October 9, 2024, 3:46 pm
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার জেলখানা ঘাটে ব্যাটারি চালিত অটো,মিশুক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে চালকদের আন্দোলনে জেলখানা ঘাট থেকে উপজেলার সিরতা,পরানগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগের সংবাদ শুনে বিষয়টি তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।
বুধবার বিকেলে উপজেলার জেলখানা ঘাট থেকে সিরতা ইউনিয়নের কোনাবাড়ী পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত অটো,মিশুক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে যানবাহন চালানো বন্ধ করে দিলে এতে জেলখানা ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারী চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিদের চলাচলের বিঘ্ন ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ঘটনাস্থলে গিয়ে চালকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করেন এবং চাঁদাবাজী বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
সুত্র মতে জানা গেছে- সদর উপজেলার জেলখানা ঘাট দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে অটোরিকশা ও মিশুক স্ট্যান্ড। আর স্ট্যান্ডে বিভিন্ন পরিবহনে চলছে অবাধে চাঁদাবাজি। অভিযোগ রয়েছে, জেলখানা ঘাট থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত ওই সড়কে চাঁদাবাজি করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে বিপাকে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা। আর এই চাঁদাবাজীর কারণে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীদের। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে প্রতি মাসে হাজার-হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। এসব চালকরা চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে মঙ্গলবার-বুধবার গাড়ী চালানো বন্ধ করে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করলে ভেগান্তিতে পড়ে স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সাধারন যাত্রীরা।
এসময় রিকশাচালকরা অভিযোগ করে বলেন আমাদের প্রতিদিন ৪শ টাকা গাড়ির আমদানি দিতে হয়। সড়কে গাড়ী চালাতে গিয়ে বিভিন্ন নেতা প সংগঠনের নামে আরো ৩০ থেকে ৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এই চাঁদাবাজি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
দেলোয়ার হোসেন নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক জানান- প্রতিদিন তিনি জেলখানা ঘাট হয়ে অটো দিয়ে কোনাবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকতা করেন,কিন্তু চাঁদাবাজির কারণে দুইদিন যাবৎ গাড়ী বন্ধ থাকা স্কুলে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তিনিসহ ওই সড়কে যাতায়াতকারী শিক্ষকরা।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ বলেন এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষজন অটো রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। চালকদের এই ঘাম জড়ানো আয়ের টাকা থেকে চাঁদা দিতে হয় এই বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক। চাঁদা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান- চাঁদাবাজি বন্ধে অচিরেই অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একদিকে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে চালকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় গাড়ী চালক ও যাত্রীরা তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।