Category: দেশজুড়ে

  • কাঁঠালের যুবনেতা হেলালকে আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

    কাঁঠালের যুবনেতা হেলালকে আ’লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    দীর্ঘ প্রায় ১৯বছর পর গত ২১শে জুলাই সম্পন্ন হয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এতে আবুল কালাম মোঃ শামসুদ্দিন কে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।এবার দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার দেখা দিয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে। ইতিমধ্যে পদ প্রত্যাশিতরা লবিং-গ্রুপিং এ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

    এদিকে উপজেলা কাঁঠাল আওয়ামীলীগের আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নজুরে বইছে উৎসবের আমেজ। চলছে ব্যানার,ফেষ্টুন ও তোরণ নির্মাণ। যত দিন ততই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের মাঝে নেতৃত্ব নির্ধারণে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কে হচ্ছেন? কাঁঠাল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে আরো শক্তিশালী ও সক্রিয় করতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ানকে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসাতে চান তৃণমূল নেতাকর্মীগণ। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আত্ম প্রকাশ করেছেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ পদের প্রার্থী হিসেবে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও ইউনিয়ন যুবলীগের বর্তমান সভাপতি মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান। ছাত্রজীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি , সামাজিক ও ক্রীড়া সংঘঠনের সফল ভাবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছেন সামনের সাড়িতে। তৎকালীন জোট সরকারের সময়ে বিভিন্ন নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান।

    বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কাঁঠাল ইউনিয়ন শাখার সভাপতি পদে সফলতার সাথে দ্বায়িত পালন করছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি অন্যান্যদের চেয়ে কম নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে সততা ও সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন। সামাজিক ভাবে তিনি ইউনিয়নের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সফল ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে পেশায় তিনি একজন ১ম শ্রেণির সরকারি ঠিকাদার।

    কাঁঠাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান কে নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আলোচনার ঝড়। প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে তার জনপ্রিয়তা ও সমর্থক গোষ্টী। পাশাপাশি প্রচারনায় রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্ধ। সৎ ও যোগ্য প্রার্থীর মাপকাঠিতে মিজানুর রহমান হেলাল দেওয়ান দলমত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নেতাকর্মীদের মনে ঠাঁই করে নিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, আমরা চাই একজন যোগ্যপ্রার্থী, সৎ ও কর্মঠ এবং ভাল মানুষ, যার মাধ্যমে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। মাদক ও নেশা মুক্ত সমাজ গঠিত হবে। মাদক,ইভটিজিং, সন্ত্রাস মুক্ত, আধুনিক কাঁঠাল ইউনিয়ন গঠন হবে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হবে। এমন প্রত্যাশায় সম্মেলনের দিন গুনছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

  • বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
    গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দছিজল হক (৬২) নামের এক ভূক্তভোগী। সে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।
    বৃহস্পতিবার আগস্ট দুপুরে সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, বার-বার মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমারা পৈতৃকমূলে ৭ বিঘা ২ শতাংশ জমি পাই। ১৯৭৬ সালে আমার বাবা আজিম উদ্দিন সকল সম্পত্তি আমার জেঠাতো ভাই মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল ওরফে পিশাচ (৮০)কে বর্গা দিয়ে স্বপরিবারে ঢাকায় যায়। পরে ১৯৭৭ সালে আমার বাবা আজিম উদ্দিন সেখানে মারা যান। বাবা বেঁচে থাকাকালিন সময়ে জলিল জমির ফসলের ভাগ দিতেন। এরপর ১৯৮৫ সালে আমরা দশ ভাই-বোন পৈতৃক ভিটায় এসে জমি ফেরত চাইলে জলিল পিশাচ জমি কিনেছেন বলে জানান। এ অবস্থায় জমির দলিল দেখতে চাইলে তিনি হুমকিসহ মারধরের চেষ্টা চালালে আমরা নিরুপায় হয়ে ১৯৮৯ সালে স্বপরিবারে আবারও ঢাকায় যাই। এই সুযোগে আমাদের বসত ভিটার ঘরসহ আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে জলিল মিয়া হলুদ চাষসহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করে। বিষয়টি জানার পর আমরা ঢাকা থেকে আসলে আমাদেরকে পৈতৃক ভিটায় উঠতে দেয়নি। এমতাবস্থায় আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে থেকে জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর একপর্যায়ে ২০২১ সালে ওই জমিতে থাকা আমার স্ত্রীসহ পাঁচজনের কবর সরাতে চাপ দেন জলিল পিচাশ। তখন উভয়ের পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংঙ্কা দেখা দিলে গ্রামবাসীর উদ্যোগে গত ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর একটি শালিশ হয়। এতে জলিল কোন প্রকার কাগজ দেখাতে না পেরে এক মাসের সময় নিয়ে ছলচাতুরির মাধ্যমে ১২ অক্টোবর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় বসত ভিটার ৭৫ শতাংশ জমির উপর গোপনে মামলা করেন। মামলার নথিপত্র তুলে দেখা যায় অন্যের জমির কাগজপত্র দিয়ে মামলা করেছে। পরে মামলার বিষয়টি সালিশী বৈঠকে জানানো হলে ৪ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়াসহ এলাকাবাসী জমি পরিমাপ করে বসত বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি বুঝে দেন। এরপর টিনের চালা উত্তোলন করলে সেই রাতেই প্রতিপক্ষ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। পরে আমরা বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ গিয়ে তা ভেঙ্গে দেয়। বাধ্য হয়ে আমরা ১৬০ শতাংশ আবাদি জমি দখলে নিয়ে সরিষার আবাদ করি। এরপর ওই জমির ওপর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা করেন জলিল পিচাশ। পরে জলিল পিশাচ আবারও চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি সমস্ত জমির ওপর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। এছাড়া জমিতে লাগানো ধানের চারা উবরে ফেলার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীসহ প্রতিহত করে জলিল পিশাচসহ ১১জনকে ধরে থানা পুলিশে সোপর্দ করি। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল থানার এসআই রাশেদ একটি সালিশী বৈঠক করেন। এতে জলিল পিশাচ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তিনি আমাদেরকে ধান কাটার অনুমতি দেয়। আমরা ধান কাটতে গেলে তারা আমাদেরকে মারপিট করলে আমিসহ চারজন গুরুতর আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। এঘটনায় চলতি বছরের ২ মে থানায় একটি মামলা দায়ের করি। জলিল মিয়াও পাল্টা মামলা করেন। এছাড়া জলিল মিয়া গত ৪ আগস্ট ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় আরও একটি মামলা করেন। ১৪ আগস্ট ভাঙচুরের অভিযোগ এনেও মামলা করেন। জলিল পিশাচ বারংবার মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানী করায় আমরা পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জলিল পিশাচ, তার স্বজন ও পুলিশী হয়রানী থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার মেয়ে জাহানারা বেগম, জামাতা জাহেদুল ইসলাম ও ছোটবোন নুরজাহান বেগম উপস্থিত ছিলেন।

  • বরগুনার তালতলীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

    বরগুনার তালতলীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

    মংচিন থান বরগুনা প্রতিনিধি।।
    বরগুনার তালতলীতে আবদুল লতিফ ফকির (৬০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার(১৮ আগস্ট) বিকাল ৩ টার দিক উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের উত্তর চরপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল লতিফ ফকির ওই গ্রামের মৃত ওছিমদ্দিন ফকিরের ছেলে।

    প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, আবদুল লতিফ ফকির বিকালে তার কয়েকটি গরু নিয়ে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বাড়ির কাছে মাঠে নিয়ে যান। বিকেলের দিকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একপর্যায়ে বিকট শব্দের বজ্রপাত হলে কৃষক আবদুল লতিফ ফকির ঘটনাস্থলেই মারা যান। তবে তার গরু গুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।

    পরে মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন।

    তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, বিকেলে ঔ কৃষক তার গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

    মংচিন থান
    বরগুনা প্রতিনিধি।

  • বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

    বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধায় বাবা কর্তৃক তার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ধর্ষক পিতা (৪৫) জেলার সদর ইউনিয়নের সাতমেড়া ইউনিয়নের সাহেবীজোত গ্রামের
    স্থায়ী বাসিন্দা। সে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় পাথর ভাঙা মেশিনে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন।

    এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা এমন অভিযোগ তুলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) মামলা করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে

    পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরুর পর ঘটনার শিকার ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

    তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, বাবার বিরুদ্ধে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসংশোধনী ২০০৩ এর ধরায় মামলা রজু করা হয়েছে।

