March 25, 2025, 9:55 pm
আনিসুর রহমান আগুন।।
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বজরা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এক গুচ্ছ অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বজরা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩/১১/১৯৯৯ ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক হিসেবে মোঃ সোহরাব আলী যোগ দান করেন। কিন্তু ব্যানবেইজ সংক্রান্ত কাগজ পত্রাদিতে জেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করায় জেলা অফিসার তাকে সরকারি অংশের টাকা গ্রহণ না করার জন্য ২০/০৮/২০০১ ইং সালে পত্র প্রেরণ করেন। পাশাপাশি উক্ত সরকারি অংশের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য তাকে নির্দেশ দেন। টাকা ফেরত না দেয়ায় তৎকালীন প্রধান শিক্ষককে পরপর তিনটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশের জবাব না দেয়ায় ১২/১০/২০০৯ সালে সহকারি শিক্ষক সোহরাবকে চাকরি থেকে চুড়ান্ত ভাবে বহিষ্কার করেন। পরে সোহরাব আলী চাকরি ফেরত পেতে গাইবান্ধা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪৪/২০১০ইং। বিজ্ঞ আদালত ০১/১১/২০১৬ ইং তারিখে মামলাটি খারিজ করে দেন। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক হরে কৃষ্ণ বর্মন অবসরে যায়। তখন চাকরিচ্যুত সহকারী শিক্ষক সোহরাব আলী বেআইনি ভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে নেয়। ১৬/০৬/২০০৯ ইং তারিখে প্রজ্ঞাপন “৭(২) অনুযায়ী কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষক শ্রেণির সদস্য ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হতে পারবেন না। অথচ পাশ্ববর্তী কিশামত হলদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলামকে বিধি বহির্ভূত ভাবে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন। ওই অবৈধ কমিটি অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে বহিষ্কারকৃত সহকারী শিক্ষক সোহরাবকে প্রধান শিক্ষক বানায়। যা সরকারি বিধি মোতাবেক বৈধ নয়। যার হাইকোর্টের রিটপিটিশন নং ১৩৬৬০/২০১৭। এত কিছুর পরেও শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে সরকারি অংশের টাকা উত্তোলন করেন। অবৈধ ভাবে প্রধান শিক্ষক হয়ে নিজের ভাই, শ্বশুরসহ পছন্দের লোকজনদের কমিটিতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কমপক্ষে ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। প্রমাণ হিসেবে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার নিয়োগ দিয়ে সোহরাব আলী প্রার্থীর পিতার নিকট থেকে নিজ স্ত্রীর নামে জমি দলিল করে নেয়। আবারও বরাবরের ন্যায় পকেট কমিটি গঠন করার চেষ্টা করলে ২২/০৫/২২ ইং সালে এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ জুন ২০২২ ইং তারিখে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। এতে তিনি দাতা সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের ভোটার না করে ভূয়া ভোটার বানিয়ে কমিটি করতে চান। এনিয়ে সুন্দরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১৫৬/২০২২ মামলা দায়ের করেন। যার কারণে আদালত নির্বাচন স্থগিত করেন। বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ২০/০৯/২২ ইং তারিখে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করেন। এলাকাবাসী ও অভিভাবকগণ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ধূত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করছেন।