মোংলা প্রতিনিধি।।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রামপাল-মোংলা বাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা মুসলিম জাহানের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। পবিত্র ঈদুল আযহার মধ্য দিয়ে মুসলমানদের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন। দেশের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের মধ্যে গড়ে উঠুক বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসসহ সব সংকট জয়ের সুসংহত বন্ধন। পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ববোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীল আচরণ অনুশীলন এবং করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্য দিয়েই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হোক পবিত্র ঈদুল আযহা। পবিত্র ঈদুল অজহার মূল কথা হচ্ছে ত্যাগ। হযরত ইব্রাহিম (আ.) নিজের সন্তানকে কোরবানির মধ্য দিয়ে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে যা উজ্জ্বল হয়ে আছে। এটা আমাদের জন্য একটা নির্দেশনা যে, মহান আল্লাহকে পেতে হলে, তার সান্নিধ্যে যেতে হলে, অবশ্যই ত্যাগের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’ শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের জীবনেও বড় কিছু পেতে হলে বড় ত্যাগের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আজকে সামগ্রিকভাবে দেশের যে অবস্থা, তাতে সবার কাছে আহ্বান থাকবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ত্যাগ শিকারের। আমাদের পক্ষ থেকে দোয়া থাকবে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেন আমরা যেতে পারি। পরিশেষে রামপাল-মোংলা আপমর জনসাধারণকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি ‘ঈদ মোবারক’।
Blog
-

রামপাল মোংলা বাসীদের ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ফরিদুল ইসলাম
-

দেশ ও প্রবাসের সংবাদকর্মী সহ সকলকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সারা দেশ ও প্রবাসের সাংবাদিক সহ সকলের সুখ, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য, নিরাপদ জীবন,ও শান্তি কামনা করে জাতীয় দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো ও অপরাধ বিচিত্রার প্রতিনিধি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বি এম এস এফ নিবন্ধন নং -০৬/২০২২ এর কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক ও চট্টগ্রাম রিপোর্টার্সইউনিটি
(সিআরইউ-রেজিঃ১৩২৫২) এর মেম্বার মোঃ শহিদুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসলিম জাহানের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবারও ফিরে এসেছে ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। পবিত্র ঈদুল আযহায় মহান আল্লাহর উদ্দেশে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করা মুসলমানদের প্রাচীন ঐতিহ্য। পবিত্র ঈদুল আযহার উদ্দেশ্য স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকা। পশু কোরবানি করা হয় প্রতীকী অর্থে। আসলে কোরবানি দিতে হয় মানুষের সব রিপুকে: কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরনিন্দা, পরশ্রীকাতরতা। সৎ পন্থায় উপার্জিত অর্থের বিনিময়ে কেনা পশু কোরবানির মাধ্যমেই তা সম্পন্ন হয় কিন্তু পরজীবীর এক অণুজীব করোনা মানুষের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে৷ করোনা আমাদের মাঝে মহাবিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। সকলকে মহামারি প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে, নিরাপদ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের প্রতি লক্ষ্য রাখার অনুরোধ জানান তিনি। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বাগেরহাট পৌরবাসী সহ সারা জেলার সাংবাদিক ভাই বোন দেশ ও প্রবাসের মুসলমানদের জানান আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। সেই সাথে সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা এবং সকলকে নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান করেন, তিনি সকলের মঙ্গল কামনা করে সর্বস্তরের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন। -

পঞ্চগড়ে টুংটাং শব্দে ব্যস্ত কামারেরা
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
মুসলিম উম্মাহর আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা কুরবানীর ঈদ সবকিছু কেনা শেষে আমাদের কামারপট্টি তে আসছে গ্রহীতারা
সারাবছর গুটিকয়েক দা, ছুরি বিক্রি ও শাণের কাজ পাই। দোকান ভাড়া, আনুষাঙ্গিক খরচ দিয়ে লোকসানে থাকতে হয়। এ লোকসান পোষাতে কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকি।কোরবানির ঈদ আসলেই আমাদের ব্যবসা চাঙা হয়। ’ বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই ) পঞ্চগড় শহরের কামারপট্টি টুংটাং শব্দে ব্যস্ত কামারেরা দা-বটিতে শান দেওয়ার ফাঁকে কথাগুলো বলছিলেন ।
তিনি বলেন, বাবু কোরবানির জন্য তৈরি করা দা, ছুরি, বটি, ধামা বিক্রি এবং পুরনো দা, ছুরিতে শাণের আয় দিয়ে সারাবছর জীবিকা নির্বাহ করি। গত কোরবানে ভালো টাকা আয় করেছিলাম। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শুধু , দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন মতো কামাররা।
ঈদ উপলক্ষে , পঞ্চগড় জেলার , পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে একই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে , , , ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন কামারের দোকানে গ্রাহকের আনাগোনা বেড়েছে। কামাররাও দা, বটি, ছুরি, ধামাই শাণ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।দোকানের বিক্রির জন্য সাজিয়ে রেখেছেন নতুন দা, ছুরি, বটি।
মানভেদে নতুন দাম নির্ধারণ করেছি অর্ডার সামাল দিতে দাম বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা লোহা কিনে এনেছি। সান দেওয়ার যন্ত্রে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে বাড়তি কয়লা ও হাতল। কোরবানির আয়ে আমাদের সারাবছর চলতে হয় বিধায় গ্রাহকের চাপ সামাল দিতে সবধরনে
কায়সার আলম এক গ্রাহক জানান,গত বুধবার চাঁদ দপেক্ষে কোন দিন কোরবান তা ঠিক হবে। ইতিমধ্যে পঞ্চগড় গরুর বাজারে গিয়েছিলাম। এখনো গরু কেনা হয়েছে । এ ফাঁকে কোরবানির জন্য বাসায় থাকা দা, ছুরি ও বটিগুলো শাণ দিতে নিয়ে এলাম। দা শাণ করাতে ২০ টাকা, ছুরি ১৫ টাকা, বটি ৩০ টাকা করে নিচ্ছে কামাররা।
হাড়িভাসা ইউনিয়নের হাড়িভাসা বাজারে কবি শাহজামাল সরকার এ পেশায় নিয়োজিত আছেন তিনি বলেন প্রচুর গরমের মধ্যেও বেঁচে থাকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে
কোরবানি ঈদের অপেক্ষায় থাকি সারাবছর। এই কোরবানির আয় দিয়েই বছরজুড়ে কোনমতে আমাদের সংসার চলে। কাঁচা লোহা আগুনে পুড়িয়ে দা, ছুরি, বটি বানাতে হয়। দিনদিন লোহার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েছি -

নাগেশ্বরীতে ভিজিএফ’র ৪০বস্তা চাল জব্দ
এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালটারী চরে দুধকুমার নদী দিয়ে পাচারের সময় ভিজিএফ’র ৪০বস্তা চাল ভর্তি একটি নৌকা আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ আটককৃত চালগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টায় বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালটারী চরে ভিজিএফ’র ৪০বস্তা চাল ভর্তি একটি নৌকা আটক করেছে স্থানীয়রা। এ সময় পাচারকারীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটিরচর (গোয়ালটারী) গ্রামে একাধিক ব্যক্তি জানান, চর লুছনী গ্রামের আজিজ, ভুট্টু, ইমান হোসেন ও ফজল হকের আটককৃত ৪০বস্তা চাল। বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি একান্ত কর্মী হচ্ছে আজিজ, ভুট্টু, ইমান হোসেন ও ফজল হক।
থানা সূত্রে জানা যায়, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটিরচর (গোয়ালটারী) গ্রামে ভিজিএফ’র ৪০বস্তা চাল আটকের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে চালগুলো জব্দ করে থানায় আনা হয়।
নাগেশ্বরী থানার এসআই অনিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুটিরচর (গোয়ালটারী) গ্রামে একটি নৌকায় ভিজিএফ’র ৪০বস্তা চাল স্থানীয়রা আটক করে। সংবাদ পেয়ে চালগুলো জব্দ করে থানায় আনা হচ্ছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর আহমেদ মাছুম বলেন, আপনার কাছে শুনলাম। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
-

বরিশাল জেলা বিএনপির কমিটি থেকে পদত্যাগের হিড়িক
আব্দুল আউয়াল বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি:
বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে সিঙ্গাপুরে বসে এক
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির
নির্বাহী কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। বুধবার (৬জুলাই) দুপুর
১টার সময় বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে তিনি মুঠোফোনে ভিডিও
কনফারেন্সে যুক্ত হন। এ সময় উপজেলা ও পৌর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা হবার পর থেকেই আহবায়ক মুজিবুর
রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব আকতার হোসেন মেবুল উজিরপুর-বানারীপাড়া তথা
বরিশাল-২ আসনের বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বতে বাদ দিয়ে কিছু আওয়ামী ঘরোনার
লোক সামনে আনার পায়তারা করছেন। ফলে এখানকার সুসংগঠিত ও সাংগঠনিকভাবে
শক্তিশালী বিএনপিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। মুজিবুর রহমান নান্টুর বর্তমান কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির পূর্ণাঙ্গ
কমিটির সভাপতির পদে আসীন হবার জন্য দলের মূল নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে নিজের
পছন্দ এমন লোকদের কমিটিতে আনতে চান। যারা ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ
নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ধানের শীষ প্রতীকের (বিএনপির) বিরোধীতা করেছিলো এমন লোকদেরকেই উজিরপুর-বানারীপাড়া বিএনপির নেতৃত্বে
আনতে চাচ্ছেন তিনি। যারা ধান মোরগ দিয়ে খাওয়াবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পথসভায় ওই সময়ে বলতেন বর্তমানে তারাই বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দ।
উপরোক্ত বিষয়ে বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টুর
কাছে জানতে তার মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। অপরদিকে একই দিন
বরিশাল জেলা (দঃ) বিএনপির আহবায়ক কমিটির আরও ৬জন সদস্য স্বেচ্ছায়
পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন দলের মহাসচিব বরাবরে। যার লিখিত বিবরণীর অনুলিপি
বানারীপাড়া প্রেস ক্লাবকে দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে বরিশাল জেলা
(দঃ) বিএনপির আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টুর স্বেচ্ছাচারিতা, অসাংগঠনিক কার্যক্রম ও খামখেয়ালীপনার কারণে তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ কৃত সদস্যরা হলেন, বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. শাহ আলম, মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ আহমেদ মৃধা, পৌর শাখা বিএনপির সভাপতি আহসান কবির নান্না
হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম
মাহমুদ মাহবুব মাষ্টার ও বানারীপাড়া পৌরসভার সংরক্ষীত সদস্য ডেইজি বেগম।আব্দুল আউয়াল
বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধি।। -

সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ৮৩ টন গোখাদ্য বিতরণ করেছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর
কে এম শহীদুল ইসলাম সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ সাড়া জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৫০হাজার পরিবার যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গিয়েছে। পাশাপাশি এ জেলায় এবারের বন্যায় গবাদিপশু গরু, ছাগল ,হাস মুরগীসহ গৃহ পালিত পশু বন্যার পানিতে এবং খাদ্য সংকটে মারা গেছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষকদের গবাদী পশু বন্যার কারনে খাদ্য সংকটে ভোগছে। একদিকে মানুষেরা যেমন বিপদের মধ্যে রয়েছে অন্য দিকে প্রান্তিক কৃষকদের গবাদী পশু গরু, ছাগল, হাস, মুরগীসহ না উপাদির গৃহ পালিত গরু ও গাবী যা নিয়ে বিপাকে রয়েছেন খামার মালিরো। বর্তমান সরকার বন্যা কবলিত মানুষের পাশে যেমন দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছেন ঠিক তেমনি সুনামগঞ্জ প্রান্তিক কৃষকদের গৃহপালিত গবাদী পশুকে রক্ষা করার দৃহ পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।তারই ধারা বাহিকতায় সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষকদের হাতে জেলা ও উপজেলায় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পৌছে দিচ্ছেন গবাদী পশুর জন্য গোখাদ্য । বাছুরের জন্য দেওয়া হচ্ছে ১০ কেজি ওজনের সুষম খাদ্য ইয়ন কাফ স্টার্টার (ফিলেট ফিড)এবং তার সাথে দিচ্ছেন ১ কেজি ওজনের প্যাকেট যার মধ্যে রয়েছে রেনাভিট ডিবি সুপার ভিটামিন+এমাইনো+অগানিক মিনারেল প্রিমিক্স পাউডার। ডেইরী দুগ্ধবর্তী /গাভীর জন্য গোখাদ্য দেওয়া হচ্ছে প্রস্তুত কৃত ২৫কেজি ওজনের একটি করে বস্তা। তাড়উ ধারাবাহিকতায় বৃহস্প্রতিবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলায় অবস্থিত ষোলঘর এলাকায় জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গনে সদর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ৬শত ৫৬জন প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে এসব গোখাদ্য বিররণ করা হয়। এর আগে সদর উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় ৮৫জনকে ২৫ কেজি করে প্রস্তুতকৃত গোখাদ্য বিতরণ করা হয়। এসব গোখাদ্য বিতরণ করেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মো: আসাদজ্জামান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড. হিরন্ময় বিশ্বাস এবং সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. আব্দুল আওয়াল ভূইয়া প্রমূখ।
গোখাদ্য বিতরণকালেজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মো: আসাদজ্জামান বলেন এবারের বন্যায় যেমন মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তেমনি খাদ্য সংকটে অনেক গবাদী পশু গরু, ছাগল,গাভী, হাস,মুরগী মারা গেছে।মানীয় প্রধান মন্ত্রী বন্যা কবলিত মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশু রক্ষা করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়ে ছেন। তারই অংশ হিসেবে এজেলার প্রতিটি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষক গবাদী পশু পালিত মালিকদের হাতে আমরা গোখাদ্য পৌছে দিচ্ছি। এ পর্যন্ত আমরা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন থেকে ১৫ টন ও প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ডেইরি উন্নয়ণ থেকে ৬৮টনসহ মোট ৮৩টন গোখাদ্য সরকারের তরফ থেকে সর্বমোট ৮৩টন গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিনা মুল্যে গৃহ পালিত পশুদের এই ক্লান্তিকালে বিনামুল্যে চিকিৎসা এবং ্ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। বন্যা দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের হাতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান তিনি। -

ক্ষেতলাল পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র ও ৩ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত
এস এম মিলন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভা
নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচিত।
আসন্ন ক্ষেতলাল পৌর নির্বাচনে ২ জন মেয়র ও ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় আ’লীগ দলীয় (নৌকা) মেয়র প্রার্থী
সিরাজুল ইসলাম সরদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র এবং ৬ নং ওয়ার্ডের
ছাইদুর রহমান ও ৭ ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান চৌধুরী বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছে।
ক্ষেতলাল পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান
জানান, পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন (৭ জুলাই)
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত এসব মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তারা
হলেন, মেয়র পদে বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বুলু, স্বতন্ত্র
মেয়র প্রার্থী নবীউল ইসলাম চৌধুরী এবং কাউন্সিলর ১নং ওয়ার্ডের
আসলাম হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের আজিজার রহমান দেওয়ান, ৭ নং ওয়ার্ডের
আব্দুল মতিন, তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে ৩০ শে
জুন মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কাগজপত্রে ক্রুটি থাকায় আব্দুল হান্নান
মিঠুর মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এ নির্বাচনে সাধারণ
কাউন্সিলর ১৯ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র
বৈধ হওয়ায় তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২৭ জুলাই শুধুমাত্র এ পৌরসভার
৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর এবং ৯ টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর
পদে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত
হবে। -

নাগেশ্বরীতে এলজিইডির আওতায় যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন
এম এস সাগর।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা এলজিইডির আওতায় কদমতলা বাজার থেকে হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৪হাজার ৭৯০মিটার খানাখন্দ ও ভাঙ্গাচোরা রাস্তা সংস্কার হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন হয়েছে।
নাগেশ্বরী এলজিইডির সূত্রে, নাগেশ্বরীর কদমতলা বাজার থেকে হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৪হাজার ৭৯০মিটার রাস্তা ১কোটি ২৯লাখ ৭৫হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে সড়ক সংস্কার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পপি ট্রেডাসের পক্ষে আমিনুল ইসলাম পাঠান এর মাধ্যমে রাস্তা সংস্কার চলছে।
সরেজমিনে, কদমতলা বাজার থেকে হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কারের ফলে পাল্টে যাবে গ্রামীণ অবকাঠামোর চিত্র। যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তনের ফলে কৃষি, ব্যবসা, শিক্ষা,স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হবে ব্যাপক পরিবর্তন। রাস্তা সংস্কারের ফলে এলাকার স্কুল-কলেজগামী অসংখ্য ছাত্রছাত্রী আর এলাকার বয়োবৃদ্ধ রোগীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। এ যেন যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন।
হাসনাবাদ ইউনিয়নের অনেকে জানান, রাস্তা টি চলাচলে অনুপযোগী ছিল। রাস্তা সংস্কার কাজ সঠিকভাবে এগিয়ে চলছে।
কুড়িগ্রাম এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কুড়িগ্রাম যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন বাস্তবায়ন করছে। নাগেশ্বরীর কদমতলা বাজার থেকে হাসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা সংস্কার কাজ আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সঠিকভাবে শেষ হবে।
-

ত্রিশালের মঠবাড়ীতে ১৮শত দরিদ্র পরিবার পেলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভিজিএফ চাউল
আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঈদুল আযহা উপলক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল ও মানবিক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ -ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই শ্লোগান বাস্তবায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত দরিদ্র,গরীব হত-দরিদ্র অস্বচ্ছল জনগোষ্ঠী পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহারের ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১০কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭জুলাই) সকালে মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউনিয়নের ১৮০০ পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত এই চাউল বিতরণ কর্মসুচীর উদ্ভোধন করেন মঠবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামিলীগ নেতা আব্দুল কদ্দুস মন্ডল ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প কর্মকর্তা তফাজ্জল হোসেন।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের ১৮০০জনঅসহায়, দুস্থ ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় প্রতিটি কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ কেজি হারে মোট ১৮০০০ মেঃ টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যার আব্দুল কদ্দুস মন্ডল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মঠবাড়ী ইউনিয়নের দুস্থ অসহায় পরিবারের মধ্যে ভিজিএফ এর ১০ কেজি চাউল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছি। তিনি আরো বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক তালিকা প্রণয়ন করে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে সুবিধাভোগীদের মাঝে ভিজিএফের এ চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় ইউপি সচিব নূরুল ইসলামসহও বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গর উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ঈদ উপহার হিসাবে সরকারের ১০কেজি চাউল পেয়ে খুশীতে মানবিক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস মন্ডল এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সুবিধাভোগীরা।
-

ঈদুল আযহায় নিরাপত্তা জোরদারে জিরোটলারেন্সে ওসি কামাল
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহে ঈদুল আজহায় সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশের এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দের দিকনির্দেশনা মোতাবেক থানার আওতাধীন তিনটি পুলিশ ফাঁড়ি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নগরবাসীর জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান- দেশের চতুর্থ বৃহত্তম মহানগরী ময়মনসিংহ নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং নগরীতে বাড়তি নজরদারির জন্য বিদ্যমান ট্রাফিক সদস্যের বাইরেও ৬’শ ৭৩ জন পুলিশ সদস্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের অনির্ধারিত স্থানে সড়ক মহাসড়কের উপর পশুর হাট বসতে দেয়া হচ্ছে না। কোরবানীর পশু বহনকারী যানবাহনে চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে মোকাবেলা করা হচ্ছে। নগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিদ্যমান ১’শ ৪০টি সিসি ক্যামেরা ছাড়াও কোরবানী ঈদ উপলক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও কোরবানীর পশুর হাট এলাকায় প্রয়োজনে আরো সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় নগরীতে আইনশৃঙ্খলা নজরদারিতে জেলা পুলিশের দিনের বেলায় ৫ টি মোবাইল টিম এবং রাতে ১০ টি মোবাইল টিম টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। কোতোয়ালি মডেল থানা ও থানার অধীনস্থ তিনটি ফাঁড়ির মোট ৪ টি মোবাইল টিম দিনের বেলায় এবং ৫টি মোবাইল টিম রাতে নিয়মিত টহল পরিচালনা করে আসছে। ঈদ উপলক্ষে নগরীর বাস স্ট্যান্ড ও জনাকীর্ণ রাস্তার মোড়ে সাদা পোশাকে পুলিশ বাহিনী তৎপর রয়েছে। এই নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলবে আগামী কাল ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই (২০২২) পর্যন্ত আরো কঠোরভাবে কাজ করবে। পশুর হাটে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে জাল নোট সনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। ঈদ আনন্দকে নিরবিচ্ছিন্ন উৎসবমুখর করতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নিজ নিজ উদ্যোগে জনকল্যাণকর কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলেও জানা গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানা গেছে- কোন গ্রাহক যাতে ব্যাংক টাকা উত্তোলন ও লেনদেন করতে ভয় না পায় সেজন্য প্রতিটি ব্যাংকের সামনের পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।কোরবানির পশু কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতারাদের নির্ভয়ে লেনদেন ও পশু বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরতে সমস্যা না সেজন্যও নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার ব্যবস্থা।এমনকি কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ নিজে শারিরিক ভাবে অসুস্থ থাকলেও কোতোয়ালীবাসীর নিরাপত্বার জন্য স্ব-শরীরে নিজেও বিভিন্ন কোরবানি পশুর হাট পরিদর্শন করছেন।শুনছেন মানুষের সমস্যার কথা সমাধানও করছেন।সেই ধারাবাহিকতায় কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ (পিপিএম-বার) বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই ২০২২) তারিখ বিকেলে সার্কিট হাউজ মাঠ, দাপুনিয়া বাজার, চর খরিচা, বোররচর, কাঠগোলা বাজারসহ বিভিন্ন কোরবানি পশুর বাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট বাজারগুলোর ইজারাদার,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ বিক্রেতা ও ইজারাদারদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। পশুরহাটে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে এবার পুলিশ ইজারাদার স্থানীয় প্রশাসন সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছে। মাস্ক, গ্লাবস পড়া এবং নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখার জন্য বাজারে অনবরত মাইকিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি হাটে ডুকতে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যারা গরু কিনতে আসবে তাদের যেন করোনা সংক্রমন না হয়। পশু হাটে বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং শিশুরা যাতে না আসে সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে।
নিরাপত্তার ব্যাপারে ওসি কামাল বলেন, দূর দুরান্ত থেকে পাইকারদের টাকা ছিনতাই চুরি ডাকাতি ও মলম পার্টির খপ্পর রোধে সার্বক্ষণিক পুলিশ কাজ করছে। ব্যাংকে যেন টাকা জমা রাখতে পারে ব্যাংকে লেনদেনের সময় বাড়ানো হয়েছে। সময়ের পরেও বিক্রির টাকা ইজারাদারদের মাধ্যমে পুলিশ পাহারায় টাকা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তাকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সমভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।
ওসি বলেন, আমাদের দেশের খামারীরা কষ্ট করে সারা বছর পশু পালন করে। তাদের বিবেচনা করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিটাকে মাথায় রেখে গরুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে যাতে প্রান্তিক কৃষকরা তাদের জীবিকার জন্য রাস্তায় না বসে। অনুমোদনকৃত জায়গায় বসে পশু বিক্রি করে তারা সংসারের অভাব অনটন মিটাতে পারে। এসময় তিনি চুরি,ছিনতাইসহ যেকোন দুর্ঘটনা এড়াতে গরু মালিক, ইজারাদার ও বিক্রেতাদের সতর্ক থাকার আহবান জানান।