ষ্য নির্ধারণ ও তঁাদের কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ প্রদান করেন। বিদায়ী এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে আগামী দিনে সমাজ ও দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে অঙ্গীকার করেন। পরে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শেষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সুজানগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে উপস্থিত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর প্রতিনিধি। -
নেছারাবাদে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসুচি
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
নেছারাবাদে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কেন্দ্রিয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মুখে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান ছিল। নেছারাবাদ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন এর ব্যনারে উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক/সমমান (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান ও ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিণের মাধ্যমে ১১ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির েেত্র ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদানসহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে। কর্মসুচিতে বিভিন্ন দাবি দাওয়া সম্মিলিত প্লেকার্ড নিয়ে মাঠকর্মীরা অবস্থান নেয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ সিস্টেম অ্যাসোসিয়েশন নেছারাবাদ শাখার উপদেষ্টা অলোক মিস্ত্রি মিলন, সংগঠনের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরুল হাসান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ফাহিমা খানম প্রমুখ।
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতাঃ
মোঃ আনোয়ার হোসেন । -
জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক হলেন বরিশালের মুন্নি
কে এম সোহেব জুয়েল ঃ জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- আইন বিষয়ক সম্পাদক হলেন বরিশালের এ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার মুন্নি।
তিনি (মুন্নি) বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক জেএম আমিনুল ইসলাম লিপনের সহর্ধমিনী।
তাকে (মুন্নিকে) জিসাস এর কেন্দ্রীয় কমিটির সন্মানিত স্হানে অধিষ্টিত করায় তিনি (মুন্নি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সহ কেন্দ্রীয় কমিটির সকল পর্যায়ের নেত্রী বৃন্দের প্রতি অভিনন্দন ও চীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এ খবর ছরিয়েে পরায় বরিশালের জিসাসের জেলা উপজেলা কমিটি সহ জাতীয়তা বাদীদল বিএনপির সকল পর্যায়ের নেত্রী বৃন্দদের মাঝে আনন্দের ঝড় বয়ে আসা সহ এমন এক অভিভাবক পেয়ে তারা গর্ববোধ করছেন।
এর ফলশ্রুতিতে অচিরেই দলকে গুছিয়ে নিয়ে জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরো বেগবান ও শক্তিশালী করা সম্ভব হবে বিশ্বাস করেন তারা।
১৯ জুন ২০২৫ ইং জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন( জিসাস,) এর কোন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট চল চিত্রের অভিনেত্রী মোসাম্মৎ রোকেয়া সুলতানা কেয়া, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন হেলাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কবিরুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠির আলোকে এ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার মুন্নিকে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ- আইন বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে।
এ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার মুন্নি বলেন তাকে দলের সন্মানিত স্হানে রাখায় দলের সভাপতি , সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সহ কেন্দ্রীয় কমিটির সকল পর্যায়ের নেত্রী বৃন্দদের প্রতি অভিনন্দন ও চীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন সহ ও তার মহান নেতা তারুন্যের অহংকার তারেক জিয়ার প্রতিও চীর কৃতজ্ঞতা দীর্ঘায়ু, দেশ নেত্রী বেগম জিয়ার সু- স্বাস্থ্য কামনা ও শহীদ রাষ্ট্র পতি জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার চীর শান্তি কামনা সহ দেশ বাসির সুখ সমৃদ্ধি কামনা করছেন নব নিয়োজিত জিসাসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ – আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার মুন্নি।
তারি সাথে দেশ বাসির কাছে দোয়ার প্রার্থনা ও দেশবাশির সুখ সমৃদ্ধি কামনা করছেন তিনি।
-
আবারও বা-ড়ছে যমুনা নদীর পানি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ৪ দিনে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলকায় ৪৩ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে নদীতীরবর্তী অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।এদিকে, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নদীবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত যমুনা নদীতে পানি বাড়বে। আকাশের মেঘগুলো দেশের উত্তরের দিকে যাচ্ছে এবং বৃষ্টিপাত বাড়ছে। একারণে নদ-নদীর পানি বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। তবে পানি বাড়লেও সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ২৬৩ সেন্টিমিটার ও কাজীপুরে ২৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লেও বন্যার কোন আশঙ্কা নেই।
-
দুই মাদ-ক সেবি-কে ৩ মাসের কা-রাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত
দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের গোলাপগঞ্জ মোড়ে মাদক সেবনের দায়ে দুই যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিক্রেতা রাশেদুল ইসলাম পলাতক।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ৩টায় পৌর শহরের এ অভিযান চালিয়ে দণ্ড প্রদান করেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বীরগঞ্জ পৌর প্রশাসক দিপংকর বর্মন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বীরগঞ্জ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জহিরুল হকের ছেলে ও মহিলা কলেজের ল্যব সহকারী জাকির তাহমিদ (২৪) এবং একই এলাকার শরিফ উদ্দিন এর ছেলে মেহেদী হাসান (২৪)।
জানা গেছে, মাদক সেবী দুইজন গোলাপগঞ্জ মোড়ের রাশেদুল ইসলামের কাছে টেপেন্ডা ট্যাবলেট ক্রয় করে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে থানায় সংবাদ দেয়।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর বলেন, সংবাদ পেয়ে এসআই সুমন দেবনাথ সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোলাপগঞ্জ মোড়ে গিয়ে মাদক ক্রয় করা অবস্থায় ওই দুইজনকে আটক করে। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মাদক বিক্রি এলাকা গুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ সময় পৌর প্রশাসক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর বর্মন সরকারি কলেজের ছাত্রদের সতর্ক করে বলেন, কলেজের সামনে গোলাপগঞ্জ মোড়টি বিপদজনক জায়গা। অকারনে সেখানে ঘুরাঘুরি করা এবং কারো ফাঁদে না পরার পরামর্শ দেন। বন্ধু বা বড় ভাইদের পাল্লায় পড়ে ক্ষতিস সম্মুখীন না হওয়াই ভালো জনস্বার্থে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময় এলাকাবাসী নুর ইসলাম জানায়, কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর জন্য এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। উঠতি বয়সের যুবকেরা হচ্ছে ধ্বংস। প্রশাসনের সু-দৃষ্টিতে মাদক মুক্ত এলাকা গড়তে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
-
পঞ্চগড়ে মা-দক কারবা-রিকে ছেড়ে দিলেন চেয়ারম্যান
বাবুল হোসেন,
পঞ্চগড় প্রতিনিধি :পঞ্চগড়ে মাদকসহ আটকের পর কারবারিকে ছেড়ে দিলেন সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম।সোমবার রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এতে এলাকায় চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে,স্থানীয়রা মাদক কারবারিসহ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।মাদক কারবারির নাম আনোয়ার হোসেন দোয়েল (৩৫)। তিনি প্রধান পাড়া এলাকার মৃত ঝেচু মোহাম্মদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান,সোমবার রাতে আনোয়ার হোসেন দোয়েল মাদক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রির জন্য ফুলবর পাড়া এলাকায় যায়।সেখানে স্থানীয় আসাদুর রহমান,মোজাহার আলী,গ্রাম পুলিশ মাসুমসহ কয়েকজন যুবক তাকে আটক করে।পরে তার কাছে থাকা চার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করা হয়।
চাকলাহাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক আসাদুর রহমান জানান,গত কয়েকদিন আগে এলাকায় গরু চুরি গেছে।সবার সহযোগিতায় চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করা হয়েছিল।সেখানে থানার ওসি এলাকার যুবকদেরকে মাদকবিরোধী কমিটি করতে বলেছিলেন।আমরা কমিটি এখনো করিনি, তবে কাজ শুরু করেছি।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মাসুম ইসলাম বলেন,স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় মাদকসহ একজনকে আটক করে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করি।
অভিযুক্ত চাকলাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন,এবারের মতো তাকে শাসন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।তবে এলাকার মাদক কারবারিদের তালিকাসহ চার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট থানায় জমা দিয়েছি।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান বলেন,মাদক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার চেয়ারম্যানের নেই ।তবে চেয়ারম্যান বলেছেন বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে মাদক উদ্ধার করেছেন।তবে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা জানান অতীতে টিআর কাবিটা অনিয়ম।এবং দ্বিতীয় বউকে স্কুলে গিয়ে পিটানো। ভোটে নির্বাচিত হলে অ্যাম্বুলেন্স কিনে দেওয়া পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আসছে।
-
তানোরে জাতীয় ফুল শাপলা বিলুপ্তির পথে
তানোর প্রতিনিধি।।
বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য বহন করে জাতীয় ফুল শাপলা। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে শাপলা ফুল। ছোট বড় সবার কাছে সমাদৃত এ ফুল। যেকোন ডোবা নালায় জন্ম নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। কিন্তু আফসোস! প্রকৃতির বিরুপ প্রভাব, মানব সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতায় বিলুপ্ত হচ্ছে মুক্ত জলাশয় এবং হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা ফুল। শাপলা ফুলের সেই সমারোহ আর চোখে পড়ে না। দিনে দিনে শাপলা-শালুক যেনো একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ দেড় দশক আগেও বড় বড় দীঘি,পুকুর,রাস্তার ধারের নয়নজুলি ও বিলের বুক জুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। শরৎকালে দীঘিতে ও বিলের বুক জুড়ে প্রকৃতি অন্য রকম সাজে সেজে উঠত। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যেত চারদিকে ফুটন্ত সাদা এবং লাল শাপলার সমারোহ। মনে হতো এ যেন শাপলা ফুলের জগৎ। শাপলা ফুল শুধু পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে তা নয় এর রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ। এছাড়া এ ফুলের গাছ শিকড় ও মাথা কিছুই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। শাপলার নরম ডাঁটা, মাথা ও গোড়ায় জন্ম নেওয়া ড্যাপ এবং শালুক সবই মুখরোচক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। শাপলার গাছ বা ডাঁটা পানির গভীরতায় ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। তাছাড়া মাছ-মাংস রান্নায় উৎকৃষ্ট তরকারি হিসেবে এর ডাঁটা বেশ জনপ্রিয়। শালুক আগুনে পুড়িয়ে কিংবা সেদ্ধ করে খাওয়া হয়। আগের দিনে শরতের শেষে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফসলি মাঠের পুকুর-ডোবা ও বিলু জুড়ে শালুক তোলার ধুম পড়ে যেতো। শালুক পোড়া গন্ধ এখনো প্রবীনদের শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। শাপলা, পদ্ম সাধারণত দিঘী বা বিলে ফুটে থাকে। তখন গ্রামের ছেলে-মেয়েরা সাঁতার কেটে এই ফুল তুলে আনত। শাপলাকে দুভাবে কেটে কেটে মালার মতো করে একজন অপরজনের গলায় পড়িয়ে দিত। রসবোধ সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে মহাকালের অতল গহ্বরে। বিশেষজ্ঞদের মতে জলবায়ু ব্যাপক পরিবর্তনে আগের মতো সঠিক সময়ে বন্যা হচ্ছে না। এছাড়া আবাদি জমিতে অপরিমিত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগে অনেক শাপলা বীজ বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মা শালুক বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন করে শাপলার গাছ জন্ম হচ্ছে না। এখন শরৎকাল শেষ হলেও বড় বড় দীঘি ও জলাশয়ে দেশের কোথাও সেই আগের মতো শাপলা-শালুকের দেখা মেলেনা। এ জলজ উদ্ভিদ আজ বিলুপ্তির পথে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দশকে শাপলার অস্তিত্ব কতটুকু টিকে থাকবে তা দেখার বিষয়। অতীতে এমন এক সময় ছিল যখন গ্রাম-বাংলার বিলে-ঝিলে ও ডোবা-নালায় শাপলা ফুলের সমারোহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্ষা থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়ের নিচু জমিতে এমনিতেই জন্মাত প্রচুর শাপলা-শালুক ও ঢ্যাপ। অনেকেই এই সব তাদের খাদ্যের তালিকায় রাখত। শিশুরা তো বটেই সব বয়সের মানুষ রঙ-বেরঙের শাপলার বাহারি রুপ দেখে মুগ্ধ হতেন। এ সময় শাপলা ভরা বিলের মনমাতানো সৌন্দর্যে চোখের পলক ফেলা মুশকিল হতো। দেশের বিভিন্ন জলাশয় থেকে বিলুপ্ত প্রায় শাপলা ফুল। নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর শাপলার প্রতি আকর্ষণ সবার চেয়ে বেশী। বর্ষা মওসুমের শুরুতে এ ফুল ফোটে। খাল, বিল, জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় শাপলা। আবহমান কাল থেকে শাপলা মানুষের খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এক সময় খালে-বিল ও বদ্ধজলাশয় বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা দেখা যেতো। ছোটদের কাছে শাপলা ফুল একটি প্রিয় খেলনার পাশাপাশি অনন্ত সৌন্দের্য্যর আকর্ষণ। শাপলা ফুল বাংলার সাংস্কৃতিতে এক অনন্য রুপ। শাপলাকে রক্ষা করা বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব। শাপলা ফুল বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি ও ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। দেশের বিভিন্ন বিলে অপরিকল্পিত ভাবে অতিরিক্ত পুকুর খনন, কৃষি জমিতে স্থাপনা নির্মানের ফলে শাপলা ফুল আজ বিলুপ্তির পথে। বিভিন্ন বিল ও জলাশয় যেগুলোতে প্রাকৃতিক ভাবে মাছ চাষ হতো সেগুলো এখন পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষের আওতায় নিয়ে আসার কারণে সেখানে আর শাপলা ফুল জন্মাতে পারে না। প্রাচীন কাল থেকেই শাপলার ফল (ঢ্যাপ) দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু খৈ তৈরি হয়। অনেকে শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য হওয়ায় এলাকার লোকজন শাপলা তুলে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বিক্রি করতো। বর্তমান সভ্যতায় মানুষের বাড়তি চাপের কারণে আবাদি জমি ভরাট করে বাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের বানানোর ফলে বিলের পরিমাণ কমে গেছে। যার কারনে শাপলা জন্মানোর জায়গাও কমে আসছে। গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে অহরহ দেখা যেত জলে ভাসা ফুলটি। তবে এখন অযত্ন আর অবহেলায় জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সকালে অথবা চাঁদনি রাতে বিলে-ঝিলে বা জলাশয়ে ফুলটি যখন অনেক ফুটে থাকে, তখন সেখানে এক অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিল, জলাশয় ও নিচু জায়গায় পানি জমা থাকলে সেখানেই প্রাকৃতিক ভাবেই জন্ম নেয় আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। দিন দিন দেশের বিল, ঝিল, খাল, নদী দখল, ভরাট, জমিতে অতি মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে শাপলাফুল। উপজেলা কৃষি কর্মকতা সাইফুল আহম্মেদ জানান, জলবায়ু ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। বর্ষা শেষ না হতেই খাল-বিল ও জলাশয় গুলো শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এলাকায় শাপলা জন্মানোর ক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আবাদি জমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে অনেক শাপলা বীজ বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মা-শালুক বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নতুন করে শাপলার গাছ জন্মাচ্ছে না। ফলে দিনে দিনে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলার বিলুপ্তি ঘটছে। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। এই জাতীয় ফুল রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহলের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন এই জাতীয় ফুল শাপলা রক্ষার।# -
সুজানগরে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত
এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় উৎসবমুখর পরিবেশে পাবনার সুজানগরেও অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কাব কার্নিভাল ২০২৫’। তেজগঁাওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সোমবার (২৩ জুন) সকালে দেশব্যাপী কাব কার্নিভাল এর উদ্বোধন করেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস । এর পরপরই সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় কাব কার্নিভাল এর বর্ণাঢ্য আয়োজন। বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রোগ্রাম বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সুজানগর উপজেলা স্কাউটসের উদ্যোগে আয়োজিত কার্নিভালে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আগত শতাধিক কাব স্কাউট সদস্য অংশগ্রহণ করে। সুজানগর উপজেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় ও স্কাউট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্কাউট সভাপতি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ । স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক খলিলুর রহমান। স্কাউটস লিডার সাহেব আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, কাব লিডার কুতুব উদ্দিন জালাল প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্কাউট সভাপতি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, শিশুদের আত্মবিশ্বাস, দেশপ্রেম ও সৃজনশীলতা বিকাশে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যতেও শিশু-কিশোরদের নিয়ে নিয়মিতভাবে এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।দিনব্যাপী কার্নিভালে কাব স্কাউটদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কুইজ, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, শারীরিক কসরত ও স্কাউটস নীতিনির্ভর বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, স্কাউট লিডার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর প্রতিনিধি।। -
সুজানগরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বীজ, চারা ও সার বিতরণ
এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ, ধান বীজ, রাসায়নিক সার এবং আম, জাম,কঁাঠাল,নারিকেল,নিম,বেল সহ বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বীজ,চারা ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য অফিসার নূর কাজমীর জামান খান, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহিদ হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার লুৎফর রহমান। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে কৃষি উন্নয়নে প্রদত্ত প্রণোদনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাওয়ার জন্য কৃষক-কৃষাণীদের প্রতি আহবান জানান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং খরিফ/২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপজেলার প্রায় ২৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ওই বীজ,চারা ও সার বিতরণ করা হয়।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।