July 15, 2025, 3:05 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
চু-রি করে নিয়ে যাবার কালে ডিম সহ চো-র আ-টক বরিশালে পৃথক অভি-যানে ২৬৫০ পিস ইয়া-বা ও জা-লনোটসহ গ্রে-প্তার ৪ মাদ-ক ব্যবসায়ী ঢাকা ও আশুলিয়ায় মা-মলা বাণি-জ্যসহ বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবা-জি অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নকল ও ভে-জাল খাদ্যপণ্য তৈরি-স্বাস্থ্যঝুঁ-কিতে শিশুসহ সাধারণ মানুষ বৃক্ষরোপণ শুধু পরিবেশ সুরক্ষার জন্যই নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও মূল্যবান সম্পদ- ডিসি মুফিদুল আলম বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেছারাবাদ কমিটিতে আও-য়ামী দোস-রদের স্থান দেয়ায় বিএনপির ক্ষো-ভ একটানা বৃষ্টিতে পাইকগাছা পৌরসদর পানিতে নিম-জ্জিত সাড়ে ৫শ’ বছর পূর্বে পাইকগাছার কপিলমুনিতে আসেন পীর হযরত জাফর আউলিয়া (রহঃ) পীরগঞ্জে হুসেইন মুহাম্মদ এরশদারে মৃ-ত্যু বার্ষিকী পালিত পাইকগাছায় দিনভর টানা ভারীবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে হাজারো মৎস্য ঘের, পুকুর ও ফসলি জমি
রাজশাহীতে একই মঞ্চে ফাঁসি হবে মহিউদ্দিন-জাহাঙ্গীরের, প্রস্তুত ৮ জল্লাদ

রাজশাহীতে একই মঞ্চে ফাঁসি হবে মহিউদ্দিন-জাহাঙ্গীরের, প্রস্তুত ৮ জল্লাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেমড সেলে থাকা অধ্যাপক ড. তাহের আহমেদ হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসির সময় ঘনিয়ে এসেছে। যেকোন সময় তাদের ঝুলতে হবে ফাঁসির দড়িতে। এ জন্য ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্মরণকালের মধ্যে এই প্রথম দুই আসামির ফাঁসি একই মঞ্চে হতে যাচ্ছে। কারণ এই কারাগারে ফাঁসির মঞ্চ রয়েছে একটিই।

মঙ্গলবার মহড়াও করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে দুজনের ফাঁসি কার্যকর করা হবে, নাকি পর পর হবে- তা নিয়ে ভাবছে কর্তৃপক্ষ। তবে ফাঁসি কার্যকরে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এর অংশ হিসেবে ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়ে তাদের সঙ্গে শেষ দেখা করেছেন। কারা কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের জন্য আহ্বান করেছিল। মঙ্গলবার দুজনের পরিবারই সাক্ষাৎ করেছে।

প্রস্তুত ৮ জল্লাদঃ ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে দিনক্ষণ ঠিক করে জানায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। তবে কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আজকালের মধ্যেই ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির। একই দিনে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে চায় কারা কর্তৃপক্ষ। আইন ও বিধি অনুযায়ী সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নিতে চান সংশ্লিষ্টরা।

একজন আসামির ফাঁসি কার্যকর করতে চার জল্লাদের প্রয়োজন হয়। এদের মধ্যে একজন প্রধান জল্লাদের দায়িত্ব পালন করেন। বাকি তিনজন তাকে সহযোগিতা করেন। তাই মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের জন্য আটজন জল্লাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা মহড়াও করেছেন। এই আট জল্লাদের তালিকায় আছেন- ইসলাম, আলম ও ওয়াহাব। বাকিদের নাম জানা যায়নি। জল্লাদরা যাবজ্জীবন কারান্ডপ্রাপ্ত আসামি।

কঠোর গোপনীতাঃ ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসির প্রক্রিয়া নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কারা কর্তৃপক্ষ। পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গেলে কারা ফটকে ভিড় জমান গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল, জেলার নিজাম উদ্দিন এড়িয়ে চলেন সাংবাদিকদের।

ফাঁসির প্রক্রিয়া বা দিনক্ষণ নিয়ে কথা বলেননি রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মো. ফারুকও। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল একটি সভায় আছেন জানিয়ে মুঠোফোনে বলেন, মৃত্যুদ- ও কার্যকরের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আপাতত কিছু জানাতে পারছি না। রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি বাসাটির পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক এস তাহের আহমেদের গলিত মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ অধ্যাপক তাহেরের সহকর্মী সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও স্থানীয় জাহাঙ্গীর আলমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এ হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন। দ-িতরা হলেন- বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, তার ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালাম। তবে বিচারে খালাস পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও জাহাঙ্গীরের বাবা আজিমুদ্দিন মুন্সি।

পরবর্তী দন্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করেন। তবে আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দন্ডবৃদ্ধি চেয়ে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন।

মোঃ হায়দার আলী
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD