July 3, 2025, 5:12 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী যোগদানের পর থেকেই দক্ষতার সাথে বিভিন্ন কাজে সফলতা অর্জন করে চলছেন। জায়গা করে নিয়েছেন সাধারণ মানুষের মনে। তিনি তারাকান্দা থানায় যোগদানের পর থেকে নিজ যোগ্যতা আর দক্ষতার বলে উপজেলাবাসীকে বিভিন্ন অপরাধ বিষয়ে সচেতন করে সাধারণ এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন। সেই সাথে একজন সফল ওসি হিসেবে যত গুণাবলী প্রয়োজন তা তিনি দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। দাগী অপরাধীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের লাগাম টেনে ধরেছেন তারাকান্দা থানা পুলিশ। আগে অলিতেগলিতে বিভিন্ন অপরাধীরা হরহামেশাই অপরাধে লিপ্ত থাকায় অতিষ্ঠ ছিলো এলাকাবাসী। যেসব এলাকায় অপরাধীদের আড্ডা ছিলো সেসব এলাকার অপরাধীদের আখড়ায় ওসি ওয়াজেদ আলী নিজেই অভিযান করেন। থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতিসহ ছিনতাইয়ের মত অপরাধ তার কঠোর হস্তক্ষেপে সহনশীল পর্যায় রয়েছে। বিভিন্ন অপকর্মে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকাবাসী ওসি ওয়াজেদ এর প্রশংসায় যেখানে পঞ্চমুখ সেখানে এক শ্রেণীর লোকজন অপকর্ম করতে না পেরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে হতাশ হয়েছেন তারাকান্দার সর্বস্তরের মানুষ।
তারাকান্দার বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মানুষের মতে- একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, বিনয়ী ও দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার, তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) – মো: ওয়াজেদ আলী। তারাকান্দার ইতিহাসে অপরাধ নির্মুলে যা হয়নি তা দেখাচ্ছেন তিনি। দ্রুত আসামী গ্রেফতার, মামলার জট কমাতে সামাজিক কোন্দল নিরসন,অসহায় বাদী-বিবাদীদের পাশে দাড়ানো এটা তার একটা বড় দায়িত্ব। কয়েকদিন আগেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে তার প্রতিবেশীর দ্বন্দ্ব ছিলো সেটাও তিনি মামলা ছাড়া স্থানীয় ভাবে সকলকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমাধান করেছেন। একজন মহিলা খুন হওয়ার পর তার আসামী গ্রেফতার ও নিহত মহিলার একমাত্র মেয়ের পড়াশুনা সহ যাবতীয় দায়িত্ব তিনিই নিয়েছেন এবং উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গিয়ে মাদক,বাল্য বিবাহ কিশোর গ্যাং বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড করছেন যা এর আগে তারাকান্দার কোন ওসি করেনি। তাদের ভাষ্য মতে- আমাদের এই সমাজে যে ভালো কাজ বেশী করে তার শত্রুর অভাব থাকেনা এটাই সত্য। ওসি ওয়াজেদ আলী সেই প্রতিহিংসার শিকার এমন মন্তব্য করছে তারাকান্দার মানুষ।
সম্প্রতি ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ অনলাইন মাধ্যমগুলোতে তারাকান্দা থানার ওসি’র বিরুদ্ধে সাংবাদিককের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে হত্যা মামলা রুজু করার যে অভিযোগ প্রকাশ পেয়েছে সেটিকে মুলত একটা ষড়যন্ত্র হিসাবেই দাবী তুলেছে তারাকান্দা থানায় এসে সেবা গ্রহীতা কয়েকজন ভুক্তভোগী। তারা বলেন- তারাকান্দায় একটা সাধারণ পাবলিক যেখানে থানায় আসলে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন ওসি, সেখানে একজন সাংবাদিক বা পত্রিকার সম্পাদকের হাত থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টিকে হাস্যকর বলে দাবী করছেন অনেকেই।যে মামলার বিষয়ে বলা হয়েছে মামলাটি ওয়াজেদ আলীর যোগদানের পুর্বের মামলা, ঘটনা গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ২৪ তারিখের। তখন থানায় মামলা নেওয়া হয় নাই। পরে বাদী আদালতের শরনাপন্ন হলে আদালত ৭ দিনের মধ্যে মামলা এন্ট্রি করার নির্দেশ দিলে আদেশ পাওয়ার পর দিনই তারাকান্দা থানায় মামলাটি এফ.আই.আর করেন ওসি ওয়াজেদ আলী। এখানে টাকা নেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
এর আগে যখন মামলাটি থানায় নেওয়া হয়নি তখন সাংবাদিকরা আগের ওসিকে নিয়ে লেখে নাই অথচ এখন আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মামলাটি করার পরও ওসির বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র কেন? এমন প্রশ্ন সর্ব মহলে।
এবিষয়ে ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন আদালতের নির্দেশনা যথাযথ ভাবে পালন করা হয়েছে, মামলা নেওয়া হয়েছে, আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগটি সঠিক নয়,থানায় বিভিন্ন অপরাধের নিয়মিত মামলা রুজু করতে কোনো টাকা পয়সা নেওয়া হয় না।
তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, প্রকাশিত সংবাদটিতে আমাকে নিয়ে যেসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও বানোয়াট। হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল এমন ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে। আমি এমন মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারাকান্দা থানার ওসি বলেন, তারাকান্দার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে অনেক অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তারাকান্দা থানা পুলিশ এলাকাবাসীকে সেবা প্রদান করার জন্য সব সময় প্রস্তুত। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের ধরতে উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুলিশ অভিযান করছে। তারাকান্দায় যতদিন আছি ততদিন অপরাধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাবো । অপরাধী যত বড় প্রভাবশালী হউক অপরাধ করলে ছাড় নেই। পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। ওসি ওয়াজেদ আলী আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার জন্য তারাকান্দাবাসীর প্রতি আহবান থাকবে। পুলিশকে যদি অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয় তাহলে পুলিশ এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারবে। তাহলে এ দেশ একদিন অপরাধ মুক্ত দেশে রূপান্তরিত হবে।।।