February 5, 2025, 12:56 pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপির) জিআর প্রকল্পের ১০ কেজি করে হতদরিদ্রদের চাল বিতরন বন্ধ করে দিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্য সব ইউনিয়নে এক দেড় মাস আগে বিতরন হলেও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান কে বিতরন করতে দেন নি। ফলে গরীবের চাল নিয়ে পিআইওর চালবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ইউপিবাসী। এতে করে উপকার ভোগীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী জানান, প্রথম থেকেই চাল বিতরন নিয়ে নানা খেলা শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। এর পর আমি তালিকা জমা দিলে চাল উত্তোলনের ডিও আমাকে না দিয়ে কামারগাঁ খাদ্যগুদামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে মোতাবেক গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে গত বৃহস্পতিবারে বিতরন করব। ঠিক তার আগ মুহুর্তে পিআই তারিকুল ইসলাম চাল বিতরন করতে নিষেধ করেন। তার কাছে কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন তালিকা সঠিক হয় নি। তালিকা সঠিক না হলে তিনি ডিও কিভাবে দিলেন, আর তিনি কিভাবে বুঝলেন তালিকা সঠিক না। তিনি কি তালিকা ধরে বাড়িবাড়ি তদন্ত করেছেন। আসলে কিছুই না আমি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান এজন্য এত প্রতিহিংসা।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি ইউপিতে এক দেড় মাস আগে বিতরন হয়ে গেছে। যাদের তালিকায় নাম আছে তারা প্রায় দিন ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন কবে কখন চাল দেওয়া হবে? সরকার গরীর অসহায় ব্যক্তিদের কথা চিন্তা করে এসব করছেন আর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সেই মহৎ কাজ প্রশ্ন বিদ্ধ করতে মরিয়া।
পিআইও তারিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি জানান, তালিকার সমস্যা এজন্য বিতরন বন্ধ করা হয়েছে। কতদিন আগের বরাদ্দ আর তালিকা সঠিক না হলে ডিও কিভাবে পেল প্রশ্ন করা হলে তিনি দাযসারা গোছের উত্তর দিয়ে পরে কথা বলা হচ্ছে বলে এড়িয়ে যান এই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, তানোর উপজেলাটি কৃষির উপর নির্ভর। বছরে এসময়টা তেমন কাজ থাকে না। সেই সাথে লাগামহীন বাজার চড়া, অর্থনৈতিক মন্দা এসব বিবেচনায় প্রান্তিক জনসাধাররনের কথা ভেবে সরকার বিনা মুল্যে জিআর প্রকল্প থেকে মাথাপিছু ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেয়। কিন্তু সরকারের এসমস্ত মহৎ কাজ প্রশ্নবিদ্ধ করছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কিছু রাজনৈতিক নেতারা। যার কারনে এতকিছু করার পরেও এসব ব্যক্তিদের জন্য সরকারের ভাবমুর্তি চরম ভাবে নষ্ট হয়ে পড়েছে।
চেয়ারম্যান আরো জানান, ১১০০ ব্যক্তির বিপরীতে ১১ হাজার কেজি চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
হায়দার আলী।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।