October 12, 2024, 4:10 am
মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে, গত জানুয়ারীতে
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের আবদুল্ল্যাপুর গ্রামের প্রবাসী রুপ মিয়া ও গৃহিণী রানুয়ারার কলিজার টুকরো নিঝুম আক্তার শান্তা কে তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লা শহরতলীর কাপ্তান বাজার বেপারীপুকুর পাড়ের পূর্ব দঃপাড়ে অবস্থিত শশুর বশিরুল ইসলাম শুভ ও স্বামী সাজ্জাতুর রহমান সাওন দিন দুপুরে তাদের ঘরে নির্যাতন করে মুখে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে বলে বাদি রানুয়ারা অভিযোগ করেন সাংবাবিকদের কাছে।এছাড়াও রানুয়ারা জানায় নিঝুম আক্তার শান্তা আমার কলিজার টুকরো, তাকে হারিয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি। তার সুখের জন্য জামাই যখন যা চেয়েছে সাথে সাথে দিয়েছি।তার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাকে দেখার জন্য প্রথমে কুমেকে যাই।ওখানে পুলিশ খারাপ ব্যাবহার করে।পরবর্তীতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানান,পরে কুমিল্লা কোর্টে তার মেয়ের শশুর,শাশুড়ী, স্বামী গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।পরবর্তীতে মামলা টি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়ে পিবি আইকে তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ্য সাত মাস অপেক্ষার পর পিবি আই তদন্ত শেষে শশুর বশিরুল ইসলাম শুভ, শাশুড়ী ও স্বামী সাজ্জাতুর রহমান শাওনের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক তদন্তে বের করেন।তদন্ত আলোকে আদালতে পেশ করেন, যে ভিকটিম নিঝুম আক্তার শান্তা কে আত্মহত্যায় বাধ্য করায় বর্নিত বিবাদী গনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩০৬/৩৪ ধারায় অপরাধ প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়া যায়।এই রিপোর্ট আদালতে পেশ করলে আদালত আসামি শশুর, শাশুড়ী, স্বামী কে গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে পুলিশ শশুর শাশুড়ী, ঘাতক স্বামী সাজ্জাতুর রহমান সাওন কে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। কিছু দিন না যেতেই শশুর শাশুড়ী জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদী রানুয়ারা কে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে বাদী রানুয়ারা সাংবাদিক দের জানান,তিনি তার মেয়ের শোকে হাও মাও করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ঘাতকদের ফাঁসির দাবি জানান।এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলার প্রশাসনের চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত করে নিঝুম আক্তার শান্তার স্বজনরা।ওখানেও স্বজনরা নিঝুম আক্তার শান্তা হত্যার ঘাতক দের ফাঁসির দাবি করেন।