হেলাল শেখঃ আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও ত্যাগী নেতা সুমন আহমেদ ভুঁইয়া’র পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল আযহা’র কোরবানির ঈদের শুভেচ্ছা।
সমন আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, ঢাকা-১৯ আসনের এমপি, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এবং ঢাকা-২০ আসনের এমপি ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজীর আহম্মেদ ও সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন খান ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক-আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, আবারও ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, “ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।
আশুলিয়া থানা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ত্যাগী নেতা সুমন আহমেদ ভুঁইয়া আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা মমতাময়ী মা, তিনি আছেন বলেই আমরা ভালো আছি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা’র দিকনির্দেশনা মতো আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, সবার কাছে আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া কামনা রইলো, আবারও ঈদের শুভেচ্ছা, “ঈদ মোবারক”।
Author: desk
-

আশুলিয়ার ত্যাগী নেতা সুমন আহমেদ ভুঁইয়া’র পক্ষ থেকে ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা
-

সুজানগরে এডিপির আওতায় বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ
এম এ আলিম রিপন ঃ পাবনার সুজানগরে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার ,অসচ্ছল নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন, কৃষকদের মাঝে স্প্রে মেশিন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বে বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের আয়োজনে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন, পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা.মর্জিনা খাতুন। এসময় উপজেলা প্রকৌশলী রাকিব হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাজমীর জামান খান, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আব্দুল লতিফ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল জলিল বিশ্বাস, সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান আলী,এন এ কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল হাশেম, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন, সুজানগর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ ও সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলিম রিপন সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা পরিষদ পুকুরে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ করেন অতিথিরা।
এম এ আলিম রিপন
সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।। -

পাইকগাছায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধ দখল চেষ্টার অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।
পাইকগাছায় ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধ দখল চেষ্টার অভিযোগ এনে প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী মোঃ আল মুনছুর।
পাইকগাছা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাতিখালী গ্রামের মৃত সুলতান গাজীর পুত্র মোঃ আল মুনছুর বলেন, সরল মৌজায় এস এ ১৭৫ নং খতিয়ানের রেকর্ডের মালিক কিনুরাম মন্ডলের ওয়ারেশগন বর্তমান বি আর এস রেকর্ডীয় মালিক পরিতোষ কুমার মন্ডল ও বিপ্লব কুমার মন্ডল এর নিকট থেকে গত ইং ১৫/৬/২২ তারিখ ১৯৮৮/২২ নং এবং ২/৬/২২ তারিখে ২১৮৪/২২ নং কোবলা দলিল মূলে ০. ০৩৮৪ একর সম্পত্তি ক্রয় করি। উক্ত জমিতে জনৈক অনিতা রানী পেশী শক্তি বলে পাকা প্রাচীর করতে থাকলে আমি পাইকগাছা থানার শরনাপন্ন হয়ে লিখিত অভিযোগ করি।যার প্রেক্ষিতে ৩/৭/২২ তারিখে উভয় পক্ষ কে নিয়ে ওসি বসাবসি করেন। বসাবসির এক পর্যায়ে তর্কিত জায়গায় অনিতা রানী মন্ডল কে কাজ না করার জন্য জানিয়ে দেয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অনিতা রানী মঙ্গলবার আবার কাজ শুরু করলে ওসি সাহেব কে জানালে তিনি আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যানের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন।থানা পুলিশের কোন ভূমিকা না থাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি অত্র সাংবাদিক সম্মেলন করছি।ইমদাদুল হক,
পাইকগাছা,খুলনা। -

পাইকগাছায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে টুং টাং শব্দে মুখর কামারশালা
ইমদাদুল হক, পাইকগাছা, খুলনা।। পবিত্র কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে হাতুড়ির টুং টাং শব্দে মুখরিত হয় ওঠেছে পাইকগাছার কামারশালা। চলছে হাঁপর, পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। কর্মব্যস্ত সময় পার করছে কামার শিল্পীরা। সারাদিন তপ্ত লোহা ও ইস্পাত গলিয়ে চলছে, দা, চাপাতি, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। দম ফেলারও সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া সময় মত করতে পারছেনা তারা। কাঁকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মকান্ড। মূল কারিগরের সাথে একজন ভারী হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন আগুনরাঙ্গা লোহার দন্ড। কেউ পোড়া দা ও ছুরিতে দিচ্ছেন শান। ম্যাশিনের সাহায্যে কেউবা হাঁপর টেনে বাতাস দিচ্ছেন। দিন-রাত সমান তালে লোহার টুং-টাং শব্দ আর হাফরের ফুঁসফাঁস শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার প্রতিটি কামারশালা। হারিয়ে যেতে বসা বাংলার প্রাচীন কামারশিল্প যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
আর মাত্র কয়েক দিন পর ঈদুল-আযহা। উপজেলা পৌর সদর, নতুন বাজার, গদাইপুর, আগড়ঘাটা, কপিলমুনি বাঁকা, চাঁদখালী, কাটিপাড়া, বোয়ালিয়ার মোড়সহ বিভিন্ন হাট বাজার এবং কামার বাড়ীতে কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের ছোরা, চাপাতি, চাকু, দা, বটি, কুড়াল সহ বিভিন্ন সরজ্ঞাম তৈরি করছে কামাররা। সারা বছর টুক-টাক কাজ থাকলেও কুরবানির ঈদের সময় কামার শিল্প মুখরিত হয়ে ওঠে। কামারের দোকানে দুই তিনজন কারিগর কাজ করছে। কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ সময় দোকানে পুরাতন ও নতুন ধারালো অস্ত্র বানানো ও মেরামত করার ভীড় শুরু হয়। ঈদের আগের দিন র্পযন্ত এই ব্যস্ততা থাকে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে কামার শিল্পে। বৈদ্যুতিক সান দিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম সান দেওয়া হয় ও হাফর বা জাতা দিয়ে বাতাস দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মটর।
উপজলার গদাইপুর গ্রামের সন্তোস কর্মকার, রজন কর্মকার, আগড়ঘাটার বিশ্ব কর্মকার জানান, কোরবানি ঈদে তারা প্রতিবছর দা, ছুরি, চাপাতিসহ কোরবানি বিভিন্ন উপকরণ তৈরি করেন। বোয়ালিয়া মোড়ে অবস্থিত কামারশালার শিল্পী বিমল র্কমকার ও সুপম কর্মকার বলেন, লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ লোহা ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা ও গাড়ীর পাতি ৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি ক্রয় করতে হয়। পশু জবাই করার ছোট-বড় বিভিন্ন সরজ্ঞাম সাইজের উপর দাম নির্ভর করে। গদাইপুরের সন্তোষ কর্মকার বলেন, অর্ডার দিয়ে তৈরী করা নতুন চাপাতি তৈরীর মুজুরী ৫শ টাকা থেকে ৭শ টাকা, জবাই করা ছোরা ৩শ টাকা। আর তৈরী করা ছোট চাপাতি ৫শত টাকা, বড় চাপাতি ৭ শত থেকে ৮ শত, বড় ছোরা ৩ শত থেকে সাড়ে ৩ শতটাকা, চাকু ৫০ টাকা থেকে দেড় শত টাকা, বটি আড়াই শত থেকে ৩ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হরি গোপাল কর্মকার জানান, এই পেশায় আমরা খুব অবহেলিত। বর্তমান দ্রব্যমূল্য বেশী হলেও সেই অনুযায়ী দাম পাই না। ফলে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। সারা বছর তেমন কাজ না থাকায় অনেকেই বাধ্য হয়ে পৈতৃক এই পেশা পরিবর্তন করছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, দা, ছুরি, চাপাতি, চাকু ও বটির বেচাকেনা বেড়েছে। পৌর বাজারে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনতে আসা সিরাজুল ইসলাম, ওহাব, আবুল কালামসহ কয়েকজন ক্রেতা জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, বটির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা। কোরবানি ঈদের কয়েক দিন বাকি। তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কেনার জন্য এসেছি।
লোহা ও কয়লার দাম অনেক বেড়েছে। সে তুলনায় কামার শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের দাম বাড়েনি। তাদের আশা, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। -

ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ২০ জন আটক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কালে ২০ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (৫ জুন) ভোরে মহেশপুরের মাটিলা গ্রামের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছে। বিজিবির ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক তসলিম মোহাম্মদ তারেক জানান, বিজিবির একটি টহল দল অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পর তাদের আটক করে। তাদের বাড়ি ফরিদপুর, বরিশাল, ঝিনাইদহ, খুলনা ও বাগেরহাট জেলায় বলে বিজিবিকে জানায় তারা। তিনি আরও জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে আটককৃতদের মহেশপুর খানায় সোপর্দ করা হয়েছে।ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।। -

ঝিনাইদহে স্কুলের বিদ্যুৎতে চলে পুকুরের মাছ চাষ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
স্কুলের বিদ্যুতে চলে লীজ দেওয়া পুকুরের মটর। এ ভাবেই সাইট লাইন দিয়ে চলছে প্রায় এক যুগ। কোন হৈচৈ নেই। নেই প্রশাসনিক পদক্ষেপ। প্রতি মাসে স্কুল ফান্ড থেকে ১০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হয়। অথচ স্কুলের পুকুরটি লীজ দেওয়া আছে অন্যের নামে। তিনি সেখানে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে। এক লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রঘুনাথপুর রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুরটি লীজ দেওয়া বারোবাজার এলাকার মাছ চাষি বাচ্চুর কাছে। স্কুলের কাছ থেকে লীজ নিয়ে তিনি সেখানে বানিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন। পুকুরে একটি মটর বসানো আছে। স্কুল থেকে অবৈধ ভাবে সাইট লাইন নিয়ে মৎস্য চাষি বাচ্চু গভীর নলকূপ বসিয়ে সেচ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তার এই কাজে সহায়তা করছেন রঘুনাথপুর রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেন। রঘুনাথপুর ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইদ্রিস আলী ইদু পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কালীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান এবং স্কুল সভাপতি আমির হোসেন প্রায় ১৫ বছর ধরে বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে অবৈধভাবে সাইড লাইন দিয়ে পুকুরে বণিজ্যিকভাবে মাছ চাষে সহায়তা করে যাচ্ছে, যা সমিতির আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ জোনার অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রথীন্দ্র নাথ বসাক জানান, অভিযোগের বিষয়টি এজিএমের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।ঝিনাইদহ
আতিকুর রহমান।। -

মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে স্মারকলিপি প্রদান
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
ঈদের সাত দিন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চলাচলে আরোপ করা বিধিনিষেধ অপসারণের দাবিতে পঞ্চগড়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বাইকাররা।
মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক বরাবর এই স্মারকলিপি দেন পঞ্চগড় বাইকার্স ক্লাব এবং ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাবের কয়েকজন বাইকার।
স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেন- যৌক্তিক কারণ ছাড়াই মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যা সারাদেশের বাইকারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ঢাকা শহর থেকে ঈদ উদযাপনের জন্য ঘরমুখী অনেকেই নিজস্ব পরিবহণ ব্যবহার করে থাকে; এর মধ্যে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যাই অধিক। কিন্তু এই বিধিনিষেধের কারণে লাখো বাইকার পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে সমস্যার সম্মুখীন হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ফেসবুক ভিত্তিক প্লাটফর্ম ‘ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব’ এর এডমিন রাফাত সাদিফ বলেন, হেলমেট এবং আনুষাঙ্গিক নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহারসহ ট্রাফিক মেনে চললে সড়কে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। সুতরাং বৈধ কাগজপত্র থাকার শর্তসাপেক্ষে হলেও আগামী ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হোক।
ফেসবুক ভিত্তিক প্লাটফর্ম ‘পঞ্চগড় বাইকার্স ক্লাব’ এর এডমিন রেজাউল করিম রাজু বলেন, এই বিধি নিষেধে নিজের জেলাতেও বিরম্বনার শিকার হতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমার বাড়ি পঞ্চগড়ে হলেও চাকুরির সুবাদে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নাটোরে করেছি। এখন আমার মোটরসাইকেলে সেখানকার নম্বর প্লেট লাগানো। এই বিধিনিষেধেতো নিজ এলাকাতেও আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারবোনা। অনতিবিলম্বে এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
এসময় পঞ্চগড় ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব গ্রুপের মোডারেটর তাহমিদ সাকী, পঞ্চগড় বাইকার্স ক্লাব গ্রুপের মোডারেটর রিপন রায় এবয় কায়সার ইসলাম দিপু উপস্থিত ছিলেন। -

নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলে ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ: গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের।
টিনশেড বাড়ির চারদিক নিস্তব্ধ। বেশ কয়েকবার ‘কেউ আছেন, কেউ আছেন’ বলে উচ্চস্বরে ডাকলেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। এগিয়ে আসেননি কেউ। কিছুক্ষণ পর একজন বর্ষীয়ান নারী এলেন। আমাদের পরিচয় জানার পর বাড়ির উঠানে বসতে দেন।
এটিই নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের বাড়ি। ৩০ বছর ধরে তিনি ওই কলেজে দর্শন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়কুলা গ্রামে তার বাড়িতে পুলিশ পাহারা।
১৮ জুনের ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে ফেরেননি অধ্যক্ষ। তার স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী সোনালী দাস বলেন, আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি ওই কলেজে থাকুক তা অনেকে চান না। ঘটনার সময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের জানিয়েছিলেন, আইসিকে (মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) জানিয়েছিলেন এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও স্থানীয় অনেকের সহযোগিতা চেয়েছিলেন আমার স্বামী। এরপরও সবার উপস্থিতিতে এত বড় ঘটনা ঘটল। তাকে আপমান-অপদস্থ করা হলো।
তিনি বলেন, তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না। ঘটনার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই, করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তার কাছে কোনো মুঠোফোন নেই। অন্যের ফোন দিয়ে কয়েকবার সামান্য কথা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ে আছি। আমার স্বামী এ ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নয়। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
মেয়ে শ্যামা রাণী বিশ্বাস বলেন, আমাদের কোনো নিরাপত্তাই নেই বললেই চলে। আমরা খুবই ভয়ে আছি। বাবা এখন কোথায় আছেন, আমরা সঠিক জানি না। আমাদের তিন বোনেরই পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। মেজো বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে প্রাইভেট পড়তে যেতে পারছে না। ছোটরাও পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে। বাবার সঙ্গে যে অন্যয় হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অন্যায় না করেও তিনি অপমান-অপদস্থ হয়েছেন। এখন নিরাপত্তার অভাবে আমরা ঘরের বাইরে যেতে পারছি না।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের একটি আবেগ ঘন পোস্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি এই কলেজে শিক্ষকতা করি। ছাত্ররা আমার প্রাণ, স্থানীয়রাও আমাকে ভালোবাসত। তবু আমার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে আমি কলেজে যাব। ওই পোস্টে চূড়ান্ত হেনস্তার বর্ণনা দিয়ে স্বপন কুমার বলেন, পুলিশ আমাকে কলেজ কক্ষ থেকে বের করে আনে। তখন দুই পাশে শত শত পুলিশ ছিল।
এর মধ্যেই স্থানীয়রা আমাকে পুলিশের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দিল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের কাছে নেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেকে আঘাত করেন। আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ায় পায়ের কিছু জায়গায় কেটে যায়। তখন অনুভব করি পেছন থেকে কেউ আমার মাথায় আঘাত করছে। সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে মাসখানেক আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা করেছিল কলেজের প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। এরপর থেকেই চক্রটির তোপের মুখে আছেন তিনি।নড়াইলে গৃহবন্দি পরিবার লেখাপড়া বন্ধ মেয়েদের যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে কলেজে যাব-ফেসবুকে অধ্যক্ষ আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার: স্ত্রী। বাবার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি: মেয়ে। ১৭ দিন আত্মগোপনে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ। -

নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের তিন কন্যা। নড়াইলে নিরাপত্তার অভাবে বাইরে যেতে পারছে না লাঞ্ছিত অধ্যক্ষের তিন কন্যা। টিনশেড বাড়ি, চারদিক নীরব, নিস্তব্ধ। বেশ কয়েকবার ‘কেউ আছেন, কেউ আছেন’ বলে উচ্চস্বরে ডাকলেও বারবার বাড়ির ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। কেউ এগিয়ে আসেনি।
কিছুক্ষণ পর একজন বৃদ্ধা মহিলা কাছে এসে পরিচয় জানার পর বাড়ির ওঠানে বসতে দেন। এ বাড়িটিই হচ্ছে স্বপন কুমার বিশ্বাসের। যার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে কলেজের ছাত্র ও স্থানীয়রা গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
যদিও সরেজমিন সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের বড়কুলা গ্রামে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের এ বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পুলিশ পাহারা বসেছে। তবে ১৮ জুনের ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে ফেরেননি ওই অধ্যক্ষ। তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতার ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই কলেজে দর্শন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গত ১৭ জুন তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
ওই দিন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় ওরফে বাপ্পী রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন- ‘প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম’। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে কলেজের কিছু ছাত্র তাকে সেটি মুছে (ডিলিট) ফেলতে বলেন।
এরপর ১৮ জুন সকালে অভিযুক্ত ছাত্র কলেজে আসলে তার সহপাঠীসহ সব মুসলিম ছাত্র তার গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও তাৎক্ষণিক বহিষ্কারের দাবি তুলে অধ্যক্ষের নিকট বিচার দেয়। কিন্তু ওই সময় ‘অধ্যক্ষ একই সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় তাকে রক্ষা করার চেষ্টায় ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন’ এমন কথা রটানো হলে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত ছাত্রের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসেরও গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়েছিল।
অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী সোনালী দাস বলেন, ‘আমার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার, তিনি ওই কলেজে থাকুক তা অনেকে চায় না। ঘটনার সময় কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের জানিয়েছিলেন, আইসিকে (মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ) জানিয়েছিলেন এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষকসহ স্থানীয় অনেকের সবার সহযোগিতা চেয়েছিলেন আমার স্বামী (অধ্যক্ষ স্বপন কুমার)। এরপরও সবার উপস্থিতিতেই এত বড় ঘটনা ঘটল, তাকে অপমান অপদস্থ করা হলো।
তিনি আরও বলেন, তিনি কোথায় আছেন আমরা জানি না। ঘটনার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি, তার সঙ্গে যোগাযোগ নেই, করাও সম্ভব হচ্ছে না। কারণ তার কাছে কোনো মোবাইল ফোন নেই। অন্যের ফোন দিয়ে কয়েকবার সামান্য কথা হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও ভয়ে আছি। আমার স্বামী এ ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নয়। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে।
একই প্রসঙ্গে স্বপন কুমার বিশ্বাসের মেয়ে শ্যামা রাণী বিশ্বাস বলেন, আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। বর্তমানে আমরা খুবই ভয়ে আছি। আমার বাবা এখন কোথায় আছে আমরা সঠিক জানি না। আমাদের তিন বোনেরই পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। আমার মেজো (অধ্যক্ষের ২য় কন্যা) বোন এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে প্রাইভেট পড়তে যেতে পারছে না। একই সঙ্গে ছোট বোনেরও পড়াশোনার সমস্যা হচ্ছে। আমার বাবার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অন্যায় না করেও তিনি অপমান অপদস্থ হয়েছেন। আমাদের নিরাপত্তার অভাবে আমরা ঘরের বাইরে যেতে পারছি না।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের একটি আবেগঘন পোস্ট ভেসে বেড়াচ্ছে। এতে তিনি বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন- ‘৩০ বছর ধরে আমি এই কলেজে শিক্ষকতা করি। ছাত্ররা আমার প্রাণ, স্থানীয়রাও আমাকে ভালোবাসত। তবু আমার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এরপর এই মুখ নিয়ে কী করে আমি কলেজে যাব।
ওই পোস্টে চূড়ান্ত হেনস্তার বর্ণনা দিয়ে স্বপন কুমার আরও বলেন- ‘পুলিশ আমাকে কলেজ কক্ষ থেকে বের করে আনে। তখন দুই পাশে শত শত পুলিশ ছিল। এর মধ্যেই স্থানীয়রা আমাকে পুলিশের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দিল। আমাকে পুলিশ ভ্যানের কাছে নেওয়ার সময় পেছন থেকে অনেকেই আঘাত করেছে। আমি মাটিতে পড়ে যাওয়ায় পায়ের কিছু জায়গায় কেটে যায়। তখন অনুভব করি পেছন থেকে কেউ আমার মাথায় আঘাত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে মাসখানেক আগে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগের চেষ্টা চালায় ওই কলেজের প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে বাধা দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। এরপর থেকেই চক্রটির তোপের মুখে আছেন তিনি। -

পঞ্চগড়ে মহানন্দায় ধরা পড়লো ৩২ কেজির বাঘাইড়
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মহানন্দা নদীতে একদল যুবকের জালে ৩২ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ জুলাই ) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ সীমান্ত এলাকার এই নদী থেকে মাছটি ধরা হয়।
জানা গেছে, দুপুরে দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের ১১ জন যুবক মহানন্দা নদীতে বড় জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার একপর্যায়ে তারা একটি বড় মাছের টের পান। মাছের অবস্থান বুঝে ওই যুবকেরা জালে ফেলেন। একসময় তাদের জাল একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়ে।
স্থানীয়দের ধারণা, সীমান্তবর্তী উপজেলার মহানন্দা নদীটি ভারত থেকে প্রবাহিত হওয়ায় বিরাট এই বাঘাইড় মাছটি ভারত থেকে আসতে পারে।
এদিকে, মাছটি বাড়িতে নিয়ে আসলে উৎসুক জনতা মাছটি দেখার জন্য ভিড় জমাতে থাকে। অনেকে ওই মাছের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছেন। তবে মাছটি বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারে তোলা হবে এবং প্রতিকেজি দেড় হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হবে বলে জানান ওই যুবকরা।
ওই দলের যুবক সোহাগ, রাসেল, আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতিবছরই মহানন্দা নদীতে বাঘাইড় মাছ ধরা পড়লেও তাদের জালে এবারই প্রথম। বড় মাছ ধরার আনন্দটাই আলাদা।