September 18, 2024, 7:59 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সেনবাগে উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রয়াত নেতাদের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত এতোদিন শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রের প্রতিহত করেছি এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করতে হবে- গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঝিনাইদহে পুলিশ অফিসারের গাড়িতে মিলল ১২০১ বোতল ফেনসিডিল কোন বে-নামাজি লোক মসজিদের সভাপতি থাকতে পারবেন না। জামায়াতের নায়েবে আমীর মুজিবুর রহমান ধামইরহাটে জেসি বান্ধব গ্রীন স্কুল ঘোষণা ও অগ্রগতি উদযাপন সংস্কার শেষে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাভারে বহুল আলোচিত শিক্ষার্থী রোহান হত্যা মামলা ৩ বছর পর সিআইডিতে হস্তান্তর যশোরের ঝিকরগাছায় সড়ক দু*র্ঘটনায় যুবক নিহ*ত খাগড়াছড়িতে ছাত্র জনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে ঘের বিরোধে একই পরিবারের গৃহিনীসহ ৩ জনকে পি*টিয়ে জ*খম
গোদাগাড়ীসহ উত্তরাঞ্চলে মৌ চাষীরা বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করছেন

গোদাগাড়ীসহ উত্তরাঞ্চলে মৌ চাষীরা বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করছেন

মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহীঃ হলুদের চাদরে ঢাকা রাজশাহীর গোদাগাড়ীসহ উত্তরাঞ্চলের ফসলের মাঠগুলো। যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু সরিষা ফুলের হলুদ আর হলুদ। সরিষা ক্ষেতের পাশে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে মৌচাষিরা। এক হাত বৌল্লা বার হাত শিং উড়ে যায় বৌল্লা ধা তিং তিং। সে বৌল্লা দিয়ে সুস্বাদু মধু সংগ্রহে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌ চাষীরা।

এ মধু চাষ লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় চাষিদের। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও স্থানীয় মৌ চাষীদের পাশাপাশি পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মৌ-খামারি গোদাগাড়ীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিষা ফুল থেকে বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করছে। তাদের সংগৃহীত এই রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া পাবনা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছেন।

পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলায় মোট আবাদ প্রায় ২ হাজার ১শ হেক্টর। অনেক মৌচাষি মৌবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এ বছর তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল তারই ধারাবাহিকতায় প্রচুর পরিমাণে সরিষা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী বছর বিদেশ থেকে তেল বিশেষ করে সয়াবিন তেলের আমদানি কমবে বলে আশাবাদী। সেই সাথে এইসব সরিষার জমি থেকে মৌ বাক্স স্থাপন করে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং পরাগায়নে সহায়তা হবে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
উপজেলার এক জায়গাতেই প্রায় ২০০ মৌলবাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে ১২ মন মধু পাওয়া যায়

গোদাগাড়ী উপজেলার একটি সূত্র জানায়, এবছর ৭ হাজর ২শ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। বারিত
সরিষা-১৪ জাত ২ হাজার ৮শ ৪৫ হেক্টর, বারি সরিষা-১৫ জাত ২ হাজার ৬শ ৯০ হেক্টর, বারি সরিষা-১৭ জাত ২শ ৩৫ হেক্টর, এছাড়া বিনা সরিষা সহ স্থানীয় কিছু জাত চাষ হয়েছে। এছাড়া প্রতি সরিষা জমি থেকে বাড়তি আয় করতে অনেক বেকার যুবক এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকগণ মৌবাক্স স্থাপন করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোদাগাড়ী সকল ধরনের কারিগরী সহযোগিতা করছে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন। তিনি আরও বলেন, ২০ জনের মত গোদাগাড়ী উপজেলার মৌ চাষী কিছু বাহিরে থেকেও আসে। সারা বছর সরিষা আম, লিচু সরিষা থেকে প্রায় ৪/৫ টন মধু উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। এই মধু সংগ্রহ চলবে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে সরিষার ভালো আবাদ হয়েছে। মধু সংগ্রহের জন্য ক্ষেতের পাশে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে কয়েকশ মৌবাক্স। সকালে মধু সংগ্রহের জন্য খোলে দেয়া হয় মৌবাক্সগুলো। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে বসে মধু সংগ্রহ করে বাক্সের চাকে জমা করে। আর প্রতি সপ্তাহে একবার মৌবাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করেন মৌয়ালীরা। মেশিনের মাধ্যমে মধু সংরক্ষণ করে বাজারজাতের ব্যবস্থা করেন।

সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মৌ-খামারের মালিক মো. জামাল শেখ বলেন, ২০০৩ সালে আমি বাক্স নিয়ে মৌখামার শুরু করি। বর্তমানে আমি এ কাজে ভালই লাভবান হচ্ছি। হুজরাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার বলেন, মৌচাষী সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ ব্যবসাটি বেশ লাভ জনক। সপ্তাহের একদিন মৌ চাষিরা বিশেষ কায়দায় মধু সংগ্রহ করেন। এখানে খাঁটি মধু পাওয়া যায়। গুনগত মান ভালো হওয়ায় ৫শ’ টাকা থেকে ৬শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে ১ কেজি ক্রয় করছি।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অতুনু সরকার বলেন, মধু সংগ্রহ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে বেকার যুবকদের আগ্রহ বাড়ছে। মৌমাছি শুধু মধুই সংগ্রহ করে না, ফসলের জন্য ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ মেরে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সহায়তা করে থাকে।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD