July 27, 2024, 3:48 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পাইকগাছায় ৪ দলীয় নক আউট ফুটবল টূর্ণামেন্টের উদ্বোধন শীঘ্রই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারবো আমরা – মোংলায় নৌবাহিনী প্রধান লাখো মুসল্লির জানাজা শেষে ছারছীনা শরীফের পীর সাহেবের দা*ফন সম্পন্ন পানছড়িতে মা মনসা পুঁথি পাঠের আসর জমে উঠেছে গোপাল হাজারীর বাড়িতে কোট বি*রোধীদের উপর হাম*লার প্রতি*বাদে ঝিনাইদহে ছাত্রদলের বিক্ষো*ভ নবাগত গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন যুবলীগ সভাপতি তানোরে বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন নড়াইল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র পৌর মেয়র আনজুমান আরা সভাপতি নির্বাচিত বাংলাদেশ জমইয়াতে হিজবুল্লাহর নায়বে আমীর হযরত মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহর ইন্তে*কাল ধামইরহাটে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামানের গাছ রোপন
গোদাগাড়ীর জৈটাবটতলা দিঘা গ্রামের হাসমত আলীর বাগানে নতুন জাতের আমের খোঁজ পাওয়া গেছে

গোদাগাড়ীর জৈটাবটতলা দিঘা গ্রামের হাসমত আলীর বাগানে নতুন জাতের আমের খোঁজ পাওয়া গেছে

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী।।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিঘা গ্রামে নতুন জাতের আমের সন্ধ্যন পাওয়া গেছে। এ আম নিয়ে মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে নানা কৌতূহল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন জাতের একটি আমের সন্ধান পেয়েছেন উদ্যানতত্ত্ববিদরা। বরেন্দ্র অঞ্চলের জৈটাবটতলা এলাকার দিঘা গ্রামে হাসমত আলীর বাগানে আমটির খোঁজ পাওয়া গেছে। আমটিকে গত ৪ বছর ধরে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদরা।

নাবি জাতের এ আমটি পর্যবেক্ষণ করছেন হার্টিকালচার সেন্টারের সহকারী উদ্যান উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহিন সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গাছটি প্রায় ক্ষিরসাপাত আম গাছের মতো দেখতে। মাঘ-ফাল্গুন মাসের মধ্যে মুকুল আসে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ আম ৫-৬ মাস পর পাকে। আমের খোসা মাঝারি মসৃণ। আমটি পাকলে বোটার দিকে লালচে বর্ণের হয়। আঁটি পাতলা, আর আমে কোনো আঁশ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমটি সর্বোচ্চ ওজন এক কেজিরও বেশি হয়, আর সর্বনিম্ন প্রায় ৪০০ গ্রাম। এ আমের মিষ্টতার পরিমাণ প্রায় ২৪ শতাংশ। ৩-৪ বছর পর গাছে ফলন হবে। ছোটগাছে প্রায় ২০ কেজি আম উৎপাদন হয়। গাছের বয়সের সাথে আমের ফলনও বাড়ে।’

বছর তিনেক ধরে এ বাগানটি দেখভালের কাজ করেন মালি শাহিন আলী। তিনি বলেন, ‘সাধারণত অনান্য আমের মুকলের সময় এ গাছেরও মুকুল দেখা দেয়। মুকুল আসার ৫ থেকে ৬ মাস পর আম পাকতে দেখা যায়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান চাষি মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমটি নতুন জাতের, স্বাদও ক্ষিরসাপাতের মতো। এ আম যেহেতু দেরিতে (বিলম্ব) পাকে তাই লেট ক্ষিরসাপাত নামে আঞ্চলিকভাবে ডাকা হয়। আমটির আকার আকৃতি অনান্য আমের চেয়ে বড়, গোলাকার। এ আমে রোগ বালাই খুব কম।’

৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আমের বাগান গড়েছেন হাসমত আলী (বাবু)। বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমার ভাই মাইনুল ইসলামের এক বন্ধু ভারতে এ আম খেয়ে ‍মুগ্ধ হন। ওই গাছের সায়ন (চারা তৈরীর উপযোগী ডগা) সংগ্রহ করে দেশে আনেন। ওই সায়ন দিয়ে একটি কলম বাঁধি। এ আমের চাষাবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছি। বাগানে এখন প্রায় ৩০টি গাছ আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন জাতের আমটি এখনও বাজারে ‍গিয়ে বিক্রি করতে হয়নি। বাগানের আম বাগানে বেচে শেষ হয়ে যায়। এ বছরে এ আম পাঁচশ টাকা কেজি করে প্রায় ১০ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছি। এ নতুন জাতের আম গাছের চারা নেওয়ার জন্য অর্ডার দিলে, চারা বিক্রি করা হয়। প্রতিটি চারার মূল্য ১ হাজার টাকা।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচারের উপপরিচালক কুমার প্রামাণিক বলেন, “আমটির স্বাদগুণ ক্ষিরসাপাত আমের সঙ্গে তুলনা করা যায়। বলা চলে, অসময়ের ক্ষিরসাপাত আম। জেলা প্রশাসক কাছে আমটির নাম ‘কল্যাণ ভোগ’ রাখার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।”

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD