Category: দেশজুড়ে

  • নড়াইলের চাঁচুড়ী বিলে রূপসী বাংলার রূপের শাপলার রাজত্ব

    নড়াইলের চাঁচুড়ী বিলে রূপসী বাংলার রূপের শাপলার রাজত্ব

    উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:

    নড়াইলের চাঁচুড়ী বিলে রূপসী বাংলার রূপের শাপলার রাজত্ব।
    নড়াইলের কালিয়া উপজেলার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাঁচুড়ী বিলে প্রাকৃতিকভাবে শাপলার অবারিত রঙিন রূপ যে কোনো বয়সী মানুষকে শুধু মুগ্ধই নয়, স্তম্ভিত করে দেবে। শত বছরের পুরনো চাঁচুড়ী বিলের ফুটন্ত শাপলা দেখতে হলে যেতে হবে সকালে কিংবা বিকালে।
    সূর্যের স্নিগ্ধ আলো পড়া মাত্রই এক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয় চাঁচুড়ী বিল। নৌকায় করে শাপলা বিল বেড়ানো, পানির কল কল ধ্বনি আর তাজা শাপলা ফুলের হাসি মনে ভিন্ন এক অনুভূতির যোগায়। আর নয়নাভিরাম দৃশ্যে চোখ তো জুড়াবেই। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, শাপলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি খাবার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। ফলে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শাপলা বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
    চাঁচুড়ী বিলটি বিশেষ করে বর্ষাকালে ‘শাপলা বিল’ নামেই বেশি পরিচিত হয়ে ওঠে। চারপাশে গাঢ় সবুজের পটভূমিতে এ যেন বাংলাদেশের এক ‘লাল স্বর্গ’। প্রাচীন এ বিলে হাজার হাজার হেক্টর জমি জুড়ে অসংখ্য মৎস্য ঘের গড়ে উঠলেও শাপলা ফোটায় বিন্দু মাত্র ভাটা পড়েনি। এই বিলে প্রাকৃতিকভাবেই শাপলা ফোটে।
    চাঁচুড়ী বিলের মধ্য দিয়ে এঁকে বেঁকে বয়ে চলেছে ‘লাইনের খাল’,‘নালের খাল’,‘ছোট খাল’,আর ‘বড় খাল’সহ নাম না জানা আরও অসংখ্য খাল। এই খালগুলোতেও রং-বেরংয়ের শাপলা ফুল ফুটেছে। যা এই বিলের সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণত জুন ও জুলাই মাস থেকে এই বিলে শাপলা ফুল ফোটে। তখন নৌকা নিয়ে এই বিলে বেড়াতে যাওয়া আরেক প্রাপ্তি।
    নড়াইল সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের উত্তরাংশে অবস্থিত পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া ও সদর উপজেলার একাংশের কয়েকটি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে এ বিল এখন স্থানীয়দের কাছে শাপলার বিল নামেই পরিচিতি লাভ করেছে। বিলের মোট আয়তন সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানা গেলেও কেউ কেউ বলেছেন হাজার হাজার হেক্টর নিয়ে এ বিল।
    চাঁচুড়ী বিলে ঠিক কতো বছর আগ থেকে এভাবে শাপলা জন্মাতে শুরু করেছে সে তথ্যও সঠিকভাবে দিতে পারেননি কেউ। তবে স্থানীয়রা বলছেন, শত বছর আগে থেকেই বছরের অধিকাংশ সময় জলমগ্ন এ বিলে লাল, সাদা ও বেগুনি রংয়ের তিন ধরনের শাপলা জন্মালেও সাদা ও লাল শাপলার আধিক্য বেশি থাকে। সূর্যের সোনালী আভা সহস্র লাল ও সাদা শাপলা পাতার ফাঁকে ফাঁকে বিলের পানিতে প্রতিফলিত হয়ে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় এর সৌন্দর্য।
    বিলের লাল শাপলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখে আপনা থেকে চোখ জুড়িয়ে যায়। মনোমুগ্ধকর এ বিলের শাপলা দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমীরা। ফলে দিন-দিন দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠছে ‘শাপলার বিল’। বিলের যতো ভেতরে এগুতে যাবেন ততোই শাপলার আধিক্য।
    একসময় মনে হবে এটি যেন শাপলার রাজ্য। আর প্রকৃতিপ্রেমীরাও এ বিলে ছবি তুলতে মগ্ন থাকে। বছরের এই নির্দিষ্ট সময়জুড়ে এখানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
    এ বিলের শাপলা তুলে অনেক ছেলে বুড়োরা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ওইসব এলাকার অসংখ্য পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছেন।
    বিল সংলগ্ন গ্রামের একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, বছরের ছয় মাস তারা অনেকেই এই বিলের শাপলার ওপর নির্ভরশীল। তবে বাজারে সাদা শাপলার কদর বেশি। এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করছেন ওই এলাকার শত শত পরিবার। এদের কেউ শাপলা তুলে,কেউবা বিল থেকে মাছ শিকার করে বাজারে বিক্রি করেন। চাঁচুড়ী বিল সংলগ্ন ডহর চাঁচুড়ী গ্রামের বাসিন্দা ইলিয়াছ শেখ ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে প্রতিদিনই বিলের পানিতে মাছ শিকার ও শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করেন। শাপলার বিল হওয়ায় এখানে খাদ্যের বেশ যোগান থাকায় দেশী প্রজাতির মাছও ধরা পড়ে প্রচুর।স্থানীয়রা এই বিলটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত করার জন্য প্রশাসনের সুনজর কামনা করেছেন।
    নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) দীপক কুমার রায় জানান, সাধারণত শাপলা ৩ প্রকারের হয়ে থাকে। এর মধ্যে সাদা, বেগুনী (হুন্দি শাপলা) ও অন্যটি লাল রংয়ের। সাদা ফুল বিশিষ্ট শাপলা সবজি হিসেবে ও লাল রঙ্গের শাপলা ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। শাপলা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি। সাধারণ শাক-সবজির চেয়ে এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। শাপলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।

  • টাঙ্গাইলের মধুপুরে হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত

    টাঙ্গাইলের মধুপুরে হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত

    মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি।

    টাঙ্গাইলের মধুপুরের ফাজিলপুর গ্রামে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় হাসিল কাগচিতলা টেকিপাড়া দলকে হারিয়ে ফাজিলপুর দুর্গাপুর বালিয়াচড়া মির্জাপুর দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলাটি হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেন।
    খেলা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আসাদুল ইসলাম আজাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মধুপুর পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খান। অন্যান্যের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আব্দুল গফুর মন্টু, মির্জাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

  • জয়পুরহাটে অনলাইনে টাকা দিয়ে জুয়ার খেলার সময় ৭ জুয়াড়ি আটক

    জয়পুরহাটে অনলাইনে টাকা দিয়ে জুয়ার খেলার সময় ৭ জুয়াড়ি আটক

    রিদয় হোসেন(সদর জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ-

    জয়পুরহাটে ডিজিটাল ডিভাইস (ট্যাব) এর মাধ্যমে টাকা দিয়ে অনলাইনে জুয়া খেলার সময় ৭ জন জুয়াড়ি’কে আটক করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বরইতলী বাজার থেকে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন,জয়পুরহাট সদর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামে জুবাইদুল (৩২), ফিরোজ (৩০) শাহীন (২৫), সোহেল রানা (৩২) আনিসুর রহমান (৩৫,) বাবু (৩১) ও মজিদ (৩৬)।

    জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম আটককের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আটককৃত জুয়াড়িরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকায় ডিজিটাল অনলাইন ডিভাইস ট্যাব এর মাধ্যমে জুয়ার খেলার অ্যাপস ডাউনলোড করে টাকা দিয়ে জুয়া খেলে আসছে। ওসি আরও বলেন সদর উপজেলার বরইতলী বাজারে অনলাইনে জুয়ার আসর বসেছে, এমন গোপন সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জুয়াড়িকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

  • পটিয়ায় নজীর আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ

    পটিয়ায় নজীর আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ

    মহিউদ্দীন চৌধুরী, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ পটিয়ায় নজীর আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উপজেলার ৭০ টি ক্রীড়া সংগঠনের মাঝে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের বিনিনিহারা এলাকায় ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড.জুলকারনাইন চৌধুরী জীবনের অর্থায়নে এ ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন কুসুমপুরা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম। পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাফিস ইকবালের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক খাইরুল বশর, নুর রশীদ সিদ্দিকী, কুসুমপুরা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আকবর, ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর মেম্বার, আবুল কালাম, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আরাফাত সানি, জামাল মাহমুদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল কাদের, মোঃ শাহেদ, ফাউন্ডেশনের অর্থ সচিব নজরুল ইসলাম ও প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল প্রমুখ।
    অনুষ্ঠানে পটিয়া ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আব্দুস সোবহান ফুটবল একাদশ, পটিয়া ফুটবল একাডেমি, আবাহনী ক্রীড়া চক্র এবং পটিয়া রিজেন্সি সহ ৭০ টি ক্রীড়া সংগঠনের মাঝে এ ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করে মাদক ও জুয়া মুক্ত আদর্শিক সমাজ বির্নিমাণে সকলকে ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।

  • তারাকান্দায় দিনভর ইউএনও’র কর্মতৎপরতায় খুশী সাধারণ মানুষ

    তারাকান্দায় দিনভর ইউএনও’র কর্মতৎপরতায় খুশী সাধারণ মানুষ

    ময়মনসিংহর তারাকান্দায় রবিবার দিন ভর ব্যাপক কর্মতৎপরতায় কাটিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত । এদিন সকাল থেকে সারাদিন বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন,নকল মুক্ত পরীক্ষা উপহার দিতে এসএসসি কেন্দ্র পরিদর্শন,জলাবদ্ধতা নিরসন,সারের দোকানে মুল্য পরিদর্শনসহ মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী জনাব শরীফ আহমেদ এমপি এবং ময়মনসিংহ জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক এনামুল হক এর নির্দেশনায় তারাকান্দা উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরের ফল ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ পরবর্তী পুনর্দখল মুক্ত করণে লক্ষে জায়গা পরিদর্শন করেন ইউএনও মিজাবে রহমত।এসময় তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়েরসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।

    পরিদর্শন ও মোবাইল কোর্টের অভিযানের অংশ হিসেবে তিনি তারাকান্দা বাসস্ট্যান্ড এলাকার শহীদ মিনার সংলগ্ন স্থানে শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার্থে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন এবং নকল মুক্ত পরীক্ষা উপহার দিতে চলমান এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ কেন্দ্র পরিদর্শন। এর আগে সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তারাকান্দা’র পিতা মরহুম আবু বকর সিদ্দিক এঁর স্মরনে তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
    হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত প্রধান অতিথি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহমিদা সুলতানা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    দুপুরে উপজেলার মাঝিয়ালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন স্থানে রাস্তার কালভার্ট বন্ধ করে পুকুর খনন করার ফলে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ লাগবে সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন মিজাবে রহমত, এসময় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

    পরে তিনি উপজেলার বালিখা ইউনিয়নে গ্রাম ভিত্তিক অস্ত্র বিহীন ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ ১ম ধাপ (পুরুষ ও মহিলা)-২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ইউনিয়নে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। এসময় ইউনিয়নের জনসাধারণের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড হাতে নেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত-ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করে স্বচ্ছতার সহিত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে জনপ্রশাসনকে জনকল্যাণে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের সাথে জড়িত সকলের প্রতি আহবান জানান।

    একই দিনে বিকালে উপজেলার তারাকান্দা বাজারে বিসিআইসি ও বিএডিসি সার পরিবেশকের গুদামে মজুদ পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন মিজাবে রহমত। এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাওছার আহম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন।

    উপজেলায় যোগদানের পর সরকারী সেবা ও বিভিন্ন কর্মকান্ডে আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন ইউএনও মিজাবে রহমত। সৎ-সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকান্ডে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। যে কারনে জনগণের পাশে দাড়িয়ে তাদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতিক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন ।
    এক কথায় তিনি একজন সততা ও কর্মদক্ষতার প্রতিক। তিনি একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ। যে কারনে তিনি স্বল্প সময়ে উপজেলার সকল মানুষের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক অসাধারণ গল্পের মানুষ।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন-
    বলেন, জনগনকে সেবা দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ। আমি চেষ্টা করি সরকার যে দায়িত্বটুকু দিয়েছেন তা সঠিক ভাবে পালন করতে।তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা সকলেই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করি তাহলে অবশ্যই সরকারের সকল কাজই জনগণের কল্যানে আসবে।

  • পরানগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক

    পরানগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক

    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও চরাঞ্চল ২০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক। একই দিনে তিনি ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের খোজ খবর নেন।

    পরানগঞ্জ ইউনিয়নের জনসাধারণ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফ সরকারের দাবীর প্রেক্ষিতে তিনি শুক্রবার (১৬সেপ্টেম্বর) ছুটির দিনেও ইউনিয়নের চর শ্রীকলদী নদী ভাঙ্গনরোধে বিভিন্ন কর্মসূচি সরেজমিনে পরিদর্শন এবং চরাঞ্চল ২০ শয্যা হাসপাতাল সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন।

    পরিদর্শন শেষে পরানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সব ইউপি সদস্যের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভা করেন। মতবিনিময়কালে তিনি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো স্বচ্ছ ও দুর্ণীতিমুক্ত পরিবেশে সম্পন্ন করে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেওয়ায় আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ সরকার, ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার বাচ্চু মিয়া মেম্বার, ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার বজলুল হক মেম্বার, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল আহমেদ, ১,২,৩ নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের সন্তান সুজিব সাহা টুকু, বিশিষ্ট সমাজসেবক ফজলুল হক মন্ডল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু হানিফ মন্ডল, ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া, ব্যবসায়ী হাফিজ উদ্দিন, শরাফ উদ্দিন মাস্টার, সমাজসেবক আব্দুল হাই সরকারসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।পরিদর্শন শেষে তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে দুটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।

    তিনি মতবিনিময়সভায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের মাঝে পৌঁছে দেবেন। আপনাদের কাছে জনগণ যাতে খুব দ্রুত সেবা পায় সেই ব্যবস্থা আপনারা নিশ্চিত করবেন। সরকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের যে বিচারিক ক্ষমতা দিয়েছে, সেটা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে গ্রাম্য আদালতে অনেক বিষয় মীমাংসা হয়ে যাবে। আদালত ছাড়া বিচারিক ক্ষমতা শুধু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরই সরকার দিয়েছে। তাই এই ক্ষমতা আপনারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে জনগণ অনেক উপকৃত হবে এবং আদালতে মামলার জট কমে যাবে।
    এসময় তিনি স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে জনপ্রতিনিধির স্বচ্ছতার সাথে কাজ করার আহবান জানান এবং নদী ভাঙন রোধে অনতিবিলম্বে উপর্যুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।

  • শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে দলকে নতুনভাবে সংঘটিত করা হবে- গৌরীপুরে সোমনাথ সাহা

    শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে দলকে নতুনভাবে সংঘটিত করা হবে- গৌরীপুরে সোমনাথ সাহা

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
    ময়মনসিংহ গৌরীপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক, জেলা মটর মালিক সমিতির কোচ বিভাগের সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য,গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি, ক্লিন ইমেজধারী রাজপথের সাহসী সাবেক ছাত্র নেতা, ইতিবাচক রাজনীতির ধারক, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা সোমনাথ সাহা বলেছেন-হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। মতবিরোধ থাকতে পারে কিন্ত নিজেদের মধ্যে অন্তকোন্দল থাকা যাবে না। সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৫সেপ্টেম্বর)বিকালে নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসলে দলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করার পর নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।পরে উপজেলার পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নবগঠিত কমিটির সভাপতি নিলুফার আনজুম পপি ও সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ শাহা দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

    এসময় সোমনাথ সাহা আরো বলেন- বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দলকে নতুনভাবে সংঘটিত করা হবে এবং ত্যাগী ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। সে লক্ষে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগীতা কামনা করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নূরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ খান পাঠান সেলভী, সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন কাদের রুবেল, ডৌহাখলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার, রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টার, গৌরীপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল আওয়াল খান পাঠান, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য কামাল হোসেন প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত দীর্ঘ ১৯ বছর পর ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পৌর রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে নিলুফার আনজুম পপিকে সভাপতি ও সোমনাথ সাহাকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি অনুমোদন করে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

    কমিটি অনুমোদন পাওয়ার পরদিন ১৫সেপ্টেম্বর দিনভর ব্যাপক কর্মসূচির মাঝে ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন নবগঠিত কমিটির সভাপতি নিলুফার আনজুম পপি ও সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ শাহা। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- গৌরিপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন,গৌরিপুর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত, গৌরিপুরের মা, মাটি ও মানুষের নেতা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মরহুম ডা. ক্যাপ্টেন অবঃ মজিবুর রহমান ফকির এম.পি মহোদয়ের কবর জিয়ারত, গৌরিপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়,
    নবগঠিত কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদক তৃণমূলের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরো সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • পূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ- ওসি শাহ কামাল

    পূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ- ওসি শাহ কামাল

    আরিফ রববানী ময়মনসিংহ
    ময়মনসিংহ জেলায় শারদীয় দুর্গাপূজার হাওয়া বইছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকা সহ সদর উপজেলা জুড়ে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সিটি করপোরেশন সহ
    মহানহগর ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় ৮৩ টি পূজামন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকেরা। আর এ পূজাকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে। এনিয়ে (১৬ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার পূজায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উদ্যোগে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সভায় মহানগর ও উপজেলা পূজা উদযাপন শাখার নেতৃবৃন্দ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মহানগর ও থানা এলাকার শাখার নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিসহ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভাপতির বক্তব্যে ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান-পূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোতোয়ালী মডেল থানা থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। মন্ডপে মন্ডপে পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। পুলিশের টহলও জোরদার করা হবে। এতে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

    সভায় কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো : শাহ কামাল আকন্দ পিপি এম (বার) বলেন- সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব আসন্ন দুর্গাপূজা। প্রতিবছরের ন্যায় ময়মনসিংহে নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কোতোয়ালী প্রশাসন সবর্দা আন্তরিক ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। মাঠপর্যায়ে সকলের সাথে সমন্বয় করে একটি শক্তিশালী সামাজিক সুরক্ষা বলয় তৈরির মধ্য দিয়ে উৎসবমুখরভাবে শারদ উৎসব উদযাপিত হবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই বছর প্রতিটি মন্দিরে স্থায়ীভাবে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে তারপরেও মন্দিরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কোনরুপ প্রতিকূল পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয় সে বিষয়ে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। সভায় পুলিশের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। অনেকে ময়মনসিংহের পুলিশকে মানবিক পুলিশ আখ্যায়িত করেন। তারা ওসি শাহ কামাল আকন্দের কার্যক্রম এর চিত্র ধরে তুলেন। স্বাধীনতার পর এমন জনবান্ধব পুলিশ তারা পায়নি বলে দাবী করেন। সভায় মহানগর ও কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকার পুজা উদযাপন কমিটির কমপক্ষে ত্রিশজন বক্তা বক্তব্য রাখেন।
    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট রাখাল সরকার। বিশেষ অতিথি ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হাসান, এডভোকেট পীযুস কান্তি সরকার, এডভোকেট তপন দে, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, শংকর সাহা, জয় কুমার দে, এডভোকেট বিকাশ রায়, সঞ্জীব সরকার, সুজিত বর্মন, এডভোকেট প্রশান্ত দাস চন্দন, এডভোকেট পবিত্র রঞ্জন রায় প্রমুখ।

    থানার অফিসারদের মাঝে বক্তব্য রাখেন- পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ফারুক হোসেন,ইন্সপেক্টর অপারেশন ওয়াজেদ আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

    ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে এমন পুজোয় কমিটির লোকজন সচেতন থাকবেন এবং সমস্যা হলে দায়িত্বরত পুলিশদের সাথে সাথে জানানোর অনুরোধ করেন । বর্তমান সময়ে দুর্গাপূজা শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হিসেবে নয় এটি সারাদেশেই বাঙালির প্রাণের উৎসব হিসেবে উদযাপিত হয়। তাই ময়মনসিংহে এই উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছরের ন্যায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় থাকবে পুলিশের পক্ষ থেকে।
    তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বছর প্রতিটি মন্দিরকে বাধ্যতামূলক সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে, যা বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়াও পূজামন্ডপে আনসার সদস্যের পাশাপাশি গত বছরের ন্যায় অবশ্যই মন্দির কমিটির পক্ষে সার্বক্ষণিক সেচ্ছাসেবী রাখতে হবে যা পুলিশের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। সভায় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, অধিকাংশ মন্দিরেই নিরাপত্তা গেট কিংবা সীমানা প্রাচীর নেই পূজোর আগে তা নিরাপত্তার উদ্যোগী হতে হবে। এছাড়াও পূজা কে কেন্দ্র করে মাদকের বিস্তার এবং শহরে সৃষ্ট যানজট নিয়ন্ত্রণেও পুলিশ সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করবে বলেও তিনি সকলকে আশস্থ করেন। সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে পর্যায়ক্রমে সভায় আসন্ন দুর্গাপূজা কে সামনে রেখে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রেখে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সুষ্ঠুভাবে সকল আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের লক্ষ্যে সন্মিলিত সিদ্ধান্ত নেন।

  • পাঁচ দফা দাবীতে ময়মনসিংহ সদরে  পিআইও অফিসে টানা ৪দিনের কর্মবিরতি পালিত

    পাঁচ দফা দাবীতে ময়মনসিংহ সদরে পিআইও অফিসে টানা ৪দিনের কর্মবিরতি পালিত

    ষ্টাফ রিপোর্টার
    জনবল কাঠামো ও নিয়োগবিধি বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে (পিআইও) অফিসে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৪দিনপর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর, ২২ ইং তারিখ সোমবার সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়ে ১৫সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলে। এতে করে পিআইও অফিসে আসা উপজেলার বিভিন্নপ্রান্তের সেবাভোগী মানুষেরা সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হয়।

    সরেজমিনে- ১২সেপ্টেম্বর সোমবার,১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, ১৪সেপ্টেম্বর বুধবার ও ১৫সেপ্টম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করতে দেখা যায় পিআইও মোঃ মনিরুল হক ফারুক রেজাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের।এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উক্ত অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ সেবা না পেয়ে ফিরে যান। অবশ্য সেবা নিতে সমস্যা হলেও পিআইওদের যৌক্তিক দাবীগুলো অবগত হওয়ার পর তারাও এসব দাবীর সাথে সহমত পোষণ করে সরকারের প্রদত্ত সেবাগুলোকে জনকল্যাণে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে প্রস্তাবিত দাবীগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ জানান।

    সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল হক ফারুক রেজা বলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২ কার্যকর হয়েছে প্রায় এক যুগ আগে। অথচ এর আওতায় কর্মরত জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের (পিআইও) জনবলকাঠামো ও নিয়োগবিধি এখনো অনুমোদন হয়নি। পদ দুটির আপগ্রেডেশন প্রস্তাবও পড়ে আছে মন্ত্রনালয়ে। ফলে ডিআরআরও এবং পিআইওরা কাঙ্খিত আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। এসব দাবী বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরাধীন সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে এই কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচী দেশব্যাপী পালন করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন- ১৫ই বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস কর্মবিরতি শেষে দাবী আদায়ের লক্ষে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক স্যারের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন স্যারের নেতৃত্বে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। তিনি জানান- প্রস্তাবিত দাবী বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে আরো কঠো কর্মসূচির ডাক দিতে পারে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। তিনি বলেন- সদ্য অনুষ্ঠিত কর্মসূচির ন্যায় সামনের কর্ম সুচি গুলোকে সফল করা হবে। এসময় কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে গত ৪দিন সদর উপজেলা পিআইও অফিসে এসে সেবা বঞ্চিত হওয়ার পরও কর্মসুচির সাথে সহমত পোষণ করায় সদরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা।

  • ময়মনসিংহ সদরে মাকসুদার  কর্মদক্ষতায় বদলে যাচ্ছে সমাজসেবা অফিসের চিত্র

    ময়মনসিংহ সদরে মাকসুদার কর্মদক্ষতায় বদলে যাচ্ছে সমাজসেবা অফিসের চিত্র

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    ময়মনসিংহ সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাকসুদা খাতুন উপজেলায় যোগদানের পর থেকে সরকারী সেবা ও বিভিন্ন কর্মকান্ডের উপজেলা সমাজসেবা আর্তমানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।সৎ-সাহস ও সদিচ্ছা থাকলে একদিন কঠিন কাজেও সফলতা অর্জন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে তার কর্মকান্ডে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। জনগণকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড ও বিভিন্ন প্রকার সেবা জনগণের জনকল্যাণে পৌছে দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ফলে তাদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতিক খুঁজে পেয়েছেন সদরের গরীব অসহায় মানুষেরা।

    তিনি সদর উপজেলায় সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে সদর বাসীর প্রসংশার দাবীদার হয়ে উঠেছেন। ২০১৭ সালে
    ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ননক্যাডার থেকে চাকরিতে যোগ দেন মেধাবী এই নারী অফিসার। গত ২০২১সালের ১৯শে মে তিনি সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগদান পর থেকে সমাজ সেবা শাখাকে নিজের মত করে ঢেলে সাজিয়েছেন। উদ্যোগ নিয়েছেন দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়ম আর দুর্নীতি দুর করে একটি আধুনিক জনপদ গড়ে তোলার।

    তার সততা ও কর্মদক্ষতায় ক্রমানয়ে বদলে যাচ্ছে সমাজ সেবা শাখার প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। কমেছে জনভোগান্তী আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। তিনি প্রতিটি উন্নয়নের কাজকে বাস্তবায়ন করে এ উপজেলাকে উন্নত আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
    উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি প্রতিটি ভাতা কার্ড স্ব-শরীরে যাচাই-বাছাই করে সকল প্রকার উন্নয়নকে জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। তার কার্যালয় সবার জন্য উম্মুক্ত দ্বার হিসেবে পরিণত করেছেন।
    তিনি দাপ্তরিক কাজের বাইরে উপজেলার সব প্রান্তে রুটিন কাজের বাইরে কাজ করাসহ দায়িত্বশীলতা, সততা ও মেধা দিয়ে উপজেলার সকল সমস্যা দেখভাল করেন।

    ভাতার কাজ নিশ্চিত দেখে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি । কথা বলেন সব শ্রেনির মানুষের সাথে এবং শোনেন তাদের দুঃখ কষ্টের কথা। নিয়মিত খোঁজ খবর নেন সমাজের অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল উন্নয়ন সেবা নিজ তত্ববাবধানে মানসম্মত করতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সমাজসেবা অফিসার মাকসুদা খাতুন।
    উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন মহোদয় এবং ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মহোদয়ের আন্তরিকতা সমন্বয়ের কারণে উপজেলার মানুষের জন্য সরকারের দেওয়া সবগুলো ভাতা যাচ্ছে প্রয়োজনীয় স্থানে।

    উপজেলা সমাজসেবা প্রশংসা করে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বলেন, এত ভাল নম্র,ভদ্র উপজেলা সমাজসেবা আগে কখনো দেখিনি। তিনি অসহায় এবং গরীব মানুষের প্রকৃত বন্ধু। অন্যায় এবং অসৎ বক্তিদের কখনো প্রশ্রায় দেন না। যার কারনে সাধারন মানুষ সমাজ সেবার উপর আস্থা পেয়েছেন। এক কথায় তিনি একজন সততা ও কর্মদক্ষতার প্রতিক। তিনি একজন সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ। যে কারনে তিনি স্বল্প সময়ে উপজেলার সকল মানুষের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক অসাধারণ গল্পের মানুষ।

    এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাকসুদা খাতুন বলেন, জনগনকে সেবা দেয়াই আমাদের মূল লক্ষ। আমি চেষ্টা করি সরকার যে দায়িত্বটুকু দিয়েছেন তা সঠিক ভাবে পালন করতে।তিনি আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা সকলেই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করি তাহলে অবশ্যই সরকারের সকল কাজই জনগণের কল্যানে আসবে।