Blog

  • সুবর্ণচরে বৃদ্ধকে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন;আসামিদের গ্রেফতার ও  ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

    সুবর্ণচরে বৃদ্ধকে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন;আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

    নোয়াখালী প্রতিনিধি।।
    নোয়াখালীর সুবর্ণচরে শেখ নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীর পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে নির্যাতন কারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানার হাট বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানবন্ধন থেকে এলাকাবাসী এমন পাশবিক নির্যাতনকারী স্থানীয় চরওয়াপদা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান ভূইঁয়া, ইউপি সদস্য তানভীর হোসেন, তার ভাই দিদার, মুল হোতা শাহনেওয়াজ (গ্যাস লাইট শাহানাজ) , আব্দুল গণি, আব্দুল , খোকন , স্থানীয় যুবলীগের ইউনিয়ন সভাপতি দুলাল উদ্দিন কিরনসহ জড়িতদের আইনের আওতায় এনে পাঁশি দাবি করেন।

    এসময় ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারীর ছেলে ইউপি সদস্য শেখ রিপন চৌধুরী জানান, তারা বাবা একটি মাদ্রাসা ও মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করার সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সন্ত্রাসীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিয়ে নাছির উদ্দিন মাইজভান্ডারী থানায় মামলা করায় আসামিরা গত শুক্রবার রাতে বাড়ী ফেরার পথে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে চোখ বেঁধে পায়ুপথে টর্চ লাইট ঢুকিয়ে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হসপিটালে নিয়ে গেলে শনিবার অস্রপাচার করে টর্চ লাইটটি বের করে।

    চরজব্বর থানা পুলিশ জানিয়েছে এঘটনায় মুল আসামি শাহনেওয়াজকে ঘটনার পরদিন (শনিবার) আটক করেছে। এছাড়াও গতকাল আব্দুল গণি নামের আরেক আসামিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।

  • ৯ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার এক

    ৯ কেজি গাঁজা ও প্রাইভেটকারসহ গ্রেফতার এক

    মো.হাসমত উল্ল্যাহ,লালমনিরহাট প্রতিনিধি।।

    লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন রামদেব এলাকা হইতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও প্রাইভেটকার সহ এক জনকে গ্রেফতার করেন।

    লালমনিরহাট ডিবি অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আমিরুল ইসলাম ও পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ মুসা মিয়া, এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ ইব্রাহীম খলিল, এএসআই /মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, এএসআই/মোঃ আমিনুল ইসলাম, ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ লালমনিরহাটের আদিতমারী থানাধীন রামদেব মৌজাস্থ আদর্শ হাজী জামে মসজিদ এর ১০ গজ দক্ষিণে লালমনিরহাট হইতে পাটগ্রাম গামী পাকা রাস্তার উপর হইতে শ্রী অশ্বনী চন্দ্র (২৭),এর চালিত সাদা রংয়ের TOYOTA প্রাইভেট কার এর ভিতর হইতে ০২ পোটলা মাদকদ্রব্য গাঁজা যাহার প্রতিটি পোটলা ৪ কেজি ৬০০ গ্রাম করিয়া দুই পোটলায় মোট ৯( নয়) কেজি ২০০ ( দুইশত) গ্রাম মাদকদ্রব্য গাঁজা ও মাদকদ্রব্য গাঁজা বহনকারী প্রাইভেট কারসহ আসামীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেন লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা হয়।

    লালমনিরহাট ডিবি অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ আমিরুল ইসলাম, জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আদিতমারী থানাধীন রামদেব মৌজাস্থ আদর্শ হাজী জামে মসজিদের ১০গজ দক্ষিণ পাশে হইতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯কেজি গাঁজা ও মাদকদ্রব্য গাঁজা বহনকারী প্রাইভেট কারসহ এক জনকে গ্রেফতার করেন ডিবি পুলিশ।

    হাসমত উল্ল্যাহ।।

  • পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ

    পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ

    পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
    পুঠিয়ায় তীব্র লোডসেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৮ ঘন্টা বিদ্যুত থাকছেনা। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলায় তীব্র লোডসেডিং চলছে। বিদ্যুতের অভাবে জনজীবনে চলছে অচল অবস্থা। নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ পুঠিয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানাগেছে, পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমানে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলে সেখানে তারা ৮ মেডাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। কোন কোন সময় এর চেয়ে কম বিদ্যুৎ তারা পাচ্ছেন। বর্তমানের উপজেলায় বিদ্যুৎ কখন যায় কখন আসছে তার ঠিক নেই। এলাকায় প্রচলিত রয়েছে পুঠিয়ায় বিদ্যুৎ যায় না আসে। এছাড়াও প্রচন্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডসেডিং করতে হয় বলে অফিস সূত্রে জানাগেছে। লোডসেডিংয়ের কারণে বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ থাকায় উপজেলাবাসী গরমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। বর্তমানের যে লোডসেডিং চলছে উপজেলাবাসী তাকে ভায়াবহ লোডসেডিং বলে জানিয়েছেন। এলাকায় বিদ্যুতের আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। দিন-রাতে অতিরিক্ত গরম আর বিদ্যুতের লোডসেডিং এর কারণে অধিকাংশ পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধরা অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন। এছাড়াও বিদ্যুতের লোডসেডিং এর ফলে উপজেলার ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প কলকারখানার উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে করে তারা লোকসানে মুখে পড়বে বলে মালিকগণ অভিযোগ করেন। সরজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এখন লোডসেডিং এর মাত্র আরোও ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ যাচ্ছে। লোডসেডিং এর কারণে উপজেলাবাসী কোন মতে দিন পর করলেই রাত হলেই তাদের মঝে নেমে আসে চরম দুভোর্গ। সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এতে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে তাদের।

    এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াকুব আলী শেখ জানান, হঠাৎ করে কিছু দিন থেকে নাটোরের হরিশপুর ও রাজশাহীর কাটাখালি থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাই যে পরিমান তাতে আমাদের চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও তিনি বলেন, আমারা সর্বচ্চো ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি যেখানে আমাদের চাহিদা ১৮ মেগাওয়াট। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

    মাজেদুর রহমান( মাজদার)
    পুঠিয়া রাজশাহী

  • বললেই দাঁত দেখায় ২৭ মণের ষাঁড়

    বললেই দাঁত দেখায় ২৭ মণের ষাঁড়

    মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
    পঞ্চগড় সদর উপজেলায় কুরবানীর ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে একটি ২৭ মন ওজনের ষাঁড় গরু। খামারি ভালোবেসে গরুটির নাম রেখেছেন ‘কালু’। নাম ধরে ডাকলে সাড়াও দেন গরুটি। কালুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- কেউ তার দাঁত দেখতে চাইলে মাথা উচিয়ে দাঁত দেখায় সে।
    সম্প্রতি সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ঠেকরপাড়া গ্রামের মোকাম্মেল প্রধানের খামারে গিয়ে দেখা মিলে এই ষাঁড় গরুটির। খামারে বিক্রি উপযোগী আরও ৪০টি গরু থাকলেও কালুই সেরা।
    খামারে গিয়ে দেখা যায়, কালুর পরিচর্যায় ব্যস্ত মোকাম্মেল প্রধান এবং তার ছোট ভাই মনির প্রধান। তাদের সঙ্গে বেশ সখ্যতা কালুর। তাদের কথা মত নড়াচড়া করে কালু, দেখতে চাইলে সে দাঁত বের করে দেখায়।
    খামারি জানান, মাত্র ৮ মাস আগে আড়াই লাখ টাকায় কিনেন কালুকে। উদ্দেশ্য মোটাতাজা করে কুরবানীর ঈদে বিক্রি করবেন। কিন্তু ঈদ ঘনিয়ে এলেও কেউ এখনো কাঙ্খিত দাম বলেননি। ৬ লাখ টাকা হলেই বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
    গরুর দেখভাল করেন মনির প্রধান। তিনি বলেন, কালু এখন আমাদের পরিবারের অংশ হয়ে গেছে। তার বিশেষ বৈশিষ্ট্যে কারণে প্রতিদিন লোকজন দেখতে আসে। তাকে বিক্রি করলে একটু খারাপও লাগবে আমাদের। তারপরও চাচ্ছি ভালো দামে বিক্রি করতে। কারণ, তার পিছনে দৈনিক ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
    খামারি মোকাম্মেল প্রধান বলেন, শখের খামার এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। খামারের সবচেয়ে বড় গরু কালু। কুরবানী ঈদে বিক্রির জন্যই তাকে মোটাতাজা করা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যে দাম বলছে, সে দামে বিক্রি করলে লোকসান গুণতে হবে।
    তিনি বলেন, প্রতিবছর খামার থেকেই বাইরের ব্যবসায়ীরা এসে গরু কিনেন, এজন্য কালুকে হাটে তুলিনি। এবার খামারে বাইরের ব্যবসায়ীরা আসতেছেনা। আর স্থানীয়রা আসলেও সঠিক দাম বলছেনা।
    প্রাণী সম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, পঞ্চগড় জেলায় এ বছর কোরবানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৭৯টি পশু। এর বিপরীতে কোরবানির যোগ্য পশু প্রস্তত রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২টি। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪১ হাজার ২৮০টি, এবং ছাগল-ভেড়া ৯৩ হাজার ৯৯২ টি।

  • মোংলায় গ্যাস উদগিরণ স্থল পরিদর্শন করেন বাপেক্সে’র প্রতিনিধিদল

    মোংলায় গ্যাস উদগিরণ স্থল পরিদর্শন করেন বাপেক্সে’র প্রতিনিধিদল

    মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।
    বাপেক্সের একটি প্রাথমিক প্রতিনিধিদল মোংলার চিংড়ি ঘেরে গ্যাসের উদগিরণ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন । বাপেক্সের নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানী লিঃ এর জিএম (অপারেশন) মোঃ তৌহিদুর রহমান মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের পূর্বপাড়ার দেলোয়ার শেখের চিংড়ি ঘেরের গ্যাস উদগিরণস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানী লিঃ এর ডিজিএম সুজাত আলী। প্রতিনিধিদলের প্রধান তৌহিদুর রহমান বলেন, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহাদয়ের নির্দেশনায় জরুরী ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে গ্যাস উদগিরণস্থলটি পরিদর্শন করেছি। তাতে এখানে পকেট গ্যাস হিসেবে মনে হচ্ছে। এই মুহুর্তে বলা সম্ভব হচ্ছেনা এটি উপরের নাকি নিচের গ্যাস। আমি ফিরে গিয়ে বাপেক্স কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে জানাবো। তারপর দুই একদিনের মধ্যে বাপেক্সের জিওলজিকাল বিশেষজ্ঞ দল এসে গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন এটা উপরের নাকি হাইড্রোকার্বন ওয়েলের নিচের গ্যাস। তারপরই পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বাপেক্স কর্তৃপক্ষ।
    তিনি আরো বলেন, সরেজমিনে দেখে ও শুনলাম ৫/৬ বছর ধরে যেভাবে গ্যাস উঠছে তাতে এখানে গ্যাসের মজুদের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তাই যেভাবে লাইন টেনে গ্যাসের ব্যবহার করা হচ্ছে তা অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ হঠাৎ উদগিরণ বেড়ে গেলে তাতে দুর্ঘটনার আশংকাও রয়েছে। তবে গ্যাস ব্যবহার পদ্ধতি বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে গ্যাসের এ উদগিরণ ও তার ব্যবহার দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করছেন।

  • ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার ভাইসহ গ্রেফতার-১২ সরকার বিরোধী নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠক থেকে

    ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতার ভাইসহ গ্রেফতার-১২ সরকার বিরোধী নাশকতা পরিকল্পনার বৈঠক থেকে

    মনিরুল ইসলাম।

    বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলামের বাড়িতে সরকার বিরোধী নাশকতা ও পরিকল্পনার বৈঠক চলাকালে,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীরা হলেন,আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের রাজিহার ইউনিয়নের তৃতীয়বারের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ তালুকদার এর ছোট ভাই,মোঃ ইত্তিকার তালুকদার (৪৮), গৌরনদী বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪৮),সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃরুহুল গাজী (৫০),ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মন্টু খান (৪৫),বার্থী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহসম্পাদক কাইয়ুম খান (৩৮),ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মোঃ এনায়েত হোসেন (৩২),জাফর খান (৩৩),সাইফুল ইসলাম (৩০) রেজাউল মোল্লা (৩৪),সামিউল ব্যাপারী (৩০),ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী আকাশ খন্দকার (২৬), মোঃ মুন্না আহম্মেদ (২৪), গতকাল রাতে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা আহ্বান করা হয়।রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মী সভায় একত্রিত হয়ে, গোপনে নাশকতা পরিকল্পনার করছে।খবর পেয়ে গৌরনদীর মডেল থানার পুলিশ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় ১০-১৫ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকৃত সবাই বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত।গ্রেফতার প্রসঙ্গে গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • জয়পুুরহাটে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    জয়পুুরহাটে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

