উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে লালন সাধককে মারধর হারমোনিয়াম সহ বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে দিয়েছে। নড়াইলের কালিয়ায় লালন সাধক হারেজ ফকীরকে মারধর করে তার আখড়াবাড়িতে থাকা সংগীত চর্চার অনুসঙ্গ হারমোনিয়াম, তবলা, দোতারা, বাঁশিসহ বাড়ির বিভিন্ন মামলাল ভেঙ্গে দিয়েছে জামায়াত নেতা আলী মিয়া ও তার লোকজন। এ অভিযোগে বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে সাধক ফকির (৮৪) বাদি হয়ে কালিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এদিকে এ মামলার একদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আলী মিয়ার লোকজন হারেজ ফকীরের প্রতিবেশী স্থানীয় ইসমাইল চৌকিদারসহ ৪জন নারী-পুরুষকে মারধর করেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের বাসিন্দা হারেজ ফকীর শনিবার (২৭ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে স্থানীয় কিছু ভক্ত নিয়ে সংগীত পরিবেশন করছিলেন। এ সময় স্থানীয় জামায়াত ইসলামী নেতা আলী মিয়া শেখ, মিন্টু শেখসহ ২০-২৫জনের একটি দল হটাৎ এসে সাধককে মারধর, সংগীতের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রসহ বিভিন্ন মামলাল ভাংচুর করে। তারা চলে যাবার সময় বাড়ি থেকে উচ্ছেদসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যায়।
নওয়াগ্রামের বাসিন্দা নড়াইল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শীতল বলেন, হারেজ ফকীর একজন লালন তরিকার সাধু। নওয়াগ্রামে তার আখড়াবাড়িতে দীর্ঘ বছর ধরে একান্ত নিভৃতে লালন সংগীতের চর্চা করে আসছেন। একজন চিহিৃত জামায়াত নেতা আলি মিয়ার লোকজন এই সাধককে মারধর ও তার সংগীত চর্চার বাদ্যযন্ত্রগুলো ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় দোষীদের গেস্খফতার করে শাস্তির দাবি জানাই।
এ প্রসঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোট, নড়াইলের সভাপতি মলয় কুন্ডু ও সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু বলেন, মৌলবাদীরা বার বার সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে এই মৌলবাদীদের গেস্খফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাধক ফকিরের ছেলে মিজান ফকীর বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে স্থানীয় সাগরসহ কয়েকজন আমাকে জানায়, তোরে যেন আর এলাকায় না দেখি। এর পর আমি ভয়ে খুলনায় চলে যাচ্ছি। এ সময় মিন্টু শেখসহ কয়েকজন প্রতিবেশী নাজমুল শেখ, তার স্ত্রী হাসমা বেগম ও তার কন্যা ময়নাকে মারধর করেছে এবং তার এখন মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে।
অভিযুক্ত আলী মিয়া শেখ বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে হারেজ ফকীর গাঁজা সেবন ও ব্যবসা করে আসছে। সে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। তাকে বিভিন্ন সময় নিষেধ করলেও শোনেনি। বিভিন্ন সময় পুলিশকে জানানেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। শুনেছি স্থানীয় কিছু ছেলে হারেছের বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু কি করেছে তা জানেন না। তিনি এক সময় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন,তবে এখন সক্রিয় নন বলে জানান।
কালিয়া উপজেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মনি মিয়া বলেন, এলাকার কিছু আমার কাছে হারেছের বিষয়ে নালিশ করতে এসেছিল, আমি হারেছকে নিষেধ করেছি এসব সেবন না করতে। হারিছের বাড়ি ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র কেউ ভাংচুর করেনি। ওরা মিথ্যা কথা বলছে। আর আমার ভাই এ ঘটনায় জড়িত নয় বলে মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে সাধক হারেজ ফকীর বলেন, ঘটনার দিন রাতে আলি মিয়ার নেতৃত্বে একদল মানুষ আমার দীর্ঘদিনের সাধনা হারমোনিয়াম, তবলাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ও ঘরের বিভিন্ন মালামাল ভেঙ্গে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। আপনি গাঁজা সেবনসহ এর ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা এ প্রশ্নে তিনি অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এখানে সাধনা করছি। এতোদিন এ প্রশ্ন ওঠেনি। এখন এ প্রশ্ন উঠছে কেন? তারা সংগীত সাধনা করতে দিবেনা বিধায় এ ধরনের কথা বলছে।
এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। ইসমাইল চৌকিদারকে মারধরের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টির তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Category: দেশজুড়ে
-
নড়াইলে লালন সাধককে মারধর হারমোনিয়াম সহ বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে দিয়েছে থানায় অভিযোগ
-
হেরোইনসহ আটক ১
মো; বাবুল হোসেন পঞ্চগড়;
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই গ্রাম হিরোইনসহ আবু হানিফ ওরফে হানি (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের হরবাবী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক হানিফ একই গ্রামের সামসুল হকের ছেলে।
থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদ আসে মাদক কেনাবেচার হচ্ছে। সংবাদের ভিত্তিতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীন বন্ধু রায় পুলিশ টিম নিয়ে উপজেলার দেবনগড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় হানিফের বাড়ির সামনে পুলিশ অবস্থান করলে এক ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে হানিফকে আটক করা হয়। পরে তার শরীরে তল্লাশী চালিয়ে দুইটি পৃথক পুটলিতে দুই গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য মোট ৬ হাজার টাকা।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী।
-
পঞ্চগড়ে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ে এক কেজি গাঁজাসহ রিয়াজ (২৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৪ নং কামাত কাজলদীঘি ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামে মেসার্স গ্রাম বাংলা ফিলিং স্টেশনের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক মাদক ব্যবসায়ী রিয়াজ দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর গোড়স্থান পাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে বলে জানা যায়।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মেসার্স গ্রাম বাংলা ফিলিং স্টেশনের পাশে আজিজার রহমান এর মুদি দোকানের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসময় তার কাছে থাকা এক কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এক কেজি গাঁজার মূল্য ধরা হয়েছে আনুমানিক ১০ হাজার টাকা।
পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাবিবুর রহমান, গাজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
-
পঞ্চগড়ে তেল কম দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড় বোদা উপজেলায় জ্বালানী তেলে কারচুপি করার অভিযোগে এক ফিলিং স্টেশনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পঞ্চগড়।শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী সাহাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জান্নাত ফিলিং স্টেশনকে এই জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকারের পঞ্চগড় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মন।
অভিযান সূত্র থেকে জানা যায়, ভোক্তাদের চাহিদা নিশ্চিত করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায়
শনিবার বিকেলে বোদা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় চন্দনবাড়ী সাহাপুর এলাকায় জান্নাত ফিলিং স্টেশনে জ্বালানী তেল অকটেনের ওজন পরিমাপে করতে গেলে ওজনে কম পাওয়া যায়। পাম্প কর্তৃপক্ষকে জ্বালানী তেলে কারচুপি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।সহকারী পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, জান্নাত ফিলিং স্টেশনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ সাকোয়া বাজারে মালিয়া ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা ও দুই ভাই চালঘরকে ৩ হাজার টাকাসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এরকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
-
বৃদ্ধা শাশুড়িকে গরম ইস্ত্রীর ছ্যাঁকা”পাষণ্ড পুত্রবধূ আটক
রিদয় হোসেন(সদর জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ-
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বড় ছেলের স্ত্রী তাঁর অশীতিপর বৃদ্ধা শাশুড়ীর পিঁঠে গরম ইস্ত্রী ছ্যাঁকা দিয়ে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় আক্কেলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হলে অভিযুক্ত মোছাঃ শাহিনারা বেগম (৪০) নামে এক পাষণ্ড পুত্রবধূ কে আটক করেছে থানা পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) রাত্রি আনুমানিক ৮ টায় আক্কেলপুর পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটলেও তা ধামাচাঁপা দিতে স্থানীয় একটি মহল চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে থানায় একটি মামলা দায়ের হলে পাষণ্ড পুত্রবধূকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আটককৃত পাষণ্ড পুত্রবধূ হলেন,আক্কেলপুর পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকার গোলাম মোস্তফার স্ত্রী শাহিনারা বেগম (৪০)।
মামলার এজাহার ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মোছাঃ মাহমুদা বেগম নামে অশীতিপর ওই বৃদ্ধার চার ছেলে। তিনি চার ছেলের বাড়িতে পালাক্রমে দুই মাস করে থাকেন। গত ৬ জুলাই থেকে বড় ছেলে গোলাম মোস্তফার পুরাতন বাজার এলাকার বাড়িতে থাকছেন। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে গোলাম মোস্তফার সাথে তাঁর স্ত্রী শাহিনারা বেগমের ঝগড়াবিবাদ লেগেই থাকত।
বৃদ্ধা মা গোলাম মোস্তফার বাড়িতে আসার পর তাঁদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা গোলাম মোস্তফার স্ত্রী বাসায় শাশুড়ীর শয়ন ঘরে কাপড় ইস্ত্রী করছিলেন। এমন অবস্থায় তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কি চলছিল।একপর্যায়ে কোন কারণ ছাড়াই শাহিনারা বেগম গরম ইস্ত্রী নিয়ে তাঁর শাশুড়ির পিঠের বাম ছ্যাকা দেয়। বৃদ্ধার চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে দেখন, বৃদ্ধার পিঠে ইস্ত্রীর ছ্যাকা দিয়ে সেখানে পাষণ্ড পুত্রবধ শাহিনা বেগম দাঁড়িয়ে থেকে চিৎকার করতে বাড়ন করছেন।
এলাকাবাসীরা এসে বৃদ্ধার শাশুড়ির পিঠে ছ্যাকা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাগের মাথায় ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। বৃদ্ধার স্বজনেরা এসে দ্রুত তাঁকে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্স নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে তাঁকে বড় ছেলের বাড়িতে আনা হয়। এঘটনায় রাতেই বৃদ্ধার ছোট ছেলে সৈয়দ জিল্লুর রহমান বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাষণ্ড পুত্রবধূ শাহিনারা বেগমকে আটক করেছে।
এবিষয়ে আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, অশীতিপর বৃদ্ধার পিঠে গরম ইস্ত্রীর ছ্যাঁকা দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বড় ছেলের স্ত্রীকে আটক করেছে।
-
ময়মনসিংহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে আরজুনা কবির কে নিয়ে ইউপি সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ
আসন্ন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে গৌরীপুর,সদর ও তারাকান্দা উপজেলার মহিলা সাধারন সদস্য পদে শিক্ষকের সন্তান ও জনপ্রতিনিধি পরিবারের বধু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেত্রী আরজুনা কবির কে আবারো দ্বিতীয়বার সদস্য পদে নির্বাচিত করতে তিন উপজেলার বেশীরভাগ ইউপি সদস্যরাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা জানায়- বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আরজুনা কবির কে সদস্য পদে নির্বাচিত করার পর থেকে তাকে সর্বাদাই বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া গেছে,সবসময় তিনি তাদের খোজ নিয়েছেন এবং সরকারের সকল প্রকার বরাদ্দ তাদের মাঝে পৌছে দিয়েছেন। তিনি সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকেন। বর্তমানে আরজুনা কবির স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে রয়েছে। করোনাকালে আরজুনা দলের পক্ষে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার প্রয়োজনীয় জিনিস ও অসহায়দের খাবার বিতরণ করে দলীর ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন।
গত ৫ বছর থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে আরজুনা কবির প্রতিটি ঈদ উৎসবে নতুন পোশাক উপহার দিয়ে আসছেন। গরীবদুঃখীর জন্য তার দরজা সব সময় খোলাই থাকে।
আরজুনা কবির বলেন, আমি সুখে দুঃখে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। এখন মানুষ যদি আমাকে চায়, তবে আমি সামনের দিনগুলোতেও মানুষের চাওয়া পূরণ করতে অবশ্যই পাশে থাকবো।
বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে তিনি প্রতিদিন সকাল থেকে রাত তিনটি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করে যাচ্ছেন।৩রা সেপ্টেম্বর আরজুনা কবির তারাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত উপজেলা পরিষদের আধুনিক মিলনায়তন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ফুলপুর-তারাকান্দা আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামোলক পরামর্শ গ্রহণ করেন। -
দুঃসময়ের ত্যাগীদের ঐক্যবদ্ধ করে আওয়ামী লীগ কে শক্তিশালী করতে চাই- গৌরীপুরে সোমনাথ সাহা
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ জেলা মটর মালিক সমিতির কোচ বিভাগের সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য,গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, ক্লিন ইমেজধারী রাজপথের সাহসী সাবেক ছাত্র নেতা, ইতিবাচক রাজনীতির ধারক, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা, গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে তৃনমুল নেতাকর্মীদের পছন্দের প্রার্থী সোমনাথ সাহা বলেনছেন- সু-সময়, দু:-সময় সবসময় আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই, দলের জন্য কাজ করতে চাই। সকলের সাথে সমন্বয় করে আগামী দিনে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী আওয়ামী লীগ হিসাবে পরিণত চাই,সে লক্ষে আসন্ন গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে আপনাদের সমর্থন ও দোয়া প্রত্যাশা করছি।৩রা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার ৯নং ভাংনামারি ইউনিয়ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের তৃনমূল নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন গৌরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সোমনাথ সাহা । ৯নং ভাংনামারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অবঃ সার্জেন্ট মোঃ নুরুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হাসনাত দুলন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপজেলার ৮ নং ডৌহাখলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজিমউদ্দিন, ৮নং ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ রফিকুল ইসলাম দিপু, ৩নং অচিন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, ৪ নং মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ কালন, ৫নং সহনাটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শ্রী রুহি আচার্য্য, ৭নং রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টারসহ উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোমনাথ সাহা গৌরিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে সমন্বয় করে দলকে শক্তিশালী করার জন্য একত্রে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন-আসন্ন উপজেলা আ’লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া ও ভোট চাচ্ছি। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত-মনোনীত হলে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলকে নতুনভাবে সংঘটিত করতে ত্যাগী ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়নে আনা হবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় উপস্থিত সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আগামী দিনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
-
ক্ষেতলাল পাঠানপাড়া স্কুলের সভাপতি নির্বাচনে গনসংযোগ
মিলন মিয়া ।
পড়ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, চলছে গনসংযোগ।
মাদক, সন্ত্রাস,ও দুর্নীতি,মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষে ক্ষেতলাল উপজেলার পাঠানপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য চলছে গনসংযোগ।আগামী ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২২ রোজ সোমবার পাঠান পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ভোট গ্রহনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ২ টি পেনেল। এদের মধ্যে প্রথম পেনেলে সভাপতি হিসেবে লড়বেন আব্দুল খালেক ও প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়বেন আব্দুল বারিক মন্ডল।
নির্বাচন কে ঘিরে দুটি দল ব্যপক প্রচার প্রচারণা করছেন পাঠানপাড়া স্কুলের সকল ছাত্র ছাএীর অভিভাবকের বাড়িতে।
বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে হেঁটে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে আব্দুল খালেকের হয়ে গনসংযোগ করছেন কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ রায়হান আলম।
তিনি সকল অভিভাবক দের কাছে ভালো শিক্ষাত মান, স্কুলে মাদক, সন্ত্রার, ও দুর্নীতি মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষে আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর আব্দুল খালেকের পক্ষে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরন করেন।
-
মধুপুরে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও প্রাইভেট পড়ানো নিষিদ্ধ
আঃ হামিদ মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা কলেজের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার ও প্রাইভেট পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার মানোন্নয়ন কল্পে আয়োজিত অভিভাক সমাবেশে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মতির ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন মহিষমারা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক। প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) শাহিনা আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিষমারা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. ছানোয়ার হোসেন, অভিভাকব মো. মাজেদ আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, মধুপুরের শিক্ষার্থীরা মোবাইলে পড়ার কথা বলে অভিভাবকদের ফাঁকি দিচ্ছে। পড়া লেখার পরিবর্তে বিনোদনে যুক্ত থাকছে। অনেকে বিপথগামী হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে যুবসমাজ তথা কলেজের শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার জন্য কলেজ শিক্ষক ও অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে মোবাইল ব্যবহার ও কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়া নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিষয়টি কার্যকর করার জন্য অভিভাক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নকল্পে অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে সকলেই সাধুবাদ জানান এবং সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রতি দেন।
ওই সভায় ছানোয়ার হোসেন শিক্ষার্থীদেরকে অবসর সময়ে পিতা-মাতার কাজে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন। যাতে করে শিক্ষার্থীদের অবসরটা কল্যাণকর কাজে ব্যবহৃত হয় এবং পরিবার সমাজ উপকৃত হয়।
এদিকে অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কলেজের শ্রেণিকক্ষে এবং প্রাইভেটে একই বই থেকে একই পড়া একই শিক্ষা শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে থাকেন। তাহলে আবার প্রাইভেট কেন? না বুঝলে শিক্ষকদের নিকট থেকে বুঝে নেওয়া শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব। শিক্ষকদেরও বুঝিয়ে দেওয়া কর্তব্য। ক্লাশে মনোযোগি হলে প্রাইভেটের কোনো প্রয়োজন নেই। তাই আমরাও একমত হয়েছি প্রাইভেট না পড়িয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার দিকে মনোযোগি করার চেষ্টা চালাবো। -
১৫ টাকা কেজি চাল পাচ্ছেন সুনামগঞ্জের জনগণ
কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রনালের আয়োজনে এই চাল বিক্রয় করা হচ্ছে।শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা মোল্লাপাড়া ইউনিয়ন শান্তিগজ্ঞ বাজার এলাকায় মেসার্স অরুণ দাশ বিক্রয় কেন্দ্রে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ,এই স্লোগানকে সামনে রেখে সেপ্টেম্বর – নভেম্বর প্রান্তিকের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের শুভ উদ্ভোধন করেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খুরশীদ ইকবাল রেজবি। উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নকীব সাদ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরিয়ার, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বেনু গোপাল দাস, সুনামগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি এ কে মিলন আহমেদ, মোল্লাপাড়া ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য মহসিন মিয়া। অনুষ্ঠানে ও এম এস ডিলার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি খাদ্য মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা উন্নয়ন অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খুরশীদ ইকবাল রেজবি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ২০১৬ সাল থেকে চালু রয়েছে। সারা বিশ্বে দূর্যোগময় পরিস্থিতিতে মানবিক প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচির আওতায় দেশে ৫০ লক্ষ মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে ভর্তুকির মাধ্যমে চাল দিচ্ছেন। আপনাদের চিন্তার কোন কারণ নেই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অনেক ভালো আছে। খাদ্য গুদামে চাল ও আটা মজুদ আছে ১৯ লক্ষ মেট্রিক টন। যা দিয়ে আমরা আরও কিছু ভালো থাকতে পারবো। মজুদ নিয়ে আমাদের কোন ঘাটতি নেই। তিনি আরো বলেন এ মাসেই জেলাব্যাপী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কার্ডধারী হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে কেজি প্রতি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে। সরকারের এই মহান উদ্যোগের ফলে সদর উপজেলায় প্রায় ১৪৫২২ জন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী উপকৃত হবেন। সেপ্টেম্বর মাসেই বিতরণ শুরু হয়েছে,যা পরবর্তী মাসেও চলমান থাকবে। উপজেলায় ২৭টি ডিলারের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ##
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।।