April 27, 2024, 1:32 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
নড়াইলে বৈশাখের তাপমাত্রা যেন কোনভাবেই কমছে না। এমন গরম জীবনে দেখি নাই’ নড়াইলে দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের সমাপনী ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান তানোরে ময়নার গণসংযোগে জনতার ঢল বানারীপাড়ায় বসতবাড়ীতে অগ্নিদগ্ধে বৃদ্ধার মৃত্যু পাইকগাছায় গাঁজাসহ মহিলা আটক পাইকগাছায় তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ পাখির জন্য খোলা পাত্রে পানির ব্যবস্থা আজ পটিয়া বায়তুশ শরফ শাহ্ জব্বারিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভা ও দস্তারবন্দী ঝালকাঠিতে বাড়ির গেট লাগানোকে কেন্দ্র করে দু’ভাইয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরী ক্রিকেট প্রিমিয়ার লীগ ২০২৪ ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ নোয়াখালীতে ২০০ পিস ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেফতার
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এশিয়ার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ সেরা দত্তনগর বিখ্যাত কৃষি খামার

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এশিয়ার দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ সেরা দত্তনগর বিখ্যাত কৃষি খামার

মহেশপুর ( ঝিনাইদহ) সংবাদদাতাঃ-
আজ থেকে প্রায় (৭৭) বছর আগে কলকাতার বিশিষ্ট ঠিকাদার হেমেন্দ্র নাথ দত্ত ব্রিটিশ শাসনকালে এলাকার কিছু মানুষের সাহায্যে সবজি চাষ শুরু করেন। উল্লেখ্য ব্রিটিশ এই নাগরিকের নাম অনুসারে এলাকার নাম দত্তনগর করা হয় যা মহেশপুর উপজেলায় অবস্থিত। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বিশাল আয়তন ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আংশিক আয়তন নিয়ে অবস্থিত দত্তনগরের হেমেন্দ্র নাথ দত্তের এই সবজি খামার।
যা এশিয়ার দ্বীতিয় বৃহৎতম কৃষি খামার খামার গুলোর অন্যতম। (১৯৪০) সালে হেমেন্দ্র নাথ দত্তের খামারটি প্রায় তিন হাজার (৩০০০) একর জমির উপর অবস্থিত। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনা বাহিনীর রসদ সরবরাহকারি ঠিকাদার ছিলেন।

তিনি সেনাবাহিনীর জন্য সবজি সরবরাহের ঠিকাদারি লাভ করেন। তাজা সবজি উৎপাদনের জন্য নিজ গ্রাম দত্তনগরে এ বিশাল কৃষি খামার গড়ে তুলেন। (১৯৪০) সালে এ এলাকা ছিল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নিভৃত পল্লী। সড়ক ছিল না।
রেলপথে দর্শনা স্টেশনে সবজি বহন করে নিয়ে কলকাতায় পাঠানোও ছিল দুরূহ ব্যাপার। দীর্ঘ সময় লাগায় পচে যেত। তিনি দত্তনগরে হেলিপ্যাড স্থাপন করেন এবং প্রতিদিন হেলিকপ্টারযোগে টাটকা শাক-সবজি কলকাতায় সরবরাহ করে তিনি প্রচুর লাভ করতেন। খামারের কলেবরও বৃদ্ধি করেন।

দত্তনগর এ বিশাল খামারের আওতায় ৫টি ফার্ম আছে। সেগুলো হচ্ছে গোকুলনগর, পাথিলা, মথুরা, করিঞ্চা এবং কুশাডাঙ্গা। ফার্মগুলোর মোট জমির পরিমাণ দু’হাজার ৭৩৭ একর। আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার একর। নিচু জমি আছে ৬-শ’একর এবং বিল এলাকা আছে ২শ’একরের উপর। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এইচ দত্ত দত্তনগর খামার ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। ম্যানেজার ও কর্মচারিরা খামার দেখাশুনা করতে থাকেন।

(১৯৪৮) সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার দত্তনগর খামার অধিগ্রহণ করে এবং কৃষি বিভাগের উপর পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। (১৯৬২) সালে ফার্মের যাবতীয় সম্পত্তি কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিএডিসি, বিভিন্ন শস্য বীজ উৎপাদনে খামারটি কাজে লাগায়। অফিস, বাসভবনসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সেচের জন্য বসানো হয় গভীর ও অগভীর নলকূপ। আর ক্ষেতে পানি সরবরাহের জন্য পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হয়। আগে শ্রমিক দিয়ে শস্য কর্তন ও মাড়াই করা হতো এখন বড় বড় মেশিনের সাহায্যে ফসল কাটা ও মাড়াই করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD