Category: দেশজুড়ে

  • মধুপুরে চলন্তবাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ ঠেকাতে করণিয় বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

    মধুপুরে চলন্তবাসে ডাকাতি ও ধর্ষণ ঠেকাতে করণিয় বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

    আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

    চলন্ত বাসে ডাকাতি ধর্ষণের মতো চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঠেকাতে সব রোডের চলাচল করা প্রতিটি রাতের বাসে যাত্রী, চালকসহ সবাইকে ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মধুপুর উপজেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি।
    রোববার দুপুরে উপজেলা শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে চলন্তবাসে ডাকাতি ধর্ষণ ঠেকাতে পুলিশ, মালিক ও শ্রমিকের যৌথ উদ্যোগের করণীয় বিষয় নিয়ে আয়োজিত বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি মধুপুর প্রান্ত শাখা ও পুলিশ প্রশাসন আয়োজিত ওই সভায় পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
    বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি মধুপুর প্রান্ত শাখায় সভাপতি অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন এতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তৃতা করেন মধুপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহীনা আক্তার, ওসি মাজহারুল আমিন বিপিএম,শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম হাসনাইন বাবুরাজ।
    বক্তাগণ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। তারা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল কার্যক্রম না থাকায় ভিন্ন স্থানে অপরাধ ঘটিয়ে অপরাধীরা নিরাপদ স্থান হিসেবে মধুপুরের এই সড়ক ব্যবহার করে নির্বিঘেœ ভিকটিমদের ফেলে যাওয়ার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
    সহকারি পুলিশ সুপার শাহীনা আক্তার বাস মালিকদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পুলিশী তৎপরতা বাড়ানোর আশ্বাস দেন। তিনি এজন্য সকলের সহযোগিতা পেলে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া অনুরূপ অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি মধুপুর উপজেলা প্রান্ত শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন বলেন, রাতের বেলায় টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ মহাসড়কটি অনিরাপদ হয়ে উঠে। এই সড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল না থাকায় বিভিন্ন স্থানে অপরাধ সংগঠিত করে অপরাধিরা মধুপুরে আলামত রেখে যায়। যার কারণে মধুপুরবাসীর সুনাম ক্ষুন্ন হয়। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নাইটকোচগুলো ভিডিওর আওয়তায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রশাসনিক এবং মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা পেলে যাত্রিদের ভিডিও করার পাশাপাশি মধুপুরের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো সিসিটিভির আওতায় আনা যাবে।

  • মধুপুরের মহিষমারা  নেদুর বাজারে  চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    মধুপুরের মহিষমারা নেদুর বাজারে চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

    আঃ হামিদ মধুপুর প্রতিনিধিঃ

    টাঙ্গাইলের মধুপুরের মহিষমারা ইউনিয়নের নেদুর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ আগষ্ট)দিনব্যাপী চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মধুপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আকাশী আব্দুল হামিদ মেম্মার বিগ্ঙান সেবী ও সমাজ কল্যাণ সংস্হার উদ্যোগে সম্পুর্ন বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা ও ছানি অপারেশনের ব্যাবস্হা করা হয়। উক্ত চক্ষু ক্যাম্পে চিকিৎসার ব্যাবস্হাপনায় ছিলেন ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল জামালপুর শাখা। এসময় সার্বিক সহযোগিতা করেন মহিষমারা নেদুর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষগন।
    চক্ষু ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন মহিষমারা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন, নেদুর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমাম হোসেন, আকাশী সমাজ কল্যান সংস্হার প্রতিষ্টাতা সভাপতি মনিরুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতৃবেন্দ।

  • ফুলবাড়ীতে অভিযোগের পরেও ম্যানেজিং কমিটি গঠনের চেষ্টার অভিযোগ

    ফুলবাড়ীতে অভিযোগের পরেও ম্যানেজিং কমিটি গঠনের চেষ্টার অভিযোগ

    এম এস সাগর,

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উপজেলার চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পায়তারা করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী ও অভিভাবক।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমানের মাধ্যমে কয়েকদিন পুর্বে ম্যানেজিং কমিটি গঠনে তফসীল ঘোষণার পরে অভিভাবক আব্দুল কুদ্দুস অভিভাবক সদস্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন এবং জামানত বাবদ ৫হাজার টাকা জমা দেয়ার দুই একদিনের মধ্যেই তিনি অভিভাবক সদস্য প্রার্থী থেকে লিখিতভাবে প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমানের সহযোগিতায় আব্দুল কুদ্দুস প্রভাব খাটিয়ে এমপি ডিও লেটারের নামে বিধিমালা বহির্ভূত করে অতি গোপনে বিদ্যালয়ের বিদুৎসাহী সদস্য হয়েছেন। এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সু-কৌশলে পরিকল্পিতভাবে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য তফসীল ঘোষণা এবং হঠাৎ করেই (১৭আগষ্ট) কমিটির নির্বাচন নির্ধারণ করেন। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আব্দুল কুদ্দুস আবেদন করেন এবং তাকেই সভাপতি নির্বাচিত করতে প্রধান শিক্ষক বিভিন্নভাবে পায়তারা করে আসছেন। উল্লেখযোগ্য আব্দুল কুদ্দুস ইতিপূর্বে অভিভাবক সদস্য পদে প্রার্থীতা প্রতাহার করার পরেও নিয়মনীতি অমান্য করে বিদুৎসাহী সদস্য হয়ে আবারও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে নানাভাবে সড়ষন্ত্র করে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক লুৎফর রহমান লাভলু অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করাসহ তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফুলবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিরব রয়েছেন।

    সভাপতি প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নি।

    চন্দ্রখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলে রহমান জানান, আমার বিদ্যালয় আমি কিভাবে ম্যানেজিং কমিটি করবো সেটা আমাদের বিষয়।

    অভিযোগকরী অভিভাবক সদস্য লৎফর রহমান লাভলু বলেন, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি যাতে বিধি মোতাবেক হয়। সে জন্যই অভিযোগ করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    রংপুর শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটি গঠন হবে না। কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • কুড়িগ্রামের স্কুলে চলছে পাঠদান, নেই তেমন শিক্ষার্থী তবুও এমপিওভুক্তি

    কুড়িগ্রামের স্কুলে চলছে পাঠদান, নেই তেমন শিক্ষার্থী তবুও এমপিওভুক্তি

    এম এস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের মাধ্যমিক স্কুলে চলছে পাঠদান, নেই তেমন শিক্ষার্থী তবুও এমপিওভুক্তির তালিকায় ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়গুলোতে সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম আছে শুধু কাগজ কলমে। বিভিন্ন স্কুলের ঝড়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের ভর্তি দেখানো হয়েছে স্কুল হাজিরা খাতায়। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরে কাগজে কলমে দেখানো হচ্ছে ব্যপক শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে উঠছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।

    গত ৬জুলাই সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রাম জেলায় ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। এসব এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলার বানূরখামার নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, চন্ডিপুর আদর্শ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মমিনগঞ্জ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আস্করনগর এ এস নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ঘর স্থাপন করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত না করেই এমপিওভুক্তির জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষায় থাকেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে স্কুলগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম আছে শুধু কাগজ কলমে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গা থাকলেও ভবন এবং পাঠদানের জন্য উপযুক্ত ছিলো না কোনো শ্রেণিকক্ষ আর ছিলো না শিক্ষার্থী। পাঠদান তো দুরের কথা নিয়মিত করেনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বানূরখামার নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, চন্ডিপুর আদর্শ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মমিনগঞ্জ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আস্করনগর এ এস নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় আধা পাকা ঘরের কক্ষগুলো সংস্কার করে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে জোরেসোরে চলছে পাঠদান। শ্রেণিকক্ষের চেয়ার-বেঞ্চ এখনো অনেকটা এলোমেলো।

    স্থানীয় সহিদুল ইসলাম, আঃ গফুর, মাগফুর রহমান, মোসলেম উদ্দিন, সবুজ, রফিকুল ইসলাম, রিয়াজুল হক সহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, বানূরখামার নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক গত ২০০৩সালে স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় দেখালেও মূলক ২০১৩সালে আধা পাকা ঘর তুলে বেশ দুই বছর পাঠদান করার এক পর্যায়ে বেতন-ভাতা না থাকায় অটো শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী শেষমেশ চাকরী বাদ দিয়ে অন্য পেশায় নিযুক্ত হন। জহুরুল হক নাগেশ্বরী ডিএম একাডেমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরী করে আসার পাশাপাশি বানূরখামার নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাগজে কলমে পাঠদান আর বিদ্যালয় পরিচালিত করতেন। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক তদবির করে প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে এনে বর্তমানে বেকডেটে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিতে অর্থ বানিজ্যর মাধ্যমে ফায়দা লুটছেন।

    চন্ডিপুর আদর্শ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা না পাওয়ায় স্কুল বন্ধ করে দিয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে অন্যত্র কাজ করতেন। এ সুযোগে অত্র প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ১০টি বছর নুরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম চলতো। একজন জন-প্রতিনিধির মাধ্যমে তদবির করে অবশেষে স্কুল এমপিওভুক্ত হয়। আবারো প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যর পায়তারা করছেন।

    মমিনগঞ্জ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোন ঘর না থাকায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস নিজের জমিতে কৃষি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। চলতি বছর ঢাকা গিয়ে তদবির করে বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করেন। প্রধান শিক্ষক স্কুল চালাতেন কাগজে কলমে ও ছিলোনা ভবন। তবে চলতি বছর বল্লভেরখাস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক এলজিএসপির উন্নয়ন খাতের প্রকল্প দিয়ে একটি টিনসেট ঘর নির্মাণ করে দেন। তিনিও শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যে ব্যস্ত।

    আস্করনগর এ এস নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল হকের একই অবস্থা। নেই বিদ্যালয়ে পাঠদান শুধু প্রতিষ্ঠান চলছে কাগজে কলমে।

    বানূরখামার নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল হক বলেন, বিদ্যালয় নিয়ে অনেক ব্যস্ত কথা বলার সময় নেই।

    চন্ডিপুর আদর্শ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোস্তম আলী বলেন, ইতিপূর্বে টিনশেড ঘর ভেঙে যাওয়ায় স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো তাই বিদ্যালয়ে নুরানী ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা চলতো। প্রতিষ্ঠানে এমপি এসেছে। আমাদের ভয় কিসের।

    মমিনগঞ্জ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতা না থাকা সহ কোন ঘর না থাকায় অনেকদিন ধরে পাঠদান করতে পারিনি। এখন থেকে নিয়মিত পাঠদান করবো।

    আস্করনগর এ এস নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল হক বলেন, আপনাদের যা লেখার লেখেন বুঝেন তো আমাদের প্রতিষ্ঠান এখন এমপিওভুক্ত। সংবাদ প্রচারে কি আর হয়।

    নাগেশ্বরী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্র তদন্ত সাপেক্ষে উদ্ধর্তন কর্মকর্তা কে অবহিত করা হবে।

    রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মোঃ আখতারুজ্জামান জানান, এমপিওভুক্তির তালিকায় নাম আসলেই যে প্রতিষ্ঠান বেতনভুক্ত হবে এমনটির কোন নিশ্চয়তা নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অভিযোগ পাবো সেসব প্রতিষ্ঠান আরও যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।

  • নাগেশ্বরীতে ক্রয়কৃত দখলিও জমির গাছ ও টিনের ঘর উধাও

    নাগেশ্বরীতে ক্রয়কৃত দখলিও জমির গাছ ও টিনের ঘর উধাও

    এমএস সাগর,
    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    নাগেশ্বরীর বানুরখামার জামে মসজিদ সংলগ্ন মাহা আলম মিয়ার ক্রয়কৃত ও দখলীয় জমির গাছ ও টিনের ঘর সহ টিনের বেড়া শনিবার রাতে দুর্বৃত্তরা লুটপাট করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    অভিযোগ ও ভুক্তভুগী সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার গোদ্ধারের পাড় এলাকার মৃত ইসমাইল হোসেনের পুত্র মাহা আলম মিয়া গত ২০০৮সালে পার্শ্ববর্তী বানুরখামার গ্রামের মৃত পোয়ালু সেক ও সাজোঁ বেওয়ার কন্যা হালিমা বেগমের কাছ থেকে ৪৮৪নম্বর দলিল মুলে ২৭জানুয়ারি ২০০৮সালে বানুরখামার মৌজার খতিয়ন নম্বর এসএ- ৩৩৯, ৫০৫, ৪৯০, ৩৪২, ডিপি- ১৪৭১, ১৫২ ভুক্ত ৪৮ ও ৩৮ দুই দাগ মোট ১৫শতক জমি সাফ কবলা করে নেন এবং তখন থেকে উক্ত জমি ভোগ দখল করে আরছেন । এদিকে উক্ত জমির উপরে লোভে বসিভূত হয়ে বানুরখামার এলাকার পোয়ালুর সেকের পুত্র আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে জোরপূর্বক উক্ত জমি দখলের পায়তারা করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত (১৩ আগস্ট) শনিবার দিবাগত নিশি রাতে আনোয়ার হোসেন তার দলবল নিয়ে উক্ত জমির গাছ, টিনের ঘর ও টিনের বেড়া লুটপাট করে নিয়ে যায়।

    গোদ্ধারের পাড় এলাকার শহিদুল ইসলাম, নূরনবী, হাসেম আলী, বেলাল হোসেন, তারা মিয়া, শাহিনুর রহমান বলেন, ২০০৮সাল থেকে উক্ত জমির মালিক মাহা আলম মিয়া ওই জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে টিনের ঘর তুলে এবং গাছ লাগিয়ে জমি ভোগ দখল করে আসছেন। শনিবার রাতে আনোয়ার হোসেন উক্ত জমির উপরে টিনের ঘর, টিনের বেড়া ও গাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়।

    অভিযোগকারী ও জমির ক্রয়দাতা মাহা আলম মিয়া জানান, জমি কেনার পর থেকে ওই জমি ভোগ দখল করে আসছি। গত দীর্ঘ দুই বছর থেকে আনোয়ার হোসেন উক্ত জমি অবৈধভাবে দখল করতে বিভিন্নভাবে সড়ষন্ত্র করে আসছেন। শনিবার রাতে আমার দখলিয় জমির উপরে থাকা টিনের ঘর, টিনের বেড়া ও গাছপালা লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করছি।

  • পঞ্চগড়ে হিজাব কান্ড  সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক

    পঞ্চগড়ে হিজাব কান্ড সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাকোয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
    রোববার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১.৮ মিনিটে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান এ বরখাস্ত করেন।
    জানা যায়,অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারি প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলমের কাছে ৭ আগস্ট লিখিত জবাব চান স্কুল কর্তৃপক্ষ।
    ১৪ আগস্ট বেলা ১১ টায় লিখিত জবাব দেন তিনি। পরে স্কুল পরিচালনা কমিটির কাছে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ১১.৮ মিনিটেই করা হয়েছে যা জবাব ও সাময়িক বরখাস্তের কপিতে উল্লেখ রয়েছে।
    স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান জানান, সহকারি প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
    উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ে হিজাব পড়ে গেলে ক্লাসে শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম তাদেরকে হিজাব পড়ার কারনে অসৌজন্যমুলক আচরন করে, ক্লাসের বিষয় বাদে অন্যকোন ব্যক্তিগত ও দলীয় আলোচনা করেন। প্রধান শিক্ষক বরাবরে ২৮ জুলাই এ অভিযোগ করেন তিনজন ছাত্রী।

  • চট্টগ্রামের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ নামে বিশেষ দল গঠন,মেয়র  রেজাউল করিম

    চট্টগ্রামের ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ নামে বিশেষ দল গঠন,মেয়র রেজাউল করিম

    মোঃ শহিদুল ইসলাম
    সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ

    স্থাপনা উচ্ছেদ এবং দখলমুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান চালায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। সকালে অভিযান চালালে বিকেলে জায়গা আবারও দখল হয়ে যায়। এ অবস্থায় জায়গা পুনরায় দখল রোধে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ বা বিশেষ দল নিয়ে মাঠে নামছে চসিক।

    আজ ১৪ আগস্ট, চট্টগ্রাম নগর
    মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ নামে বিশেষ এই দলের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন,
    নগরের সড়ক ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ নামে বিশেষ দল গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। আজ রোববার এই বিশেষ দলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরের টাইগারপাসে অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

    সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোবারক আলী সাংবাদিকদের বলেন, পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ২০ জন কর্মী বাছাই করে এই দল গঠন করা হয়েছে। তারা নগরের ফুটপাত ও সড়ক দখল হয়েছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবে। এ ছাড়া উচ্ছেদ করা জায়গা পুনরায় দখল হয়েছে কি না, তারও খোঁজ রাখবে। এ জন্য তাদের গাড়িসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেবে।

    সিটি করপোরেশন পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নগরের সড়ক ও ফুটপাত দখলদারমুক্ত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সকালে অভিযান চালানোর পর বিকেলে আবারও তা দখল হয়ে যায়। এ অবস্থায় উচ্ছেদ করা স্থান পুনর্দখল রোধে বিশেষ দল কাজ করবে। তারা পুনর্দখলে যাওয়া জায়গায় সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।