    রিদয় হোসেন (সদরজয়পুুরহাট) প্রতিনিধিঃ-

    জয়পুরহাটে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার বিকেলে জয়পুুরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ইমাম, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের সাথে এ প্রস্তুতি সভা করেছেন জেলা প্রশাসক মো.শরীফুল ইসলাম।

    অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন,জয়পুরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আ”লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহফুজার রহমান,জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার পারভেজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)মোসফেকুর রহমানসহ আরও অনেকেই।

    উক্ত সভায় জয়পুুরহাট জেলা প্রশাসক মো.শরীফুল ইসলাম বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরকে তাদের কাজের বিষয়ে অবহিত করে। তিনি আরও বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা নামায ও পশুর হাটে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। এমনকি জেলার পাঁচটি পৌরসভা কতৃক কোরবানির পশুর হাট,পশু জবাই এবং পশুর বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন।

  • ইমারত নির্মাণ কারিগরদের মতবিনিময় সভা

    ইমারত নির্মাণ কারিগরদের মতবিনিময় সভা

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে নাবা কন্ট্রাকশন এড মিক্সচার কোম্পানির ইমারত নির্মাণ কারিগরদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার ৪ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

    সভায় সাহিনুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন নাবা কনট্রাকশন অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান।ঠাকুরগাঁও জেলার ডিপো মোঃশাদমান শাহ্।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার নবাব হোসেন সহ ৫০ জন নির্মান শ্রমিক।

    অনুষ্ঠানে নির্মাণ কাজে নাবা কন্ট্রাকশন এড মিক্সচার ব্যবহারের প্রয়োজনিয়তা সম্পর্কে অগত করা হয়। এটি ব্যবহারে সর্বোচ্চ মাত্রার পানি প্রতিরোধক, মনোরম ফিনিশিং এ সহায়তা প্রদান,তাপ প্রতিরোধক,সিমেন্ট ও পানির অনুপাত হাস করে,ক্ষারক পদার্থ হতে কংক্রিট রক্ষা করে,কংক্রিটকে দ্রুত জমাট বাঁধায়,ছত্রাক ও শ্যাওলা প্রতিরোধী।অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বর্ষায় ব্যবহারের জন্য ছাতা ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

    গৌতম চন্দ্র বর্মন
    ঠাকুরগাঁও।।

  • আওয়ামীলীগ নেতা হাজী জমত আলী দেওয়ান এর পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা

    আওয়ামীলীগ নেতা হাজী জমত আলী দেওয়ান এর পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা

    হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক হাজী মোঃ জমত আলী দেওয়ান এর পক্ষ থেকে সাভার ও আশুলিয়াবাসীসহ দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহা’র কোরবানির ঈদের শুভেচ্ছা- “ঈদ মোবারক”।
    আওয়ামীলীগ নেতা হাজী মোঃ জমত আলী দেওয়ান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও আশুলিয়া সাংবাদিক সমন্বয় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) এবং উক্ত সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দসহ দেশবাসী সবাইকে পবিত্র ঈদুল আযহার ঈদের শুভেচ্ছা-“ঈদ মোবারক”।
    সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হাজী জমত আলী দেওয়ান ঈদ উপলক্ষ্যে অভিমত প্রকাশ করে বলেন যে, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, মানুষের মাঝে পবিত্র এই কোরবানির ঈদ বয়ে আনবে অনাবিল সুখ-শান্তির বার্তা। তিনি আরও বলেন, দলীয় নেতাকর্মী সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য, তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে মানবতার সেবায় কাজ করছি, দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী মিলে একটি পরিবার, তাই সবার কাছে আমাদের পরিবারের সবার জন্য দোয়া কামনা রইলো, সবাইকে আবারও ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন- “ঈদ মোবারক” ঈদ মোবারক”।

