September 30, 2023, 11:50 am
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
জন্মলগ্ন হতেই সংগ্রামী হওয়ায় সুন্দরগঞ্জবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুবই প্রিয় হয়ে ওঠেছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের সফল চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু।
একারণে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে ২৯-গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) পদে লেবুকে দেখতে চায় সুন্দরগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।
পারিবারিক ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল আলম সরকার লেবু তার দীর্ঘ জীবনের সততা এবং সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে অবগত আছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লেবু দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সততা আর নিষ্ঠার কারণে ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা প্রতিক মনোনয়ন দেন। এতে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরগঞ্জের গরিব-দুঃখী ও সমস্যায় পড়ে থাকা মানুষের বিপদে এগিয়ে যান।
আশরাফুল আলম সরকার লেবু বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা বুকে ধারণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সক্রীয় ভূমিকা পালন করে চলছেন। নিজ এলাকার কোনো মানুষ বিপদে পড়লেই সবার আগে ছুটে যাওয়া মানুষটিই তিনি। লেবু প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষের পাশে থাকায় তিনি এখন আওয়ামীলীগসহ সবার ভরসার মানুষ। সুন্দরগঞ্জ আ’লীগসহ সাধারণ মানুষের চাওয়া লেবুকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সুন্দরগঞ্জ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। তবেই উন্নয়ন হবে এলাকার ও মানুষের।
উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা এই প্রতিনিধিকে জানান, আশরাফুল আলম সরকার লেবুর পূর্ব এলকায় ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। এছাড়া সুন্দরগঞ্জে মহিলা মানুষ দিয়ে হবেনা। একজন পুরুষ মানুষের দরকার। তাই আমরা মনে করি নৌকা প্রতীকে মনোয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হবেন। কারণ তিনি এলাকায় খুবই জনপ্রিয়। তিনি এমপি হলে সুন্দরগঞ্জের অনেক উন্নয়ন হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, লেবু ভাই গরিবের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। এরপর সাধ্যমতো তিনি সমাধানের চেষ্টা করেন। লেবু সংসদ সদস্য হিসেবে যোগ্য প্রার্থী। তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে সুন্দরগঞ্জবাসী অনেক উপকৃত হবে। আমরা তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।
চণ্ডিপুরইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফয়জার রহমান বলেন, লেবু সব সময় মানুষের পাশে থেকে সেবা করে যাচ্ছেন। এছাড়া নেতাকর্মীদের সাথে অত্যন্ত ভাল ব্যবহার করছেন। তাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে তিনি পার হবেন। কারণ পূর্ব এলাকায় নৌকার ভোট বেশি। সেও পূর্ব এলাকার মানুষ তাই আঞ্চলিকতায় তাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা লেবুকে নৌকা প্রতীক দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কাপাশিয়া ও শান্তিরাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে উভয়ে বলেন, সভাপতি সেক্রেটারি দুজনার যাকেই নেত্রী মনোনয়ন দেইক আমরা তারই পক্ষে কাজ করব। তবে পূর্ব এলাকা যেহেতু ফাঁকা আছে। তাই আশরাফুল আলম সরকার লেবু ভাইকে নৌকার মনোনয়ন দিলেই আমরা এমপি নিশ্চিত পাব। যার কারণে আমরা তাকেই প্রার্থী হিসেবে চাই।
নৌকার মননোয়ন প্রত্যাশী আশরাফুল আলম সরকার লেবু বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতি আমি সারাজীবন নিবেদিত ছিলাম। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলকে সময় দিয়ে যাব। কঠিন সময়েও আমি দলের সিদ্ধান্ত এবং ভালো লাগা থেকে এক চুলও সরেনি।। এটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সবাই অবগত আছেন। অসহায় মানুষের জন্য কীভাবে কাজ করতে হয় সেটা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। দলের মানুষের জন্য কাজ করছি। এবার সুন্দরগঞ্জের মানুষ খুব করে চায় আমাকে নৌকা প্রতীকের এমপি প্রার্থী হিসেবে। দল ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার রাজনৈতিক কার্যক্রম বিবেচনা করে যা সিদ্ধান্ত দেবে সেটাই আমার সিদ্ধান্ত। ইনশাআল্লাহ শেষ দম থাকা পর্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠার সাথে জনগণের জন্য কাজ করে যাব এবং নেত্রীর দেখানো পথেই চলব।