  • বানারীপাড়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    বানারীপাড়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

    বানারীপাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা।। রবিবার সকাল ১০ টায় বানারীপাড়া উপজেলা বিআরডিবি মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা রুপান্তরের আয়োজনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও তথ্য যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নিবাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা, বিশেষ অতিথি উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এস মিজানুল ইসলাম। প্রশিক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করেন রপান্তরের বরিশাল বিভাগীয় কর্মসূচি সমন্বয়কারী রাবেয়া বশরী। প্রশিক্ষক ছিলেন উপজেলা আইসিটি’র সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ হাফিজ আল আসাদ, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর। উপস্থিত ছিলেন রুপান্তর জেলা সমন্বয়কারী নুর-ই- আজম হায়দারী, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সমন্বয়কারী ঝুমু কর্মকার, জেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মুনজিলা, উপজেলা সমন্বয়কারী বিলকিস খানম প্রমূখ। প্রশিক্ষণে অপরাজিতারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি হতে পারে সেজন্য তথ্য যোগাযোগ ব্যবহার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কিভাবে সহযোগিতা নিতে পারে সে প্রসঙ্গে বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়।#

    এস মিজানুল ইসলাম
    বানারীপাড়া, বরিশাল।।

  • সংবাদ প্রচারের পর শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসা এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ

    সংবাদ প্রচারের পর শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসা এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ

    কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার নানা বিষয়ে একাধিকবার দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রচারের পর প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রজ্ঞাপন মতে সুপার শাহনুর আলম।

    কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদরাসার মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার স্থানীয়র দাপটে শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসায় সুপার সেজে ১২জন শিক্ষক-কে চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ অত্র মাদরাসার সুপার শাহনুর আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারার বিষয়ে একাধিকবার দৈনিক পত্রিকায় ও অনলাইনে বন্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার হলে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নজরে এলে তারা তৎতক্ষণিক সকল ঘটনার অবসান করে প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত অন্তর্ভুক্তসহ শাহনুর আলম কে সুপার পদে বহাল করে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নির্বাহী কমিটি গঠনে ২জানুয়ারী ২০২২খ্রিঃ ১২৭৯স্মারকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়ার বইছে আনন্দের বাতাস। প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ হওয়ায় নিজেকে সুপার পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আবারো শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারা করছেন মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসায় সহ-মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ সরকারি ঘোষণার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

    সহকারী শিক্ষকরা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ও জাতীয়করণ সরকারি ঘোষণার পর থেকে আমিনুল ইসলাম মাদ্রাসা এসে অফিস দখল করে নিজেকে সুপার দাবি করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটে আসছেন।

    মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবেদ আলী বলেন, আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় চাকরীর বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

    শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগে আমিনুল ইসলাম গত ৩০জুন ২০১৮সালে জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল কাদেরের উপস্থিতে স্বহস্তে লিখিত ইস্তেফা দেন তিনি। প্রতিষ্ঠান সরকারী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মাদরাসার অফিস কক্ষ দখল করে শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।

    মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদরাসায় সহ-মৌলভী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় চাকরী ছাড়িনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে আইনি যা করার করতে পারে।

    ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস বলেন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম।

    জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল আলম জানান, প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত অন্তর্ভুক্তসহ শাহনুর আলম কে সুপার পদে বহাল করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নির্বাহী কমিটি গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।

  • শৈলকুপায় বাস চাপায় বাইসাইকেল আরোহী কৃষক নিহত

    শৈলকুপায় বাস চাপায় বাইসাইকেল আরোহী কৃষক নিহত

    ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
    ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আসাননগর নামক স্থানে বাস চাপায় আইয়ুব শেখ (৫০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছে। রোববার সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপা উপজেলার ওই স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ুব শেখ দুধসর গ্রামের মৃত হানিফ শেখের ছেলে। নিহতের ছেলে রাসেল শেখ জানান, রোববার সকালে ভাটই হাটে বাজার করতে যায় তার পিতা। বাজার শেষে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জেসমিন আরা বলেন, আইয়ুব শেখ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলো। হাসপাতালে আসার ১ ঘন্টা পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঝিনাইদহের আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর ঘাতক যানটি পালিয়ে গেছে। মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরিবার থেকে অভিযোন না থাকলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

    ঝিনাইদহ
    আতিকুর রহমান।।