  • ফুটপাত দখল করে ব্যাপক চাঁদাবাজি: ট্রাফিক আইন মানছে না কেউ-বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা

    ফুটপাত দখল করে ব্যাপক চাঁদাবাজি: ট্রাফিক আইন মানছে না কেউ-বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা

    হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ব্যাপক চাঁদাবাজি: ট্রাফিক আইন মানছে না কেউ-বাড়ছে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল। সেই সাথে সড়কের দুইপাশে ক্লিনিকের সামনে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির মোটরসাইকেলসহ অবৈধ গাড়ি পার্কিং করার অভিযোগ। যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে ওষুধ কোম্পানির লোকজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে ওষুধের নাম লেখানোর কাজ করেন বলে জানা গেছে। অনেক গাড়ি চালক ও পথচারীরা মানছেন না ট্রাফিক আইন। এর কারণে সড়ক ও মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই সাথে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ মাহিন্দ্রাসহ বিভিন্ন গাড়ি চলাচল বাড়ছে, এর কারণে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
    সোমবার (৪ জুলাই ২০২২ইং) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়ার বাইপাইল সড়কের জামগড়া ল্যাব ওয়ান ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন ক্লিনিকের সামনে মোটরসাইকেল রাখা হয়, সাথে রিক্সা থামিয়ে রেখেছে চালকরা। শাখা রোডের মুখে তিন চাকা অটোরিক্সাও দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। তিন চাকা অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রাগুলো বেশি বেপরোয়া ভাবে চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকেই। এসব গাড়ি চালকদের কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে বলে অনেকেই জানান।
    সাভার ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তায় তেমন কোনো যানজট নেই, আশুলিয়ার নরসিংহপুর সরকার মার্কেট ও জামগড়ার শিমুলতলা আমাদের পুলিশের সদস্য ডিউটি করেন না, তবে মাঝে মধ্যে কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সেখানে পুলিশ গিয়ে কাজ করেন বলে তিনি দাবি করেন, এর বেশি কিছু আমি বলতে পারিনা, সাভার (টিআই: প্রশাসন) স্যারের কাছ থেকে জেনে নিলে ভালো হয়। যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয় অবৈধ তিন চাকা অটোরিক্সার কারণে তবে আমি থাকা অবস্থায় যানজট হতে দেই না তা আপনারা অনেকেই জানেন। ট্রাফিক আইন মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ-এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচেতনতার অভাবে মানুষ ট্রাফিক আইন অমান্য করে রাস্তা পারাপার হয়ে থাকে, এর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, আশুলিয়ার জামগড়া পুলিশ বক্সের সামনে রাস্তা গর্ত করে রেখেছে সড়ক বিভাগ, গাড়ি পার্কিং করার জায়গাও নেই।
    ঢাকা বিভাগের ট্রাফিক পুলিশ জামগড়া বক্সের অফিসার ইনচার্জ (টিআই) সোহেল রানা বলেন, সড়কের যানজট পূর্বের তুলনায় অনেকটা কম আর সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকটা কমেছে। তিনি দাবি করেন সড়ক দুর্ঘটনার মূলত কারণ চালকদের অসাবধানতা। তিন চাকা অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অবৈধ যানবাহন সড়কে চলতে পারবে না। ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের এড়িয়াতে মাত্র ২জন কনস্টেবল ও ১জন (এসআই) ডিউটি করেন, ৩জন ডিউটি করলে অনেক সময় যানজট হতে পারে, ট্রাফিক আইন মেনে চললে দুর্ঘটনা কম হয় কিন্তু চালক ও পথচারীরা ট্রাফিক আইন মানছেন না। তিনি আরও বলেন, মানুষ ট্রাফিক আইন না মেনে উল্টা পথে চলার কারণেও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। জামগড়া এলাকায় সরকার মার্কেট ও শিমুলতলার জন্য পুলিশ সদস্য বাড়ালে ভালো হতো কিন্তু জনবল কম থাকায় একটু সমস্যা হয়। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগের বড় স্যারদেরকে জানাবেন এবং উক্ত এলাকায় ডিউটিরত অফিসারকে বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন, তবে সড়কে ও ফুটপাতে চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব ব্যবস্থা নিতে পারবে।