    পাথর শ্রমিক ওই মা বলেছেন,স্বামীর ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে তার। ১৭ বছর আগে সে অভিযুক্তকে বিয়ে করেন তিনি। স্বামীকে নিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। মেয়েটি দিনাজপুরে একটি মাদ্রায় অধ্যয়নরত ছিলেন।গত কুরবানির ইদের আগে বাংলাবান্ধায় আসার পর সেখানেই ছিল কিশোরী।

    মামলার এজহার অনুযায়ী,গত মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) সকালে অভিযোগকারী ওই মা তার নানার বাড়ি দশমাইলে বেড়াতে যান।পরে তিনি বাড়িতে এসে দেখেন যে, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়েটি শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ঘরের এক কোনে পড়ে আছে।

    তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, তার বাবার তাকে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের কাছে ঘটনা শোনার পর তার মা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া মডেল থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত ওই বাবাকে গ্রেফতারের চেস্টা চালাচ্ছে।

    জানা গেছে,পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সংলগ্ন ঝাড়ুয়াপাড়া গ্রামে ওই পরিবারটি বসবাস করে। অভিযোগকারী ওই নারীর সাথে তার স্বামী ও মেয়ে থাকেন।গত মঙ্গলবার কিশোরীর মা তার নানার বাড়িতে গেলে বাড়িতে একা পেয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন তার স্বামী।

  • বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

    বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়:
    সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।

    বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই- খুদা মিলন।

    তিনি জানান, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

    এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর শনিবার (২০ আগস্ট) যথারীতি আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।

    এদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, ইমিগ্রেশন) নজরুল ইসলাম বলেন, দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

  • জয়পুরহাটে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    জয়পুরহাটে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    রিদয় হোসেন(সদর জয়পুুরহাট) প্রতিনিধিঃ-

    মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগে সাবেক স্ত্রী সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট মডেল প্রেস ক্লাবে বুধবার (১৭ আগষ্ট) এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ভুক্তভোগী।

    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আঃ রাজ্জাক বলেন, জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা সদরে ব্যবসার সুবাদে গত ০৩ নভেম্বর ২০১৬ সালে পারিবারিক ভাবে আহম্মেদাবাদ বোড়াই গ্রামের শফিকুলের মেয়ে সুমি আক্তারকে দুই লক্ষ্য টাকা কাবিন মূলে বিয়ে করি। বিয়ের পর সে কোন দিন স্বামীর বাড়িতে আসেন নাই। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গরা সমজতার জন্য প্রস্তাপ দিলে সুমি ও তার মামা আলী আনসারের দাবি তাদের মেয়ে খুতা হইছে র্মমে তিন লক্ষ্য পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে। পরে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টম্বর তাদের নিজ বাড়িতে নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন ও যৌতুক আইনে একটি মিথ্যা পিটশন মামলা করে।

    আমার বাবা মরন ব্যধি ক্যন্সার ও কিডনী রুগে আক্রন্ত ছিলেন। তাকেও এই মিথ্যা মামলায় জরানো হয়। এসব মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে আমার অসুস্থ বাবাকে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে ও খাওয়াতে পারিনি। এমতাবস্থায় আমার বাবা ২০২২ সালের ২রা মার্চ মৃত্যু বরণ করেন।

    উক্ত মামলায় তথ্য গোপন করা হয় এবং শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে জয়পুরহাট বন্ধন ক্লিনিক হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের একটি ব্যবস্থাপত্র উপস্থান করা হয়। মামলায় বেশ কিছুদিন ভোগান্তির পর ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি এ ধরনের কোনো ব্যবস্থাপত্র ইস্যুই করেননি। অর্থাৎ জালিয়াতির মাধ্যমে ওই ব্যবস্থাপত্র তৈরি করা হয়েছিল। সে একজন মামলাবাজ নারী৷ তিনি নিজেই বাদি হয়ে তিনটি মামলা করেছেন৷

    দ্বায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সুমি আক্তার বগুড়া আজিজুল হক কলেজের২০১৮/১৯ শিক্ষা বর্ষের কথিত ছাত্রী সে তথ্য প্রযুক্তি আইনে ৮(২) ধারায় পর্নোগ্রাফি মামলায় দীর্ঘদিন বগুড়া জেলা কারাগারে ছিলো।

    স্বামী স্ত্রী থাকা অবস্থায় সুমি আক্তার পরকীয়া প্রেমের আসক্ত ছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছর মামলা চলার পরে শুনানী অন্তে বিঙ্গ আদালত আমাকে ১৬/২/২০২১ ইং তারিখে আমাকে বেখসুল খালাস প্রদান করেন।

    এসকল মিথ্যা মামলার কারনে আমার যথেষ্ট মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে এবং উক্ত কারনে আমি সরকারী ও বেসরকারী কোম্পানি চাকুরীতে সুযোগ হারিয়েছি এবং আমার স্থায়ী ব্যবসা যাহা সে ৩য় পক্ষের দ্বারা যবর দখল করিলে আমি কর্মহীন হয়ে পড়ি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল৷ সম্পদ বলতে আমার কিছুই নেই৷ উভয় পক্ষে শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে গত ৮/১/২০ সালে ১৩৬ হলফ নামায় তিনসো টাকার ননজুডিশিয়াল ট্যম্পে ৬ নং দফায় দেনমহর সহ খোরপ বুঝুিয়ে দিয়ে সমঝতা করা হয় যা দৈনিক চাদনিবাজার প্রত্রিকার প্রকাশ হয়েছে অন্যায় ভাবে লাভের আসায় মামলা চলমান রেখে হয়রানী করা হচ্ছে৷

    স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকেই প্রান হারিয়েছে স্যোসাল মিডিয়া তার স্বাক্ষী৷ কোন পুরুষ নির্যাতিত হলে তারও আইনি সুরক্ষা থাকা উচিত, দুঃখজনক হলেও সত্য নারীর সুরক্ষার জন্য আইনগুলো তৈরি হলেও বর্তমানে এ আইনগুলোকে কিছু নারী পুরুষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সামান্য কিছুতেই স্বার্থন্বেষী কিছু নারী স্বামীদের নাজেহাল করতে এসব আইনের অপপ্রয়োগ করছেন। অন্যদিকে দেশে ‘পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ’ আইন এখনও সৃষ্টি হয়নি। এসব কারণে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আমরা পুরুষ।আমি সারা বাংলাদের নির্যাতিত পুরুষের জন্য আইন চাই এই আইন বলবত হলে মিথ্যা মামলা করতে কেউ সহস পাবে না।

    আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইন মন্ত্রীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং ন্যায়বিচার চেয়ে আমার নামীয় সকল মিথ্যা মামলার পুনঃতদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
    আমি এসব হয়রানী ও মানহানির পাল্টা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি এবং খুব শীঘ্রই বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হবো৷

    এবিষয়ে জান্তে চাইলে সুমি আক্তার বলেন মামলায় হারজিত থাকতেই পারে আমাকে হয়রানীর করার উদ্দেশ্য কেউ সংবাদ সম্মেলন করতে পারে৷ রাজ্জাকের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই৷

