Blog

  • দুই মাদ-ক সেবি-কে ৩ মাসের কা-রাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত

    দুই মাদ-ক সেবি-কে ৩ মাসের কা-রাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত

    দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের গোলাপগঞ্জ মোড়ে মাদক সেবনের দায়ে দুই যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিক্রেতা রাশেদুল ইসলাম পলাতক।

    মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ৩টায় পৌর শহরের এ অভিযান চালিয়ে দণ্ড প্রদান করেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বীরগঞ্জ পৌর প্রশাসক দিপংকর বর্মন।

    দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বীরগঞ্জ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জহিরুল হকের ছেলে ও মহিলা কলেজের ল্যব সহকারী জাকির তাহমিদ (২৪) এবং একই এলাকার শরিফ উদ্দিন এর ছেলে মেহেদী হাসান (২৪)।

    জানা গেছে, মাদক সেবী দুইজন গোলাপগঞ্জ মোড়ের রাশেদুল ইসলামের কাছে টেপেন্ডা ট্যাবলেট ক্রয় করে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী তাদেরকে আটক করে থানায় সংবাদ দেয়।

    বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল গফুর বলেন, সংবাদ পেয়ে এসআই সুমন দেবনাথ সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোলাপগঞ্জ মোড়ে গিয়ে মাদক ক্রয় করা অবস্থায় ওই দুইজনকে আটক করে। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মাদক বিক্রি এলাকা গুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    এ সময় পৌর প্রশাসক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর বর্মন সরকারি কলেজের ছাত্রদের সতর্ক করে বলেন, কলেজের সামনে গোলাপগঞ্জ মোড়টি বিপদজনক জায়গা। অকারনে সেখানে ঘুরাঘুরি করা এবং কারো ফাঁদে না পরার পরামর্শ দেন। বন্ধু বা বড় ভাইদের পাল্লায় পড়ে ক্ষতিস সম্মুখীন না হওয়াই ভালো জনস্বার্থে ও মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    এ সময় এলাকাবাসী নুর ইসলাম জানায়, কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর জন্য এলাকার সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। উঠতি বয়সের যুবকেরা হচ্ছে ধ্বংস। প্রশাসনের সু-দৃষ্টিতে মাদক মুক্ত এলাকা গড়তে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

  • পঞ্চগড়ে মা-দক কারবা-রিকে ছেড়ে দিলেন চেয়ারম্যান

    পঞ্চগড়ে মা-দক কারবা-রিকে ছেড়ে দিলেন চেয়ারম্যান

    বাবুল হোসেন,
    পঞ্চগড় প্রতিনিধি :

    পঞ্চগড়ে মাদকসহ আটকের পর কারবারিকে ছেড়ে দিলেন সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম।সোমবার রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এতে এলাকায় চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে,স্থানীয়রা মাদক কারবারিসহ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।মাদক কারবারির নাম আনোয়ার হোসেন দোয়েল (৩৫)। তিনি প্রধান পাড়া এলাকার মৃত ঝেচু মোহাম্মদের ছেলে।

    স্থানীয়রা জানান,সোমবার রাতে আনোয়ার হোসেন দোয়েল মাদক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রির জন্য ফুলবর পাড়া এলাকায় যায়।সেখানে স্থানীয় আসাদুর রহমান,মোজাহার আলী,গ্রাম পুলিশ মাসুমসহ কয়েকজন যুবক তাকে আটক করে।পরে তার কাছে থাকা চার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করা হয়।

    চাকলাহাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক আসাদুর রহমান জানান,গত কয়েকদিন আগে এলাকায় গরু চুরি গেছে।সবার সহযোগিতায় চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করা হয়েছিল।সেখানে থানার ওসি এলাকার যুবকদেরকে মাদকবিরোধী কমিটি করতে বলেছিলেন।আমরা কমিটি এখনো করিনি, তবে কাজ শুরু করেছি।

    সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মাসুম ইসলাম বলেন,স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় মাদকসহ একজনকে আটক করে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করি।

    অভিযুক্ত চাকলাহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন,এবারের মতো তাকে শাসন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।তবে এলাকার মাদক কারবারিদের তালিকাসহ চার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট থানায় জমা দিয়েছি।

    পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান বলেন,মাদক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার চেয়ারম্যানের নেই ।তবে চেয়ারম্যান বলেছেন বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে মাদক উদ্ধার করেছেন।তবে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা জানান অতীতে টিআর কাবিটা অনিয়ম।এবং দ্বিতীয় বউকে স্কুলে গিয়ে পিটানো। ভোটে নির্বাচিত হলে অ্যাম্বুলেন্স কিনে দেওয়া পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত আসছে।

  • তানোরে জাতীয় ফুল শাপলা বিলুপ্তির পথে

    তানোরে জাতীয় ফুল শাপলা বিলুপ্তির পথে

    তানোর প্রতিনিধি।।
    বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য বহন করে জাতীয় ফুল শাপলা। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে শাপলা ফুল। ছোট বড় সবার কাছে সমাদৃত এ ফুল। যেকোন ডোবা নালায় জন্ম নিয়ে সবার দৃষ্টি আকৃষ্ট করে। কিন্তু আফসোস! প্রকৃতির বিরুপ প্রভাব, মানব সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতায় বিলুপ্ত হচ্ছে মুক্ত জলাশয় এবং হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা ফুল। শাপলা ফুলের সেই সমারোহ আর চোখে পড়ে না। দিনে দিনে শাপলা-শালুক যেনো একেবারেই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ দেড় দশক আগেও বড় বড় দীঘি,পুকুর,রাস্তার ধারের নয়নজুলি ও বিলের বুক জুড়ে শাপলা ফুলের দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য ছিলো চোখে পড়ার মতো। শরৎকালে দীঘিতে ও বিলের বুক জুড়ে প্রকৃতি অন্য রকম সাজে সেজে উঠত। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখা যেত চারদিকে ফুটন্ত সাদা এবং লাল শাপলার সমারোহ। মনে হতো এ যেন শাপলা ফুলের জগৎ। শাপলা ফুল শুধু পরিবেশ ও প্রকৃতির সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে তা নয় এর রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণ। এছাড়া এ ফুলের গাছ শিকড় ও মাথা কিছুই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। শাপলার নরম ডাঁটা, মাথা ও গোড়ায় জন্ম নেওয়া ড্যাপ এবং শালুক সবই মুখরোচক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান। শাপলার গাছ বা ডাঁটা পানির গভীরতায় ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। তাছাড়া মাছ-মাংস রান্নায় উৎকৃষ্ট তরকারি হিসেবে এর ডাঁটা বেশ জনপ্রিয়। শালুক আগুনে পুড়িয়ে কিংবা সেদ্ধ করে খাওয়া হয়। আগের দিনে শরতের শেষে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফসলি মাঠের পুকুর-ডোবা ও বিলু জুড়ে শালুক তোলার ধুম পড়ে যেতো। শালুক পোড়া গন্ধ এখনো প্রবীনদের শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। শাপলা, পদ্ম সাধারণত দিঘী বা বিলে ফুটে থাকে। তখন গ্রামের ছেলে-মেয়েরা সাঁতার কেটে এই ফুল তুলে আনত। শাপলাকে দুভাবে কেটে কেটে মালার মতো করে একজন অপরজনের গলায় পড়িয়ে দিত। রসবোধ সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে মহাকালের অতল গহ্বরে। বিশেষজ্ঞদের মতে জলবায়ু ব্যাপক পরিবর্তনে আগের মতো সঠিক সময়ে বন্যা হচ্ছে না। এছাড়া আবাদি জমিতে অপরিমিত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগে অনেক শাপলা বীজ বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মা শালুক বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে নতুন করে শাপলার গাছ জন্ম হচ্ছে না। এখন শরৎকাল শেষ হলেও বড় বড় দীঘি ও জলাশয়ে দেশের কোথাও সেই আগের মতো শাপলা-শালুকের দেখা মেলেনা। এ জলজ উদ্ভিদ আজ বিলুপ্তির পথে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দশকে শাপলার অস্তিত্ব কতটুকু টিকে থাকবে তা দেখার বিষয়। অতীতে এমন এক সময় ছিল যখন গ্রাম-বাংলার বিলে-ঝিলে ও ডোবা-নালায় শাপলা ফুলের সমারোহ ছিল চোখে পড়ার মতো। বর্ষা থেকে শরতের শেষ পর্যন্ত নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয়ের নিচু জমিতে এমনিতেই জন্মাত প্রচুর শাপলা-শালুক ও ঢ্যাপ। অনেকেই এই সব তাদের খাদ্যের তালিকায় রাখত। শিশুরা তো বটেই সব বয়সের মানুষ রঙ-বেরঙের শাপলার বাহারি রুপ দেখে মুগ্ধ হতেন। এ সময় শাপলা ভরা বিলের মনমাতানো সৌন্দর্যে চোখের পলক ফেলা মুশকিল হতো। দেশের বিভিন্ন জলাশয় থেকে বিলুপ্ত প্রায় শাপলা ফুল। নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর শাপলার প্রতি আকর্ষণ সবার চেয়ে বেশী। বর্ষা মওসুমের শুরুতে এ ফুল ফোটে। খাল, বিল, জলাশয় ও নিচু জমিতে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় শাপলা। আবহমান কাল থেকে শাপলা মানুষের খাদ্য তালিকায় সবজি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এক সময় খালে-বিল ও বদ্ধজলাশয় বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন প্রজাতির শাপলা দেখা যেতো। ছোটদের কাছে শাপলা ফুল একটি প্রিয় খেলনার পাশাপাশি অনন্ত সৌন্দের্য্যর আকর্ষণ। শাপলা ফুল বাংলার সাংস্কৃতিতে এক অনন্য রুপ। শাপলাকে রক্ষা করা বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব। শাপলা ফুল বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শাপলা খুব পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি ও ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয়। দেশের বিভিন্ন বিলে অপরিকল্পিত ভাবে অতিরিক্ত পুকুর খনন, কৃষি জমিতে স্থাপনা নির্মানের ফলে শাপলা ফুল আজ বিলুপ্তির পথে। বিভিন্ন বিল ও জলাশয় যেগুলোতে প্রাকৃতিক ভাবে মাছ চাষ হতো সেগুলো এখন পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষের আওতায় নিয়ে আসার কারণে সেখানে আর শাপলা ফুল জন্মাতে পারে না। প্রাচীন কাল থেকেই শাপলার ফল (ঢ্যাপ) দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু খৈ তৈরি হয়। অনেকে শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য হওয়ায় এলাকার লোকজন শাপলা তুলে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে বিক্রি করতো। বর্তমান সভ্যতায় মানুষের বাড়তি চাপের কারণে আবাদি জমি ভরাট করে বাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের বানানোর ফলে বিলের পরিমাণ কমে গেছে। যার কারনে শাপলা জন্মানোর জায়গাও কমে আসছে। গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে অহরহ দেখা যেত জলে ভাসা ফুলটি। তবে এখন অযত্ন আর অবহেলায় জাতীয় ফুল শাপলা হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সকালে অথবা চাঁদনি রাতে বিলে-ঝিলে বা জলাশয়ে ফুলটি যখন অনেক ফুটে থাকে, তখন সেখানে এক অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিল, জলাশয় ও নিচু জায়গায় পানি জমা থাকলে সেখানেই প্রাকৃতিক ভাবেই জন্ম নেয় আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। দিন দিন দেশের বিল, ঝিল, খাল, নদী দখল, ভরাট, জমিতে অতি মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে শাপলাফুল। উপজেলা কৃষি কর্মকতা সাইফুল আহম্মেদ জানান, জলবায়ু ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। বর্ষা শেষ না হতেই খাল-বিল ও জলাশয় গুলো শুকিয়ে যাওয়ার ফলে এলাকায় শাপলা জন্মানোর ক্ষেত্র বিনষ্ট হচ্ছে। এছাড়া আবাদি জমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে অনেক শাপলা বীজ বা মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা মা-শালুক বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নতুন করে শাপলার গাছ জন্মাচ্ছে না। ফলে দিনে দিনে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলার বিলুপ্তি ঘটছে। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। এই জাতীয় ফুল রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহলের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন এই জাতীয় ফুল শাপলা রক্ষার।#

  • সুজানগরে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

    সুজানগরে উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী কাব কার্নিভাল অনুষ্ঠিত

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় উৎসবমুখর পরিবেশে পাবনার সুজানগরেও অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কাব কার্নিভাল ২০২৫’। তেজগঁাওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে সোমবার (২৩ জুন) সকালে দেশব্যাপী কাব কার্নিভাল এর উদ্বোধন করেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস । এর পরপরই সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় কাব কার্নিভাল এর বর্ণাঢ্য আয়োজন। বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রোগ্রাম বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সুজানগর উপজেলা স্কাউটসের উদ্যোগে আয়োজিত কার্নিভালে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আগত শতাধিক কাব স্কাউট সদস্য অংশগ্রহণ করে। সুজানগর উপজেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় ও স্কাউট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্কাউট সভাপতি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ । স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক খলিলুর রহমান। স্কাউটস লিডার সাহেব আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, কমিশনার আবুল কালাম আজাদ, কাব লিডার কুতুব উদ্দিন জালাল প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা স্কাউট সভাপতি মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, শিশুদের আত্মবিশ্বাস, দেশপ্রেম ও সৃজনশীলতা বিকাশে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভবিষ্যতেও শিশু-কিশোরদের নিয়ে নিয়মিতভাবে এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।দিনব্যাপী কার্নিভালে কাব স্কাউটদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কুইজ, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, শারীরিক কসরত ও স্কাউটস নীতিনির্ভর বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, স্কাউট লিডার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর প্রতিনিধি।।

  • সুজানগরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বীজ, চারা ও সার বিতরণ

    সুজানগরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বীজ, চারা ও সার বিতরণ

    এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ পাবনার সুজানগর উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ, ধান বীজ, রাসায়নিক সার এবং আম, জাম,কঁাঠাল,নারিকেল,নিম,বেল সহ বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বীজ,চারা ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্য অফিসার নূর কাজমীর জামান খান, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চৌধুরী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জাহিদ হোসেন ও উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার লুৎফর রহমান। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে কৃষি উন্নয়নে প্রদত্ত প্রণোদনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাওয়ার জন্য কৃষক-কৃষাণীদের প্রতি আহবান জানান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং খরিফ/২০২৪-২৫ অর্থ বছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপজেলার প্রায় ২৫০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণী এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ওই বীজ,চারা ও সার বিতরণ করা হয়।

    এম এ আলিম রিপন
    সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি।।

  • সহকারী জজের বি-রুদ্ধে জমি দখ-লের অভি-যোগ, কৃষকের সংবাদ সম্মেলন

    সহকারী জজের বি-রুদ্ধে জমি দখ-লের অভি-যোগ, কৃষকের সংবাদ সম্মেলন

    ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ
    ঝিনাইদহের মহেশপুরে সহকারী জজের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী কৃষক।
    রোববার (২৩ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলার নেপা ইউনিয়নের বাঘডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোজাম্মদের ছেলে আব্দুস সোবহান (৫০)।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বড় ছেলে সাব্বির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোবহানের ছোট ছেলে সাঈম ও ভাতিজা হাসানুল।

    লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সোবহান দাবি করেন, তিনি বাঘড়াঙ্গা মৌজায় পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একটি ধানী জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। সেখানে ৩৫ বছর আগে স্থাপিত একটি বোরিং রয়েছে, যা দিয়ে নিজের চার বিঘা জমিসহ পার্শ্ববর্তী কৃষকদের জমিতে সেচ সরবরাহ করা হয়। এই বোরিংয়ের ওপর তার পরিবারের আয়ের একটি বড় অংশ নির্ভর করে।
    তিনি অভিযোগ করেন, সহকারী জজ সালাহউদ্দিন (বর্তমানে কর্মরত গোপালগঞ্জে) বিচারিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে উক্ত জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে ওই সহকারী জজ বোরিংয়ের মোটর ভেঙে ফেলেন এবং আশপাশের গাছ কেটে দেন। পরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভূমি অপরাধ ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
    অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব মামলায় পবিত্র রমজান মাসে একবার এবং ঈদুল আজহার আগে আরেকবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিন পেলেও এতে তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হন। বর্তমানে আবারও গ্রেপ্তারের হুমকিতে রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
    আব্দুস সোবহান জানান, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি গত ১৭ জুন মামলার নির্ধারিত হাজিরার দিন আদালতে যেতে পারেননি।
    সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী জজ সালাউদ্দিন কে একাধিকবার মুঠোফোন চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

    আতিকুর রহমান
    ঝিনাইদহ।।

  • পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ১ জেলে নি-খোঁজ

    পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ১ জেলে নি-খোঁজ

    রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী
    পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ট্রলার থেকে অসাবধানতাবসত নদীতে পরে আল-আমিন (৩৫) নামের এক জেলে নিখোজ হয়েছে। সোমবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার চরমোন্তাজ লঞ্চঘাটের বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোজ আল-আমিন পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস গ্রামের শিরাজ খানের ছেলে।
    চরমোন্তাজ নৌ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ দিন সমুদ্রে মাছ শিকার শেষে এমবি আসাদুল নামের ওই ট্রলারটি ১১ জেলে সহ ওই লঞ্চঘাটে এসে পৌছায়। ট্রলারটি নোঙ্গর করতে আল-আমিন রশি নিয়ে ঘাটে ওঠার চেষ্টা করে। এসময় সময় সে পা পিছলে পন্টুনের সঙ্গে মাথায় আঘাত লেগে নদীতে পরে নিখোজ হয়। বর্তমানে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় জেলেরা। এদিকে তাকে উদ্ধারের অপেক্ষায় নদীর দুপারে ভীড় করেছে তার স্বজন সহ স্থানীয় হাজারো মানুষ।
    রাঙ্গাবালী নৌপুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ফায়ার সার্ভিস, ডুবুরি ও কোস্টগার্ডকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে জোরালোভাবে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করবে।
    ##

  • জলবায়ু ও দু-র্যোগজনিত বাস্তুচ্যুতি মোকাবিলায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম দেশগুলোর জন্য রূপরেখা উদ্বোধন

    জলবায়ু ও দু-র্যোগজনিত বাস্তুচ্যুতি মোকাবিলায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম দেশগুলোর জন্য রূপরেখা উদ্বোধন

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

    জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি আজ বৈশ্বিক সংকটে রূপ নিয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের সদস্য দেশসমূহের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনার জন্য কৌশলগত নমুনা রূপরেখা প্রণয়ন করে রেফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু)।
    আজ ২৩ জুন ২০২৫, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই নমুনা রূপরেখা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,“বাস্তুচ্যুতি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, ৬৯টি দেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের সদস্য দেশসমূহ কোন না কোনভাবে বাস্তুচ্যুতি সমস্যা মোকাবিলা করছে। বস্তুতই জলবায়ু পরিবর্তনে একক বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর অভিযোজন নিশ্চিত করা।”
    তিনি আরও বলেন, “জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের রাষ্ট্রসমূহের বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলপত্রের আলোকে সৃষ্ট এই নমুনা রূপরেখা কপ৩০-এ উপস্থাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা হবে। অন্যান্য দেশগুলি বাংলাদেশের মডেল অনুসরণ করে তাঁদের নিজ নিজ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম হাতে নিলে আমাদের জন্য এটি হবে ভীষণ সম্মানের।”
    বিশেষ অতিথি উপদেষ্টা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মোঃ ফারুক-ই-আজম তার মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান যে, কীভাবে ‘শিকস্তি পয়স্তি’ আইনে বাস্তুচ্যুতদের জমি পুনরায় জেগে উঠলে দুষ্টচক্র জোরপূর্বক ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে দলিলাদি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয় এবং জমির মালিক হয়ে দাঁড়ায়।
    তিনি আরও বলেন,“অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলপত্রটি সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে বাস্তুচ্যুতদের অধিকার আদায়ে পথ দেখাবে।”
    বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা কৌশলপত্র, কর্মপরিকল্পনা এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামের বাস্তুচ্যুতি টেম্পলেট রচনায় নেতৃত্ব দানকারী রামরুর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, “শুধু ২০২৪ সালেই বাংলাদেশে ২.৪ মিলিয়ন মানুষ সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছে মোট ১৭ মিলিয়ন বাংলাদেশী। এডিবি ও আইডিএমসি বাংলাদেশের কৌশলপত্রটিকে সেরা চর্চা হিসেবে ২০২৪ সালের বাস্তুচ্যুতি অর্থায়ন রিপোর্টে তুলে ধরেছে।”
    তিনি যোগ করেন, “আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জাতীয় কৌশলপত্রটি সমাদৃত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব স্বীকৃতি পেয়েছে — জাতিসংঘ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস জিপি ২০১৯ ও ২০২০, ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত ২০২৪ ও অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের এশিয়া-প্যাসিফিক মিনিস্ট্রেরিয়াল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস সম্মেলনগুলোতে।”
    প্রধান প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর মি. ল্যান্স বোনো বলেন,“আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশী বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনায় আইওএম ভূমিকা রাখবে।”
    সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর নিয়াজ আহমেদ খান বলেন,
    “এই ধরনের টেমপ্লেটগুলো ভাইটাল ফ্রেমওয়ার্ক। আন্তর্জাতিক ফলাফল সৃষ্টিকারী গবেষণায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাধুবাদ জানাই এবং এই ধরনের কার্যক্রম চালু রাখায় আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।”
    ড. তৈয়েবুর রহমান, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ বক্তব্য প্রদান করেন।
    দিনব্যাপী আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও প্রতিনিধি এবং গবেষকগণ অংশগ্রহণ করেন এবং টেমপ্লেটটি নিয়ে তাঁদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন।

  • নড়াইলে তিল খেত থেকে মানুষের ক-ঙ্কাল উ-দ্ধার করেছে থানা পুলিশ

    নড়াইলে তিল খেত থেকে মানুষের ক-ঙ্কাল উ-দ্ধার করেছে থানা পুলিশ

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

    নড়াইলে তিল ক্ষেত থেকে মানুষের কংকল উদ্ধার। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় একটি বিল থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের মৌজা কোলা এলাকায় বিলের মধ্যে তিল খেত থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
    লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কোলা এলাকায় তিল কাটা অবস্থায় লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের মো. সাখাওত হোসেন একটি অজ্ঞাত মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি বিলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি বিষয়টি লোহাগড়া পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে। তবে এখন পর্যন্ত কঙ্কালটি নারী নাকি পুরুষ, এবং এর পরিচয় জানা যায়নি।
    এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে একটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একজন নারীর। আমরা সকল থানায় তথ্য প্রেরণ করছি। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

  • গোদাগাড়ীতে র-ক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটি,প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি শিক্ষক,সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    গোদাগাড়ীতে র-ক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটি,প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি শিক্ষক,সাংবাদিকদের মতবিনিময়

    নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার অডিটরিয়ামে সিসিবিভিও’র আয়োজনে এবং ব্রেড ফর দি ওয়ার্ল্ড, জার্মানীর সহায়তায় “রাজশাহীর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর রক্ষাগোলা গ্রাম ভিত্তিক স্থিতিশীল খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচি” প্রকল্পের আওতায় গোদাগাড়ী উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ ২৩ জুন, ২০২৫ তারিখ রোজ সোমবার এ মতবিনিময় সভায় রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সুধীর সরেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোহা: আব্দুল মানিক।

    সিসিবিভিও’র শাখা কার্যালয় ইনচার্জ নিরাবুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, সিসিবিভিও’র সমন্বয়কারী আরিফ ইথার, , উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন।

    সিসিবিভিও’র পক্ষে কি-নোট উপস্থাপন করেন প্রশিক্ষণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সৌমিক ডুমরী।
    মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনায় মতামত পেশ করেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির নেতা সুমিতা হাঁসদা, লুইস কিস্কু, সজনী হাঁসদা, রুবেল মুর্মু, শ্রী রনজিত রাই; বাপ্পী মার্ডী ও প্রিন্স মিঞ্জ। এছাড়াও নাগরিক প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দের মধ্য হতে বক্তব্য রাখেন ইএসডিও প্রতিনিধি মোঃ আতিকুর রহমান, দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আফতাব উদ্দীন, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হায়দার আলী, বিড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম, রাজবাড়ীহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান, সাংবাদিক প্রতিনিধি গোদাগাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম.বি.এম কামরুজ্জামান, সম্পাদক মোঃ আব্দুল বাতেন ।

    মুক্ত আলোচনা শেষে বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্য পেশ করেন এবং ভুক্তভোগীদের পাশে দাড়াবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথি গোদাগাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ সকল সামাজিক দ্বন্দ্বসমূহ নিরসনে প্রশাসনের সহযোগিতার প্রত্যয় জানান এবং বলেন, “আপনারা অবিচল হবেন না বরং নিশ্চিন্ত থাকবেন। কেউ যদি কোন জোর জবরদস্তি করতে চায় বা আপনাদের সাথে নির্যাতন করে তাহলে তার নাম আমার কাছে জমা দিয়ে যাবেন।” বিষয়গুলি আমি আন্তরিকতার সাথে দেখবে।

    মোঃ হায়দার আলী
    গোদাগাড়ী,
    রাজশাহী।