December 22, 2024, 5:34 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বিটিএ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক নির্বাচিত সুজানগর এন এ কলেজের সভাপতি হলেন শহিদুর রহমান সুজানগরে ফসলি জমিতে ইটভাটা,হুমকির মুখে আবাদ ঝিনাইদহে ৩ দিন ব্যাপী বেসিক জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা তানোরে জামায়াতের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কর্মী সভা দুর্বার তারুণ্যের বংকিরার পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে পাইকগাছার জনজীবন বিপর্যস্ত খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদে বড় দিন উপলক্ষে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ
৪র্থ দিনেও মিলেনি দূর্নীতিবাজ ডাঃ মাহবুবুর রহমানের দেখা অপসারণের দাবিতে আবারও কর্মসূচি

৪র্থ দিনেও মিলেনি দূর্নীতিবাজ ডাঃ মাহবুবুর রহমানের দেখা অপসারণের দাবিতে আবারও কর্মসূচি

কে এম শহিদুল্লাহ,
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৪র্থ দিনেও মিলেনি দূর্নীতিবাজ তত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের দেখা। বিভিন্ন পদে কর্মরত ৬৪জন কর্মীদের প্রত্যেকের ৩ মাসের বেতন প্রায় ৩০লক্ষ টাকা পরিশোধ না করেই তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান হাসপাতালে যোগদান করেই একদিনের নোটিশে ৬৪জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করায় এবং করোনা কালীন সময়ে ঐ সমস্ত কর্মীদের দিয়ে রোগীদের সেবা করিয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করায় আর এমও রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দফায় দফায় মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর ঐ সমস্ত কর্মীরা তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং হাসপাতালের দূর্নীতিবাজ তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর স্বপন ও আরএমও ডাঃ রফিকুল ইসলামের দূর্নীতি বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন দফায় দফায়। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে চাকুরিচূত কর্মীদের আয়োজনে ৪র্থ দিনেও মানব বন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ৬৪জন নারী পুরুষ কর্মীরা। টানা চার দিন ধরে কর্মীদের দাবী আদায়ের আন্দোলনে কোন প্রকার সারা দিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষরা। যার ফলে এবার সাধারণ মানুষেরাও আস্তে আস্তে ঐ সমস্ত কর্মীদের দাবী আদায়ের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে সম্মিলিত হচ্ছেন। যতই দিন যাচ্ছে কর্মীদের দাবী আদায়ের আন্দোলন তথই শক্তিশালী হচ্ছে। অন্যদিকে অনিয়ম দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে নতুন কৌশল অবলম্বনের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে বিভিন্ন দ্বারপ্রান্তে ছুটছেন দূর্নীতিবাজ তত্বাবধায়ক এমন তথ্য ও পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঐ সমস্ত অসহায় চাকুরিচ্যুত হাসপাতালের কর্মীদের কোন প্রকার শান্তনা দিতে বা আশ্বাস দিতে কোন কর্তৃপক্ষকে আন্দোলন কারীদের সামনে যেতে দেখা যায়নি? তবে অসহায় মানুষের নেয্য দাবির আন্দোলনে এবং হাসপাতালের দূর্নীতি বন্ধে করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন সুনামগঞ্জের গণমাধ্যম । এমন দৃশ্য ফুঠে উঠেছে সাংবাদিকদের নিরলস ভূমিকার মাধ্যমে। হাসপাতালে অফিস চলাকালীন সময়ে তত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সাথে দেখা করতে দিনের পর দিন সাংবাদিকরা গেলে ও অফিস কক্ষে বাহিরে তালা ঝুলতে দেখা যায় সব সময় ? তিনি হাসপাতালে সময় না দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এমন অভিযোগ উঠেছে ডাঃ মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে জানা যায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি সুনামগঞ্জ জেলায় কয়েকটি প্রাইভেট ব্যবসায়ী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স এর ব্যবস্থা করেন অনিয়মের মাধ্যমে ।আওয়ামীলীগের এক বড় নেতার মাধ্যমে পরে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই সদর হাসপাতালের নিয়ম কানুন উল্টো করে দেন তিনি । তিনি যোগদানের পর পাঁচ টাকার টিকিট সংগ্রহ করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ঔষধ ছাড়াই বাড়িতে ফিরেছেন শত শত রোগীরা এমন দৃশ্য ভেসে উঠেছে গণ মাধ্যমে। ব্যক্তিগত ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত এমন বহি প্রকাশ তিনি নিজেই প্রকাশ করে চলেছেন সরকারি লোগো ব্যবহার করে নিজের ভিজিটিং কার্ডের অপর পৃষ্ঠায় দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিজ্ঞান প্রচার করে? এসব বিষয়ে বার বার হাসপাতালে গণমাধ্যম কর্মীরা গেলে গেলে উনি সিলেটে মিটিংয়ে আছেন এমন কথা জানিয়ে দেন হাসপাতালে কর্মরত নয়ন? এসব কার্যকলাপের মধ্যে দেশে শুরু হয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ন্যায় বিচার পায়নি অসহায় চাকুরিচ্যুত কর্মীরা। সরকার পতনের পর নতুন অন্তর্ভুর্তকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর অসহায় চাকুরিচ্যুত কর্মীরা তাদের অধিকার ফিরে পাবার জন্য এবং হাসপাতালের দূর্নীতি বন্ধে দূর্নীতিবাজ তত্বাবধায়ক ও আরএমওর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে চলেছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান আমি আউটসোর্সিং ব্যপারে চাকুরী দেওয়ার সময় কমিটিতে ছিলাম না যারা ছিল তারা বলতে পারবেন এই ব্যাপারে যা বলার তত্ত্বাবধায়ক স্যার বলবেন?
এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সাথে অফিসে দেখা করতে গিয়ে না পেয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি আমি সারাদিন ডিসি সাবের অফিসে ছিলাম এখন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার হিউম্যান ল্যাবে আছি আমার বক্তব্য আমি লিখে পাঠিয়ে দিচ্ছি বলে ফোন কেটে দেন।
বর্তমান অন্তর্ভুর্তকালীণ সরকার ঐ সমস্ত দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবেন এবং অসহায় চাকুরিচ্যুত কর্মীদের বকেয়া বেতন উদ্ধার ও কর্মস্হলে বহাল রাখার ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভোক্তভোগী আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা।##

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD