Category: দেশজুড়ে

  • কুমিল্লার চান্দিনায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষে  হামলা ও বাড়ী থেকে তারিয়ে দিল

    কুমিল্লার চান্দিনায় বাদীকে মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষে হামলা ও বাড়ী থেকে তারিয়ে দিল

    মোঃতরিকুল ইসলাম, তরুণ

    কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হারং গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ বশির উদ্দিন চান্দিনা থানায় গত ৮ ই আগষ্ট তার বাড়ীতে হামলা ও বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করেন। উক্ত ডায়েরি সূত্রে জানাজায় ২০২১ সালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী রাসেল,রুবেল,রবিউল গংরা বশিরের বাড়ি থেকে তার স্বজনদের ধরে নিয়ে কুপিয়ে তালা বদ্ধ করে রাখে এতে চান্দিনা থানায় একটি মামলা হয়।যার নাম্বার ১৯, তারিখ ১৬/৫/২০২১ ইং জিআর ১৩৬/২১ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬ পেনাল কোড।মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। আসামি রা জামিন নিয়ে বাদী পক্ষে লোকজন কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।এসময় বাদির বড়ভাই হালিম কে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে তাদের ভয়ে আতঙ্কে দিনাতিপাত কাটাচ্ছেন। এব্যাপারে আসামি পক্ষের কাউকে মুঠো ফোন কল করে পাওয়া যায় নি।সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই কবির জানান বিষটি জমি সংক্রান্ত নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা। আমি কোটের অনুমতি পেলে আইন মোতাবেক ব্যাবস্থা নিবো। বাদী বশির উদ্দিন জানান আমার রাসেল, রুবেল, রবিউল গংদের ভয়ে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি।বাড়ি ছাড়া আমাদের পরিবার।সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই দোষী দের ধরে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।

  • ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার চেষ্টা

    ইউএনওর ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার চেষ্টা

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড়:
    পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসিয়াল ফোন নাম্বার ক্লোন করে প্রতারণাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

    এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) পোস্ট করে এবং উপজেলার সব ইউপি চেয়ারম্যান ও সাধারণ জনগণকে টাকা লেনদেনে সচেতন করেছে প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ফোন দেওয়া শুরু করে প্রতারক চক্রটি। এ বিষয়ে সকাল সাড়ে ১০টার সময় অবহিত হয় বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোলেমান আলী।

    উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতারক চক্র মঙ্গলবার সকালে প্রথমে বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে ফোন দেয়। এসময় চক্রটি একটি সরকারি প্রকল্প রয়েছে তা চেয়ারম্যানকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য দ্রুত একটি নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলে।

    এদিকে চেয়ারম্যান বিষয়টি বুঝতে পেরে এবং ফোনে আওয়াজ ভিন্ন শুনে উপজেলায় জানান। এর পর বড়শশী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিমকে একই কথা বলে ফোন দেয় ওই চক্র। তিনিও বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রশাসনকে জানান। পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে সচেতন করা হয়।
    ইউএনও সোলেমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রশাসনের নজরে বিষয়টি এলে সবাইকে সচেতন করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টও করা হয়। একই সঙ্গে ফোন দিয়ে সব ইউপি চেয়ারম্যানদের আর্থিক লেনদেনে সচেতন কর হয়। মূলত একটি চক্র প্রশাসনের নাম করে টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি চলছে।

  • সারের জন্য দীর্ঘ লাইন, ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই

    সারের জন্য দীর্ঘ লাইন, ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই

    মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    আমনের ভরা মৌসুমে সার সঙ্কটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের কৃষকেরা। খুচরা বাজারে সার পাওয়া গেলেও অতিরিক্ত দাম হওয়ায় ডিলারের দারস্ত হচ্ছেন তারা। কিন্তু সেখানেও প্রত্যাশিত সার বরাদ্দ না থাকায় চাহিদামত না পাওয়ার অভিযোগ। অনেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রয়োজন মতো সার না পেলে এবার আমন আবাদে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
    মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত দামে সার বিতরণ করছেন ডিলার। সার পেতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। যেখানে সারের বরাদ্দ পটাশ ৮৪ বস্তা, টিএসপি ১১০ বস্তা এবং ইউরিয়া ১১০ বস্তা। প্রতিজনকে দেয়া হবে এক বস্তা করে পটাশ, টিএসপি ও ইউরিয়া সার। সে হিসেবে ৮৪ জন কৃষক পাবে পটাশ, টিএসপি ও ইউরিয়া সার এবং ২৬ জন পাবে শুধু টিএসপি ও ইউরিয়া সার। ফলে দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকা অনেককেই সার ছাড়াই ফিরতে হবে। এদিকে, সার নিতে আসা চাষিদের উপচে পড়া ভিড় সামাল দিতে করা হয়েছে পুলিশ মোতায়েন। একই অবস্থা অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও।
    পঞ্চগড়ে ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া সার ডিলারের কাছ থেকে সংগ্রহ করা যায় এক হাজার ১০০ টাকায়, খোলাবাজারে যা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকা। একইভাবে এমওপি সারের বস্তা সরকার নির্ধারিত মূল্য ৭৫০ টাকা হলেও খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা। টিএসপি সার ডিলার বিক্রি করছে এক হাজার ১০০ টাকা, খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা। ডিএপি সার ডিলারের কাছে পাওয়া যায় ৮০০ টাকায়, খোলাবাজারে যা এক হাজার ১০০ টাকা।
    খোলাবাজারে সার কিনতে চড়া দাম দিতে হয় বলে কৃষকরা ভিড় জমিয়েছেন ডিলারের কাছে। কিন্তু ডিলারের কাছে পর্যাপ্ত সার না থাকায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নিরুপায় কৃষকের খোলাবাজার থেকে সার সংগ্রহ করতে বস্তাপ্রতি বাড়তি গুনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
    সার নিতে আসা খবিরুল ইসলাম বলেন, আমন ধান রোপণের পরে এখনো জমিতে সার দেইনি। সারের এমন সংকট হবে কল্পনা করিনি। লাইনে দাঁড়িয়ে খুব কষ্ট করে সার নিতে হচ্ছে। তাও আবার এক বস্তার বেশি দেয় না।
    ময়নুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার পাইনি। সার নিতে এসে কাড়াকাড়ি অবস্থা। ধাক্কাধাক্কিও হচ্ছে। এভাবে আমাদের পক্ষে আমন আবাদ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
    কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ জেলায় আগস্ট মাসে আট হাজার ৬৯০ টনের বিপরীতে চার হাজার ৯৯৭ টন ইউরিয়া, চার হাজার ৩১৩ টনের বিপরীতে ৮৯৩ টন এমওপি, দুই হাজার ৫৬২ টনের বিপরীতে ৭৬৫ টন টিএসপি এবং দুই হাজার ২৩০ টনের বিপরীতে ৬৭৯ টন ডিএসপি সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই হিসেবে চাহিদার তুলনায় সার বরাদ্দ নেই বললেই চলে।
    পঞ্চগড় বিএডিসির সার ডিলার এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, চাহিদামতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। যে পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি চাহিদা রয়েছে। ফলে সার বিক্রি করতে হিমশিম খেততে হচ্ছে।
    জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শাহ মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের এখানে এমওপি সারের কিছুটা সংকট রয়েছে। এরই মধ্যে অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছি। আশা করছি দ্রুতই সার সংকট কেটে যাবে।

  • জয়পুরহাটে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় পশু মৃত্যুর অভিযোগ

    জয়পুরহাটে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় পশু মৃত্যুর অভিযোগ

    এস এস মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

    জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার ভুল চিকিৎসায় একটি গরুর বাছুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

    মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ সবুজ নগরের হাসপাতালে যান।

    জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার হানাইল গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী ও তার স্ত্রী একটি গরুর বাছুর নিয়ে সবুজ নগরের পশু হাসপাতালে যান। এ সময় হাসপাতালের ডাঃ আহসান হাবীব মুকুল ইনজেকশন পুশ করার পাশাপাশি সেলাইন খাওয়ায়। আর ঠিক সেই সময় হঠাৎ করেই বাছুরটির মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত পড়ে মারা যায়।

    এ সময় গরুর মালিকের স্বজন ও এলাকাবাসী খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে বাছুর মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে কর্তব্যরতরা তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এ ঘটনায় হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ এসে তা থামিয়ে দেয়।

    এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী জামান, বাছুরের রুচি না থাকায় স্বাভাবিক ভাবে খাবার গ্রহন করছিল না। তাই পশু হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক একটি ইনজেশন পুশ করার পাশাপাশি স্যালাইন খাওয়ার সাথে সাথে আমার বাছুরটি মারা যায়। আমি দরিদ্র মানুষ। বিদেশী জাতের এই বাছুরটি মারা যাওয়ায় আমরা পথে বসলাম।

    এ ব্যাপারে জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার জিয়াউর রহমান বলেন-গরুর বাছুরটিকে নিয়ম মেনেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরপরও তাদের কাছে যদি বিষয়টি চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসা মনে হয়, তাহলে তারা জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিতে পারেন।

  • রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’ গ্রেফতার শ্রমিকলীগ সভাপতি সেলিম আহমদ

    রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’ গ্রেফতার শ্রমিকলীগ সভাপতি সেলিম আহমদ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
    সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা,তাহিরপুর যাদুকাটা নদী বালি মহালের ইজারাদার, আসছে সম্মেলনে তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিম আহমদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। সুনামগঞ্জ জেলা যুবদল নেতা অলিউর রহমানের দায়েরকৃত অপহরণ ও চাঁদাবাজী মামলায় এজাহারভুক্ত না থাকা সত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালীর ইন্ধনে সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিন এর আদালতে হাজির করে জামিন প্রার্থনা করলে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তাহিরপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম, গ্রেফতারকৃত শ্রমিকলীগ সভাপতি সেলিম আহমদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জানালে আদালত বুধবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য্য করেছে।
    মঙ্গলবার সকাল ৮টায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সেলিমের শহরের হাসন নগর এলাকার নিজ বাসার সামন থেকে গ্রেফতার করা হয়। যার তাহিরপুর থানার মামলা নং ০৭, তারিখ: ১২/০৮/২০২২, দ:বি: ১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৩৮৫/ ৩৮৬/৩৮২/৩৬৪/ ৫০৬/১১৪/ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয় । উক্ত মামলা জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি সেলিম আহমদ এর নাম এজাহারভুক্ত ছিল না। এজাহারভুক্ত আসামীদের মধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত জালাল উদ্দিনের পুত্র তারেক আহমদ, মোর্শেদ আলম, তানভীর, সোহাগ, লতিফ, পলাশ ও আব্দুল হক।
    স্থানীয় সুত্র জানায়, সাবেক বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যার্ত মানুষের মাঝে দিনরাত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিজস্ব তহবিল থেকে ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেন এবং ১৫ আগষ্টের জাতীয় শোক দিবসে তাহিরপুরে বিশাল কাঙ্গালীভূজের আয়োজন করায় স্থানীয় প্রভাবশালীর রোসানলের শিকার হন। তারই জের ধরে অন্যায়ভাবে সাজানো চাঁদাবাজী ও অপহরণ মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। সেলিম আহমদ রাজনৈতিক অঙ্গণে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের অভিমত।
    তাহিরপুর উপজেলা আ’লীগ একাংশের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, জেলা যুবদল নেতার দায়েরকৃত অপহরণ ও চাঁদাবাজী মামলায় জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিমের নাম না থাকা সত্বেও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার ধারনা হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতার নির্দেশেই সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা তার নি:শর্ত দ্রুত মুক্তি দাবী করছি।
    তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের সভাপতি অধ্যক্ষ আলী মুর্তুজা জানান, সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকায় একজন নেতার বাইরে কোন নেতা তৈরী হউক সেটা চান না একটি ক্ষমতাশীন চক্র। মানুষরুপী শয়তানের কারনে তাহিরপুরে কোন নেতা তৈরী হবে না। কোন শিক্ষিত ও জনপ্রিয় দলীয় নেতাকে মাথা তোলার সুযোগ দিবে না ঐ সমস্ত মানুষরুপী শয়তানেরা। গত ১৪ বছরে আমাদের আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। জামায়াত বিএনপি’র নেতাদের আওয়ামীলীগের নেতা বানানো হয়েছে। তৃনমূলের নেতাকর্মীদের কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। সেলিম তাহিরপুরের উদীয়মান নেতা সে একজন শ্রমিকদের ভালবাসারমত মানুষ। তাকেও ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সেলিম মামলার কোন এজাহারভুক্ত আসামী ছিল না। সেলিম আহমদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক সভায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিই তার কাল হয়ে দাড়িয়েছে। তার জনপ্রিয়তা দেখে মানুষরপী শয়তানরা তাকে আগামী দিনের রাজনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিতে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় ফাসাঁনোর পরিকল্পনা করে গ্রেফতার করিয়েছে। সেলিমের মুক্তির দাবীতে মিছিল সমাবেশ করা হবে। সে কখনও এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত না।
    এব্যাপারে মামলার বাদীর মোবাইল নম্বরে জানতে বার বার ফোন দেওয়া হলে মোবাইল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
    পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) এর বক্তব্য জানতে বার বার সরকারী মোবাইল নম্বরে কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

  • কালীগঞ্জে পালিত হলো জাতীয় শোক দিবস।

    কালীগঞ্জে পালিত হলো জাতীয় শোক দিবস।

    মো.হাসমত উল্লাহ,লালমনিরহাট।।

    কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কতৃর্ক আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী তে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরন ও দোয়া মাহফিল গত১৫ আগষ্ট, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

    কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন সফলতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, মুক্তি যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বরনের উপর ব্যাপক আলোকপাত করে, অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি মাননীয় সমাজ কল্যান মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহমেদ এম,পি, বিশেষ অতিথি কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ টি এম গোলাম রসুল, তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আহমেদ, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রেসক্লাব সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলাল, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপ কর্মকর্তা ডাঃদেবব্রত কুমার রায়, প্রমুখ। আলোচনার পূর্বে প্রতিবন্ধী ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনে অনুদানের চেক বিতরণ করেন। সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের বহু সংখ্যক জনগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ।

    হাসমত উল্লাহ
    লালমনিরহাট।

  • আক্কেলপুরে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

    আক্কেলপুরে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

    রিদয় হোসেন(সদর জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ-

    জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন তালতলী বাজারের বস্তির এক তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুলাল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

    মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১ টা থেকে পুলিশ আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় অর্ধগলিত অবস্থায় ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট টিম ও থানা পুলিশ। এ বিষয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।

    নিহত দুলাল হোসেন (৩৫) দিনাজপুর জেলার বাংলা হিলির (হাকিমপুর) উপজেলার রাজধানী মোড় এলাকার বাসিন্দা তিনি ভারত থেকে (স্মাগলিং) কালোবাজারির মাধ্যমে ভারতীয় জিরা এনে আক্কেলপুরে খুচরা ব্যবসা করছিলেন বলে ঘরের মালিক ও তার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীর সূত্রে জানা যায়।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আক্কেলপুর পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পূর্বপাশে রেলওয়ের জায়গায় গড়ে তোলা ফজলুর রহমানের বস্তির একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন নিহত দুলাল হোসেন। তার সাথে ওই ঘরে মাঝে মধ্যে সর্ম্পকে ১৭-১৮ বছরের এক অজ্ঞাত ভাতিজা থাকতেন গত রবিবার তারা একই সাথে ছিলেন এরপর থেকে তার ওই ভাতিজার কোন দেখা যায়নি। আরও নিহত দুলাল প্রতিদিন সকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা তিতুমীর আন্তঃনগর ট্রেনে উঠে হিলিতে যেতেন আবার রাতে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা সীমান্ত আন্তঃনগর ট্রেনে ভারতীয় জিরা নিয়ে ওই ঘরে এসে থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে ওই বস্তির ঘরের মালিক ফজলুর রহমান দুলাল হোসেন কে দুইদিন না দেখতে পেয়ে ফজলুর রহমান তার ঘরের দরজায় গিয়ে তালা ঝুলানো দেখতে পান এবং ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে তিনি ঘরের পিছনের জানালায় দিয়ে তিনি তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুলালের ওই ঘরের দরজার বাহির থেকে তালাবদ্ধ এবং পিছনের জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে একটি অর্ধগলিত দুর্গন্ধ মরদেহের মুখের উপরে বালিশ দেখতে পেয়ে। জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানালে দুপুরে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোসফেকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘরের মালিকসহ আশপাশের বসবাসরতদের তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তিনি যাওয়ায় কিছুক্ষণ পরে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেলায় ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট টিমকে খবর দেওয়া হলে তারা বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় পৌঁছে ঘরের তালা ভেঙ্গে তার দুলাল হোসেনে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।

    ওই বস্তির ঘরের মালিক ফজলুর রহমান জানান,গত রবিবার রাতে দুলালের পাশের ঘরে থাকা ভাড়াটিয়ারা আমাকে জানান দুলালের ঘরে ভিতরে চিৎকার ও মারামারির শব্দ শুনতে পেয়ে তারা আমাকে দুই ঘন্টা পর জানাই। তখন আমি বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি দুইদিন পর ভাড়ার টাকার জন্য ঘরের সামনে গিয়ে দেখি দরজায় তালা লাগানো রয়েছে কিন্তু ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসছে এরপর আমি পিছনের জানালায় গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খরব দেই।

    নিহত দুলালের সাথে ব্যবসা করতেন পাশের গ্রাম চুড়িপট্টি গ্রামের বাসিন্দা পারুল বেগম (৩৫) জানান, আমার সাথে দুলাল ভারতীয় জিরা ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে দুলাল আমার কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা নিতে আমি এর আগে এসেছিলাম দুলালের কাছে। মঙ্গলবার সকালে আবারো টাকা নিতে এসে দেখি দুলালের ঘরে তালা লাগলো রয়েছে।

    এই হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের আইনি আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান ওই ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর আমিনুর রহমান পল্টু।

    ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দীক জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি দুলালের ঘরের দরজার বাহিরে তালা ঝুলানো। এরপর ঘরের পিছনের জানালা দিয়ে ভেতরে দেখা যায় দুলালের দুর্গন্ধ মরদেহ ফুলে উঠেছে। তার মুখের উপরে একটি বালিশ রাখা হয়েছে। বিষয়টি গভীর তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট টিমকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানান এই হত্যা কাণ্ডের বিষয়ে ক্রাইমসিন ম্যানেজমেন্ট টিমের পাশাপাশি আক্কেলপুর থানা পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে।

  • গৌরনদীতে  জাতীয় শোক দিবসে প্রশিক্ষিত যুবদের মাঝে সনদপত্র ও ঋনের চেক বিতরন

    গৌরনদীতে জাতীয় শোক দিবসে প্রশিক্ষিত যুবদের মাঝে সনদপত্র ও ঋনের চেক বিতরন

    বি এম মনির হোসেনঃ-

    বরিশালের গৌরনদীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে প্রশিক্ষিত ৩০ জন যুবদের মাঝে সনদপত্র ও ঋনের চেক বিতরন করা হয়।
    সোমবার সকালে শহীদ শুকান্ত বাবু মিলনায়তনে গৌরনদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের অায়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান,ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ফরহাদ হোসেন মুন্সী,পৌর অাওয়ামীলীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিনিয়া অাফরোজ হেলেন। এসময় অনান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আঃ জলিল,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জাহানারা পারভীন, উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াহিদুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব, উপজেলা প্রোগ্রামার মোঃ শরিফুল, সমবায় অফিসার আফসানা শাখী, মৎস্য অফিসার আবুল বাশার প্রমুখ।

  • মহালছড়িতে পাবলিক টয়লেটের সংস্কার দরকার

    মহালছড়িতে পাবলিক টয়লেটের সংস্কার দরকার

    (রিপন ওঝা,মহালছড়ি)

    খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার দুইটি বাজারে পাবলিক টয়লেটগুলোর সংস্কার প্রয়োজন।

    কারণ হিসেবে মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের বাজার ও মাইসছড়ি ইউনিয়নের বাজারের পাবলিক টয়লেট রয়েছে কিন্তু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

    মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়ন বাজারে ও মাইসছড়ি ইউনিয়ন বাজারে দূর দূরান্তের শিশু হতে বৃদ্ধ নারী পুরুষগণ বাজারে ক্রয় বিক্রয় করতে আসেন এবং বাজারে সবসময়ই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সৈনিকগণ টহলরত থাকেন।

    এমতাবস্থায় উভয় বাজারে মলমূত্র ত্যাগের নারী ও পুরুষের পৃথক পৃথক পাবলিক টয়লেটে সুব্যবস্থা রয়েছে কিন্ত বাজার ব্যবসায়ি সমিতির ও বাজার চৌধুরীর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও অভাবে দিনদিন ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে।

    তবে দোকানদারগণ নিজের দোকানের পেছনে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে যেতে পারলেও সাধারণ জনগণ ও টহলরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ কোথায় যেতে পারে? এমন সমস্যার আশু সমাধান এলাকার জনসাধারণ ও দোকানদারগণ।

    চট্টগ্রাম হতে প্রতি সপ্তাহে আসা ব্যবসায়ী টিটু দে জানান আমি তো কাচাঁ ফলমূল ও নগদে যা পাই তাই নিয়ে ট্রাক বোঝাই চলে যাই, তবুও উভয় বাজার সপ্তাহে ২/৩ দিন থাকতে হয়।

    এ বিষয়ে উভয় বাজারে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায় নিয়োজিত আলোময় চাকমা বলেন আমি ও আমার গ্রামের মানুষজন প্রতি সপ্তাহে ব্যবসার কাজে ও নিজের ঘরের জন্যে বাজার ঘুরতে হয়। বড়ই পরিতাপের বিষয় যে মহালছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়ন বাজার ও মাইসছড়ি ইউনিয়ন বাজারের নির্মিত পাবলিক টয়লেট থাকলেও মানুষের প্রয়োজনে কোন কাজে আসে না।

    চট্টগ্রাম হতে আসা স্থানীয় এক মুবাছড়ি ইউনিয়নের রুইসা অং মারমা বলেন আমি বা আমরা কোন প্রকার যেখানে সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশে সাড়া দিয়ে ফেলি কিন্তু যে বা যারা খাগড়াছড়ি জেলা বা রাঙ্গামাটির বা চট্টগ্রাম বিভাগের বা রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন গ্রাম হতে আসা বসবাসকারী স্থানীয়দের আত্মীয় স্বজনগণের হঠাৎ প্রাকৃতিক পরিবেশের সাড়া দিতে হলে কোথায় যাবে?

  • ভাবখালীতে আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় শোক দিবস পালিত

    ভাবখালীতে আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় শোক দিবস পালিত

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নে জাতীয় শোক দিবস ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‌৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা,মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

    সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৩টায় ভাবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্থানীয় চূড়খাই পাঁচ রাস্তার মোড়নএলাকায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান এর নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের যৌথ আয়োজনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীদের পদভারে শোকসভাটি জন সমুদ্রে পরিনত হয়।

    ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে এ শোকসভা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহিত উর রহমান শান্ত।

    প্রধান অতিথির বক্তব্য মুহিত উর রহমান শান্ত বলেন-
    ১৯৭৫ সালের এই দিন জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ দিনে বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছিল ক্ষমতালিপ্সু কতিপয় রাজনীতিক। রাজনীতির সঙ্গে সামান্যতম সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের নারী-শিশুরাও সেদিন রেহাই পায়নি ঘৃণ্য কাপুরুষ এ ঘাতক চক্রের হাত থেকে। তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারআহবান জানান।
    এসময় উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা হক কলি, সিরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ,মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবাক রাসেল পাঠান সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।