  • গোদাগাড়ীতে হাতপাখা শেষ ভরসা, লাগানো ধানের  জমি  সেচের অভাবে ফেঁটে যাচ্ছে।

    গোদাগাড়ীতে হাতপাখা শেষ ভরসা, লাগানো ধানের জমি সেচের অভাবে ফেঁটে যাচ্ছে।

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারণে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কদর বেড়েছে হাতপাখা, মমবাতি ও কেরোসিন তেলের দাম। জনপদে দিন-রাত চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ কতক্ষণ থাকে না থাকে তা কেউ জানেন না। বিদ্যুৎ থাকছে অল্প সময়। চলে যাচ্ছে বারবার। এই যাওয়া-আসার খেলায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড খরতাপ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট এলাকাবাসী। এ অবস্থায় গরম থেকে রক্ষা পেতে উপজেলাগুলোতে বেড়েছে হাতপাখা, মমবাতি ও কেরোসিন তেলের কদর। বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ, মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন।দেশিয় উপায়ে তৈরি এই হাতপাখা খুব বিক্র হচ্ছে। জেলা-উপজেলার বাসিন্দারা বলেন, দিনে বিদ্যুৎ কতবার যায় আর আসে, তার কোনো হিসাব নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন আসবে কেউ জানে না। এই প্রচন্ড গরমে হাতপাখা ছাড়া উপায় কি? এলাকাবাসী জানান, কোনো উপায় না পেয়ে হাতপাখাই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা। হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে কোনোমতে শরীর রক্ষা করছেন বলে জানান তারা। এদিকে হাটবাজারে হাতপাখা বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েকগুণ বলে জানান ব্যবসায়গণ। তাছাড়া অনেকে হাতপাখা ও মমবাতি ফেরি করে বিক্রি করছে।
    দোকানদারগন জানান, প্রতিদিন হাতপাখার চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া গ্রামে গৃহস্থরা এক সময় ফসল ঘরে তোলার ফাঁকে নিজেদের ব্যবহারের জন্য অবসর সময়ে হাতপাখা তৈরি করতেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকায় হাতপাখা তেমন আর তৈরি হতো না গ্রামে। কিন্তুু ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আবার গ্রামের লোকজন নিজ হাতে শরীরে বাতাস করার জন্য হাত পাখা তৈরি শুরু করছেন। প্রবল খরা এদিকে অন্য দিকে ভয়াবহ বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে বরেন্দ্রভূমিতে লাগানো রোপা আমন ধান সেচের অভাবে মরে যাচ্ছে, জমিতে ফাটল পেটে যাচ্ছে, গভীর রাত পর্যন্ত কৃষকদের ডিপটিউলের পাশে লম্বা লাইন দিয়ে পানির অন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে পানি না পেয়ে সকালে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসছেন। কেন না বেশিরভাগ ডিপটিউবলের ড্রাইভারগণ নিজেদের খেয়াল খুশিমত পানি দিচ্ছেন। নিমঘুটুতে ২ জন আদিবাসীকৃষক মারা যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডিপ ড্রাইভার গ্রেফতার হওয়ার পর ড্রাইভারগণ কিছুটা কৃষকদের সাথে ভাল ব্যবহার করলেও এখন আবার শুরু করেছে কৃষকদের উপর অকথ্য নির্যাতন। বিভিন্ন খোড়া যুক্তিতে বিঘাপ্রতি টাকা উত্তোলন করে থাকেন গরীর কৃষকদের নিকট হতে। টাকা না দিলে পানি বন্ধ করে দেয়ারও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। উত্তোলনকৃত টাকা কোন স্বচ্ছ হিসেব থাকে না নামমাত্র খরচ করে সব লুটপাট হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ। গত বুধবার গোদাগাড়ী উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় ডিপটিউবল ড্রাইভারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমান হলে চাকুরি থেকে ছাঁটাইসহ শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • গোদাগাড়ীতে হাতপাখা শেষ ভরসা, লাগানো ধান জমি  সেচের অভাবে ফেঁটে যাচ্ছে।

    গোদাগাড়ীতে হাতপাখা শেষ ভরসা, লাগানো ধান জমি সেচের অভাবে ফেঁটে যাচ্ছে।

    মোঃ হায়দার আলী রাজশাহী থেকেঃ বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কারণে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কদর বেড়েছে হাতপাখা, মমবাতি ও কেরোসিন তেলের দাম। জনপদে দিন-রাত চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুৎ কতক্ষণ থাকে না থাকে তা কেউ জানেন না। বিদ্যুৎ থাকছে অল্প সময়। চলে যাচ্ছে বারবার। এই যাওয়া-আসার খেলায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড খরতাপ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট এলাকাবাসী। এ অবস্থায় গরম থেকে রক্ষা পেতে উপজেলাগুলোতে বেড়েছে হাতপাখা, মমবাতি ও কেরোসিন তেলের কদর। বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ, মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুন।দেশিয় উপায়ে তৈরি এই হাতপাখা খুব বিক্র হচ্ছে। জেলা-উপজেলার বাসিন্দারা বলেন, দিনে বিদ্যুৎ কতবার যায় আর আসে, তার কোনো হিসাব নেই। বিদ্যুৎ চলে গেলে কখন আসবে কেউ জানে না। এই প্রচন্ড গরমে হাতপাখা ছাড়া উপায় কি? এলাকাবাসী জানান, কোনো উপায় না পেয়ে হাতপাখাই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা। হাতপাখা দিয়ে বাতাস করে কোনোমতে শরীর রক্ষা করছেন বলে জানান তারা। এদিকে হাটবাজারে হাতপাখা বিক্রি বেড়ে গেছে কয়েকগুণ বলে জানান ব্যবসায়গণ। তাছাড়া অনেকে হাতপাখা ও মমবাতি ফেরি করে বিক্রি করছে।
    দোকানদারগন জানান, প্রতিদিন হাতপাখার চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া গ্রামে গৃহস্থরা এক সময় ফসল ঘরে তোলার ফাঁকে নিজেদের ব্যবহারের জন্য অবসর সময়ে হাতপাখা তৈরি করতেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকায় হাতপাখা তেমন আর তৈরি হতো না গ্রামে। কিন্তুু ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে আবার গ্রামের লোকজন নিজ হাতে শরীরে বাতাস করার জন্য হাত পাখা তৈরি শুরু করছেন। প্রবল খরা এদিকে অন্য দিকে ভয়াবহ বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে বরেন্দ্রভূমিতে লাগানো রোপা আমন ধান সেচের অভাবে মরে যাচ্ছে, জমিতে ফাটল পেটে যাচ্ছে, গভীর রাত পর্যন্ত কৃষকদের ডিপটিউলের পাশে লম্বা লাইন দিয়ে পানির অন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে পানি না পেয়ে সকালে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসছেন। কেন না বেশিরভাগ ডিপটিউবলের ড্রাইভারগণ নিজেদের খেয়াল খুশিমত পানি দিচ্ছেন। নিমঘুটুতে ২ জন আদিবাসীকৃষক মারা যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ডিপ ড্রাইভার গ্রেফতার হওয়ার পর ড্রাইভারগণ কিছুটা কৃষকদের সাথে ভাল ব্যবহার করলেও এখন আবার শুরু করেছে কৃষকদের উপর অকথ্য নির্যাতন। বিভিন্ন খোড়া যুক্তিতে বিঘাপ্রতি টাকা উত্তোলন করে থাকেন গরীর কৃষকদের নিকট হতে। টাকা না দিলে পানি বন্ধ করে দেয়ারও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। উত্তোলনকৃত টাকা কোন স্বচ্ছ হিসেব থাকে না নামমাত্র খরচ করে সব লুটপাট হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ। গত বুধবার গোদাগাড়ী উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় ডিপটিউবল ড্রাইভারদের দৌরাত্ম্য নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমান হলে চাকুরি থেকে ছাঁটাইসহ শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জানে আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

    মোঃ হায়দার আলী
    রাজশাহী।

  • ক্ষেতলালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে দাদন ব্যবসা

    ক্ষেতলালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে দাদন ব্যবসা

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ভুয়া কমিটি
    দেখিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন
    নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পাঠাগারের নামে সরকারি অনুদানের টাকায়
    দাদন ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে শাহাজান আলী বাবু নামে এক ব্যক্তির
    বিরুদ্ধে।
    সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার হিন্দা শিমুলতলী বাজারে ২০১৫ সালে
    শাহাজান আলী ওই এলাকার কিছু সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সূর্যোদয়
    সমাজ কল্যান সংস্থার নামে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে
    পাঠাগার স্থাপন করেন। ওই পাঠাগারকে অফিস দেখিয়ে ক্ষেতলাল যুব উন্নয়ন
    অধিদপ্তর থেকে সূর্যোদয় সমাজকল্যান মহিলা যুব উন্নয়ন সংস্থা নামে
    আরও একটি সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নেয় অভিযুক্ত শাহাজান আলী। প্রথমে তার
    সহদর বড় বোনকে আবার কখনও নিজের স্ত্রীকে সভাপতি দেখিয়ে এসব
    সংগঠনের ব্যানারে বৃক্ষ রোপন, সামাজিক বনায়ন, মৎস্যজীবিদের প্রশিক্ষণ,
    মাতৃত্বকালিন প্রশিক্ষণ ইত্যাদি উন্নয়ন মূলক কাজের ভূয়া ছবি ও
    ডোকুমেন্ট তুলেধরে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর থেকে আর্থিক
    সহায়তার চেক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
    অপরদিকে, সূর্যোদয় সমাজ কল্যান সংস্থার নামে সঞ্চয় ও বিনিযোগ
    কার্যক্রমের পাশ বইয়ে ওই এলাকায় দেদারছে চড়াসুদে প্রতিদিন আদায়
    ভিত্তিতে ঋন কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি
    বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ব্যবস্থা হয়নি।
    শিমুলতলী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আইজুল বলেন, সূর্যোদয় সমাজ কল্যান
    সংস্থা থেকে প্রথমে ৫ হাজার টাকা ঋন পরিশোধ করে আবার ১৩হাজার টাকা
    ঋন গ্রহন করি যার প্রতিদিন ২০০ টাকা কিস্তি দিতে হয়।
    এ বিষয়ে অভিযোগকারী মাহবুবা ইয়াসমিন বলেন, আমার বড়ভাই শাহাজান
    আলী বাবু আমাকে সূর্যোদয় সমাজ কল্যান সংস্থার সভাপতি বানিয়েছিল।
    কিন্তু আমাকে না জানিয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া রেজুলেশন বানিয়ে
    বিভিন্ন দপ্তর থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহন করত এবং ঋন কার্যক্রম চালাত।
    বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করলে প্রতারনা করে আমাকে বাদ দিয়ে তার
    স্ত্রীকে সভাপতি বানিয়েছে। পরবর্তীতে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ
    দিয়েছি এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা আসেনি। শাহাজান আলী বাবু বলেন, সমাজসেবা থেকে মৌখিক অনুমোতি নিয়ে
    সদস্যদের মধ্যে ঋন কার্যক্রম চালাচ্ছি। আপনারা বললেন এখন থেকে আর চালাব
    না।
    ক্ষেতলাল সমাজসেবা অফিসার নাজমুল খাঁ বলেন, আমাদের অফিস থেকে
    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নিবন্ধন দেওয়া হয়। এখানে ঋন কার্যক্রম চালানোর
    কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত
    পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ক্ষেতলালে পাঠানপাড়া রক্তদান সংগঠনের ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন

    ক্ষেতলালে পাঠানপাড়া রক্তদান সংগঠনের ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন

    এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    “মানবতার শ্রেষ্ঠ দান, স্বেচ্ছায় করি রক্তদান” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পাঠানপাড়া সেচ্ছাসেবী রক্তদান সংগঠনের উদ্যোগে ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন এবং রেলী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৮ই আগস্ট) সকাল ১০টায় সকল শ্রেণির মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে পাঠানপাড়া বাজারের ক্যাম্পেইন পেন্ডেল থেকে একটি রেলি বের হয়ে বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

    রেলি শেষে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং সন্মাননা ক্রেচ দেওয়া হয়।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, পাঠানপাড়া বাজার সেচ্ছাসেবী রক্তদান সংগঠনের সভাপতি রাহাতুল হাবিব রাহাত।
    সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মুরাদ হোসেন শুভর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানয়ক, কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জয়পুরহাট জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য, বিশিষ্ট সমাজসেবক রায়হান আলম, ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ফরহাদ হোসেন, ক্ষেতলাল উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন।

    এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আনোয়ারুল ইসলাম, সংগঠনের উপদেষ্টা জাকিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আহসান হাবীব স্বাধীন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, মানব সেবা একটি মহৎ কাজ, আর এই কাজ করার জন্য পাঠানপাড়া বাজার সেচ্ছাসেবী রক্তদান সংগঠনকে আমি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি এবং পরবর্তীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত রেখে অসহায় রোগীদের পাশে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। কখনও রক্তের প্রয়োজন হলে আমাকে কল দিবেন আমি এবং আমার ছেলেরা নিয়মিত ডোনার।

    সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সমাজসেবক রায়হান আলম বলেন, যারাই এই সংগঠনে কাজ করছ, তাদের আন্তরিকতার সাথে বলতে চাই, তোমরা মানবতার কল্যাণের জন্য নিজেদের ঘর থেকে বের হয়ে এসেছ, আশা করি মানবতার কল্যাণে জয় করে নিয়ে তোমরা ঘরে ফিরবে। আর প্রতিটা জয় যেন প্রতিটা ঘরেই মানবতার ছোঁয়া হিসেবে পৌঁছায়৷ তোমরা চাইলেই ঘরে বসে থাকতে পারতে, নিজেদের কাজগুলো করতে পারতে৷ কিন্তু তোমরা যে মানবতার পরিচয় দিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছ তা সত্যিই প্রসংশনীয়। তোমরা মানবতার জন্য কাজ করতে থাক, আমাকে সবসময়ই পাশে পাবে ইনশাআল্লাহ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক শাহিদুল ইসলাম সবুজ, সাংবাদিক আজিজার রহমান, আজিজুল হক,রাসেল আহমেদ, এসএম মিলনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন স্কুল থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে আসা শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।